মানিকগঞ্জে বেগুন চাষে লাভবান হচ্ছে কৃষক/Farmers are benefiting from brinjal cultivati0n in Manikganj মানিকগঞ্জ সকল ধরনের সবজির জন্য বিখ্যাত। মানিকগঞ্জের শীতকালীন সবজির মধ্যে ফুলকপি ও বেগুন অন্যতম। জেলায় এবার ৭ হাজার ২১২ হেক্টর জমিতে কৃষি আবাদ হয়েছে। তারমধ্যে সদরে কৃষি আবাদ হয়েছে ২ হাজার ৩২০ হেক্টর। এবার অসময়ে বৃষ্টি ও বৈরী আবহাওয়ার কারণে ফুলকপির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
ফুল কফির ক্ষতিতে দিশেহারা হয়ে পরে কৃষকরা। কিন্তু অল্প দিনের মধ্যে বেগুনের ফলন আসায় এবং ভাল দাম পাওয়ায় ঘুরে দাঁড়িয়েছেন তারা। বাজারে প্রচুর বেগুনের চাহিতা রয়েছে। এখানকার বেগুন জেলার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ হয়ে থাকে।
মানিকগঞ্জ সদরের ঢাকুলি এলাকার কৃষক আব্দুস সালাম বলেন, গত বছর ফুলকপিতে তেমন লাভ হয়নি বাজার দর কম ছিল তাই এবার বেশি করে বেগুন চাষ করেছি। বেগুনের ফলন খুব ভাল হয়েছে এবং বাজার দর খুব ভাল যাচ্ছে। এবার বৃষ্টির কারণে ফুলকপিতে যে লোকশান হয়েছে তা বেগুনে পুশিয়ে যাবে।
তিনি আরো জানান, এক বিঘা বেগুন চাষে খরছ হয় ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা। বাজার ঠিক থাকলে ৬০ থেকে ৮০ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রী হয়ে থাকে।
কৃষক মোঃ তৌফিকুর রহমান সরফ বলেন, ফুলকপিতে লাভ হয়নি। নিচু জমিতে যারা ফুলকপি চাষ করেছিল তাদের অনেকর লোকশান হয়েছে। আমারও ফুল কপিতে ক্ষতি হয়েছে। অন্যান্য জমিতে বেগুন চাষ করে অনেক লাভবান হচ্ছি। সাধারণ বৃষ্টি বাদলে বেগুনের তেমন ক্ষতি হয় না। তাই আগামীতে আরোও জমিতে বেগুন চাষ করবো।
মানিকগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর উপ-পরিচালক আবু মো. এনায়েতউল্লাহ বলেন, ভাল দাম পাওয়ায় এবার কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন। অসময়ে বৃষ্টি হওয়ায় সরিষার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তবে সবজির তেমন ক্ষতি হয়নি। যেটুকু ক্ষতি হয়েছে ভাল দাম পাওয়ায় তা পুরন হয়ে যাচ্ছে।