ভারত থেকে মোবাইল আমদানি করার উপায় কী? লাভ কেমন? 1
১. ভারত থেকে মোবাইল আমদানি করার উপায় কী? লাভ কেমন? আপনার একটি ট্রেড লাইসেন্স, ব্যাংক হিসাব, একটি অফিস, যে কোন একটি চেম্বার অব কমার্স এর সদস্য পদ, ইআরসি (Import Registration Certificate) থাকতে হবে।

২. আপনি বিদেশী সেই বিক্রেতার সাথে যোগাযোগ করে আপনার পণ্যের ক্রয় মূল্য ঠিক করবেন (একে পিআই-Proforma Invoice) বলে, যেখানে পণ্যের বিস্তারিত বিবরণ, প্রতি ইউনিটের দাম, মোট দাম, কোন ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা পরিশোধ করবেন, কত দিনের মধ্যে পণ্য আনবেন ইত্যাদি উল্লেখ থাকবে

৩. আপনার নির্ধারিত ব্যাংকে গিয়ে একটি এলসিএ ( Latter of Credit Authorization) ফরম পূরণ করে এলসি, ও ইনসুরেন্স ও লোডিং কস্ট প্রেরণ করবেন।

৪. তারপর আপনার বিক্রেতাকে পণ্য প্রেরণ করার জন্য অনুরোধ করবেন। আপনি বিমানে, জাহাজে অথবা স্থল বন্দর দিয়ে পণ্য প্রেরণ করার জন্য বিক্রেতা মেইল করতে পারেন।

. বিক্রেতা তার পণ্য লোডিং করে, আপনাকে তার পণ্যের প্যাকিং লিস্ট, ডিটেইলস প্যাকিং লিস্ট, ইনভয়েস ইত্যাদি মেইল পাঠাবে এবং একই সাথে কুরিয়ার করবে।

৬. পণ্য লোডিং হয়ে বন্দরে আসলে জাহাজ কোম্পানি আপনাকে বিএল (Bill of Loading) এর কপি দিবে।

৭. আপনার পণ্য বন্দরে আসলে আপনি একজন সিএন্ডএফ ( Customs Clearing &Forwarding Agent) এর সাথে যোগাযোগ করে তাকে পাওয়ার অব এর্টনি দিয়ে কাস্টমস হতে পণ্য ছাড়করণের জন্য বিএল, ইনভয়েস, প্যাকিং লিস্ট, ডিটেইল প্যাকিং লিস্ট ইত্যাদি ব্যাংক কর্তৃক প্রত্যায়িত করে সিএন্ডএফ কে হস্তান্তর করবেন৷

ভারত থেকে মোবাইল আমদানি করার উপায় কী? লাভ কেমন?

৮. সিএন্ডএফ আপনার পক্ষ হতে পণ্যটি এসেসমেন্ট, সকল প্রকার কর পরিশোধ, বন্দরের চার্জ পরিশোধ, জাহাজের বিল মেটানো ইত্যাদি করে আপনার ঠিকানায় পণ্য পাঠানোর জন্য লোডিং করবেন।

৯. যেহেতু আপনার পণ্য মোবাইল, সেহেতু বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) হতে অনুমতি নিতে হবে৷ আপনার পণ্যের এইচ. এস কোড হেডিং হল ৮৫১৭. আর করহার ৫৫%. মানে যদি আপনার ফোনের দাম ( ক্রয় মূল্য+ ইনসুরেন্স কস্ট+ জাহাজ ভাড়া) ইত্যাদি মিলিয়ে যদি ১০০.০০ টাকা হয় তবে আপনাকে ৫৫.০০ টাকা কর দিতে হবে। ভাল-লোকসান আপনার বিজনেস পলিসি।

সংক্ষিপ্তভাবে এটা হল পদ্ধতি, কাজ করতে গেলে আরো কিছু পয়েন্ট আপনি নিজে জেনে যাবেন। ধন্যবাদ৷

Leave a Reply

You missed

এই সাইটের কোন লেখা কপি করা সম্পুর্ন নিষেধ