বাড়ি থেকে ১০টি কাজ, কিভাবে আয় করতে পারবেন! 10 jobs from home how to best earn 1
বাড়ি থেকে ১০টি কাজ, কিভাবে আয় করতে পারবেন বিডিলাইভ ডেস্ক :আপনি যদি একজন ছাত্র, মা, কর্মচারী, বেকার, গৃহিনী বা কোনো জায়গায় কাজ করেন, কিন্তু আপনার সুবিধার জন্য আপনি বাড়িতে থেকে কাজ করতে চান।
এই আর্টিকেলে এমন কিছু জবের বা কাজের সন্ধান আছে যেগুলো আপনাকে বাড়ীতে বসে অর্থ উপার্জনের জন্য সহায়তা করবে।
সারা বিশ্বের যে সমস্ত মানুষ অর্থ উপার্জনের জন্য বাসা থেকে কাজ করছে তাদের দ্বারা এই পদ্ধতিগুলো প্রমাণিত ও পরীক্ষিত।

১। আর্টিকেল লেখাঃ
আপনি যদি লেখা লেখিতে ভালো হন, তাহলে অন্য লোকের জন্য ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান ও ওয়েবসাইটের জন্য লেখা শুরু করতে পারেন। ইন্টারনেটের সবকিছু কন্টেন্টের উপর নির্ভর করে। আপনি ইন্টারনেটে যা কিছু পড়ছেন তার সবকিছুই আপনার আমার মত মানুষ দ্বারা লেখা হয়, যারা বিভিন্ন ওয়েবসাইটে হয়তো কেউ পার্ট টাইম কন্টেন্ট লেখক হিসেবে বা আবার কেউ ফুল-টাইম কন্টেন্ট লেখক হিসেবে কাজ করছেন।

আমাদের সকলের কিছু না কিছু বিষয়ে দক্ষতা আছে। তাই কোন বিষয়ে কিছু লেখা কোন ব্যাপার নয়। ধরা যাক আপনি অটোমোবাইল এর উপর ব্যাচেলর ডিগ্রি নিয়েছেন, সুতরাং আপনার অটোমোবাইল ইন্ডাস্ট্রির ওপর খুব ভাল জ্ঞান আছে আর তাই আপনি অটোমোবাইল এর উপর যে কোন বিষয় সম্পর্কে লিখতে পারেন। আপনি ওডেস্ক, ইল্যান্স ও কিছু অন্যান্য ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইটে যান আর খুঁজে দেখুন কেউ সেরকম কাজ দিচ্ছে কিনা।

২। ডাটা এন্ট্রিঃ
আমার মনে হয় এই কমন কাজটি সম্পর্কে সবাই শুনেছেন। কাউকে যদি আপনি বাড়ি থেকে কাজ করার কথা জিজ্ঞেস করেন তাহলে এই উত্তর পাবেন। বাড়িতে থেকে অনেক মানুষ শুধু ডাটা এন্ট্রির কাজ করে আয় করছে।



৩। অনলাইন টিউটরঃ

অনলাইনে বিভিন্ন ধরনের কোর্স করার জন্য বিভিন্ন ওয়েবসাইট আছে যেখানে কোর্সের উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন রকমের টিচার প্রয়োজন হয়। তাই আপনার যদি কোনো বিষয় সম্পর্কে খুব গভীর জ্ঞান থাকে তাহলে আপনি অনলাইন গৃহশিক্ষক হিসেবে এরকম যেকোনো ওয়েবসাইটে যোগ দিতে পারেন এবং আপনি বাড়িতে বসে ছাত্রদের সাহায্য করতে পারেন। আর নিজেও আয় করতে পারবেন।

৪। ওয়েব ডিজাইনারঃ
আপনার যদি কোডিং দক্ষতা থাকে, তাহলে আপনি ওয়েবসাইটের ডিজাইন শিখতে পারেন। বর্তমানে ওয়েব ডিজাইনের চাহিদা প্রচুর। আপনি কিছু ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইটগুলোতে একাউনট করে কাজ শুরু করতে পারেন বা আপনার নিজস্ব ওয়েবসাইট শুরু করতে পারেন আপনার নিজের সার্ভিস প্রদান করার জন্য। একটি ভাল ওয়েবসাইট তৈরি করতে ১০,০০০ ডলার থেকে ২০০ ডলার খরচ পড়ে। সুতরাং আপনি একটি খুব ভাল ডিজাইন কৌশল ও এবং ওয়েবসাইটে রূপান্তর করা শিখতে পারেন এবং অনলাইনে আপনার সার্ভিস প্রভাইদ করতে পারবেন।

৫। প্রোডাক্ট রিভিউয়ারঃ
প্রোডাক্ট রিভিউ বিজনেস খুবই সাধারন বিজনেস। শুধু মাত্র কিছু খুব ভালো মানের প্রোডাক্ট নিন আর সেই প্রোডাক্টগুলো সম্পর্কে রিভিউ লিখুন। যদি সম্ভব হয় আপনি যে প্রোডাক্ট ব্যাবহার করেন সেগুলো ব্যাপারে লিখলে ভালো করবেন। কিন্তু অনেক ইন্টারনেট মার্কেটটার আছে যারা অন্য ব্লগে অন্য ব্লগের লেখকদের রিভিউ পড়ে নিজে সেই প্রোডাক্টের রিভিউ লিখছেন। তাই শুরুতে আপনিও সেরকম করতে পারেন।

অনলাইন শপিং দিন দিন বাড়ছে সেই সাথে প্রোডাক্ট রিভিউ সাইট গুলো ও জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। কোন প্রোডাক্ট কিনতে গিয়ে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে মানুষ পণ্য সম্পর্কে রিভিউ পড়তে পছন্দ করে। তাই আপনি শুধু নামমাত্র মূল্যে আপনার ওয়েবসাইট শুরু করতে পারেন এবং পণ্যের জন্য রিভিউ লেখা শুরু করতে পারেন।

৬। সার্ভে:
অনলাইনে জরিপ করার জন্য অনেক ওয়েবসাইট আছে যারা কয়েকটি সার্ভে সম্পন্ন হলে আপনাকে পেমেন্ট করে দেবে। যদিও পেমেন্ট কম দেয় তারপরও কিন্তু এখনও আপনি কয়েকটি সার্ভে দৈনন্দিন পূরণ করে একটি সম্মান জনক আয় করতে পারেন।

উল্লেখ্য: এই ধরনের ওয়েবসাইটে একটি প্রিমিয়াম সদস্য হয়ে কিছু পরিমাণ চার্জ দিতে হবে এরপর তাদের টাকা পরিশোধ করার পর, আপনি হাই পেমেন্টের সার্ভে পাবেন ।

৭।ম্যাগাজিন লেখকঃ
আপনি যদি সত্যিই ভাল লিখে থাকেন, তাহলে আপনি বড় বড় পত্রিকা কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ করুন এবং তাদের আপনি আপনার কলাম দেখাতে পারেন। অনেক পত্রিকা কোম্পানি পেশাদার লেখকদের খুঁজে থাকেন যারা তাদের জন্য লিখতে পারবে।

এইসব পত্রিকা আর্টিকেল প্রতি ৫০ ডলার থেকে ১০০ ডলার পেমেন্ট করে। সুতরাং আপনি তাদের জন্য লিখে খুব ভাল অর্থ ঘরে বসে উপার্জন করতে পারেন।

৮। ভিডিও ব্লগারঃ
মানুষ কন্টেন্ট পড়ার তুলনায়ন দেখতে বেশি ভালোবাসে। যে কন্টেন্টটি পড়তে ১৫ মিনিট সময় লাগে সেখানে ভিডিওটি শুধু ২ মিনিটের মধ্যে শেষ করে ফেলা যাবে। সুতরাং আপনি আপনার বাড়ি থেকে একটি ভিডিও প্রশিক্ষণ সেশন শুরু করতে পারেন এবং কিছু দারুণ ব্যাপার শেখান। নীচের পডকাস্ট চেক করুন এবং যে লেডি শুধু ভিডিও তৈরি করে ১০,০০০ ডলার মাস আয় করেন আর নিজের একটি সাম্রাজ্য তৈরি করে তোলেন তা দেখতে পারেন।

৯। প্রোডাক্ট রিসেলারঃ
বাজারে কিছু পণ্য রিসেলার করা যায়। তাই আপনি একটি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করতে পারেন এবং অনলাইন ঐ পণ্য বিক্রি করে আয় করতে পারেন। অথবা আপনার বন্ধুরা বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে অনেক ধরনের পণ্য ক্রয় করে থাকে তাই আপনি একটি রিসেলার এর জন্য একটি ছোট ওয়েবসাইট তৈরি এবং সে ওয়েবসাইট থেকে পণ্য কিনতে আপনি আপনার বন্ধুদের বলতে পারেন।

১০। অনুবাদকঃ
আপনি যদি একাধিক ভাষা জানেন তাহলে এটি একটি খুবই সহজ কাজ। ইন্টারনেটে অনেক মানুষ আছে যারা এক ভাষা থেকে আরেক ভাষায় অনুবাদ করার জন্য মানুষ খুঁজছেন। আপনি একটি সার্ভিস প্রভাইদার প্রদানকারী হিসাবে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে আপনার প্রোফাইল তৈরি করতে পারেন পারেন অথবা বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইটে যান যেখানে মানুষ অনুবাদের জন্য তাদের কাজ পোস্ট করে। নিচের ওয়েবসাইট গুলোতে মানুষ ভিডিও বা টেক্সট আকারে তাদের কন্টেন্ট প্রদান করে । তাদের চাহিদা অনুসারে আপনি অনুবাদ করে দিন।

Leave a Reply

You missed

এই সাইটের কোন লেখা কপি করা সম্পুর্ন নিষেধ