কিভাবে ভার্চুয়াল অ্যাসিস্টেন্ট এর কাজ করে ঘরে বসে আয় শুরু করা যায়?/How to start earning from home by working as a virtual assistant? নতুন যারা অনলাইন ফ্রিল্যান্সিং জগতে পা রাখছেন, তাদের জন্য ভার্চুয়াল অ্যাসিস্টেন্ট এর কাজ দিয়ে শুরু করাটা অনেক সহজ হবে। ভার্চুয়াল অ্যাসিস্টেন্ট মানে ক্লায়েন্টের হয়ে কোনো কাজ আপনি করে দেবেন। এ ক্ষেত্রে ঠিক কোন কাজ করে দেওয়াটা ভার্চুয়াল অ্যাসিস্টেন্ট ক্যাটাগরির মধ্যে পড়ে, তার বাধা-ধরা কোনো নিয়ম নেই।
মাইক্রোসফট অফিস এর কাজ থেকে শুরু করে অনেক সময় ছোটখাটো গ্রাফিক্স এর কাজও ভার্চুয়াল অ্যাসিস্টেন্ট জব রিকুয়্যারমেন্ট এর মধ্যে দেখা যায়। ভার্চুয়াল অ্যাসিস্টেন্ট এর কাজ করার জন্য মাইক্রোসফট অফিস এবং এক্সেল এর কাজ জানা থাকলেই শুরু করা যেতে পারে।
আবার যারা ইন্টারনেটে ভালো তথ্য খুজে বের করতে পারেন, তারা ওয়েব রিসার্চ জাতীয় কাজগুলো দিয়ে শুরু করতে পারেন। মূলত ক্লায়েন্ট এর কোন কাজ গুলো প্রয়োজন হতে পারে, তা বুঝে নিয়ে আপনি আপনার স্কিল তৈরি করেও কাজ করতে পারেন। এ বিষয়ে কোনো প্রশ্ন থাকলে অবশ্যই কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন। আর ভার্চুয়াল অ্যাসিস্টেন্ট হিসেবে কাজ শুরু করার জন্য নিচের এই কাজগুলো সম্পন্ন করুন:
১. কোন ধরনের কাজ করবেন তা আগে ঠিক করুন
একটু আগেও আমি বলেছি যে, ভার্চুয়াল অ্যাসিস্টেন্ট ঠিক কোন কাজ করবে, আর কোন কাজ করবে না – তার কোনো বাধা-ধরা নিয়ম নেই। তবে সাধারনত ভার্চুয়াল অ্যাসিস্টেন্স এর কাজ বলতে বেশিভাগ মানুষ নিচের কাজগুলোই বুঝিয়ে থাকে:
- ক্লায়েন্ট এর ইমেইল ও ইমেইল নিউজলেটার ম্যানেজ করা
- কাস্টমার সার্ভিস কল এবং ম্যাসেজিং
- ফাইল ডাউনলোড- আপলোড করা
- গুরুত্বপূর্ন ফাইল ব্যাকআপ করা
- সোস্যাল মিডিয়া পোস্ট করা
- সোস্যাল মিডিয়া পোস্ট তৈরি করা
- ডাটা এন্ট্রি/ এক্সেল এর কাজ করা
- ওয়েব রিসার্চ করা
- কপিরাইটিং অর্থাৎ মার্কেটিং কনটেন্ট লিখা
- ছবি নিয়ে কাজ করা
এর মধ্যে থেকে কোনো কাজ আপনার ভালো লাগলে তা নিয়ে কাজ করা শুরু করতে পারেন। এছাড়াও আপনি নিজে ভেবে বের করতে পারেন যে, কারও ব্যাবসায়িক প্রয়োজনে কোন ধরনের কাজ একজন ক্লায়েন্ট আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে বাইরে থেকে করিয়ে নিতে পারে। এভাবে আপনি আপনার পছন্দের কাজটি খুজে বের করতে পারবেন।
২. কতটুকু সময় ও শ্রম দিতে চান, তা পরিষ্কারভাবে ঠিক করুন
ফ্রিল্যান্স ভার্চুয়াল অ্যাসিস্টেন্ট এর কাজ আপনি সপ্তাহে কতদিন কোন কোন সময়ে করতে পারবেন তা আগে থেকে অবশ্যই নির্ধারন করতে হবে এবং সেই অনুযায়ী কাজ করতে হবে। আপনি যদি লেখাপড়া বা চাকরির পাশাপাশি এই কাজটি করতে চান, তাহলে সেই অনুযায়ী শিডিউল তৈরি করুন এবং তাতে লেগে থাকুন।
৩. আপনার পোর্টফোলিও বা ওয়েবসাইট তৈরি করুন
ভার্চুয়াল অ্যাসিস্টেন্ট কাজের ক্ষেত্রে আপনি যেই ধরনের কাজ করতে আগ্রহী, সেই কাজের মতো আপনি পূর্বে অন্য কোনো কাজ করেছেন তা ক্লায়েন্টকে দেখাতে পারলে আপনার কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা অনেকাংশেই বেড়ে যাবে। তাই আপনি যদি একেবারে নতুন ও হয়ে থাকেন, তারপরও নিজে নিজেই কিছু কাজ করে তা দিয়ে একটি পোর্টফোলিও ফাইল তৈরি করুন, অথবা আরও ভালো হয় একটি ওয়েবসাইটে আপনার কাজগুলো তুলে ধরতে পারলে। সেখানে আপনার পূর্বের কাজের পাশাপাশি আপনার স্কিল এবং যোগাযোগের সকল তথ্য দেওয়া থাকবে।
৪. কিভাবে আয় করা টাকা আনবেন তা ঠিক করুন
বাংলাদেশে পেপাল না থাকলেও বাহিরের দেশ থেকে টাকা আনা এখন অনেকটাই সহজ হয়ে গিয়েছে। বিভিন্ন মাধ্যমে এখন অন্যান্য দেশ থেকে টাকা বাংলাদেশে বৈধ পথেই আনা যায়। যেমন: সরাসরি ব্যাংকে, পেওনিয়ার এর মাধ্যমে, জুম, স্বাধীন কার্ড, সরাসরি চেক ইত্যাদি। তাই আপনি যেই প্লাটফর্মে কাজ শুরু করতে চাচ্ছেন, তারা কোন কোন মাধ্যম সাপোর্ট করে এবং আপনি কোন মাধ্যমে টাকা আনতে চাচ্ছেন তা আগেই নিশ্চিত হয়ে নিন।
৫. কাজ করার জন্য একটি নির্দিষ্ট জায়গা ঠিক করুন
আপনি প্রতিদিন ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার জন্য আলাদা একটি যায়গা ঠিক করে নিতে পারলে মানসিক দিক দিয়ে তা অনেক সাহায্য করে। যদিও এই ধাপটি আবশ্যক নয়, তারপরও সম্ভব হলে কাজের জন্য আলাদা একটি জায়গা নির্ধারণ করে রাখুন।
৬. ক্লায়েন্ট খোজা শুরু করুন
সব পূর্ব প্রস্তুতির পর এবার ক্লায়েন্ট খোজা এবং কাজ পাওয়ার পালা। অনলাইনে অনেক মার্কেটপ্লেস রয়েছে ভার্চুয়াল অ্যাসিস্টেন্ট কাজ পাওয়ার জন্য। বর্তমানে বাংলাদেশের জন্য আপওয়ার্ক এবং ফাইভার অনেক বেশি জনপ্রিয় ও নিরাপদ মার্কেটপ্লেস। আপনিও এ প্লাটফর্ম গুলো ব্যাবহার করে আপনার ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার শুরু করতে পারেন।