ওয়েব ডিজাইন কি?
ওয়েব ডিজাইন কি? কিভাবে শিখবেন এবং কত দিন সময় লাগবে?/What is web design? How to learn and how many days it will take? 2023 ওয়েব ডিজাইনবলতে কোন একটি ওয়েবসাইট এর নকশাকে বুঝায়। যা ইন্টারনেট ব্রাউজারের মাধ্যমে ব্যবহারকারীর সামনে উপস্থাপন করা হয়। ওয়েবসাইট সাজানোর কাজই হলোওয়েব ডিজাইন। আরও সহজভাবে বলা যায় যে, কোন ওয়েবসাইট এর বাহিরের রুপ দেখতে কেমন হবে তা নির্ধারণ করার নাম হলোওয়েব ডিজাইন
একটি ওয়েবসাইট এর নকশাকে ডিজাইন করাই হলো ওয়েব ডিজাইন। ইন্টারনেট ব্রাউজারের মাধ্যমে ব্যবহারকারীর সামনে যেকোনো ওয়েবসাইট এর ডিজাইন প্রেজেন্ট করতে হলে সাইটের ওয়েব ডিজাইন কাজ করে নিতে হয়। একটি ওয়েবসাইটের বাহিরের রুপ দেখতে কেমন হবে তা কোনো ওয়েব ডেভলপমেন্ট না ঠিক না করে ঠিক করে একজন ওয়েব ডিজাইনার। ফলে তাকে ডিজাইন করতে পারার দক্ষতা থাকতে হয়।
যেকোনো সাইটের আউটলুক, ফন্ট কালার, সাইজ, ইমেজ, ম্যানুবার, টুলবার ইত্যাদি সবকিছুই নির্ভর করে এই ওয়েব ডিজাইনিং কাজের উপর। নিজস্ব ওয়েবসাইট তৈরি করে যারা ইনকাম জেনারেট করতে চাচ্ছে একজন ওয়েব ডিজাইনার তাদের ওয়েব ডিজাইনিং এর অর্ডার নিয়ে কাজ করে থাকে।
বর্তমানে ওয়েবসাইট তৈরির প্রচুর চাহিদার পাশাপাশি ওয়েব ডিজাইনারের চাহিদা বেড়ে যাওয়ার কারণে একজন ওয়েব ডিজাইনারের ক্যারিয়ার সবসময়ই অর্থ্যাৎ ফিউচারে পারফেক্ট থাকবে বলে আমি মনে করি। কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশে দক্ষ ওয়েব ডিজাইনার খুব একটা নেই।
ওয়েবসাইটগুলোর দেখার ভিন্নতার ব্যাপারটি সৃষ্টি করার এই কাজটিতে অনেকেই অদক্ষ! যার ফলে মার্কেটপ্লেস তো নষ্ট হচ্ছেই পাশাপাশি দেশীয় ওয়েব ডিজাইনারদের কাছ থেকে মূখ ফিরিয়ে নিচ্ছে অনেক গ্রাহকেরা।
ওয়েব ডিজাইন কেনো শিখবেন?
বর্তমানে বাড়তি চাহিদার কারণটাকে ফোকাস করেই আপনি ওয়েব ডিজাইন ক্যারিয়ার নিয়ে দক্ষ হয়ে উঠতে পারেন। ‘কোন কাজটা আমি শিখবো’ বা ‘আমি কোন কাজটা পারবো’ এধরনের প্রশ্ন যাদের ভোগাচ্ছে তাদের জন্য আমি বলবো, “আপনারা নিশ্চিন্তে ওয়েবসাইট ডিজাইন সেক্টরটিকে ক্যারিয়ার হিসেবে ধরে নিতে পারে”।
কেননা বর্তমানে এর চাহিদার তুলনায় ডিজাইনারের সংখ্যা খু্ই কম। যার কারণে গ্রাহকেরা নতুন এবং দক্ষ সেলারের খোঁজে মরিয়া হয়ে উঠেছে। উচ্চ আয়ের পেশার মধ্যে অন্যতম পেশা হলো এই ওয়েব ডিজাইনিং। সুতরাং ক্রিয়েটিভ কিছু করতে চাইলে এবং নিজের কাজের মধ্যেই নিজেকে খুঁজে পেতে চাইলে আপনি ওয়েব ডিজাইন সেক্টরটিকে বেছে নিতে পারেন। পাশাপাশি হ্যান্ডসাম ইনকাম জেনারেট করার সুযোগ তো থাকছেই!
ওয়েব ডিজাইন কাদের জন্য উপযুক্ত?
ওয়েবসাইট ব্রাউজ করতে ভালোবাসা প্রতিটি প্রযুক্তিপ্রেমীই ওয়েব ডিজাইন শেখার যোগ্যতা রাখে। তবে ওয়েব ডিজাইন কাদের জন্য উপযুক্ত না ভেবে যারা শিখতে চায় তাদের প্র্যাকটিস নিশ্চিত করতে পারলে পরবর্তী সময়ে আাপনি একটি দক্ষ ওয়েব ডিজাইনারের বড় দলের সন্ধান পাবো।
তবে একজন ওয়েব ডিজাইনারের কিন্তু যেকোনো ওয়েবসাইট ভিজিট করার সময় কিভাবে ওয়েবসাইট টি তৈরি হয়েছে তা নিয়ে ভাবতে হবে, যেকোনো ডিজাইনের প্রতি ঝোঁক থাকতে হবে। এতে করে সে দ্রুত যেকোনো কাজ রপ্ত করে ফেলার ক্ষমতা রাখবে।
ওয়েব ডিজাইন শিখতে কি কি লাগে?
ওয়েব ডিজাইন শিখতে প্রাথমিকভাবে যা যা লাগে তার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো এইচটিএমএল ল্যাংগুয়েজ সম্পর্কে জানা বা এই ভাষার উপর নিজের দক্ষতা রাখা। এটি ওয়েবসাইট ডিজাইনের মৌলিক ভিত্তি হিসেবে আপনাকে অবশ্যই এইচটিএমএল শিখে নিতে হবে।
যার উপর ভিত্তি করে আপনি ফিউচারে যেকোনো ওয়েবসাইট ডিজাইন এর কাজ সেরে ফেলতে পারবেন। এক্ষেত্রে এইচটিএমএল শিখতে হলে আপনার যেকোনো সেন্টার থেকে একটি কোর্স করে নিতে হবে। কেননা কোর্স ছাড়া পারফেক্টলি এবং এইচটিএমএল শেখা কিছুটা কঠিন।
পাশাপাশি যারা শিক্ষানবীশ ওয়েব ডিজাইনার তারা কিন্তু সিএসএস শিখার জন্য প্রস্তুত হয়ে থাকবেন। যেহেতু নিখুঁত টাইপোগ্রাফির উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠে সেহেতু আপনাকে সিএসএস শিখতে হবে। কেননা সিএসএসকে কাজে লাগিয়েই আপনি যেকোনো ওয়েবসাইটের টাইপোগ্রাফির কাজ করবেন। এছাড়াও যেকোনো ওয়েবসাইট এর বাকি ডিজাইনগুলো এটার উপর ভিত্তি করেই ক্রিয়েট হয়ে থাকে।
ওয়েব ডিজাইন শিখতে কতদিন লাগে?
ওয়েব ডিজাইন শেখার উপায় গুলো খুঁজে বেরান,অনেকেই এটাকে অনেক কঠিন মনে করেন। তবে ওয়েব ডিজাইন খুবই সহজ একটি প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ। আপনি যদি শেখার মন-মানসিকতা নিয়ে কাজে নামেন তবে ওয়েব ডিজাইন শিখতে খুব একটা বেশি সময় লাগবে না।
আপনি নিজে যত প্রাকটিস করতে পারবেন তত দ্রুতই আপনার ওয়েব ডিজাইনিং শেখা হয়ে যাবে। ভালোভাবে html, css & bootstrap শিখতে পারলেই কাজ শেষ। এক্ষেত্রে অনেকের ২ মাসের কম সময় লাগে আবার অনেকের ৬মাস থেকে ১বছরও লেগে যেতে পারে।
ওয়েব ডিজাইন এর কোথায় কাজ পাবেন?
ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে ওয়েব ডিজাইনের আন্তর্জাতিক মার্কেট যে খুব একটা ছোট তা কিন্তু নয়। আপওয়ার্ক কিংবা গুরু ডট কমের মতো প্লাটফর্মগুলো প্রতিটি দক্ষ ওয়েব ডিজাইনার এর জন্য মুখিয়ে আছে।
যেখানে অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ওয়েব ডিজাইনাররা স্বাচ্ছন্দ্যে তাদের গ্রাহক খুঁজে নিতে পারে। পাশাপাশি বিভিন্ন আইটি কোম্পানি ও ফার্মগুলোতে ওয়েব ডিজাইনারদের কাজের সুযোগ রয়েছে।
ওয়েব ডিজাইন এর কাজ পেতে হলো কি করনীয়?
মুখে মুখে প্রচার, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, ইমেইল মার্কেটিংকে ব্যবহার করর আপনি ওয়েবসাইট ডিজাইন এর কাজ পেতে পারেন। মনে রাখবেন আপনি অনেক কাজ জানলেও আপনার কাজ জানার কথা কেউ না জানলে কোনো লাভই হবে না। সুতরাং নিজের জানা কাজের কথা সকলকে জানাতে হবে।
এক্ষেত্রে সোশ্যাল মিডিয়ার এবাউট সেকশনকে কাজে লাগাতে পারেন। যেখানে আপনি আপনার কাজের কথা সঠিকভাবে উপস্থাপন করে বিভিন্ন ক্লায়েন্টকে নিজের কাজের দিকে আগ্রহ সৃষ্টি করবেন।
ওয়েব ডিজাইনের চাহিদা কেমন?
বাংলাদেশে এমন অনেক ফ্রিল্যান্সার রয়েছেন যারা সাধারণত কাজের রেইট ফিক্সড করেন মান্থলি। আপনি চাইলে ওয়েব ডিজাইন এর ক্ষেত্রেও এই রুলস ফলো করতে পারেন। তবে সবচেয়ে বেশি ভালো হয় ঘন্টা রেইটে কাজ করতে পারলে।
বর্তমান বিশ্বে ওয়েব সাইটের চাহিদা যেহেতু বাড়ছে সেহেতু একজন ওয়েব ডিজাইনার হিসেবে আপনার চাহিদাও কোনো সময়েই কমবে না। এর চাহিদা ঠিক ততটা বাড়বে যতটা ওয়েব সাইট ডেভলপার এর চাহিদা বেড়েছে বা বাড়বে।
ওয়েব ডিজাইন এর ভবিষ্যৎ কেমন?
সাধারণত ফ্রিল্যান্সিংয়ে সর্বোচ্চ কাজ বা আয়ের দিক থেকে বিবেচনা করে ওয়েব ডিজাইন কাজের পেমেন্ট বেশি হয়ে থাকে। সুতরাং যেকেউ চাইলে এই সেক্টরকে ইজিলি তার ক্যারিয়ার হিসেবে গ্রহণ করে নিতে পারবে। সেই সাথে বর্তমানে প্রচুর সেক্টর আছে অনলাইন এবং অফলাইনে যেখানে ওয়েব ডিজাইন এর কাজের জন্য বিভিন্ন ওয়েব ডিজাইনারকে হায়ার করা হয়।
এক্ষেত্রে যদি একজন ওয়েব ডিজাইনার তার স্কিলের মাধ্যমে নিজের কাজকে প্রেজেন্ট করতে পারে তবে ইনকাম বা ফিউচার নিয়ে তাকে মোটেও ভাবতে হবে। কেননা এই সেক্টরে ইনকামের পরিমাণ সবসময়ই তুলনামূলকভাবে বেশিই থাকে। এক্ষেত্রে প্রফেশনাল গ্রাফিক্স ডিজাইনারেরা সবচেয়ে বেশি এগিয়ে থাকার যোগ্যতা রাখে।
মনে রাখবেন অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলোতে ওয়েব ডিজাইনের কাজ করার মতো রয়েছে নানান সেক্টর রয়েছে। আপনাকে কেবল কাজ শিখে নিজের ক্লায়েন্ট জোগাড় করার টিপস সম্পর্কে জানতে হবে।
ওয়েব ডিজাইনের আয় সম্ভাবনা কেমন?
আপনি কি জানেন প্রতিটি ওয়েব ডিজাইনারের আনুমানিক গড় আয় মাসিক ৳২৫,০০০ টাকা? হ্যাঁ! ঠিকই শুনেছেন! তবে দেশের বাইরে গেলে এই ইনকামের পরিমাণ আরো বেড়ে সেটি মাসিক ৳৪০০,০০০ টাকা থেকে ৳৭০০,০০০ টাকা বা তার বেশিতেও গিয়ে দাঁড়াবে।
পাশাপাশি যারা ঘণ্টা অনুযায়ী কাজ করতে চান তারা ওয়েব ডিজাইন এর কাজ করে প্রতি ঘন্টায় গড়ে ১০-১৫ ডলার ইনকাম জেনারেট করতে পারেন। এক্ষেত্রে আপওয়ার্কের সাহায্য নিতে পারেন। এই মার্কেটপ্লেসে ওয়েব ডিজাইনার চেয়ে অনেকেই জব পোস্ট করতে থাকে।
সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট সার্ভিস
আমাদের একবিংশ শতাব্দীর এই যুগ হলো ডিজিটাল ট্রেন্ড-এর যুগ। ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্রতর যেকোন প্রয়োজনে মানুষ আজ অনলাইন নির্ভর। তাই এই যুগের হাওয়াকে কাজে লাগিয়েYappoBD-কে আপনার ব্যবসা প্রসার এর মাধ্যম হিসাবে ব্যবহার করে আপনিও পৌছাঁতে পারেন সফলতার শীর্ষে।
YappoBDএমন একটি ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্সি যা আপনার মার্কেটিং আইডিয়াকে বাস্তব অভিজ্ঞাতে রূপান্তর করে। এবং আপনার ব্যবসাকে আপনার কাস্টমারের সাথে সরাসরিভাবে যুক্ত হতে সাহায্য করে।
ইতি কথা
ওয়েব ডিজাইন সম্পর্কিত এই আর্টিকেলটি ছিলো একটি গাইডলাইন এর মতো। মনে রাখবেন যতদিন ওয়েবসাইট থাকবে ততদিন ওয়েব ডিজাইনার এর চাহিদাও থাকবে। সুতরাং এই সেক্টরে স্কিল অর্জন করাটা সবচেয়ে বেশি বুদ্ধিমানের কাজ হবে। আর হ্যাঁ! কাজ শিখে প্রজেক্ট না পেলে হতাশ হবেন না! কেননা হতেও পারে বড় কোনো সুযোগ আপনার জন্যে অপেক্ষা করছে!