এক অপারেটরের নম্বরে অন্য অপারেটরের নেটওয়ার্ক ব্যবহার করা যাবে। গ্রাহক যে অপারেটর সেবা পছন্দ করবেন, বিনা দ্বিধায় সেই অপারেটর বদল করতে পারবেন। এ জন্য নিজের ফোন নম্বর পাল্টাতে হবে না। এ সেবা প্রবর্তনের ফলে মোবাইল অপারেটরদের মধ্যে গুণগত সেবা প্রদানের প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা যায়।
অপারেটর বদলাতে গ্রাহককে জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) তথ্য নিয়ে সংশ্লিষ্ট অপারেটরের (যেটায় যেতে আগ্রহী) কাস্টমার কেয়ার বা সেবাকেন্দ্রে যেতে হবে। স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা চালু থাকায় গ্রাহকদের ছবি লাগবে না। কাস্টমার কেয়ারে গিয়ে নির্ধারিত ফি জমা দিলে গ্রাহককে নতুন সিম দেওয়া হবে। নিয়ম অনুযায়ী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে নতুন সিম চালু হওয়ার কথা। একবার অপারেটর বদলালে গ্রাহককে নতুন অপারেটরে ৯০ দিন থাকতে হবে।
অপারেটর পরিবর্তনে গ্রাহককে ৫০ টাকা ফি বা মাশুল দিতে হবে। এ টাকা পাবে ইনফোজিলিয়ন ও বিটিআরসি। অবশ্য এর ওপর ১৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট আছে। ফলে গ্রাহকের ফি দাঁড়াচ্ছে ৫৭ টাকা ৫০ পয়সা। এ ছাড়া সিম পরিবর্তনের ওপর জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ১০০ টাকা কর আছে। সব মিলিয়ে গ্রাহকের ফি দাঁড়াচ্ছে ১৫৮ টাকা।
অবশ্য দ্রুত (২৪ ঘণ্টার মধ্যে) এমএনপি সেবা নিতে ১০০ টাকা বাড়তি দিতে হবে গ্রাহককে। এর ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট আছে। যদিও অতি জরুরি ক্ষেত্রে পোস্টপেইড গ্রাহক ছাড়া অন্য গ্রাহকদের বাড়তি টাকা দিয়ে দ্রুত সেবা নেওয়ার প্রয়োজন হবে না বলে মনে করছে ইনফোজিলিয়ন।
Comments (No)