অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর জন্য ডোমেইন হোস্টিং গাইডলাইন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এবং ব্লগিং এর ক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট জায়গা থেকে ডোমেইন এবং হোস্টিং কিনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে । সুতরাং আপনি ব্লগিং এবংঅ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংশুরু করার পূর্বে নির্দিষ্ট একটি জায়গা থেকে ডোমেইন এবং হোস্টিং কিনতে হবে । সুতরাং আপনি ব্লগিং এবং অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করার পূর্বে ডোমেইন এন্ড হোস্টিং একটি ভালো মানের কোম্পানি থেকে নিতে হবে।
Table of Contents
- 01: Domain (ডোমেইন) কি?
- 02: ডোমেইন এক্সটেনশন
- 03: হোস্টিং কি?
- 04: হোস্টিং কত প্রকার ও কি কি
- ০১: শেয়ারড হোস্টিং
- ০২: রিসেলার হোস্টিং
- ০৩: ভিপিএস হোস্টিং
- ০৪: ডেডিকেটেড হোস্টিং
- Domain Hosting Guideline For Affiliate Marketing
- ০১. .com এক্সটেইনশ :
- ০২: সহজে টাইপ করা যায় এবং সহজ নাম
- ০৩. কীওয়ার্ড (EMD) Domain নেওয়া বিরত থাকুন
- ০৪: ক্যারেক্টার, হাইপেন ব্যবহার না করা
- 0৫: ডোমেইন নিয়ে বিস্তারিত জেনে নিন
- ০৬. দ্রুত ডোমেইন কিনে ফেলা
- কোন জায়গা থেকে ডোমেইন হোস্টিং কিনবেন
- গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট সমূহ :
01: Domain (ডোমেইন) কি?
তো প্রথমেই জেনে নেওয়া যাক ডোমেইন কি এবং এটা কি কাজে লাগে । নতুনরা অনেকেই জানে ডোমেইন মানে কি যারা জানেন না তাদের জন্য বলছি ডোমেইন ইংরেজি শব্দ যার অর্থ স্থান । আপনি যদি একটি ওয়েবসাইট বানাতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই আগে একটি স্থান বা ডোমেইন কিনতে হবে । আপনার অফিসে যেমন কেউ যখন আসতে চায় একটি নির্দিষ্ট ঠিকানা প্রয়োজন হয় । গুগলে আপনার ব্যবসা আপনার ওয়েব সাইটটি সম্পর্কে কেউ জানতে চাইলে তাকে আপনার ওয়েবসাইটে যাওয়ার জন্য আপনার ডোমেইন নেম লাগবে সুতরাং বুঝতেই পারছেন কতটা গুরুত্বপূর্ণ
একটি ওয়েবসাইটের নাম বা ঠিকানাকে ডোমেইন বলা হয়। যেখানে ইন্টারনেটের মাধ্যমে প্রবেশ করে তথ্য সংগ্রহ করা যায়। যেমনঃ microsoft.com, facebook.com, google.com ইত্যাদি।
02:ডোমেইন এক্সটেনশন
ডোমেইন এক্সটেনশন। ডোমেইনের আরও এক্সটেনশন আছে, যেমনঃ .net, .org, .info, .ac সহ আরও অনেকগুলো। আরও বিস্তারিত দেখুন এখানে উইকিপিডিয়া | .com, .net, .org, .info ডোমেইনগুলোকে সংক্ষেপে বলা হয় TLD বা Top Level Domain, এই ডোমেইন গুলো কোনটাই ফ্রী না। আপনি যেটাই ক্রয় করুণ না কেনও এক্সটেনশন টাইপ, সময় এবং কোম্পানি ভেদে আপনাকে নূন্যতম ৭০০টাকা থেকে ১০০০টাকা ব্যয় করতে হবে। বিভিন্ন দেশে অনুযায়ী ক্যান্ট্রি স্পেসিফিক ডোমেইন আছে, যেমনঃ বাংলাদেশের জন্য .bd, ইংল্যান্ডের জন্য .uk ইত্যাদি।
অনেকে ফ্রি টপ-লেভেল ডোমেইন নেম রেজিস্ট্রেশন করার চক্করে পরে “.tk” “.gq,” “.tk,” “.cf,” “.ga,” “.ml,” — ইত্যাদি ডোমেইন গুলো ব্যবহার করে ওয়েবসাইট তৈরি করে, আপনি টেস্ট সাইট তৈরি করার জন্য এগুলোকে ব্যবহার করতে পারেন কিন্তু যেহেতু বেশিরভাগ স্ক্যামিং, ফিশিং সাইট, স্প্যামিং এই এক্সটেনশন গুলোকে ইউজ করে করা হয়, তাই কখনোই এগুলোকে কমার্শিয়াল বা প্রোডাকশন সাইটে ব্যবহার করবেন না। সাথে “.men,” “.loan,” “.date,” “.click,” “.review” — ইত্যাদি ডোমেইন এক্সটেনশন গুলো থেকেও দূরে থাকা উচিৎ!
03: হোস্টিং কি?
সাধারণত হোস্টিং মানে হচ্ছে আপনার ওয়েবসাইট আপনি ইন্টারনেটে রাখার জন্য একটি নির্দিষ্ট জায়গা । আমরা যখন কোন ওয়েবসাইট এর ভিতরে ইমেজ, ভিডিও, অডিও ,টেক্সট ফাইল ,পিডিএফ, ইত্যাদি সংরক্ষণ করি বা আপলোড করি তখন হোস্টিং এর ভিতর এগুলো গিয়ে আপলোড হয় । সারা বিশ্বের সকল মানুষ এই ফাইলগুলো দেখতে পায় সুতরাং ওয়েবসাইট বানানোর জন্য হোস্টিং অবশ্যই প্রয়োজন রয়েছে ।
04: হোস্টিং কত প্রকার ও কি কি
সাধারণত হোষ্টিং চার ধরনের হয়ে থাকে যেমন :
০১: শেয়ারড হোস্টিং
০২: রিসেলার হোস্টিং
০৩: ভিপিএস হোস্টিং
০৪: ডেডিকেটেড হোস্টিং
০১: শেয়ারড হোস্টিং
আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান যদি ছোট সাইজের হয়ে থাকে যেখানে প্রতি মাসে 40 থেকে 50 হাজার অথবা 1 লক্ষ ভিজিটর আসতে পারে তাহলে আপনি শেয়ার হোস্টিং ব্যবহার করবেন । সচরাচর ব্যবহার করা হয় 500 এমবি থেকে শুরু করে 10 জিবি পর্যন্ত শেয়ার হোস্টিং ইউজ করা হয় । এর বেশি দরকার হলে অবশ্যই আপনাকে আপনার হোস্টিং প্রোভাইডার কোম্পানির সাথে কথা বলে আপডেট করে নিতে পারবেন ।
০২: রিসেলার হোস্টিং
বর্তমানে আমাদের দেশেও অনেক কোম্পানি হোস্টিং বিক্রি করে থাকে এই ধরনের কোম্পানি মূলত রিসেলার হোস্টিং ব্যবহার করে থাকে । এক্ষেত্রে তারা ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানি গুলো থেকে 10 থেকে 50 জিবি বা তারও বেশি রিসেলার হোস্টিং কিনে নেয় এবং অন্যের কাছে বিক্রি করে । শেয়ার হোস্টিং থেকে রিসেলার হোস্টিং এর সুবিধা কিছু বেশি পাওয়া যায় তবে শুধুমাত্র যারা অনলাইনে বিজনেস করবে তাদের জন্যই এই রিসেলার হোস্টিং ।
০৩: ভিপিএস হোস্টিং
বিপিএস মানে হচ্ছে ভার্চুয়াল প্রাইভেট সার্ভার এটি ব্যবসা এবং ব্যক্তিগত ধরনের কাজের জন্য ব্যবহার করা যায় । একই সাথে শেয়ার এবং রিসেলার হোস্টিং প্যাকেজ তৈরি করতে পারা যায় । শেয়ার হোস্টিং এর মাধ্যমে একসাথে অনেকগুলো সাইট চলতে থাকে । আপনার ওয়েবসাইটের স্পিড কমে যায় । বিপিএস হোস্টিং আপনার সাইট দ্রুত গতিতে লোড হবে এবং অনেক বেশি ভিজিটর আপনার সাইট ধারণ করার ক্ষমতা রাখবে । তুলনামূলকভাবে শেয়ার থেকে অনেক বেশি টাকা দিতে হবে । আপনাকে ইউজ করতে হলে যাদের বিজনেস স্টাডি ভালো তারা বিপিএস হোস্টিং ইউজ করে । বিপিএস হোস্টিং পিসি কনফিগারেশন অনুযায়ী হয়ে থাকে এবং এটা প্রতিমাসে আনুমানিক 50 থেকে 200 ডলার পর্যন্ত দাম হয়ে থাকে ।
০৪: ডেডিকেটেড হোস্টিং
ডেডিকেটেড সার্ভার অনেকটা সিমিলারলি বিপিএস হোস্টিং সাভারের মত । ভিপিএস হোস্টিং এর মত বড় কনফিগারেশনের হয়ে থাকে । ডেডিকেটেড সার্ভার ৫০০জিবি থেকে ৫ টিবি পর্যন্ত হয়ে থাকে। এই সার্ভারে আপনি যেকোন ধরনের হোস্টিং প্যাকেজ তৈরি করতে । পারবেন বড় বড় কোম্পানিরা একসাথে একাধিক ওয়েবসাইট চালানোর জন্য ডেডিকেটেড হোস্টিং ব্যবহার করে থাকে আনুমানিক মূল্য প্রতিমাসে 150 ডলার থেকে শুরু করে 300 ডলার পর্যন্ত হয়ে থাকে ।
Domain Hosting Guideline For Affiliate Marketing
অনলাইনে আপনার বিজনেস শুরু করার পূর্বে অবশ্যই একটি ডোমেইন এবং একটি হোস্টিং আপনাকে নিতে হবে । সঠিক ডোমেইন এবং হোস্টিং নির্বাচন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আপনার অনলাইনে ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্য । আজকে আমরা কতিপয় কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করব যেগুলো আপনি ডোমেইন হোস্টিং কেনার পূর্বে অবশ্যই দেখে নিবেন । ভালো মানের ডোমেইন এক্সটেনশন নির্বাচন করার জন্য এই ওয়েবসাইট ভিজিট করুন ।
০১. .com এক্সটেইনশ :
.com এক্সটেনশন সবচাইতে টপ লেভেল ডোমেইন এক্সটেনশন । আপনি আপনার ওয়েবসাইট এর যখন ডোমেইন কিনবেন তখন চেষ্টা করবেন আপনার ডোমেইনটি যেন .com এক্সটেনশনের হয় । শুরুর দিকে মানুষ .com, .net, .org ডোমেইন নেমের সাথে পরিচিত ছিলো। আপনি চাইলে নীশ স্পেসিফাই করেও এক্সটেইনশন নেয়া যায়। যেমন .pizza , .photographt, .travel .ninja ইত্যাদি।
০২: সহজে টাইপ করা যায় এবং সহজ নাম
অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর জন্য সহজে মনে রাখা যায় অথবা সংক্ষিপ্ত ডোমেন নাম সিলেক্ট করুন যেমন (laptopgeek.com, Babystore.com) ইত্যাদি । সহজ এবং সংক্ষিপ্ত নাম সহজে মনে রাখা যায় এবং অরগানিক ভাবে ট্রাফিক পাওয়ার জন্য এই পদ্ধতিটি কাজ করে । একজন ভিজিটর যখন আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইটে আসে তখন সে আপনার ওয়েবসাইটের এড্রেস মনে রাখে পরবর্তীতে সে যেকোনো সময় আপনার ওয়েবসাইটের গুগল নাম লিখে আপনার ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে পারে । ব্যাক্তিগত ভাবে আমি সর্বোচ্চ ৮-১০ অক্ষর ডোমেইন নাম রাখতে পরামর্শ দিব। ভালো ডেমেন নামের আইডিয়া পেতে এখানে দেখতে পারেন
০৩. কীওয়ার্ড (EMD) Domainনেওয়া বিরত থাকুন
আপনি যে Niche বা কিওয়ার্ড নিয়ে কাজ করছেন সেই Niche এর কীওয়ার্ড যদি আপনি আপনার ডোমেইন এর ভিতর রাখেন তাহলে তাকে EMD (Exact Match Domain) ডোমেইন বলে । bestlaptop.com ,laptopunderbudget.com )Google EMD কে অতটা গুরুত্ব দেয়নাআগের মত। এমনকি আপনার সাইটের কন্টেন্টলো কোয়ালিটির হলেআপনাকেGoogle প্যানাল্টিও দিতে পারে। তবে আপনার কনটেন্ট কোয়ালিটি যদি ভাল হয় এবং আপনি যেই কীওয়ার্ড ফোকাস হয় । উন্নত মানের কনটেন্ট যদি দিতে পারেন তাহলে গুগল আপনার সাইটকে অথরিটি দিতে পারে ।
০৪: ক্যারেক্টার, হাইপেন ব্যবহার না করা
আপনি যে ডোমেইন নিচ্ছেন আপনার ব্যবসা কিংবা সাইট তৈরি করার জন্য এক্ষেত্রে মনে রাখবেন কোন অবাঞ্চিত সিম্বল আপনার ডোমেইনের রাখবেন না । আপনার ভিজিটর আপনার ডোমেইন নাম লিখতে অসুবিধা হয় এমন ডোমেইন না নেওয়া ভালো । উদাহরন স্বরুপ বলা যায় (healthfitness.com /health-fitness.com) .
0৫: ডোমেইন নিয়ে বিস্তারিত জেনে নিন
আপনি যে ডোমেইনটি আপনার ব্যবসা বা ওয়েবসাইটের জন্য ব্যবহার করবেন ঠিক করেছেন সে ডোমেইনটি সম্পর্কে পরিপূর্ণ ভাবে জেনে নিন । এই ডোমেইনটি ট্রেডমার্ক যুক্ত কিনা বা কপিরাইট এর কোন ইস্যু রয়েছে কিনা । যেমন আপনি ইউটিউব অথবা ফেসবুকের নামের মিল রেখে কোন ডোমেইন কিনতে পারবেন না । তাহলে আপনি আইনি জটিলতার সম্মুখীন হবেন কারণ এই নামগুলো ট্রেডমার্ক যুক্ত ।
০৬. দ্রুত ডোমেইন কিনে ফেলা
যখনই আপনার কাংখিত ডোমেইন নামটি পেয়ে যাবেন সাথে সাথে সেটি কিনে ফেলুন কারণ পরবর্তীতে সেই ডোমেইন নাও পেতে পারেন । তাই দ্রুত সম্ভব আপনার ডোমেইন নামটি আজই রেজিস্ট্রেশন করে ফেলুন ।
কোন জায়গা থেকে ডোমেইন হোস্টিং কিনবেন
আপনি ইন্টারন্যাশনাল যেকোন মার্কেটপ্লেস থেকে কিনতে পারেন তবে আমি আপনাকে Bluehost এবং SiteGround এবং A2 Hosting এই তিনটি হোস্টিং প্রোভাইডার কে রে কমেন্ট করছি । বাংলাদেশের সবচাইতে জনপ্রিয় হোস্টিং কোম্পানির নাম হচ্ছে Exonhost আপনি বিকাশ মাধ্যমে তাদের কাছ থেকে হোস্টিং নিতে পারবেন ।
গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট সমূহ :
০১: EBL Aqua Prepaid MasterCard মাস্টার কার্ড কিভাবে পাবেন
০২: স্বাধীন মাষ্টারকার্ড কি ভাবে সহজে নেওয়া যায়
০৩: কেন অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করবেন
০৪: নিস সাইটের জন্য কিভাবে কীওয়ার্ড খুঁজে বের করবেন
০৫: KGR (Keyword Golden Ratio কি?
০৬: কিভাবে কিওয়ার্ড রিসার্চ করবেন
আপনারা কি ধরনের আর্টিকেল চান সে বিষয়ে আমাকে মন্তব্য বা কমেন্ট করে জানাতে পারেন । আমি চেষ্টা করব সেই ধরনের আর্টিকেল আপনাদের জন্য ব্লগে পাবলিস্ট করতেTAGS: DOMAIN HOSTING GUIDELINE, DOMAIN HOSTING GUIDELINE FOR AFFILIATE MARKETING, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর জন্য ডোমেইন হোস্টিং গাইডলাইন, ডোমেইন হোস্টিং গাইডলাইন