ভোটার আইডি কার্ড নাম সংশোধন-ভোটার আইডি কার্ডের বা এনআইডি কার্ডের নাম সংশোধন এই বিষয়টি নিয়ে অনেকেই গুগলে অথবা পরিচিত অনেক মানুষকে জিজ্ঞাসা করে থাকে এবং উপজেলা নির্বাচন কমিশনে গিয়েও এই বিষয়ে অনেক ভোগান্তির শিকার হয়ে থাকেন।
পূর্বে যারা ভোটার হয়েছেন তাদের অনেকেরই এনআইডি কার্ড বা ভোটার আইডি কার্ডের কিছু না কিছু ভুল অবশ্যই রয়েছে। কারণ পূর্বে যারা ভোটার হয়েছে তাদের অনলাইন কপি বা ডাটাবেজে তাদের ভোটার আইডি কার্ড নিয়ে আসার সময় তাদের তথ্যগুলির যারা ডাটা এন্ট্রি অপারেটর ছিল, তাহারা আপনার আমার নাম এবং বিভিন্ন রকম সমস্যা বা ভুল করে রেখেছে আমাদের ভোটার আইডি বা এনআইডি কার্ডের। যার ভোগান্তির শিকার আমি-আপনি সকলেই হচ্ছি ।
ভোটার লিস্ট বের করার নিয়ম সহকারে ভোটার তালিকা ডাউনলোড করার সঠিক উপায় ২০২২
তাই আজকে আমি আপনাদেরকে যে সকল বিষয় খুব সহজেই বাংলা ভাষায় নিজের অভিজ্ঞতা থেকে জানাবো তা হচ্ছে -ভোটার আইডি কার্ড বা এনআইডি কার্ডের আপনার নাম যদি ভুল হয়ে থাকে সেই নামটি আপনি কিভাবে সংশোধন করবেন সে বিষয়ে এবং ভোটার আইডি কার্ডে আপনার নাম সংশোধন করার জন্য যদি কোন ব্যবহার করেন সেক্ষেত্রে এই ফরমের মাধ্যমে কিভাবে আপনি আপনার নাম সংশোধন করবেন?
এছাড়াও যে সকল বিষয়েই পোস্ট থেকে জানতে পারবেন তা হচ্ছে ভোটার আইডি কার্ড নাম সংশোধন করতে কি কি প্রয়োজন পড়ে বা কি কি লাগে এবং ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কতদিন সময় লাগে এবং অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কতদিন লাগে?
এছাড়াও জানবেন ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে আসলে প্রকৃতপক্ষে সরকারি নিয়ম অনুসারে কত টাকা প্রয়োজন পড়ে থাকে এবং ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন ফরম কিভাবে ব্যবহার করবেন এবং এনআইডি কার্ড সংশোধন এবং আপনার ভোটার আইডি কার্ড অনলাইন থেকে কিভাবে চেক দিবেন এই সকল বিষয়ে ভোটার আইডি কার্ড সংক্রান্ত সকল তথ্য এই পোস্ট থেকে আপনি বাংলা ভাষায় খুব সহজেই জেনে যেতে পারবেন।
তবে সত্য কথা এটাই যে, উপরের এই সকল বিষয়ে এসব প্রশ্নের সঠিক উত্তর আসলে জানা নেই অনেকেরই, ফলে তারা এনআইডি কার্ড বা ভোটার আইডি কার্ডের ভুল নিয়ে নানা ধরনের ভোগান্তির শিকার হয়ে থাকেন।চলুন তাহলে শুরু করা যাক-
Table of Contents
ভোটার আইডি কার্ড নাম সংশোধন করতে কি কি লাগে
ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কত দিন লাগে
ভোটার আইডি কার্ড নাম সংশোধন
ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কত টাকা লাগে
ভোটার আইডি কার্ড চেক
মোবাইলে ভোটার আইডি কার্ড চেক
ভোটার আইডি কার্ড নাম সংশোধন করতে কি কি লাগে
ভোটার আইডি কার্ডের নাম সংশোধন করতে যে সকল বিষয় জিনিস প্রয়োজন পড়ে থাকে-
তবে তার আগে জানতে হবে, আপনার নামের কি ধরনের ভুল হয়েছে, যদি নিজের নামের বানান ভুল থাকে যেমন রাবেয়া বেগম এর পরিবর্তে রাবিয়া বেগম হবে তাহলে নিম্নোক্ত কাগজপত্র আবেদনের সাথে জমা দিতে হবে।
পিএসসি /জেএসসি/ এসএসসি পরীক্ষার সনদ যার ক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য যদি সার্টিফিকেট না থাকে তাহলে দেওয়া লাগবে না।
অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ এটি অবশ্যই দিতে হবে।
পাসপোর্ট এর কপি (যদি থাকে)
এছাড়াও দিতে হবে ড্রাইভিং লাইসেন্স এর কপি যদি আপনার থাকে এবং সন্তানদের জন্ম সনদ সার্টিফিকেটের কপি এবং কাবিননামা /বিবাহিত সনদের কপি বা স্ত্রী /স্বামীর আইডি কার্ডের কপি আপনাকে জমা দিতে হবে।
এখন আসুন আপনার নিজের মূল নাম ঠিক রেখে, শুধু পদবী যদি পরিবর্তন করতে চান। সে ক্ষেত্রে যেমন- রহিম শেখ থেকে হবে রহিম মিয়া তাহলে আবেদনের সাথে নিম্নোক্ত কাগজপত্র গুলো আপনার জমা দিতে হবে-
আবেদনকারী পিএসসি/ জেএসসি /এসএসসি পরীক্ষার সনদ যার ক্ষেত্রে যেটি প্রযোজ্য। যদি সার্টিফিকেট না থাকে তাহলে দেওয়া লাগবে না এবং অনলাইন জন্ম নিবন্ধন কঁপি অবশ্যই দিতে হবে।
পাসপোর্ট এর কপি দিতে হবে যদি আপনার থাকে এবং ড্রাইভিং লাইসেন্সের কপি দিতে হবে যদি আপনি থাকে। সন্তানদের জন্ম সার্টিফিকেট দিতে হবে যদি থাকে। কাবিননামা/ বিবাহিতদের কপি দিতে হবে, বিবাহিতদের ক্ষেত্রে এবং স্বামী-স্ত্রীর আইডি কার্ডের কপি দিতে হবে বিবাহিতদের ক্ষেত্রে।
এবার আসুন যদি আপনার ভোটার আইডি কার্ডে আপনার বাংলা নাম ঠিক থাকে এবং ইংরেজি নামের ভুল থাকে অথবা ইংরেজি নাম ঠিক রয়েছে কিন্তু বাংলা নাম ভুল রয়েছে। সেক্ষেত্রে আপনার যে সকল কাগজপত্র জমা দিতে হবে তা নিম্নে আলোচনা করা হল-
আবেদনকারীর পিএসসি/ জেএসসি /এসএসসি পরীক্ষার সনদ যার ক্ষেত্রে যেটি প্রযোজ্য যদি সার্টিফিকেট না থাকে তাহলে দেওয়া লাগবে না এবং অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ এর কপি অবশ্যই দিতে হবে।
পাসপোর্ট কপি যদি থেকে থাকে তাহলে দিতে হবে এবং ড্রাইভিং লাইসেন্সের কপি যদি থেকে থাকে তাহলে দিতে হবে। সন্তানদের জন্ম সনদ সার্টিফিকেটের কপি যদি থেকে থাকে তাহলে দিতে হবে। আপনি বিবাহিত হয়ে থাকলে আপনার বৈবাহিক সার্টিফিকেট বা কাবিননামার এক কপি জমা দিতে হবে এবং স্বামী-স্ত্রীর আইডি কার্ডের কপি দিতে হবে যদি বিবাহিত হয়ে থাকেন।
এখন জানবো আপনি আপনার ভোটার আইডি কার্ডে যদি বাংলা নাম সঠিক থাকে বা ইংরেজি নাম ভুল থাকে অথবা ইংরেজি নাম সঠিক থাকে বা বাংলা নাম ভুল থাকে তাহলে কি ধরনের কাগজপত্র প্রয়োজন পড়ে থাকবে তা-
আবেদনকারীর পিএসসি/ জেএসসি /এসএসসি পরীক্ষার সনদ যার ক্ষেত্রে যেটি প্রযোজ্য যদি সার্টিফিকেট না থাকে তাহলে দেওয়ার প্রয়োজন নেই এবং অনলাইন জন্ম নিবন্ধন এর ফটোকপি অবশ্যই প্রয়োজন পড়বে। যদি আপনার পাসপোর্ট থেকে থাকে তাহলে এই পাসপোর্টটি প্রয়োজন পড়ে থাকবে।
আপনার সন্তানের জন্ম সনদ বা সার্টিফিকেটের কপি যদি থেকে থাকে দিতে হবে। কাবিননামা বা বৈবাহিক সনদের কপি যদি আপনি বিবাহিত হয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে দিতে হবে এবং স্ত্রী স্বামীর আইডি কার্ডের কপি দিতে হবে যদি আপনি বিবাহিত হয়ে থাকে।
আশা করছি আপনার ভোটার আইডি কার্ডের নাম সংশোধন করতে কি ধরনের কাগজপত্র প্রয়োজন পড়ে থাকবে সে বিষয়টি পরিষ্কার হবে বুঝতে পেরেছেন।
ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কত দিন লাগে
ভোটার আইডি সংশোধন করতে কতদিন সময় লাগে এ বিষয়টি নিয়ে গুগোল এবার বিভিন্ন পরিচিতজনদেরকে অনেকেই জিজ্ঞেস করে থাকেন এবং এই প্রশ্নের উত্তরটি বিভিন্ন রকম পাওয়ার ফলে বিভিন্ন রকম বিভ্রান্তি এবং দালাল চক্রের হাতে অনেকে পড়ে থাকেন।
তাই আজকে জানুন ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কতদিন সময় লাগে, সেই বিষয়ে পরিষ্কার উত্তর এবং যা আপনাকে অবশ্যই আপনার ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে আপনার উপকারে আসবে।
সত্যি কথা বলতে আমি নির্বাচন অফিসে এই ভোটার আইডি কার্ড নিয়ে যারা কাজ করে থাকে সেই দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মরত কর্মকর্তাদের অনেককেই জিজ্ঞেস করেছি যে ভাই ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে আসলে সরকারিভাবে বা সরকারি নিয়ম অনুসারে কত দিন সময় লেগে থাকে তার কোনো লিখিত প্রমাণ আছে কিনা?
ভোটার আইডি কার্ড নাম সংশোধন
চলুন এবার পোস্টের মূল পর্বে আসি, আপনি আপনার ভোটার আইডি কার্ডের নাম সংশোধন কিভাবে করবেন এবং উপরের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র কোথায় জমা দিবেন এবং কোন নিয়ম অনুসরণ করবেন সেই সকল বিষয়-
আপনার ভোটার আইডি কার্ড বা এনআইডি কার্ড নিজের নাম বা বাংলা নাম ও ইংরেজি নাম এইসকল সব ধরনের যদি ভুল হয়ে থাকে, তা সংশোধন করতে দুইভাবে আপনারা আবেদনপত্রটি দাখিল করা যায়। চলুন জেনে নিই।
প্রথম যে নিয়ম তা হচ্ছে -সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাচন অফিসে গিয়ে আপনার ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন ফরম -2 ফরমটি সংগ্রহ করে পূরণ করতে হবে এবং সংশোধন ফি রকেট/ বিকাশের মাধ্যমে জমা দিয়ে তার রশিদ ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ফরমের পিছনে পিনাপ করে জমা দিলে সংশোধনের কার্যক্রম দ্রুত শুরু হয়ে যাবে।
দ্বিতীয় নিয়ম হচ্ছে- অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধনের আবেদন দাখিল করা যায়। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট এখান থেকে www.services.nidw.gov.bd ঠিকানায় গিয়ে রেজিস্ট্রেশন করে লগইন করে, ওই ভোটারের ছবি নাম/ পিতার নাম/ মাতার নাম/ জন্ম তারিখসহ যাবতীয় তথ্য দেখা যায় এবং এগুলো এডিট করার মাধ্যমে আবেদন দাখিল করা যায় আপনি চাইলে ঘরে বসে নিজেই নিজের মোবাইল বা কম্পিউটার ব্যবহার করে এনআইডি কার্ড ভোটার আইডি কার্ড সংশোধনের আবেদন দাখিল করতে পারবেন। এক্ষেত্রে অফিসে গিয়ে কষ্ট করতে হয়না, সময় অনেক বেচে যায়।
ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কত টাকা লাগে
আমাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছে যারা ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে প্রকৃতপক্ষে সরকারি নিয়ম এবং ভ্যাট অনুসারে কত টাকা প্রয়োজন পড়ে থাকে, এটি সঠিক অ্যামাউন্ট টাকার পরিমাণ না জানার ফলে বিভিন্ন রকম দালাল চক্রের হাতে পড়ে এবং অনেক অর্থ বেয় হয়ে থাকে।
তো আজকে জানুন সঠিক সরকারি ভ্যাটসহ ভোটার আইডি সংশোধন করতে কত টাকা প্রয়োজন পড়ে থাকে-
সংশোধনের ধরন বুঝে ফি’র পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়ে থাকে, আপনার যদি এনআইডি কার্ডের তথ্য সংশোধন প্রয়োজন হয়ে থাকে, তাহলে আপনাকে 230 টাকা সরকারকে প্রদান করতে হবে এবং আপনার যদি অন্যান্য তথ্য সংশোধন করার প্রয়োজন পড়ে থাকে তাহলে আপনাকে 115 টাকা সরকারকে প্রদান করতে হবে ।
উভয় তথ্য সংশোধন যদি প্রয়োজন পড়ে থাকে তাহলে আপনাকে 345 টাকা দিতে হবে। রি ইস্যু টাইপের যদি সমস্যা সংশোধন করতে চান তাহলে আপনাকে 345 টাকা দিতে হবে। জরুরি সেবার প্রয়োজন পড়ে থাকলে আপনাকে 575 টাকা সরকারকে ফি প্রদান করতে হবে।
ভোটার আইডি কার্ড চেক
ভোটার আইডি কার্ড চেক,-আপনি চাইলে এখন ঘরে বসেই অনলাইনের মাধ্যমে আপনি আপনার ভোটার আইডি কার্ড অথবা আপনার পরিবারের প্রয়িজনের যে কারো ভোটার আইডি কার্ড খুব সহজেই পাঁচ মিনিটের মধ্যে চেক করতে পারবেন/ ডাউনলোড করতে পারবেন এবং প্রয়োজনে ভোটার আইডি কার্ডের সকল তথ্য দেখতে পাবেন
মোবাইলে ভোটার আইডি কার্ড চেক
মোবাইল এর মাধ্যমে ভোটার আইডি কার্ড চেক করা এখন খুবই সহজ। আপনি চাইলে আপনার স্মার্ট মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আপনার ভোটার আইডি কার্ড এর বর্তমান অবস্থা, আবেদন করার পর কি অবস্থায় রয়েছে এবং আপনি চাইলে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আপনার মোবাইল দিয়ে ভোটার আইডি কার্ড খুব সহজেই ডাউনলোড করে ফেলতে পারবেন।
তবে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ভোটার আইডি কার্ড চেক করার পূর্বে আপনার একটি স্মার্ট মোবাইল ফোন এবং ইন্টারনেট সংযোগ প্রয়োজন হবে।
এছাড়াও আপনার মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ভোটার আইডি কার্ড চেক করতে আপনি যে আবেদন করেছেন ভোটার আইডি কার্ডের জন্য আবেদন ফরমের স্লিপ নাম্বার এবং জন্মতারিখ প্রয়োজন পড়ে থাকবে।
উপরের এই সকল প্রয়োজনীয় জিনিস, আপনার কাছে রেডি থাকলে আপনি আমাদের দেওয়া লিঙ্ক থেকে, নিয়ম অনুসরন করে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে, খুব সহজে ঘরে বসে আপনার ভোটার আইডি কার্ড চেক এবং ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।
আশা করছি উপরের এই সকল বিষয় থেকে ভোটার আইডি কার্ড সংক্রান্ত যে কোন একটি বিষয়ে আপনার প্রয়োজন পড়ে থাকবে এবং এই প্রয়োজন মেটানোর জন্যই আমাদের এই প্রচেষ্টা আমাদের ওয়েবসাইটের আরো অনেক ভোটার আইডি এবং জন্ম সনদ সম্পর্কিত বিভিন্ন রকম পোস্ট করা রয়েছে, আপনি চাইলে সেই পোস্টগুলি থেকে আপনার প্রয়োজনে বিভিন্ন তথ্য নিয়ে নিয়ে আপনার উপকার বা আপনার কাজে নিয়ে আসতে পারবেন ধন্যবাদ সবাইকে ভালো থাকবেন।
Comments (No)