ভিডিও এডিটিং করার পদ্ধতিভিডিও এডিটিং করার পদ্ধতি

আধুনিক ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার দিয়ে, প্রায় কারও সাথে বা অভিজ্ঞতা ছাড়া, আমাকে একটা ভালো ভিডিও করতে পারেন. অনেক মহান সফ্টওয়্যার প্রোগ্রাম আপনি সারা বিশ্বের আপনার ভিডিও সম্পাদনা এবং ভাগ করার প্রয়োজন সরঞ্জামগুলির সাথে আপনি প্রদান করতে পারেন, যদিও, আপনি খুঁজে পেতে এবং আপনার চাহিদা পূরণ করে এক ডাউনলোড করতে হবে।

ভিডিও এডিটিং করার পদ্ধতি 1

ভিডিও এডিটিং করার জন্য সর্বপ্রথম কি করণীয়ঃ

ভিডিও এডিট করতে একটি কমন বিষয় হচ্ছে আমাদের প্রথমে ভালো মানের ক্যামেরা ইউজ করে ভিডিও রেকর্ড করতে হবে।ভালোমানের ক্যামেরা বলতে বর্তমানে DSLR বা উন্নতমানের হাইডেফিনেশন ক্যামেরা সম্বলিত স্মার্টফোন ইউজ করা ভালো। অন্যদিকে আরেকটি বিষয় হচ্ছে ভিডিও রেকর্ড করার জন্য লোকেশন বাছাই করা।এক্ষেত্রে আমি বলতে চাই এমন কিছু লোকেশন এবং পর্যাপ্ত আলো সরবরাহ আছে এমন জায়গা আমাদের নির্ধারন করতে হবে যা আমাদের ভিডিও এডিটিং-করার ক্ষেত্রে বিশেষ ভুমিকা পালন করবে।

ভিডিও রেকর্ড করার জন্য সল্পখরচে কোন ক্যামেরা ভালো হবেঃ

বর্তমান বাজার অনুপাতে এবং আমাদের সাধ্য অনুযায়ী বিভিন্ন শপিং-মল ও কম্পিউটার এক্সোসরিজ-এর মার্কেটে সল্পদামে ভালোমানের DSLR ক্যামেরা সহ বিভিন্ন স্মার্টফোন পাওয়া যায় যা আমরা কমবেশি সকলেই জানি। কিন্তু প্রতিদিন মার্কেটপ্লেসে গিয়ে এসব পন্য নিয়ে আমরা আলোচনা বা দরদাম না করায় যেকোনো পন্যের আপডেট জানতে আমাদের বিভিন্ন সমস্যা পোহাতে হয়। সেজন্য আমার একটি ক্ষুদ্র সল্যুশন হচ্ছে IDB ভবনের RYANS COMPUTER নামক স্টোরের প্রডাক্ট বুক চেক করা।

উল্লেখ্য যে, RYANS COMPUTER গ্রাহকদের সুবিধার কথা চিন্তা করে, তাদের নিজেদের ওয়েবসাইটে প্রতি মাসেই বর্তমান বাজারদর অনুযায়ী তাদের পন্যের একটি তালিকা আপডেট করে থাকে। যার ফলে আমরা যেকোনো কম্পিউটার এক্সোসরিজ সহ বিভিন্ন পন্যের সঠিক তালিকা ঘরে বসেই পেতে পারি। RYANS COMPUTER-এর প্রডাক্টবুক বা ক্যামেরা এবং বিভিন্ন-কম্পিউটার এক্সোসরিজ সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন।

ভিডিও এডিটিং করার পদ্ধতি 2

ভিডিও এডিটিং করার জন্য কি সফটওয়্যার ইউজ করলে ভালো হয়ঃ

প্রফেশনাল ভিডিও এডিট করতে কমবেশি সবাই ADOBE AFTER EFFECTS, এর মত সফটওয়্যার ব্যবহার করে থাকেন, কিন্তু এই সফটোয়ারগুলির কাজ শিখতে হলে চাই অভিজ্ঞতা বা কঠোর পরিশ্রম।কিন্তু যারা ভিডিও এডিটিং-এ নতুন তাদের উদ্দেশ্যে আমি WONDERSHARE FILMORA সফটওয়্যারটি সাজেস্ট করব।

তার কারন হচ্ছে ভিডিও এডিটিং শিখার ক্ষেত্রে এই সফটওয়্যারটির সহজ ইন্টারফেস সবার মন কাড়বে।WONDERSHARE FILMORA সফটওয়্যারটি দিয়ে বিভিন্ন ইফেক্ট যোগ করা ছাড়াও আরো অনেক নজরকাড়া ফিচার আছে যা দিয়ে ভালোমানের ভিডিও তৈরি করতে সফটওয়্যারটি অপরিহার্য ভুমিকা পালন করে।নিম্নে WONDERSHARE FILMORA সফটওয়্যারটির ফিচার সম্পর্কে আলোকপাত করা হলঃ

  • বিল্ড ইন স্টাইলিস্ট ফন্ট।
  • ডিসপ্লে জুম এন্ড ব্লার মাস্ক।
  • ভিডিও ব্যাকগ্রাউন্ড চেঞ্জ ইফেক্ট।
  • বিল্ড ইন স্ক্রিন রেকর্ডার।
  • ডাউনলোড এবং ইনস্টলেশন-এর জন্য সম্পুর্ন অনলাইন/অফলাইন ইনস্টলার পাওয়া যায়।
  • ৩০০টিরও বেশি ভিডিও ইফেক্ট বিল্ড ইন থাকায় আলাদা করে টেমপ্লেট ইউজ করার দরকার হয় না।
  • ইনস্ট্যান্ট ভিডিও কার্টার থাকায় ভিডিও ক্লিপ কর্তন-এর জন্য আলাদা সফটওয়্যার-এর দরকার হয় না।
  • ডাবল রোল ভিডিও করার জন্য বিশেষ ফিচার ফ্ল্যাশ মুড এই সফটওয়্যারটির অন্যতম আকর্ষণ।

এবার অন্যতম বিষয় হচ্ছে, উপরের সমস্ত সফটওয়্যারগুলি ডাউনলোড করার পর একটি সমস্যা থেকে যায় আর তা হল রেজিস্ট্রেশন করা।WONDERSHARE FILMORA সফটওয়্যারটির রেজিস্ট্রেশন নিয়েও কিছুটা ঝামেলা পোহাতে হয় আর সেজন্য আপনারা নিচের ভিডিও থেকে শিখে নিতে পারেন কিভাবে সফটওয়্যারটি ডাউনলোড ও ফ্রি রেজিস্ট্রেশন করবেন। WONDERSHARE FILMORA সফটওয়্যারটির ডাউনলোড ও রেজিস্ট্রেশন করার ভিডিও দেখুনঃ

ভিডিও এডিট করতে লো-কনফিগার-এর পিসির জন্য কোন সফটওয়্যার ইউজ করলে ভালো ফল পাওয়া যাবে?

ভিডিও এডিটিং-এর জন্য পিসির অন্যতম ভুমিকা পালন করে পিসির হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার।এটা কমন ব্যাপারগুলির মধ্যে অন্যতম।আমাদের মধ্যে এমন অনেকেই আছেন যাদের পিসির কনফিগার হচ্ছেঃ ৩২বিট সম্বলিত ডুয়েল কোর সিপিও, র‍্যাম ২জিবি,গ্রাফিক্স কার্ড ৫১২ এমবি থেকে ১ জিবি তাদের একটা গুড নিউজ হচ্ছে উপরের সফটওয়্যারগুলির মধ্যে ৩২বিট সম্বলিত যেমনঃCAMTASIA/WONDERSHARE FILMORA সফটওয়্যারগুলির ভার্শন অনলাইন-এ পাওয়া যায় আর সেই ভার্শনগুলো দিয়েই আপনারা ভিডিও এডিটিং-এর কাজ শুরু করার ব্যাপারে প্রথম অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারেন। আর যাদের পিসির কনফিগার হাই কোয়ালিটি তাদের বিষয়ে আর কিছুই বাড়িয়ে বলার দরকার নেই।

ভিডিও এডিটিং নামক অভিজ্ঞতার পথচলায় কোন সফটওয়্যার ব্যবহারে সহজলভ্যতা আছেঃ

এখানে আমাদের মনে রাখতে হবে ভিডিও এডিটিং-এর জন্য আমরা কে কেমন অভিজ্ঞতা সম্পন্ন হয়েছি।পাশাপাশি মনে রাখতে হবে অভিজ্ঞতা এমন জিনিষ যে যত বেশি কস্ট করে দিন দিন অভিজ্ঞতা অর্জন করার চেস্টা করবে সে তত সাফলতা বয়ে আনবে এবং পাশাপাশি তার জ্ঞানের পরিধিও বাড়বে। আর এই কথার প্রেক্ষিতে বলতে হয় ভিডিও এডিটিং বিষয়ক প্রায় সমস্ত সফটওয়্যার-ই সহজলভ্যতা বয়ে আনে তবে সেটা ঐ সফটওয়্যার-এর কাজ জানার উপর নির্ভর করে।আর নিজের মত করে বললে আমি বলবঃCAMTASIA/WONDERSHARE FILMORA-এই সফটওয়্যারগুলি ব্যবহার করলে যারা ভিডিও এডিটিং-এর জগতে নতুন তারা খুব অল্প সময়েই এসমস্ত সফটওয়্যারগুলির ব্যবহার সম্পর্কে ভালো জ্ঞান অর্জন করতে পারবেন।

Leave a Reply

You missed

এই সাইটের কোন লেখা কপি করা সম্পুর্ন নিষেধ