বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ‘সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী’ হিসেবে সীমান্ত সুরক্ষা, চোরাচালান প্রতিরোধ, নারী-শিশু ও মাদক পাচারসহ যেকোনো ধরনের সীমান্ত অপরাধ প্রতিরোধের পাশাপাশি দেশের অভ্যন্তরীণ শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছে। যাঁরা বিজিবিতে পেশা গড়ে সীমান্ত রক্ষা ও দেশ সেবা করতে চান, তাঁরা আবেদন করতে পারেন এই পদটিতে। বিজিবি সৈনিকদের বেতন এবং যোগ্যতা
আবেদনের যোগ্যতা
প্রার্থীকে এসএসসি পরীক্ষায় কমপক্ষে জিপিএ-৩ এবং এইচএসসি পরীক্ষায় কমপক্ষে জিপিএ-২ দশমিক ৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে। বয়স হতে হবে ১৮ থেকে ২৩ বছর। উচ্চতা হতে হবে ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি। আর ওজন হতে হবে সর্বোচ্চ ৪৯ দশমিক ৮৯৫ কেজি। বুকের মাপ হতে হবে ৩২ ইঞ্চি থেকে ৩৪ ইঞ্চি। দৃষ্টিশক্তি লাগবে ৬/৬। তবে উপজাতিদের উচ্চতা, ওজন, বুকের মাপের ক্ষেত্রে ভিন্নতা আছে। প্রার্থীকে অবশ্যই সাঁতার জানতে হবে।
বিজিবি সৈনিকদের বেতন
বেতন-ভাতা ও পদোন্নতি
চূড়ান্তভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত একজন সিপাহি জাতীয় বেতন স্কেল ২০০৯ অনুযায়ী ৯ হাজার ৯৫ টাকা বেতন পাবেন। এ ছাড়া চাকরি স্থায়ী হওয়ার পর বাসস্থান, চিকিৎসা সুবিধা, রেশন, সন্তানদের পড়াশোনার খরচ, ৩০ শতাংশ সীমান্ত ভাতা, প্রভিডেন্ট ফান্ড ইত্যাদি সুযোগ-সুবিধা পাবেন। একজন সিপাহি তাঁর যোগ্যতার ভিত্তিতে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ও পরীক্ষার মাধ্যমে পদোন্নতি পেয়ে ল্যান্স নায়েক, নায়েক, হাবিলদার, নায়েব সুবেদার, সুবেদার এমনকি বিভাগীয় অফিসার পর্যন্ত হতে পারেন।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
ভর্তিসংক্রান্ত যেকোনো তথ্যের জন্য ভিজিট করতে পারেন www.bgb.gov.bd এই ঠিকানায়।
ভর্তির সময় প্রার্থীকে অবশ্যই এসএসসি এবং এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় পাসের মূল/প্রভিশনাল সনদ, সংশ্লিষ্ট স্কুল বা কলেজের প্রধান শিক্ষক বা অধ্যক্ষ কর্তৃক এইচএসসি বা সমমান এবং এসএসসি বা সমমান পাসের প্রশংসাপত্র (যাতে প্রার্থীর স্থায়ী ঠিকানা ও জন্মতারিখ উল্লেখ থাকবে), অভিভাবকের অনুমতিপত্র, ইউনিয়ন পরিষদ বা পৌরসভা চেয়ারম্যান/ওয়ার্ড কমিশনারের কাছ থেকে বাংলাদেশি স্থায়ী নাগরিকত্বের সনদ, চারিত্রিক সনদ, সদ্য তোলা ১০ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি (সত্যায়িত ব্যতীত) এবং জাতীয় পরিচয়পত্রের মূল কপিসহ সত্যায়িত ছায়াকপি ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সঙ্গে আনতে হবে।
নির্বাচন প্রক্রিয়া
বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, প্রার্থী নির্বাচনের ক্ষেত্রে বিজিবির বিভিন্ন জেলায় অবস্থিত সেক্টরগুলোর সেক্টর কমান্ডারের নেতৃত্বে প্রার্থীদের পর্যায়ক্রমে প্রথমে প্রাথমিক ডাক্তারি পরীক্ষা নেওয়া হবে। এখান থেকে নির্বাচিত প্রার্থীদের লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। লিখিত পরীক্ষা সাধারণত বাংলা, গণিত, ইংরেজি ও সাধারণ জ্ঞানের ওপর মোট ১০০ নম্বরের হয়ে থাকে। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের আবার চূড়ান্ত ডাক্তারি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। এখানে প্রার্থীদের বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে অস্থায়ীভাবে নিয়োগ করা হবে। এরপর তাদের আবার পুলিশ ভ্যারিফিকেশনের মাধ্যমে সঠিক তদন্ত প্রতিবেদন প্রাপ্তি সাপেক্ষে নিয়োগপত্র দেওয়া হবে।
Comments (No)