ডিপিএস কী ও কেনো করবেন

ডি পি এস এর মূল প্রতিশব্দ হল ডিপোজিট পেনশন স্কিম। মাসিক সঞ্চয় প্রকল্প যা ডিপিএস নামে বহুল প্রচলিত যদি ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে এর ভিন্ন ভিন্ন নাম রয়েছে। গ্রাহক যদি বিশেষ কোন কারনে ডিপিএস নির্দিষ্ট মেয়াদ শেষ হওয়ার পূর্বে ভাঙ্গাতে চাই তাহলে ডিপিএস ভাঙাতে পারবেন। কিন্তু সে ক্ষেত্রে লাভের পরিমাণ কিছুটা কম হয়। 

ডিপিএস কী ও কেনো করবেন 1

ডিপিএস কি?

প্রতিমাসে নির্দিষ্ট তারিখে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত ব্যাংক সহ কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা রেখে মেয়াদ শেষে লভ্যাংশ সহ ফেরত পাওয়াকে ডিপিএস বা ডেপোজিট পেনশন স্কিম বলে। ব্যাংকের এই সার্ভিসের আওতায় গ্রাহক প্রতি মাসে নির্দিষ্ট পরিমাণ কিস্তি একটি নির্দিষ্ট মেয়াদ যেমন-১ থেকে ১০ বছর পর্যন্ত জমা দিয়ে ওই নির্দিষ্ট মেয়াদ শেষে আকর্ষনীয় সুদ/মুনাফাসহ গ্রাহক জমাকৃত টাকা ফেরত পাবেন। যে কোন ব্যক্তি /প্রতিষ্ঠান যতটি খুশি ততটি মাসিক সঞ্চয় প্রকল্প হিসাব খুলতে পারেন ।  

ডিপিএস কী ও কেনো করবেন 2

কোন কোন ব্যাংক ডিপিএস সেবা দিচ্ছে?

দেশের অনেক ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান সমূহ গ্রাহকদের জন্য ডিপিএস সেবা দিচ্ছে, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ব্যাংক গুলো হল-ইসলামী ব্যাংক, সোনালি ব্যাংক, ডাচ বাংলা ব্যাংক, আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক সহ আরো অনেক প্রতিষ্ঠান। ব্যাংক একাউন্টে টাকা থাকলে অটোমেটিক ডিপিএস এ জমা হবে। স্যালারি একাউন্ট থাকলে বেতন পাওয়ার পর স্বয়ংক্রিয়ভাবে ডিপিএস এ জমা হয়। আপনার প্রয়োজনে অবশ্যই ডিপিএস ভাঙ্গা যাবে। তবে সেক্ষেত্রে শুধুমাত্র মূল টাকা ফেরত পাবেন। তবে সময় সাপেক্ষে কিছু লভ্যাংশ পেতেও পারেন আবার নাও পেতে পারেন। কোন মাসে টাকা জমা না হলে ডিপিএস বন্ধ হবে না। পরবর্তী মাসে একত্রে দুইটি ইনিস্টলমেন্ট দিতে হবে। তবে এক্ষেত্রে ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী পরপর তিনটি কিস্তি দিতে না পারলে সাময়িক স্থগিত হয়ে যাবে। পরবর্তীতে ব্যাংকে এসে দরখাস্থ দিয়ে পুনরায় চালু করা যাবে। এক্ষেত্রে কিছু জরিমানাও দরকার পড়তে পারে। 

ডিপিএস করতে কি কি লাগে?

ডিপিএস করতে যা যা প্রয়োজন হয় তা নিম্নে বর্নিত হল-

  1. বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে।
  2. যে কোন ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গ ডিপিএস হিসাব খুলতে পারেন।
  3. ব্যাংক নির্ধারিত ফরম আবেদন পূরন করতে হয়।
  4. নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা জমা দিতে হয়।
  5. যার নামে ডিপিএস হবে তার ছবি অন্য হিসাবধারী দ্বারা সত্যায়িত।
  6. ভোটার আইডি কার্ড/ পাসপোর্ট/ড্রাইভিং লাইসেন্স
  7. গ্রাহক দ্বারা সত্যায়িত নমিনির ছবি ও ভোটার আইডি কার্ড 
  8. হিসাব খোলার সময় গ্রাহকের সম্প্রতি তোলা পাসপোর্ট সাইজের ২ কপি সত্যায়িত ছবি। 
  9. নাবলকের পিতা-মাতা নাবালকের পক্ষে নাবালক হিসাব খুলতে পারেন। এক্ষেত্রে নাবালকের জন্ম সনদের ফটোকপি লাগবে।আর কোর্ট কর্তৃক অভিবাবকত্ব গ্রহন করলে নাবালকের পক্ষে  নাবালক হিসাব  খোলার জন্য আইনগত অভিভাবকের ছবি ও ভোটার আইডি কার্ড/ পাসপোর্ট/ড্রাইভিং লাইসেন্স এর ফটোকপি।
ডিপিএস কী ও কেনো করবেন 3

এই ধরনের ডিপিএস একাউন্ট সম্পর্কিত যে কোন তথ্য পেতে ভিজিট করুন আমাদের সংযোগইউ প্লাটফর্মে। আমাদের এই প্লাটফর্মে আর্থিক সার্ভিস সম্পর্কিত যে কোন তথ্য জানতে এবং আপনার কাঙ্ক্ষিত সার্ভিসের জন্য আবেদন করতে আজই রেজিস্ট্রেশন করুন আমাদের ওয়েবসাইটে।

Comments (No)

Leave a Reply

এই সাইটের কোন লেখা কপি করা সম্পুর্ন নিষেধ