ডাস্টিং এ্যাটাক কি? 1

আপনি আপনার বিটকয়েনে ওয়ালেটে হঠাৎ করে 0.000001 BTC সাতোষি পেয়েছেন। কিন্তু আপনি জানেন যে, আপনি যে ফান্ড রিসিভ করেছেন আপনার ওয়ালেট তা আপনি পাঠান নাই। অথবা আপনার জানা মতে এই ফান্ড আপনি কোন জায়গা থেকেও পাওয়ার কথা নেই।

এর অর্থ আপনি ডাস্টিং এ্যাটাকের কবলে পড়েছেন। কিন্তু আপনি জানেন না ডাস্টিং এ্যাটাক কি? যার জন্য হয়তো আপনি সেই ফান্ড পাওয়াকে গুরুত্ব দিলেন না। তাহলে হতে পারে ভবিষতে আপনি বিপদে পড়তে পারেন।

তাই ডাস্টিং এ্যাটাক কি তা জেনে রাখুন। আর ভবিষত যে কোন বিপদ থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখুন।

ডাস্টিং এ্যাটাক কি? 2

ক্রিপ্টোকারেন্সিতে ডাস্ট কি?

ক্রিপ্টোকারেন্সিতে খুব অল্প পরিমান ফান্ডকে ডাস্ট বলা হয়। আপনি হয়তো ট্রেড করতে গিয়ে দেখে থাকবেন আপনি ট্রেড করার জন্য যে ওর্ডার দিয়ে থাকেন তা থেকে কিছু পরিমান ফান্ড ওয়ালেটেই থেকে যায়। এই খুবি সামান্য পরিমান ফান্ডকে ডাস্ট ব্যলেন্স বলা হয়। যেমন- 0.00000012 BTC ইত্যাদি।

কিভাবে বুঝবেন আপনি ডাস্টিং এ্যাটাকের কবলে পড়েছেন?

আপনি যখন দেখবেন আপনার একাউন্ট বা ওয়ালেটে অপ্রত্যাশিত কোন পরিমান বিশেষত এই পরিমান ব্যালান্স এসে ঢুকেছে যা ট্রানজেকশন ফি এর চাইতেই কম। তাহলে আপনি বুঝবেন আপনি ডাস্টিং এ্যাটাকের কবলে পড়েছেন।

এই ধরনের ডাস্টিং এ্যাটাক ব্যক্তিগতভাবে বা গ্রুপ ভিত্তিক হয়ে থাকে।

ডাস্টিং এ্যাটাকের বিপদ:

হ্যাকররা ডাস্টিং এ্যাটাকের জন্য খুবই সামান্য পরিমান টোকেন বা কয়েন টার্গেট ওয়ালেটে পাঠিয়ে থাকে। আর সেই টার্গেট ওয়ালেটকে ট্রাকিংয়ে রাখে।

কারণ যখন নিজ ওয়ালেট থেকে কারো এ্যড্রেসে কোন টোকেন বা কয়েন পাঠানো হয় তখন তা ট্রাক করা খুব সহজ হয়ে পড়ে।

সেই ট্রাকিংয়ের দ্বারা হ্যাকাররা টার্গেট ওয়ালেটের আইডেনটিটি খুজে বের করে। যখন হ্যাকার তাদের টার্গেট ওয়ালেটের ব্যক্তি পরিচয় বের করতে সক্ষম হয় তখন হ্যাকাররা সেই ব্যক্তিকে ফিসিং এ্যাটাক বা সাইবার থ্রেড দিয়ে বিপদে ফেলে থাকে।

ডাস্টিং এ্যাটাকের উদাহরন

ডাস্টিং এ্যাটাকের জায়গাটি দুই রকম হয়ে থাকে। একটি হচ্ছে এক্সচেন্জ ওয়ালেটের মাধ্যমে (এক্সচেন্জ ওয়ালেট ব্যবহার কারী) অর্থাৎ আমরা যখন কোন এক্সচেন্জে ডিপোজিট করে থাকি তখন যে ওয়ালেট ব্যবহার করা হয়।

আর অপরটি হচ্ছে ব্যক্তিগত ওয়ালেটে।

এক্সচেন্জ ওয়ালেট ব্যবহার কারী:

হ্যাকাররা এক্সচেন্জ ওয়ালেট ব্যবহার কারীদের ডাস্টিং এ্যাটাক করে থাকলে সেখান থেকে খুব একটা ফায়দা নিতে পারে না। কারন প্রায় ক্রিপ্টোকারেন্সি এক্সচেন্জ গুলোর মাল্টি ওয়ালেট পদ্ধতি থাকার কারণে কখন কে সেই সব ওয়ালেট গুলো ব্যবহার করছে তা আইডেনটিফাই করতে হ্যাকারদের সমস্যা হয়ে থাকে।

সেই ক্ষেত্রে বলা যায় এক্সচেন্জ ওয়ালেট ব্যবহার করীরা এই ক্ষেত্রে নিরাপদ থাকে। তারপরও কোন সময় যদি আপনি মনে করেন আপনার এক্সচেন্জ ওয়ালেটে ডাস্টিং এ্যাটাক হয়েছে অর্থাৎ খুবই সামন্য পরিমান ব্যালান্স আপনার একাউন্টে ডিপোজিট হয়েছে তাহলে তা বুঝতে পারা মাত্রই আপনার এক্সচেন্জর সাপোর্টে বিষয়টি জানানো উচিত। এতে আপনার একাউন্ট নিরাপদ থাকবে।

ব্যক্তিগত ওয়ালেট ব্যবহার কারী:

ব্যক্তিগত ওয়ালেট ব্যবহার কারী, যেমন- ইলেক্ট্রাম ইউজার, মাইইথারওয়ালেট ইউজার ইত্যাদি এমন ওয়ালেট ববহার করাী ডাস্টিং এ্যাটাকের কবলে পড়েন তবে সেখানে আপানার প্রাইভেসি ফাঁস হওয়ার আশংকা থাকে। যার মাধ্যমে হ্যাকাররা আপনাকে পূর্বে উল্লেক্ষিত বিপদে ফেলতে পারেন।

ডাস্টিং এ্যাটাক থেকে নিজেকে নিরাপদ রাখা:

আপনি যদি কোন এক্সচেন্জ ওয়ালেট ব্যবহার করে থাকেন তবে সেখানে আপনার আলাদা ভাবে কিছু করার নেই। তবে এতটুকুই যে আপনার একাউন্টের নিরাপত্তা ব্যবস্থা হার্ড রাখবেন। এই ক্ষেত্রে 2FA ব্যবহার করা, আবার উইথড্র হয়ায়িটলিস্টও ব্যবহার করা যায়। মাঝে মাঝে পাসওয়ার্ড আপডেট করা।

আর আপনি যদি ব্যক্তিগত ওয়ালেট ব্যবহার করে থাকেন তবে প্রতি ট্রানন্জেকশনে নতুন নতুন এ্যড্রেস তৈরি করে ব্যবহার করা প্রয়োজন।

আমাদের শেষ কথা:

ফরেক্স ও ক্রিপ্টোকারেন্সি মার্কেট অধিক ভলটালিটির কারনে ট্রেডিং করা অনেক বেশি বিপদজনক। তাই এই পোষ্টে কাউকে এই মার্কেটে ট্রেড করার জন্য উৎসাহিত করা হচ্ছে না। যদি কেউ ট্রেড করতে চাই, তবে তা সে নিজের দায়িত্বে করবে,

Leave a Reply

You missed

এই সাইটের কোন লেখা কপি করা সম্পুর্ন নিষেধ