ডাটা এন্ট্রি কি ? মোবাইলে ডাটা এন্ট্রি করে আয়।।

ডাটা এন্ট্রি কি :

ডাটা এন্ট্রি কি ? মোবাইলে ডাটা এন্ট্রি করে আয় আমাদের এই ওয়েবসাইটে আপনাদের সাথে যে টপিক নিয়ে আলোচনা করব তা হলো “মোবাইলে ডাটা এন্ট্রি করে আয়”

আপনি যদি ডাটা এন্ট্রি করে প্রতিদিন টাকা আয় করতে চান তবে সঠিক জায়গায় এসেছেন। আমাদের মধ্যে অনেক লোক আছে যারা অনলাইন এর মাধ্যমে এবং অফলাইন এর মাধ্যমে ডাটা এন্ট্রি করে মাসে প্রচুর টাকা উপার্জন করছে।

আপনি যদি একজন শিক্ষিত বেকার হয়ে থাকেন তবে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য একটি সুখবর।

কারণ আপনি যেহেতু চাকরির পেছনে অনেক ছুটাছুটি করেও চাকরি পাচ্ছেন না। তাই আমি আপনাদের জন্য এমন একটি সহজ অনলাইন কাজ নিয়ে এসেছি। যার ফলে আপনি শুধু মাত্র একটি মোবাইল ফোন ব্যবহার করেই অনলাইন আয় করতে পারবেন।

ডাটা এন্ট্রি কি ? মোবাইলে ডাটা এন্ট্রি করে আয়।। 1

আপনি যদি অনলাইন ডাটা এন্ট্রি করা করে টাকা ইনকাম করতে চান তাহলে আপনি ডাটা এন্ট্রি শিখুন। আপনি যদি ভালো ভাবে ডাটা এন্ট্রির কাজ শিখতে পারেন তাহলে আপনার ক্যারিয়ার এখানেই গড়তে পারবেন।

আমরা জানি ডাটা এন্ট্রি কাজ করা অনেক সহজ তবে এই কাজ শেয়ার জন্য আপনার বেশি বেশি টাইপিং দক্ষতা সম্পন্ন হতে হবে। আপনি যত বেশি টাইপিং করতে পারবেন তত বেশি টাকা উপার্জন করতে পারবেন।

আপনি যদি সত্যিই ডাটা এন্ট্রি করে আয় করতে চান তাহলে আমরা এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া চেস্টা করব। আপনি শুধু আমাদের লেখা গুলো মনযোগ দিয়ে পড়ুন।

ডাটা এন্ট্রি কি?

ডাটা এন্ট্রি হচ্ছে কোন একটি কম্পিউটারের মাধ্যমে নির্দিষ্ট কোন ডাটা বা তথ্য এক স্থান থেকে অন্য স্থানে ইনপুট করা।

ডাটা এন্ট্রির কাজ গুলো হয়ে থাকে লেখা, প্রোগ্রামিং, এক্সেলশীট, ইমেইল প্রসেসিং, কপি থেকে পেস্ট ইত্যাদি।

ডাটা এন্ট্রি কাজটা কি, এবিষয়ে স্পষ্ট করে বোঝার জন্যে আপনাকে ডাটা এন্ট্রি মানে কি সেবিষয়ে আগে বুঝে নিতে হবে।

আপনাকে সহজ ভাবে বুঝানোর জন্য বলছি ডাটা এন্ট্রি মানে একজন টাইপিস্ট এর সাহায্যে টাইপিং এর মাধ্যমে যে কোন হার্ড কপি থেকে ডাটা গুরোকে সফ্ট কপিতে রুপান্তরিত করা এবং ডাটা গুলোকে তাদের যথাযত জায়গায় সংগ্রহ করা করাকে ডাটা এন্ট্রি বলা হয়।

মূলত সেই ডাটা গুলোকে একটি কম্পিউটার এর মাধ্যমে কিছু প্রকার সফটওয়্যার এর মাধ্যমে আপডেট করা হয়।

ডাটা বলতে যে কোন ধরণের অপজেক্ট, ফাইল, তথ্য বা মিডিয়া ইত্যাদি হতে পারে যেমন- অডিও, ভিডিও, ডকুমেন্ট, টেক্সট, নম্বর, ছবি ইত্যাদি।

ডাটা এন্ট্রির জন্য বিভিন্ন প্রকার ডাটা গুলোকে একটি ডকুমেন্ট থেকে দেখে কীবোর্ড এর মাধ্যমে কম্পিউটারে টাইপ করে ডিজিটাল কপিতে তৈরি করা হয়।

এই সকল ডাটা এন্ট্রি কাজ যে ব্যক্তির মাধ্যমে করানো হয় তাকে বলা হয় ডাটা এন্ট্রি অপারেটর। একজন ডাটা এন্ট্রি অপারেটর আপনিও হতে পারবেন যখন আপনার মধ্যে কম্পিউটার সম্পর্কে আপনার নূন্যতম জ্ঞান বা অভিজ্ঞতা থাকে তাহলেই।

ডাটা এন্ট্রি কি ? মোবাইলে ডাটা এন্ট্রি করে আয়।। 2

ডাটা এন্ট্রির কাজ করার জন্য একজন ডাটা এন্ট্রি অপারেটর কম্পিউটার এর একটি নির্ধারিত সফটওয়্যার িএর মাধ্যে ডাটা গুলো টাইপ করতে হয় যেমন হতে পারে- মাইক্রোসফট অফিস- এমএস এক্সেল, ওয়ার্ড পের্ড ইত্যাদি সফটওয়্যার গুলোতে ডাটা গুলো ডাটা এন্ট্রি অপারেটরদের দিয়ে করিয়ে নেওয়া হয়।

আপনি যদি আমাদের দেওয়া তথ্য গুলো সঠিক ভাবে অনুসরণ করে থাকেন তাহলে অবশ্যই বুঝতে পারছেন যে, ডাটা এন্ট্রি কি ? যদি না বুঝে থাকেন তাহলে অবশ্যই আরো একবার উপরের আলোচনা পরে নিন।

ডাটা এন্ট্রি কাজ করে আয়

আপনি উক্ত আলোচনাতে ডাটা এন্ট্রির বিষয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে পারছেন। এখন আমি আপনাদের জানাব ডাটা এন্ট্রি কাজ করে আয় করার জন্য আপনার কি কি করতে হবে।

ডাটা এন্ট্রি কাজ করে আয় করার জন্য আপনাকে প্রথমে ডাটা এন্ট্রি শিখতে হবে। কিভাবে ডাটা এন্ট্রি শিখবেন আপনাকে সহজ পরামর্শ দিচ্ছি।

আপনি যেহেতু ডাটা এন্ট্রি করে আয় করতে আগ্রহী তাই আপনাকে অবশ্যই প্রথমে বাংলা এবং ইংরেজি টাইপিং এর দিকে নজর দিতে হবে।

আপনি চাইলে আমাদের এই সাইট থেকেই বাংলা এবং ইংরেজি টাইপিং করার সহজ উপায় জানতে পারবেন। আমাদের এই সাইটে মাইক্রোসফট অফিস ২০০৭ PDF এর বাংলা বই আপলোড করা আছে।

আপনি সেই বইটি ডাউনলোড করে টাইপিং করার সকল প্রক্রিয়া জনাতে পারবেন। আপনি যদি নিয়মিত ১ মাস আমাদের “মাইক্রোসফট অফিস ২০০৭” বইটি পড়েন এবং প্রেক্টিস করেন তাহলে সহজেই টাইপিং শিখেতে পারবেন।

আপনি যখন টাইপিং কাজ শিখে নিতে পারবেন তখন আপনি দ্রুত অনলাইনে যে কোন প্লাটফর্মের মাধ্যমে ডাটা এন্ট্রি কাজ করে নিজের ঘরে বসে টাকা আয় করতে পারবেন।

ডাটা এন্ট্রি শিখতে হলে আমাকে কী কী বিষয়ে আগে শিখতে হবে?

ডাটা এন্ট্রি শিখতে হলে প্রথমে আপনার কম্পিউটারের মৌলিক দক্ষতা এবং মাইক্রোসফট এক্সেল বা গুগল শিটের মতো সফটওয়্যার সম্পর্কে জ্ঞান থাকতে হবে। এছাড়াও আপনার টাইপিংয়ে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করা উচিত এবং মৌলিক গাণিতিক ধারণাগুলি সম্পর্কে ভাল ধারণা থাকা উচিত।

ডেটা এন্ট্রি দিয়ে শুরু করার জন্য, আপনি অনলাইন টিউটোরিয়াল এবং ডেটা ইনপুট কাজগুলি অনুশীলন করতে পারেন। আপনি প্রাথমিক এবং উন্নত কৌশলগুলি শিখতে ডেটা এন্ট্রির কোর্সও নিতে পারেন।

ডেটা এন্ট্রি শিখতে যে সময় লাগে তা নির্ভর করে আপনার বর্তমান দক্ষতার স্তর এবং আপনি অনুশীলনের জন্য কতটা সময় দিতে পারেন তার উপর।

ডেটা এন্ট্রিতে দক্ষ হতে কয়েক সপ্তাহ থেকে কয়েক মাস পর্যন্ত যে কোনো জায়গায় সময় লাগতে পারে। নিয়মিত অনুশীলন এবং উত্সর্গের সাথে, আপনি দ্রুত আপনার ডেটা এন্ট্রি দক্ষতা উন্নত করতে পারেন এবং প্রকল্পগুলিতে কাজ শুরু করতে পারেন।

Learn to touch type:

 আপনি যদি ডেটা এন্ট্রিতে দক্ষ হতে চান তবে আপনাকে দ্রুত এবং নির্ভুলভাবে টাইপ করতে সক্ষম হতে হবে। টাইপ টাচ করতে শেখা, যার অর্থ কীবোর্ডের দিকে না তাকিয়ে টাইপ করা, আপনাকে আপনার টাইপিং গতি বাড়াতে সাহায্য করতে পারে।

ডেটা এন্ট্রি সফ্টওয়্যারের সাথে নিজেকে পরিচিত করুন:

 ডেটা এন্ট্রির জন্য ব্যবহৃত বিভিন্ন সফ্টওয়্যার প্রোগ্রাম রয়েছে, যেমন মাইক্রোসফ্ট এক্সেল, গুগল শীট এবং বিশেষায়িত ডেটা এন্ট্রি সফ্টওয়্যার৷ এই প্রোগ্রামগুলির মৌলিক বৈশিষ্ট্যগুলি শিখুন, যেমন কীভাবে ডেটা প্রবেশ করতে হয়, সেল ফর্ম্যাট করতে হয় এবং সূত্রগুলি ব্যবহার করতে হয়।

নিয়মিত অনুশীলন করুন:

 যেকোনো দক্ষতার মতো, ডেটা এন্ট্রিতে দক্ষ হওয়ার চাবিকাঠি হল অনুশীলন। আপনার ডেটা এন্ট্রি দক্ষতা অনুশীলন করার জন্য প্রতিদিন বা সপ্তাহে একটি নিয়মিত সময় আলাদা করার চেষ্টা করুন। আপনি অনলাইন অনুশীলন খুঁজে পেতে পারেন।

ভাল টাইপিং অভ্যাস গড়ে তুলুন:

ডেটা প্রবেশ করার সময়, সঠিক টাইপিং কৌশলগুলি ব্যবহার করতে ভুলবেন না, যেমন আপনার সমস্ত আঙ্গুল ব্যবহার করা এবং সোজা হয়ে বসে থাকা।

ডাটা এন্ট্রি কি ? মোবাইলে ডাটা এন্ট্রি করে আয়।। 3

নির্ভুলতার উপর ফোকাস করুন:

 ডেটা এন্ট্রির ক্ষেত্রে যথার্থতা হল চাবিকাঠি, কারণ একটি ছোট ভুলেরও তাৎপর্যপূর্ণ পরিণতি হতে পারে। আপনার কাজ দুবার চেক করার জন্য সময় নিন এবং নিশ্চিত করুন যে আপনি পরবর্তী টাস্কে যাওয়ার আগে সঠিকভাবে ডেটা প্রবেশ করেছেন।

মনে রাখবেন, ডেটা এন্ট্রি শেখা একটি দক্ষতা যা বিকাশ করতে সময় এবং অনুশীলন লাগে। ধৈর্য এবং উত্সর্গের সাথে, আপনি ডেটা এন্ট্রিতে দক্ষ হয়ে উঠতে পারেন এবং বিভিন্ন শিল্পে কাজের সুযোগ খুলে দিতে পারে.

ডাটা এন্ট্রি শিখুন, অনলাইন ডাটা এন্ট্রি কিভাবে করবেন

ঘরে বসে কিভাবে অনলাইনে ডাটা এন্ট্রি করতে পারবেন, তাও শুধুমাত্র কম্পিউটার এবং ইন্টারনেটের সাহায্যে।

অনলাইনে আপনি অনেক লোককে পাবেন যাদের ডাটা এন্ট্রি অপারেটর প্রয়োজন, আপনি এটির সুবিধা নিতে পারেন এবং ঘরে বসে তাদের কাজ করতে পারেন।

বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্স ডাটা এন্ট্রি কাজ পাওয়ার ১০ টি সহজ উপায়।

ডাটা এন্ট্রি কি ? মোবাইলে ডাটা এন্ট্রি করে আয়।। 4

টাইপিং  দক্ষ হওয়া 

ডাটা এন্ট্রি কাজের প্রথম শর্ত হলো আপনার টাইপিং স্কিল বৃদ্ধি করা। অবশ্যই আপনাকে কীবোর্ড না দেখে দ্রুত টাইপ করতে পারতে হবে এবং আপনার টাইপিং সর্বদা নির্ভুল হতে হবে। আসলে কম্পিউটারে যেকোন কাজের জন্য টাইপিং স্কিল খুব গুরুত্বপূর্ণ।

আপনার টাইপিং স্পিড প্রতি মিনিটে ৩৫ ওয়ার্ড এর নিচে হলে আপনি ডাটা এন্ট্রির কাজ করে ভালো করতে পারবেন না। আরও বেশি হলে সেটা আপনার জন্য ভালো। আপনার ইনকাম বেশি হবে এবং আপনার ক্যারিয়ারও দ্রুত উন্নতির দিকে যাবে। 

কম্পিউটারে বেসিক জ্ঞান রাখা  

তারপর আসে কম্পিউটারের বেসিক জ্ঞান জানা। অর্থাৎ আপনি হয়তো টাইপিং শিখেছেন কিন্তু কম্পিউটারের অন্যান্য বিষয় তেমন জানেন না। যেমন ধরুণ আপনি কম্পিউটারে কীভাবে ফাইল সেভ করতে হয় জানেন না, ইন্টারনেট কীভাবে ব্যবহার করতে হয় তা জানেন না।

এগুলা কম্পিউটারের বেসিক স্কিল। সুতরাং এগুলা সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা থাকতে হবে। সেই সাথে কম্পিউটারের প্রিন্টার, রাউটার, ইউপিএস কীভাবে কাজ করে, সমস্যা হলে দ্রুত কীভাবে সমাধান করবেন ইত্যাদি ব্যাপারও আপনাকে আয়ত্তে রাখতে হবে। 

যোগাযোগ দক্ষতা বৃদ্ধি করুন 

ডাটা এন্ট্রি কাজের জন্য আপনাকে ইংরেজি ভাষায় ভালো জ্ঞান থাকতে হবে। কারণ বেশিরভাগ ডাটা এন্ট্রি কাজ ইংরেজিতেই হবে। সুতরাং আপনার ইংরেজি লেখা এবং পড়ায় ধীরে ধীরে আপগ্রেড করতে হবে। সেই সাথে আপনাকে ইংরেজিতে যোগাযোগ দক্ষতাও ভালো হতে হবে।

যেহেতু আপনি ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে কাজ করবেন সুতরাং যোগাযোগ দক্ষতা ভালো না হলে আপনি ক্লায়েন্টের কাছ থেকে কাজ বুঝে নিতে পারবেন না, আবার তাকে কাজ ডেলিভারি দিতেও সমস্যায় পড়বেন। 

বেসিক সফটওয়্যার জ্ঞান রাখা

সাধারণত আপনাকে কোন না কোন সফটওয়্যারের মাধ্যমে ডাটা এন্ট্রি কাজ করতে হবে। এটা অবশ্য কোম্পানীভেদে ভিন্ন হয়। সুতরাং আমি স্পেসিফিক কোন সফটওয়্যারের নাম বলছি না। সাধারণত একটি সফটওয়্যার কীভাবে ইনস্টল করতে হয়,

কীভাবে আনইনস্টল করতে হয় ইত্যাদি বিষয় জানা খুব গুরুত্বপূর্ণ। তাছাড়া একটি সফটওয়্যার কীভাবে কাজ করে তা দ্রুত বুঝে নিতে পারাও প্রয়োজন। মাইক্রোসফট অফিস এবং গুগল ওয়ার্কস্পেস সম্পর্কে ভালো আইডিয়া নিন। সুতরাং আগে থেকে আপনার এসব বিষয়ে জ্ঞান না থাকলে আপনি ভালো করতে পারবেন না। এজন্য আপনি যখন ডাটা এন্ট্রি শিখবেন তখনই ট্রেইনারেকে এসব বিষয় নিয়ে প্র্রশ্ন করুন। 

৫. টাইম ম্যানেজমেন্ট শিখুন 

ইয়েস। টাইম ম্যানেজমেন্ট সকল ফ্রিল্যান্সিং কাজেই অতীব গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। দ্রুত সময়ে কাজ বুঝে নেওয়া, রেসপন্স করা এবং কাজ রিটার্ন দেওয়া খুব দরকার। অন্যথায় ক্লায়েন্ট আপনার প্রতি অখুশি হবে এবং আপনার ফিডব্যাক খারাপ হয়ে যাবে।

একইভাবে কাজের ডেডলাইন মাথায় রেখে সম্পূর্ণ কাজ ডেলিভারি দেওয়াও প্রয়োজন। আপনার সমস্যা থাকবে আবার পরিবারের চাপ থাকবে তবুও সঠিক সময়ে ক্লায়েন্টকে ম্যানেজ করে কাজ করতে পারা একটি দরকারী দক্ষতা। 

রিসার্চ স্কিল তৈরি করুন 

ডাটা এন্ট্রির অনেক কাজ আছে যা আপনাকে ইন্টারনেটের বিভিন্ন জায়গা থেকে তথ্য নিয়ে করতে হবে। দ্রুততর সময়ের মধ্যে সেগুলা না করতে পারলে আপনি ক্লায়েন্টকে খুশি করতে পারবেন না। আর এজন্য আপনার গবেষণার দক্ষতা উন্নত করতে হবে।

সেই সাথে দ্রুত কীভাবে তথ্য খুঁজে পেতে হয় সেই ধারণাও আপনার থাকতে হবে। এসব ব্যাপারে আপনাকে কাজে বিড করার আগেই দক্ষতা অর্জন করতে হবে। এজন্য গুগল এবং সার্চ ইঞ্জিনে কীভাবে তথ্য কালেক্ট করতে হয় তা জানতে হবে।  না হলে আপনি ডাটা এন্ট্রি কাজে সুবিধা করতে পারবেন না। 

ওয়েবসাইট কীভাবে কাজ করে তার বেসিক শিখুন 

অনেক ডাটা এন্ট্রির কাজ আপনাকে অনলাইনেই করতে হবে। হয়তো একটি ওয়েবসাইট দিয়ে দেওয়া হলো সেখান থেকে ডাটাগুলো এক্সেল শিটে নিতে হবে। আপনার এক্সেল থেকে ওয়েবেও ডাটা এন্ট্রি করা লাগতে পারে। সেহেতু এ ধরণের দক্ষতা না থাকলে আপনি পিছিয়ে যাবেন।

এ ধরণের কাজে পেমেন্টও বেশি পাওয়া যায়। ‍সুতরাং একটি ওয়েবসাইটের বেসিক যেমন এইচটিএমএল, সিএসএস বা ওয়ার্ডপ্রেস কীভাবে কাজ করে ইত্যাদি বিষয়ে ধারণা থাকা প্রয়োজন। তাহলে আপনার কনফিডেন্স বেশি থাকবে। 

ডাটাবেজ স্কিল গ্রো করুন 

যেহেতু ডাটা এন্ট্রির কাজ করবেন সুতরাং আপনার অনেক কাজই ডাটাবেজ নির্ভর হবে। যেমন ইকমার্স সাইটে ডাটা এন্ট্রি বা কাস্টমার ডাটা কালেকশন ইত্যাদি। আবার এআই কাজেও ডাটা ইনপুটের প্রয়োজন পড়ে বেশ। আর এক্ষেত্রে আপনার ডাটাবেজ স্কিল না থাকলে বড় বড় ডাটা এন্ট্রি কাজ হারাবেন।

এসব কাজের ভবিষ্যৎ চাহিদাও অনেক। আপনি যতো দ্রুত এসব স্কিল বৃদ্ধি করতে পারবেন ততই ডাটা এন্ট্রি মার্কেটে আপনি ভালো করবেন। শুধু মাত্র টাইপিং স্কিল দিয়ে ডাটা এন্ট্রিতে সামনের দিনগুলোতে ভালো করা কঠিন হবে। 

একুরেসি নিয়ে আসুন 

টাইপিং দ্রুত করা যেমন গুরুত্বপূর্ণ তার থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ একুরেসি ঠিক রাখা। অর্থাৎ আপনার এন্ট্রি যদি ভুল হয় তাহলে তার ফলাফল সঠিক দিবে না। আর ক্লায়েন্ট এ ধরণের ভুল কখনই সহ্য করবেন না। তাদের দরকার একুরেট ডাটা এন্ট্রি।

আর এজন্যই তারা আপনাকে হায়ার করেছে। আর আপনি যদি ভুল তথ্য প্রবেশ করান তাহলে তা কখনই ভালো নয়। আর এজন্য আপনাকে টাইপং স্পিড বৃদ্ধি করার সাথে সাথে একুরেসি নিয়ে ভাবতে হবে। বার বার প্রাকটিস করতে হবে। নিজেকে আপগ্রেড করতে হবে। 

১০টিমওয়ার্ক শিখুন 

এই যুগে এসে একটি অতীব প্রয়োজনীয় দক্ষতা এটি। আপনি টিমওয়ার্ক করতে না পারলে কোন জবেই ভালো করবেন না। আপনার প্রমোশন আটকে যাবে। আর ডাটা এন্ট্রির ক্ষেত্রে টিম ওয়ার্ক করা আরও গুরুত্বপূর্ণ।

কারণ একটি কোম্পানীতে হয়তো ১০ জন ডাটা এন্ট্রি অপারেটর আছেন আর তাদের সাথে আপনার কাজ করতে হবে। সবার সাথে সঠিকভাবে কৌশলী হয়ে কাজ করা ছাড়া আপনি এগিয়ে যেতে পারবেন না। সুতরাং টিমওয়ার্ক কীভাবে করতে হয় এবং কীভাবে আরও ভালো করা যায় সে বিষয়ে নিজেকে প্রস্তুত করতে হবে। 

উপসংহার 

সবশেষে বলবো ডাটা এন্ট্রি বেশ সহজলভ্য কাজ হলেও দিন দিন নিত্য নতুন প্রযুক্তির সাথে যারা মানিয়ে চলতে পারে তাদের চাহিদা বাড়তেই থাকবে। আর বাংলাদেশে থেকেও আপনি ডাটা এন্ট্রির কাজ করে সহজে ২০ হাজারের বেশি ইনকাম করতে পারেন। 

সুতরাং আপনি যদি নিজেকে সেভাবে তৈরি করতে পারেন তাহলে স্টুডেন্ট লাইফে কিংবা গৃহিনীদের সংসারের ব্যস্ততার মাঝে ভালো একটি ইনকাম সোর্স হতে পারে। তাছাড়া যারা জব করেন তারাও নিজের ইনকাম বৃদ্ধির জন্য পার্টটাইম ঘরে বসে বাড়তি ইনকাম করতে পারেন। 

আশা করি ডাটা এন্ট্রি কাজ শুরু করতে এই আর্টিকেল আপনাকে সহায়তা করতে। কোন প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট সেকশনে করুন। আর jinonpataIT থেকেও আপনি ডাটা এন্ট্রি শিখতে পারেন। কোন সাপোর্ট লাগলে যোগাযোগ করুন। ধন্যবাদ। 

Comments (No)

Leave a Reply

এই সাইটের কোন লেখা কপি করা সম্পুর্ন নিষেধ