আস্সালামুআলাইুম…
হ্যালো বন্ধুরা !
জেনে নিন] Article Writing কি? কোথায়? কিভাবে আপনি Article Writing করে টাকা আয় করবেন? সম্পূর্ণ বিস্তারিত। আজ আমি আপনাদের সামনে বিস্তারিত আলোচনা করবো আর্টিকেল রাইটিং কি? কোথায়? কিভাবে আপনি আর্টিকেল রাইটিং করে টাকা আয় করবেন?
তাহলে সাথে থাকুন শেষ পর্যন্ত ,
➥কথা না বাড়িয়ে কাজ এ চলে যাই।
আপনি কি ইংরেজি খুব ভালো জানেন? তাহলে জানুন কীভাবে মাসিক ৫০০ ডলার বা তার বেশী ইনকাম করবেন? কিংবা কীভাবে আর্টিকেল রাইটার হবেন? এবং প্যাসিভ ইনকাম জেনারেট করবেন।
৫০০ ডলার দেখে রিএক্ট না দিয়ে আশা করবো পুরো পোস্টটি পড়বেন। কারণ এই পোস্ট পড়লে আপনি আর্টিকেল রাইটিং শিখতে পারবেন সেই সাথে জানবেন আর্টিকেল রাইটার হলে কোথায় কাজ করবেন কিংবা এফিলিয়েট মার্কেটিং কী কীভাবে করে জানতে পারবেন।
তাহলে শুরু করি, গতকাল আমার একটি পোস্টের সবাই অনেক রিকুয়েস্ট করেছিলেন যে আর্টিকেল রাইটিং সেই সাথে প্যাসিভ ইনকাম নিয়ে কিছু বলি। সবার এতো আগ্রহ দেখে লিখতে বসেই গেলাম। আশা করি শেষ পর্যন্ত দেখলে নিরাশ হবেন না।
আচ্ছা শুরুতেই আমরা জানি আর্টিকেল রাইটিং কী?
ধরুন আমি একটি ব্লগ বানাতে চাই “ বিড়াল নিয়ে” তো আমি আমার ব্লগে পোস্ট দিতে হবে । এখন আমার কিন্তু ব্লগে আর্টিকেল লিখার জন্য মানুষ লাগবে। এবং ব্লগের পোস্ট একটি আর্টিকেল। আর্টিকেলের অনেক ধরন আছে সেটা নিয়ে পরে আলোচনা করতেছি তার আগে বলি “ what is web design “ লিখে গুগলে সার্চ করুন। তারপর যে কনটেন্ট গুলো পাবেন সেগুলোই একেকটা আর্টিকেল। আপনি আপনার স্কুল/কলেজ জীবনের “রচনা’র” সাথে আর্টিকেলের তুলনা করতে পারেন।
এখন কীভাবে আপনি একজন আর্টিকেল রাইটার হবেন?
এই প্রশ্নটি সবার থাকে, যে কীভাবে আমি আর্টিকেল রাইটার হবো। এই প্রশ্নের উত্তর খুজার আগে আপনাকে আরেকটি প্রশ্নের উত্তর খুজতে হবে। যেমন আমি আর্টিকেল লিখে কী করবো? অর্থাৎ আর্টিকেল রাইটার’রা দুইভাবে কাজ করে।
০১। নিজের জন্যঃ নিজের জন্য অর্থাৎ সে তার নিজের ব্লগের জন্য আর্টিকেল লিখে, এটাকে একটু যদি ভেঙ্গে বলি তাহলে সে SEO/ ওয়েব ডেভলোপমেন্ট শিখে বা অন্যের সাহায্য নিজে একটি ব্লগ তৈরি করে । তারপর সেখানে সে ভিবিন্ন টপিকের উপর আর্টিকেল লিখে। সেগুলো মানুষ যখন পড়ে তখন তার এফিলিয়েট থেকে নয়তো গুগল এডসেন্স থেকে ইনকাম হয়। ( এফিলিয়েট মার্কেটিং কী) সেটা নিয়ে পরে বলতেছি।
২। ক্লাইন্টের কাজ কিংবা মার্কেটপ্লেসে কাজ করেঃ এই পয়েন্টটি ভেংগে বলি তাহলে সে ফাইবার বা অনলাইন মার্কেটে প্লেসে ক্লাইনটকে অফার করে আমি একজন আর্টিকেল রাইটার আমি এতো টাকায় আপনাকে এতো শব্দের আর্টিকেল লিখে দিবো। আবার আর্টিকেল বেচাকেনার অনলাইনে অনেক ওয়েবসাইট আছে। সেখানে ও অনেক মানুষ আর্টিকেল জ্বমা দেয়। এপ্রুভ হয়ে গেলে একটি টাকা পায়। সাইট লিংকগুলো পরে দিচ্ছি।
আশা করি উপরে পরে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন আপনি আর্টিকেল হয়ে নিজের জন্য নাকী ক্লাইন্টের জন্য কাজ করবেন।
ধরে নিলাম আপনি চাচ্ছেন নিজের জন্য আর্টিকেল লিখতে চাচ্ছেন তাহলে আপনাকে কী করতে হবে?
ওয়েল, আপনাকে এখন ব্লগিং বা এফিলিয়েট সেক্টর বেছে নিতে হবে।
এফিলিয়েট মার্কেটিং কী? কিংবা একটি এফিলিয়েট সাইট তৈরি করতে কী কী লাগে?
এফিলিয়েট মার্কেটিং কী সেটা যদি সহজে বলি তার উত্তর হলোঃ অনলাইনে ভিবিন্ন বড় বড় কোম্পানির জিনিষ গুলো আপনি “বিক্রি করে” দিবেন । বিনিময়ে সেটির কমিশন পাবেন। আরো সহজ করে যদি বলি “ ধরেন আপনার মুখের ভাষা অনেক কিউট, আপনি সহজেই মানুষ পটাতে পারে” এখন আপনার এলাকার বড় কোন দোকান থেকে এক কেজি তেল নিয়ে একটি ভালো রিভিউ দিয়ে আপনার পরিচিত কারো কাছে বিক্রি করে দিলেন” এখন ঐ যে আপনি বড় দোকানের তেল আপনার কারো কাছে রিভিউ দিয়ে বিক্রি করিয়ে দিয়েছেন তার বিনিময়ে বড় দোকানদার আপনাকে ১০% বা বেশী কমিশন দিলো। ঐ কমিশন জিনিষটাই হলো এফিলিয়েট।
এখন এই অফলাইনের এফিলিয়েট সিস্টেমটাকে যদি আমরা অনলাইনে তুলনা করি তাহলে কাহিনী এমন হয় “ আমি একটি ওয়েবসাইট তৈরি করলাম, সেখানে আমি কম্পিউটার নিয়ে ভালো ভালো টিপস দিলাম, টিপসের পাশে অনলাইনের কোন বড় শপ (আমাজন) এর কম্পিউটার এর লিংক এড করে দিলাম, সেখানে লিখে দিলাম এই কম্পিউটারটি যদি কিনতে চান তাহলে এখান থেকে কিনতে পারেন। যখন আপনার ওয়েবসাইটে এসে কেও ভিজিট করে এবং সে যদি ইম্প্রেস হয়ে আপনার দেওয়া লিংক হতে কম্পিউটারটি কিনে ফেলে তাহলেই আমাজন থেকে আপনাকে কমিশন দিবে।
আশা করি এফিলিয়েট জিনিষটা কী কিংবা কীভাবে কাজ করে বুঝতে পেরেছেন।
তাহলে চলুন এখন জানি একটি এফিলিয়েট ওয়েবসাইট তৈরি করতে কী কী লাগে?
সর্বপ্রথম আপনাকে নিশ সিলেক্ট করতে হবে। নিশ কী?ঐ যে আপনি কোন টপিক নিয়ে কাজ করবেন সেটা রিসার্চ করতে হবে, কারণ অনলাইনে লাখ লাখ টপিক আছে।
নিশ ঠিক করার পর আপনাকে নিশ রিলেটেড কি ওয়ার্ড বাচাই করতে হবে। এখন কিওার্ড কীভাবে বের করবেন?
যেমন ধরেন আপনি নিশ বের করেছেনঃ ল্যাপটপ। এখন আপনাকে ল্যাপটপ রিলেটেড কি ওয়ার্ড বের করতে হবে। যেমন best laptop under 1000$
কী শিখলে বা কোথা থেকে নিশ বা কিওার্ড বের করতে পারবেন?
আপনি SEO শিখলেই এগুলো বের করতে পারবেন। এই লিংক হতে ফ্রিতে SEO টি কোর্সগুলো করলে আশা করি সব বুঝতে পারবেন।
ধরে নিলাম আপনি নিশ কিওায়ার্ড বের করে ফেললেন, এখন আপনাকে একটি ডোমেইন বাছাই করতে হবে। ডোমেইন কী আশা করি সেটা সবাই জানি। ডোমেইন বাচাই করার আমরা যে কনটেন্ট লিখবো সেটার জন্য যায়গা দরকার হবে। যায়গা অর্থাৎ হোস্টিং লাগবে। তাই আমাদের ডোমেইন হোস্টিং’র দরকার হবে।
প্রশ্ন হবে ডোমেইন হোস্টিং’র দাম কত হবে?
ডোমেইন হোস্টিং’র দাম ডিপেন্ড করে কত টুকু লাগবে। তবে ৮০০ টাকায় .com ডোমেইন আর ১/২ হাজার টাকায় হোস্টিং পেয়ে যাবেন। ডোমেইন হোস্টিং কিনার পর আপনাকে একটি ওয়েবসাইট বানাতে হবে। যদি ডেভলোপার দিয়ে বানাতে চান তাহলে আপনাকে হয়তো এক্সটা খরচ দিতে হবে, আর যদি নিজে বানাতে চান তাহলে WORDPRESS শিখে বানাতে পারবেন। ওয়ার্ডপ্রেস কী? ওয়ার্ডপ্রেস হলো কনটেন্ট ম্যানেজমেন্ট সফটওয়ার। আপনার কন্টেন্ট গুলো এডিট বা ম্যানেজ করার জন্য ওয়ার্ডপ্রেস।
ওয়ার্ডপ্রেস কোথা থেকে শিখবেন? এখান থেকে ওয়ার্ডপ্রেস শিখতে পারেন অথবা যদি মনে করেন ওয়ার্ডপ্রেস আরো প্রোফেশনালি শিখবো তাহলে Learnwithsfর ৩য় ব্যাচের জন্য আবেদন করতে পারেন।
যাই হউক আপনি ওয়ার্ডপ্রেস শিখে মোটামোটি সাইট রেডি করে ফেলেছেন। আবার আপনি SEO শিখে কিওয়ার্ড ও বাচাই করেছেন। তাহলে এখন কাজ কী? কাজ হলো কনটেন্ট লিখা। কী কনটেন্ট লিখবেন? সেটা তো আগেই বলেছি।
কন্টেন্ট লিখার আগে আপনাকে এফিলিয়েট আরো ডিপ জানতে হবে। এফিলিয়েট নিয়ে আরো ডিপ জানতে এই কোর্সটি দেখতে পারেনঃ
এখন আপনার প্রশ্ন হবে নিজের জন্য আর্টিকেল লিখে ওয়েবসাইট বানিয়ে কত ভাবে ইনকাম করতে পারবো?
০১। আপনি এফিলিয়েট সাইট থেকে ইনকাম করতে পারবেন।
এফিলিয়েট কোন সাইটের করবো?
বিশ্বের প্রায় সকল ওয়েবসাইট এফিলিয়েট ওয়েবসাইট এফিলিয়েট অফার করে। আপনার সুবিধার জন্য কিছু সাইটের নাম দিলাম।
০২। আপনি ব্লগিং ওয়েবসাইট করে গুগল এডসেন্স বা অন্য কোন এড ওয়েবসাইটের এড থেকে আর্নিং করতে পারবেন।
সহজ কথায় আপনি যদি আপনার কন্টেন্ট দিয়ে ওয়েবসাইটে ট্রাফিক নিয়ে আসতে পারেন তাহলে যে কোন ভাবেই ইনকাম করতে পারবেন। তবে গুগল এডসেন্স নিয়ে না জানলে এই কোর্সটি করতে পারেনঃ
আশা করি নিজে কীভাবে কন্টেন্ট রাইটিং করে ইনকাম করতে পারবেন সেটি বুঝতে পেরেছেন।
এখন আসি কীভাবে মার্কেটপ্লেসে কাজ করবেন?
মার্কেটে প্লেসে যদি কাজ করতে চান তাহলে সবার আগে প্রোটফলিও তৈরি করে নিবেন, অর্থাৎ আপনি যে ভালো লিখতে পারেন সেটার প্রমান আগে তৈরি করে নিবেন। এখন আপনার প্রশ্ন হবে আমি আমার লিখা কোথাও লিখবো? আপনি কি মাল্টিব্লগ সাইট গুলোতে ফ্রিতে কিছু লিখা দিতে পারেন।
নিচে কিছু সাইটের তালিকা দিলাম সেখানে লিখতে পারেনঃ
Medium.com এটি অনেক জনপ্রিয় একটি সাইট এখানে একাউন্ট করে খুব সহজেই আর্টিকেল লিখতে পারবেন , এবং ভালো টপিক হলে হাজার হাজার মানুষ পড়বে।
আপনি কোয়ারাতে নিজের লিখাগুলো দিতে পারেন।
যদি মনে করেন আমি আমার নিজের সাইটে আমার প্রটফলিও রাখবো তাহলে আপনি ২ টি কাজ করতে পারেন এক ওয়ার্ডপ্রেস শিখে নিজের প্রটফলিও ওয়েবসাইট বানাতে পারেন। আর যদি মনে করেন ইনভেস্ট না করে ফ্রিতে কোথাও নিজের নাম নিয়ে একটি সাইট করে লেখা গুলো রাখবেন তাহলে অথবা ব্যাবহার করতে পারেন। এই সাইটগুলোর কাজ খুবই সহজ। একবার লগিন করলে বা ইউটিউবে how to create blogger website লিখে সার্চ করলেই ভিডিও পেয়ে যাবেন।
প্রটফলিও তৈরি করার পর মার্কেট প্লেসে কন্টেন্ট রাইটিং এর সার্ভিস দিতে পারেন।
মার্কেট প্লেস গুলার মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় ফাইভার।
এখানে গিগ করে আপনি কাজ করতে পারেন, তবে ফাইভার নিয়ে বিস্তারিত জানতে এই ওয়েবসাইট গুলোতে কাজ করতে পারেন।
নোটঃ যে ওয়েবসাইটে কাজ করতে চান সেই ওয়েবসাইটে ডুকে আগে সব রুলস পড়ে নিবেন।
তাছাড়া আপনি চাইলে আপনার লেখা আর্টিকেল ভিবিন্ন ওয়েবসাইটে বিক্রি করতে পারেবন। নিচে কিছু সাইটের তালিকা দিলাম যেখানে আপনি আর্টিকেল বিক্রি করতে পারবেন।
নোটঃ প্রতিটি সাইটের আলাদা রুলস আছে। এবং প্রতিটি সাইট একেক রেইটে পেমেন্ট করে। সুতরাং যেখানেই কাজ করবেন, কাজ করার আগে তাদের ট্রামস এন্ড কন্ডিশন পড়ে নিবেন। আশা করি এইবার ক্লিয়ার হয়ে গেছেন কোথায় কাজ করতে হবে।
এখন কিছু কমন প্রশ্নের উত্তর দেইঃ
আমি কী বাংলায় আর্টিকেল লিখতে পারবো? কিংবা আর্টিকেল রাইটার হতে হলে কেমন ইংলিশ জানতে হবে?
আপনি চাইলে বাংলায় আর্টিকেল লিখতে পারেন, তবে আহামরি পেমেন্ট পাবেন না। তবে এটা আপনাকে খুজে নিতে হবে। আর আর্টিকেল রাইটার হতে হলে আপনাকে অব্যশই ভালো ইংলিশ জানতে হবে। আপনি আর্টিকেল রাইটিং নিয়ে আরো বিস্তারিত জানতে বা বুঝতে এই কোর্স গুলো ফলো করতে পারেনঃ
আর্টিকেল রাইটার হতে হলে আমার কী পিসি থাকা লাগবে?
নাহ, আর্টিকেল রাইটিং আপনি মোবাইল দিয়েই করতে পারবেন। কেননা স্পেশাল কোন টুলস দরকার পরে না, যে টুলস গুলো লাগে যেমন ওয়ার্ড/নোটপ্যাড ইত্যাদি মোবাইল দিয়েই ব্যাবহার করতে পারবেন।
নিচে কিছু টুলসের নাম দিলাম যেগুলো আর্টিকেল রাইটার হতে হলে আপনার দরকার লাগবেঃ
এবার কিছু টিপসঃ
০১। আপনাকে প্রোফেশনাল আর্টিকেল রাইটার হতে হলে বড় বড় রাইটারদের অনুসরণ করতে হবে, এ ক্ষেত্রে মিডিয়াম , বা হাবস্পট এর মত ওয়েবসাইট গুলো অনুসরণ করবেন।
০২। রিসার্চ করা জানতে হবে, এ ক্ষেত্রে কিওার্ড প্ল্যানার টুলস গুলো ব্যাবহার করবেন।
০৩। বিকল্প খুজা জানতে হবে, যেমন ধরেন আপনি আইরাইটারে লিখবেন বলে নিয়ত করেছেন, কোন কারণে মুড চাচ্ছে না, সে ক্ষেত্রেএই ওয়েবসাইটে গিয়ে যে সাইটের বিকল্প খুজবেন তার নাম লিখতে পারেন।
০৪। তাড়াহুড়া করা যাবে না, যেই কাজ করেন যেই আর্টিকেল লিখেন টান্ডা মাথায় ভেবে চিনতে রিসার্চ করতে পারেন।
০৫। প্রতিটি আর্টিকেলে ইমেইজ ব্যাবহার করবেন। তবে ক্লাইন যদি না বলে তাহলে ব্যাবহার করার দরকার নাই। আপনি যদি কপিরাইট ফ্রি ইমেজ ব্যাবহার করতে চান তাহলে এই পোস্ট দেখতে পারেনঃ
০৬। ইউনিক হবার চেষ্টা করবেনঃ যেই আর্টিকেল লিখবেন সেটি অন্যের চেয়ে আলাদা করার চেষ্টা করবেন। নিঞ্জা আর্টিকেল রাইটার হবার এই পোস্টটি পড়তে পারেনঃ
০৭। অপেক্ষা করা শিখতে হবেঃ আপনি যদি লিখতে লিখতে ওর্ডার না পান সে ক্ষেত্রে হাল ছেড়ে দিবেন না, অপেক্ষা করবেন, ধৈর্য ধরবেন। কারণ অপেক্ষা না করলে সফল হওয়া যায় না। যখনি মনে করবেন ব্যার্থ হয়ে যাচ্ছি তখনি চিন্তা করবেন যারা সফল তাদের দুই হাত থাকলে আমার দুই হাত দিয়ে আমি পারি না কেনো?
০৮। ফ্রিল্যান্সিং রিলেটেড গ্রুপ গুলোতে এক্টিভ থাকুনঃ কারণ এই সব গ্রুপ গুলোতে অনেকের রাইটার এর দরকার হয় এবং তারা পোস্ট করে, যেমন আমার অনেক রাইটার লাগে আমি এবং আমি সফল ফ্রিল্যান্সার গ্রুপে পোস্ট দেই যাতে আমি অনলাইনে ঝামেলায় না গিয়ে সরসরি রাইটার্স পেয়ে যাই। তাই ঐ সব পোস্টে রেস্পন্স করবেন। কম রেইটে হলে ও কাজ করে দেওয়ার চেষ্টা করবেন।
০৯। নিজের স্কিল বাড়ানঃ প্রতিদিন নতুন কিছু শিখার চেষ্টা করুন, নতুন কিছু করার প্ল্যান করুন। নতুন কোন আইডিয়া জেনারেট করুন।
১০। SEO শিখুনঃ চেষ্টা করবেন আর্টিকেল রাইটিং এর সাথে সাথে SEO শিখতে। বা এট লিস্ট বুঝতে SEO কী? কারণ SEO ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লিখলে আপনার অনেক ডিমান্ড বেড়ে যাবে।
এখন আসি প্যাসিভ ইনকাম নিয়ে
প্যাসিভ ইনকাম কী?
ধরুন আপনি বিয়ে করেছেন তারপর হানিমুনে গিয়ে ৩ মাস কাজ থেকে দূরে আছেন। এখন ঐ ৩ মাসে যেই টাকাটা আসবে আপনি না থাকা সত্তেও যে এমাউন্ট জেনারেট হবে সেটিই প্যাসিভ ইনকাম।
কীভাবে প্যাসিভ ইনকাম জেনারেট করবেন?
আপনি যদি একটি ভালো এফিলিয়েট ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন এবং এটি যদি র্যাংক করে ফেলে তাহলে আপনি ৩ মাস কাজ না ও করলে আপনার সাইটে মানুষ আসবে, প্রোডাক্ট কিনবে আপনি কমিশন পাবেন। প্যাসিভ ইনকাম তৈরি করার আগে স্কিল তৈরি করেন। দেখবেন প্যাসিভ ইনকামের অনেক রাস্তা আপনার অজান্তেই তৈরি হয়ে গেছে।
এইবার কিছু পরমার্শঃ
যদি আপনি মনে করেন আপনি একটি এফিলিয়েট সাইট তৈরি করবেন সে ক্ষেত্রে গ্রুপিং হিসাবে কাজ করতে পারেন। যেমন আমরা উপরে পড়ে জেনেছি এফিলিয়েট সাইট তৈরি করতে হলে SEO সহ ওয়েব ডেভলোপেমেন্ট শিখতে হয়। এ ক্ষেত্রে একা যদি মনে করেন সব শিখতে পারবেন না তাহলে আপনার বেস্ট ফ্রেন্ড’রা মিলে গ্রুপ করতে পারেন, যেমন রুমন তুই ওয়ার্ডপ্রেস শিখ, ঝুমন তুই SEO শিখ, আর আমি সুমন কন্টেন্ট লিখবো। তাহলে দেখবেন সহজেই একটি সাইট দাড় করাতে পারবেন।
গ্রুপিং করে শিখতে গেলে মেন্টর এর দরকার লাগবে! হ্যা অব্যাশই লাগবে। তবে চিন্তার কিছু নাই। আমি আছি। জাস্ট গ্রুপ খুলে আমাকে এড করে দিবেন, ফ্রি হলে গাইড দেওয়ার চেষ্টা করবো। তবে এর আগে নিজেরা ৩০% ব্যাসিক শেষ করতে হবে। আর শিখতে হলে কোথা থেকে শিখবেন? উপরে আমি সব কিছুর ফ্রি কোর্স দিছি অথবা এডভান্স কিছু লাগলে সফল ফ্রিল্যান্সার – Sofol Freelancer বা Home IT Freelancer bd গ্রুপে পোস্ট করলেই বা খুজলেই পেয়ে যাবেন।
০১। আপনি যদি কোন ভাবে এই পোস্টের কথা ভুলে যান তাহলে যখনি প্রোফাইলে ডুকবেন তখনি সামনে আসবে এবং মনে করিয়ে দিবে আমাকে চেষ্টা করতে হবে।
নোটঃ আমার প্রোফাইলে ডুকে প্রোফাইল থেকে শেয়ার করবেন, কারন গ্রুপ প্রাইভেট শেয়ার করা যাবে না। আর আমাকে মেসেজ দেওয়ার আগে ফ্রেন্ডরিকুয়েস্ট দিবেন। কারণ আমি মেসেঞ্জার খুব কম চালাই/ কোন সমস্যা হলে আগে গ্রুপে পোস্ট করবেন তারপর একান্ত দরকার হলে ইনবক্স।
০২। আপনার কোন বন্ধু দেখে সে তার জীবন পরিবর্তনের রাস্তা দেখতে পারেন।
অনেক লম্বা লেখা পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আর কিছু বানান ভুল আছে , আশা করি ইগ্নোর করবেন, কারণ আমি বাংলা বেশ ভালো লিখতে পারি না।
আশা করি আবারো দেখা হবে নেক্সট কিছু নিয়ে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকুন এবং কোন প্রশ্ন থাকলে করুন।
➥সকল প্রকার টিপস পেতে ট্রিকবিডির সাথে থাকুন।
আশা করি আপনাদের ভাল লেগেছে…।
ধন্যবাদ সবাইকে…সবাই ভালো থাকবেন ধন্যবাদআজ এ পর্যন্তই আল্লাহ হাফেজ
Comments (No)