গবাদি পশু-পাখি পালনের মাধ্যমে আর্থিক স্বচ্ছলতার স্বপ্ন দেখছে কৃষি শ্রমিকরা

গবাদি পশু-পাখি পালনের মাধ্যমে আর্থিক স্বচ্ছলতার স্বপ্ন দেখছে কৃষি শ্রমিকরা
গবাদি পশু-পাখি পালনের মাধ্যমে আর্থিক স্বচ্ছলতার স্বপ্ন দেখছে কৃষি শ্রমিকরা
গবাদি পশু-পাখি পালনের মাধ্যমে আর্থিক স্বচ্ছলতার স্বপ্ন দেখছে কৃষি শ্রমিকরা বাঙ্গালী কণ্ঠ ডেস্কঃ  গৃহ পালিত পশু-পাখিকে ৭টি ভাগে ভাগ করে পালন করছেন কুষ্টিয়ার কৃষকরা। আবাদি জমি হ্রাস পাওয়া এবং ভুমিহীনের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় গবাদি পশু-পাখি পালনের মাধ্যমে আর্থিক স্বচ্ছলতার স্বপ্ন দেখছে ভূমিহীন কৃষি শ্রমিকরাও। স্বল্প পুজি বিনিয়োগের মাধ্যমে অল্প সময়ের মধ্যে সফলতার নিশ্চয়তা থাকায় নির্ভরশীলতা বাড়ছে গবাদি পশু-পাখির উপর। এর ফলে যেমন আর্থিক স্বচ্ছলতা ফিরে পাচ্ছেন গবাদি পশু-পাখি পালনকারীরা, অপরদিকে আমিষের চাহিদা পূরণে ভুমিকা রাখতে সক্ষম হচ্ছে তারা। গাভী, ষাড়, ছাগল, ভেড়া, হাঁস, লেয়ার মুরগী ও ব্রয়লার মুরগীর খামার গড়ে ওঠছে জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে। আর এসব খামারীদের অধিকাংশই শিক্ষিত ও অর্ধশিক্ষিত বেকার যুবক।লা প্রাণীসম্পদ বিভাগের তথ্যমতে কুষ্টিয়ায় দুগ্ধ উৎপাদনকারী খামারের সংখ্যা ১২৩৩টি।

গরু মোটা-তাজাকরণ খামার ২৭১টি, ছাগলের খামার ২৪১টি ভেড়ার খামার ১৬৭টি, হাঁসের খামার ৫২টি, লেয়ার মুরগীর খামার ২০১টি এবং ব্রয়লার খামার ৮৪৬টি। এসব খামারে প্রায় সাড়ে ৭ লাখ গৃহপালিত পশু এবং ২ কোটির উপরে গৃহপালিত পাখি পালন করা হচ্ছে।

এসব খামারে ৪ লাখ ৫ হাজার ২৫৫টি গরু, ৩ হাজার ২টি মহিষ, ৩ লাখ ৮৮৯টি ছাগল, ৩ হাজার ১৪২টি ভেড়া এবং ২৫৮টি ঘোড়া পালিত হচ্ছে। কুষ্টিয়ার প্রত্যন্ত অঞ্চলে কৃষকের বাড়িতে ছোট ছোট খামার আকারে পালিত হচ্ছে ১ কোটি ৯৬ লাখ ৪৪ হাজার ৭৭৪টি মুরগী, ৩ লাখ ৫৭ হাজার ৫১টি হাস।

এছাড়া সম্প্রতি বানিজ্যিকভাবে কুষ্টিয়ায় পালিত কবুতরের সংখ্যাও প্রায় ৪৭ হাজার। গৃহ পালিত এসব পশু-পাখি আমাদের আমিষের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি আর্থিক স্বচ্ছলতা এনে দিচ্ছে। আবার প্রতি বছর সরকার এ খাত থেকে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে সক্ষম হচ্ছে।

কৃষি নির্ভর অর্থনীতির বাংলাদেশে একদিকে আবাদি জমি হ্রাস অপর দিকে জনসংখ্যা বৃদ্ধি। এ দুয়ের সমন্বয় না ঘটায় দিন দিন বেকারত্বের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে আর্থিক অসঙ্গতির পাশাপাশি গ্রামাঞ্চলের মানুষের মাঝে পুষ্টিহীনতা প্রকট আকার ধারণ করছে।

নিজেদের তাগিদে দেশের কৃষক, ভূমিহীন কৃষক, কৃষি শ্রমিক, বেকার কৃষক পরিবার সদস্যরা গবাদি পশু-পাখি পালনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখলেও দুর্যোগকালীন সময়ে এদের জন্য সহযোগীতার হাত সুদুর প্রসারী হচ্ছে না। এর ফলে প্রায় বছরই দেখা যায় গবাদি পশু-পাখি পালনকারীরা নানাভাবে হয়রানির শিকার।

তবে পুনর্বাসিত হচ্ছে না। এর ফলে সম্ভাবনা সত্বেও আশানুরূপ সফলতা আসছে না এ খাতে। ভূমি হ্রাসের কারণে গ্রামাঞ্চলের কৃষক পরিবারে যে আর্থিক দৈন্যতার সৃষ্টি হয়েছে তা কাটিয়ে উঠতে নির্ভরশীলতা বাড়াতে হবে গবাদি পশু-পাখি পালনে। তবে তার আগে প্রয়োজন কৃষক, কৃষি শ্রমিক, কৃষক পরিবারের বেকার যুবক ও যুবমহিলা বাছাই পূর্বক প্রশিক্ষনের পাশাপাশি আর্থিক সহযোগীতা প্রদান এবং আপদকালীন সহযোগীতা সৃষ্টি করা।

Comments (No)

Leave a Reply

এই সাইটের কোন লেখা কপি করা সম্পুর্ন নিষেধ