এই ইন্টারনেটে কাজ করার সবথেকে বড় সুবিধা হলো যেখানে খুশি বসে অনলাইনে কাজ করা যায়। শুধু একটা ল্যাপটপ আর একটা ইন্টারনেট কানেকশন থাকলেই হয়ে যায়। তবে এটা থেকে কিন্তু রাতারাতি কোটিপতি হওয়া যায় না, আর যদি কেউ এমন স্বপ্ন দেখায় তাহলে সাবধান, কারণ এতে ঠকার সম্ভাবনা থাকে শতকরা ৯৯ ভাগ।
কী ভাবে বাড়িতে বসেই আয় করুন ২০০০০ টাকার বেশি এই পদ্ধতিতে আস্তে আস্তে প্রায় দ্বিগুণ হচ্ছে ইন্টারনেটের জনপ্রিয়তা। আরও বেশি অনলাইন দুনিয়ায় আসছেন। দরকারি কোনও তথ্য হোক অথবা বিনোদন মানুষ এসব সবই এখন খুঁজে নিচ্ছেন ইন্টারনেটে। আবার ইন্টারনেট থেকে আয়ের সুযোগও করে নিচ্ছেন অনেকে। আসুন জেনে নিই সেই আয়ের উপায় গুলো কি কি?
বিভিন্ন উপায়ে আপনি অনলাইন থেকে আয় করতে পারেন। তবে অনলাইনে রোজগার করাটাও কিন্তু খুব পরিশ্রমের কাজ। আসুন জেনে নেওয়া যাক কী কী ভাবে আয় করা যেতে পারে অনলাইনে!
ফ্রিল্যান্সিং : আপনি যদি অনলাইনে আয় করতে চান তাহলে তার সব থেকে জনপ্রিয় উপায় হল এই ফ্রিল্যান্সিং। আপনার দক্ষতা অনুসারে আপনি ফ্রিল্যান্সিং করতেই পারেন। প্রযুক্তির জ্ঞান যাঁদের আছে তাঁরা সহজেই এই পদ্ধতিতে আয় করতে পারেন। গ্রাফিক্স ডিজাইনার ও অনুবাদকরাও এখানে কাজ পেতেই পারেন। এমন অনেক ওয়েবসাইট আছে যারা ফ্রিলান্সারদের কাজ দিয়ে থাকে। সেজন্য সেই ওয়েবসাইটে আপনাকে আগে লগ ইন করতে হবে। তভে হ্যাঁ একটা কথা, প্রথমেই কিন্তু চুক্তির যাবতীয় শর্ত ও দেনা পাওনা বুঝে কাজে যোগ দেবেন। নইলে কিন্তু ঠকে যেতে পারেন।
ব্লগিং : ওয়েবসাইটের মতোই কিন্তু ব্লগ খুলেও আপনি আয় করতে পারেন। ওয়েবসাইটের থেকে ব্লগ তৈরির খরচ অনেকটাই কম। বিনামূল্যেও আপনি ব্লগ খুলতে পারেন। আবার ব্লগ খুলে আপনি শুধু বসূ থাকলেন তাতে কিন্তু আপনার আয় হবেনা। নিয়মিত সেই ব্লগ আপডেট করতে হবে। প্রায় বছরখানেক অপেক্ষা করলেই আপনি ফল পাবেন।
ইউটিউব : এখন তো সর্বত্রই ইউটিউবের জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। আপনি আপনার পছন্দের বিষয় নিয়ে ইউটিউবে ভিডিও বানিয়ে আয় করতে পারেন। সেক্ষেত্রে কিন্তু আপনার সম্পাদনা করার দক্ষতাও থাকতে হবে। নইলে যদি আপনি পয়সা দিয়ে সম্পাদনার কাজ করতে যান তাহলে দেখবেন আপনার লাভের গুড় পিঁপড়েয় খাচ্ছে।
ওয়েবসাইট তৈরি : নিজেই একটা ওয়েবসাইট বানিয়ে নিন, সেখান থেকেও আয় হবে। আপনার যে ব্যাপারে দক্ষতা আছে বেই বিষয়েও ওয়েবসাইট বানাতে পারেন। ওয়েব সাইট তৈরি হয়ে গেলে তা গুগল অ্যাডসেন্সের সঙ্গে অ্যাড করে নিন ব্যাস তাহলেই, কেল্লা ফতে। পাঠকেরা যত আপনার ওয়েবসাইট পড়বে ততই আপনার আয় হতে থাকবে।
সমীক্ষা সার্চ ও রিভিউ : অনলাইন সমীক্ষায় অংশগ্রহণ করেও আপনি আয় করতে পারেন। এছাড়া অনলাইন সার্চ করেও রোজগারের সুযোগ আপনি পাবেন। বিভিন্ন পণ্যের রিভিউ লিখেও আপনি আয় করতে পারেন।
অনুবাদক : আপনার যদি বিভিন্ন ভাষায় দক্ষতা থাকে তাহলে আপনি অনুবাদক হিসাবেও কাজ করতে পারেন। বিভিন্ন নথি যদি আপনি অনুবাদ করে দেন তাহলে আপনি শব্দপিছু অর্থ পাবেন। তবে ভারতীয় ভাষায় অনুবাদের কাজ কিন্তু তেমন আর মেলে না। সেজন্য সবসময় বিদেশি ভাষাই প্রাধান্য পায়।
অনলাইন শিক্ষকতা : অনলাইন গৃহশিক্ষকতার প্রবণতা এখন গোটা বিশ্বে দিন দিন বাড়ছে। ভারতও তার ব্যতিক্রম নয়। আপনার যদি কোনও বিষয়ে দক্ষতা থাকে তাহলে সেই বিষয় নিয়ে আপনি অনলাইনে পড়াতেই পারেন। সেক্ষেত্রে আপনার ছাত্র দেশে বা বিদেশে যে কোনও জায়গায় থাকতে পারে। বেশ কিছু ওয়েবসাইট আছে যারা এই ধরণের পঠনপাঠন পরিচালনা করে থাকে। তবে সেক্ষেত্রে সেখানে যুক্ত হওয়ার আগে আপনাকে পরীক্ষা দিয়ে ওয়েবসাইট কর্তৃপক্ষের কাছে আগে নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করতে হবে।
লেখালিখি : যাঁদের লেখার হাত ভাল তাঁরা কনটেন্ট রাইটিং-এর কাজ ও অরতে পারেন। এই পেশায় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে লিখে আপনাকে নির্দিষ্ট সংস্থার কাছে পাঠাতে হবে এবং সেই সংস্থা আপনাকে শব্দপিছু পারিশ্রমিক দেবে। প্রত্যেকটি ব্যাবসায় করে খুব ভালো taka income করতে পারবেন দরকার দুটো জিনিস কিছু ধৈর্য আর একটু টেকনোলজির ব্যবহার কারণ আমি আপনি সবাই জানি ইন্টারনেট এর ক্ষমতা কতটা।
কিছু ভালো টাকা ইনকাম করতে একটু বুদ্ধি দিয়েই কম technologyর ব্যবহার করে রোজকার করতে পারবেন।
পরের লেখায় আরো কিছু ভালো ভালো business idea নিয়ে কথা বলার সাথে সাথে কম ইনভেস্ট করে কিভাবে আয় হবে সে সম্পর্কে জানতে পারবেন।