WordPress ব্যবহারের সাধারণ Guid

WordPress ব্যবহার করা তুলনা মূলক অনেক সহজ। কারণ এর সহজ এবং ব্যবহার বান্ধব ডিজাইন, মেনু এবং অন্যান্য বৈশিষ্টর কারণে। আপনি খুব সহজেই WordPress শিখে নিতে পারবেন এবং সেই সাথে সহজেই যেকোনো পরিবর্তন, পোস্ট ইত্যাদি করতে পারবেন। এজন্য আপনাকে কোডিং শিখার ঝামেলাতেও যেতে হবে না।

Wordpress ব্যবহারের সাধারণ Guid

*.আপনার WordPress সাইটে কোন কিছু বদলাতে হলে প্রথমে লগইন (Login) করুন।

*.লগইন করার পরে ড্যাশবোর্ড (Dashboard) আসবে যা আপনার প্রধান এডমিনিস্ট্রেটর (Administrator) হোমপেজ (Homepage).

*.ড্যাশবোর্ড ও অন্যান্য সকল পেজের উপরের দিকে আপনার সাইটের নাম (Title) দেখতে পাবেন। *.যখনি WordPress কোন নতুন সুবিধা যোগ হবে, আপনি তা ‘নিউ ফিচার পয়েন্টার’ হিসেবে দেখতে পাবেন। এই পয়েন্টারটির নিচে ডিসমিস বাটনে ক্লিক করলে পয়েন্টারটি চলে যাবে।

*.আপনি যদি আপনার সাইটে এডমিনিস্ট্রেটর হিসেবে লগইন করে ঢোকেন, তাহলে স্ক্রিনের (Screen) উপরের দিকে টুলবার (Toolbar) দেখতে পাবেন। কিন্তু লগইন না করে ঢুকলে দেখতে পাবেন না। অর্থাৎ আপনার ভিজিটররাও (Visitor) লগইন না করলে এই টুলবারটি দেখতে পাবে না।

*.আপনার ব্লগের থিম (Theme) বদল করতে এবং ব্লগ (Blog) কমেন্ট (Comment) দেখতে অথবা এডিট করতে টুলবার অপশনটি খুবই কাজের একটি ফিচার। এছাড়াও নতুন পোস্ট, পেজ, মিডিয়া (Media) অথবা ইউজার (User) যোগ করতে, কোন পেজ অথবা পোস্ট এডিটকরতে, সাইট সার্চ করতে, নিজের প্রোফাইল দেখতে অথবা এডিট করতে এবং আপনার সাইট থেকে এডমিনিস্ট্রেটর হিসেবে লগআউট করতে এই ফিচারটি (Feature) কাজে লাগে।

*.Wordpress তৈরি করা হয়েছে মূলতঃ পোস্ট এবং পেজ-এই দুটি ধারণার উপর ভিত্তি করে। পোস্ট হচ্ছে ব্লগ এন্ট্রি। আর পেজ হচ্ছে স্ট্যাটিক (Static) কনটেন্ট। পোস্টকে আপনি এর ধরণ অনুযায়ী ভাগ করতে এবং ট্যাগ করতে পারবেন। কিন্তু পেজে আপনি এই দুটোর কোনটাই করতে পারবেন না।

*.আপনার যদি ব্লগ পোস্টের ফরম্যাট (Format) পছন্দ না হয় তাহলে তা বদলাতে পারবেন।

*.ইমেজ (Image) বাটনের মাধ্যমে আপনি আপনার ইচ্ছেমত ছবি (Photo) অথবা ভিডিও (Video) যুক্তকরতে পারবেন। যেসব কারণে WordPress শেখা আপনার জন্য জরুরী ইন্টারনেটের উন্নতির সাথে সাথে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর গুরুত্ব আগের চেয়ে বহুগুণে বেড়ে গেছে। সেই সাথে তরুণ প্রজন্মের মতামত জানতে অথবা নিজের মতামত তাদের জানাতেব্লগিং(Blogging) এখন খুবই জনপ্রিয়। আরব্লগিংএর জন্য সবচেয়ে বেশিব্যবহার করা হয়ওয়ার্ডপ্রেস (WordPress)।

আর তাই আপনি যদি প্রফেশনালী ভালো অবস্থানে যেতে চান,তাহলে আপনাকে অবশ্যইওয়ার্ডপ্রেসশিখতে হবে।Wordpress হচ্ছে ফ্রি এবং ওয়েব বেসড ওপেন সোর্স (Open Source) সফটওয়্যার (Software)। অর্থাৎ ডেভেলপাররা চাইলেই তাদের নিজেদের মত করে পরিবর্তন করে নিতে পারে।

ওপেন সোর্স সফটওয়্যারের ফ্লেক্সিবিলিটির কারণে ধীরে ধীরে ওয়ার্ডপ্রেস বিপুল সংখ্যক ব্যবহারকারির প্রিয় কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমে (Content ManagementSystem) পরিণত হয়েছে যা দিয়ে ওয়েব কন্টেন্ট (Content) অথবা ব্লগ কন্টেন্ট ক্রিয়েট, এডিট ও ম্যানেজ-সবই করা যায়। ওয়ার্ডপ্রেসের সবচেয়ে বড় সুবিধা হল এজন্য আপনাকে পিএইচপি (PHP) বা এইচটি এমএল (HTML) কিছুই জানতে হবে না। ডেভেলপারকে শুধু সাইটের লুক আর কন্টেন্ট ক্রিয়েটনিয়ে চিন্তা করতে হয়, তাও আবার কোন প্রকারের কোডিং ছাড়াই।

ওয়ার্ডপ্রেসেআছে সহজে ব্যবহারযোগ্য ইন্টারফেস আর ড্যাশবোর্ডের সুবিধাযার মাধ্যমে একজন ব্যবহারকারি ওয়েব ডেভেলপমেনট সম্পর্কে তেমন কোন জ্ঞান না থাকা সত্ত্বেও খুব সহজেই একটি ওয়েবসাইট বানাতে ও ম্যানেজ এবং নিজে নিজেই ব্লগ পোস্ট করতে পারে। এজন্য ব্যবহারকারীর কোন প্রকার টেকনিকাল জ্ঞান না থাকলেও হবে। আর সবার শেষে বিল্ট ইনএসইও (SEO) সুবিধা তো আছেই।

ওয়ার্ডপ্রেসের থিম কাস্টমাইজেশনের মাধ্যমে আপনিআপনার ওয়েবসাইটের লুক যখন খুশি তখন বদলাতে পারবেন। ওয়ার্ডপ্রেসের উল্লেখযোগ্য আরও কিছু সুবিধা হল- লিংক ম্যানেজমেন্ট, ব্লগ পোস্ট ইনডেক্সিং এবং একই ব্লগ অথবা ওয়েবসাইটে একাধিক লেখক কে কন্টেন্ট ডেভেলপ করার সুযোগ দেয়া। অন্য ব্লগ থেকেওয়ার্ডপ্রেসেকন্টেন্ট ইম্পোর্ট (Import) করা যায়।

এটি অন্যান্য ব্লগিং সার্ভিস যেমন ট্র্যাকব্যাক এবং পিংব্যাকের সাথেও খুব ভালভাবে কাজ করে। ওয়ার্ডপ্রেসে সিকিউরিটি বিষয়ক অনেক সুবিধাও আছে। যেমন-স্প্যাম (Spam) কন্ট্রোল, ভিজিটর কমেন্ট, ইউজার রেজিস্ট্রেশন এবং কিছু সিলেক্টেড পোস্টে পাসওয়ার্ড প্রোটেকশন। এইকন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমেআরও অনেক কম্প্যাটিবল প্লাগিংস (Plugins) আছে যা আপনারব্লগিংএর প্রতিভালবাসাকে বহুগুণ বাড়িয়ে দিবে।

ওয়ার্ডপ্রেসশুরুটা কিন্তু ছিল মানুষের ব্যক্তিগত পর্যায়ে যোগাযোগের টুল হিসেবে। তবে এখন এটা ব্যক্তিগত লেনদেনের পাশাপাশি বিজনেস ওয়ার্ল্ডেও এর দাপট কোন অংশে কম নয়। ওয়ার্ডপ্রেসদিয়ে খুব সহজেইব্লগিংসাইট তৈরি ও মেইনটেইন করা যায়। তাই ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের টার্গেটেড কাস্টমারদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করতে পারে এবং মত বিনিময় করতে পারে। Online Income Site

তাই এখন আপনার সিদ্ধান্ত নেয়ার সময় এসেছে।ওয়ার্ডপ্রেসেরএতো সুবিধা ছেড়ে এখনো অন্যকনটেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমনিয়ে পড়ে থাকবেন? না ওয়ার্ডপ্রেসশিখে নিজের কর্ম জীবন কে অন্য উচ্চতায় নিয়ে যাবেন। ;ধন্যবাদ

Comments (No)

Leave a Reply

এই সাইটের কোন লেখা কপি করা সম্পুর্ন নিষেধ