ফ্রিল্যান্সিংয়ে সফল হতে হলে আগে কাজ শিখতে হবে, তারপর চেষ্টা শুরু করতে হবে।SEO তে Income সেক্টরগুলো কি কি :
১) অ্যাডসেন্স: ব্লগিং জানেন, ব্লগে টার্গেটেড ট্রাফিক আনতে জানেন। তাহলে অ্যাডসেন্সের Income আর বাধা কোথায়। অ্যাকাউন্ট করা, অ্যাকাউন্ট মেইনটেইন করা জানতে অনলাইনে রিসোর্স রয়েছে প্রচুর। সেগুলো একদিন নিজেই পড়ে নিন। ইনকামতো অনেক হবেই। মাসে ২০০-৫০০০ডলার ইনকাম সম্ভব। আরও দক্ষ হলে Income বাড়বে আরো বেশি।
২) অ্যাফিলিয়েশন: যেকোন সাইটকে টপ র্যাংক করা শিখে গেছেন। তাহলে অ্যাফিলিয়েশন শুরু করতে বাধাতো নাই। সঠিক নিশ সিলেক্ট করে কাজ শুরু করে দিন। কিভাবে অ্যাকাউন্ট করবেন, সেটা জানার জন্য অনলাইনে রিসোর্স রয়েছে। অ্যাফিলিয়েশনের ইনকামকেই অনলাইনে Income সর্বোচ্চ সেক্টর বলে। সবচাইতে বেশি Income সম্ভব এখানে।
৩) টি-শার্ট অ্যাফিলিয়েশন: নিশ সিলেক্ট করতে জানেন, ফেসবুক ফ্রি-পেইড মার্কেটিং জানেন, তাহলে আর কি বাকি রইল। শুধু নামতে পারেননি, এজন্য ইনকামও করতে পারেননি। এখানে সহজ ইনকাম। ইনকাম হয়ও মাশাল্লাহ। ২০০-৩০০০ডলার ইনকাম সহজেই সম্ভব।
৪) ই-কমার্স ব্যবসা: টার্গেট ব্যক্তির কাছে ফেসবুকে পেইড মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে আপনার মেসেজ পৌছে দিতে পারেন। কনটেন্ট ডেভেলপও করতে জানেন। তাহলেতো শুরু করে দিতে পারেন ই-কমার্স ব্যবসা। সফল হবেনই। মোটামুটি চলার মত ইনকাম সম্ভব। ২০০-৫০০ডলার ইনকাম সম্ভব।
৫) লোকাল যে কোন ব্যবসা: লোকাল ব্যবসাগুলো এখন অনলাইনে মার্কেটিংকেই সবচাইতে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। আপনিতো সেটা জানেন। তাহলেতো ব্যবসা শুরু করে দিতে পারেন। ব্যবসার ধরনের উপর ইনকাম নির্ভর করে। সোয়্যানফোম থেকে শুরু করে প্রতিটা কোম্পানী এখন অনলাইন মার্কেটিংয়ের উপর নির্ভর করছে।
৬) অন্যের জন্য সেবা: ব্যবসায়িরা তাদের পণ্যের বা ব্রান্ডের অনলাইনে প্রমোট চায়। তারা নিজেরা এ কাজ করে, সেক্ষেত্রে আপনি সেকাজ যেহেতু জানেন, আপনি এ সেবাটি দিয়ে ভাল ইনকাম করতে পারেন। কোন কোম্পানীতে এ হিসেবে ফুলটাইম চাকুরিও করতে পারেন। চাকুরি করলে বেতন, ১৫০০০টাকা- ৭০,০০০ টাকা পযন্ত হতে দেখেছি।
৭) মার্কেটপ্লেসে ইনকাম: সারাবিশ্বের প্রচুর কোম্পানী তাদের ব্রান্ডের প্রমোটের জন্য যোগ্য মার্কেটারকে মার্কেটপ্লেসে (upwork, fiverr) এ এসে খোজ করেন। আপনার যোগ্যতা থাকলে আপনিও হতে পারেন, তাদের ব্রান্ডের মার্কেটার। মাসে ১০০০ডলার হতে ৫০০০ডলার ইনকাম সম্ভব।
এবার আসি
গ্রাফিক ডিজাইনারদের জন্য অনলাইনে আয়ের কি কি :
Graphic-Design
ডিজাইন প্রতিযোগিতা: শুধুমাত্র বিভিন্ন ডিজাইন প্রতিযোগীতাতে অংশগ্রহণ করে আয় করা যায় এরকম অনেক মার্কেটপ্লেস রয়েছে। এসব মার্কেটপ্লেসে কোন বায়ার তাদের প্রয়োজনীয় ডিজাইন যোগাড় করার জন্য প্রতিযোগিতার আয়োজন করে।
প্রতিযোগীতাতে অংশগ্রহনকারী যে ডিজাইনারের ডিজাইন পছন্দ হবে, নির্দিষ্ট সময় শেষে তাকে পুরস্কৃত করা হয়।
সাধারণত ৩০০ডলার থেকে ১২০০ডলার পযন্ত পুরস্কার দেওয়া হয়।
এরকম বিখ্যাত সাইটের নাম: 99designs.com
♦ ডিজাইন বিক্রি: কিছু মার্কেটপ্লেস আছে, যেখানে নিজের করা ডিজাইন জমা রাখা যায়। সেখানে বিভিন্ন বায়ার এসে তাদের পছন্দ অনুযায়ি ডিজাইনটি কিনে থাকে। একটা ডিজাই্ন একের অধিক যতবার ইচ্ছে বিক্রি হতে পারে। অর্থাৎ আপনার একটা ডিজাইন অনেকবার বিক্রি হয়ে আপনাকে এনে দিচ্ছে বসে বসে ইনকাম। আপনার কিরকম প্রোডাক্ট আপলোড করেছেন, সেটির উ্পর Income পরিমান নির্ভর করে।
এরকম বিখ্যাত সাইটের নাম: graphicriver.net
♦ বিড করে কাজ যোগাড়: অনেক মার্কেটপ্লেস রয়েছে যেখানে বায়ার তার কাজে বর্ণনা করে টিউন করে। ফ্রিল্যান্সাররা সেখানে কাজটি করতে চেয়ে আবেদন করে, যাকে বিড করা বুঝায়। এখানে পোর্টফলিও শক্তিশালী না থাকার কারনে নতুনদের জন্য কাজ পাওয়াটা কষ্টদায়ক হয়ে থাকে। নতুন অবস্থাতে ভাল ইনকাম না হলেও একসময় মাসে ১-২লাখ টাকা ইনকামও সম্ভব।
এরকম বিখ্যাত সাইটের নাম: upwork.com
♦ গিগ বিক্রির মাধ্যমে আয়: ফ্রিল্যান্সাররা তাদের সার্ভিসের কথা উল্লেখ করে রাখে যাকে গিগ বলে। এসব গিগ পড়ে বিভিন্ন বায়ার তাদের পছন্দ অনুযায়ি অর্ডার দিয়ে থাকে। একটা গিগেই হাজার হাজার বার অর্ডার আসতে পারে। বিড করার জন্য টেনশন করতে হয়না।
২০,০০০টাকা – ১লাখ টাকা ইনকাম সম্ভব।
এরকম বিখ্যাত সাইটের নাম: fiverr.com
এছাড়াও আরো অনেক রকম ওয়েবসাইট রয়েছে যেগুলো থেকেও অনলাইনে আয় করা সম্ভব হয়।
যেমন: টি-শার্ট কিংবা অন্যান্য গিফট আইটেম ডিজাইন করে সেগুলোর বিক্রি থেকেও ভাল আয় করার মত অনলাইনে সাইট রয়েছে।
কাজ শিখলেই কি ইনকাম করতে পারবেন?
এতগুলো ভালো ক্যারিয়ার দেখে লোভে পড়লেই হবেনা, আগে কাজ শিখুন, দক্ষ হওয়ার ব্যাপারে লোভ করুন। দক্ষ হলেই টাকা আপনার পিছনে ছুটবে।
এতগুলো Income সেক্টর, ইনকামতো অবশ্যই হবেই। কিন্তু শুধু স্বপ্ন দেখলেই ক্যারিয়ার গঠন হবেনা।
Comments (No)