ট্যাগ লাইন পড়ে ই হয়ত বা ভাবতে শুরু করেছে যে ব্যাপার কি,কিভাবে সম্ভব? মাথা ঠিক আছে তো?জি জনাব আছে, সমস্যা নেই এটা আসলে ই সম্ভব, এবার প্রশ্ন কিভাবে? উত্তর আসুন দেখি কিভাবে সম্ভব।
আলোচনার শুরুতে আপনাদের কাছে প্রশ্ন আচ্ছা প্রকৃতি নিয়মে উৎপন্ন হওয়া জিনিস টা ভাল না যেটা কৃত্রিম ভাবে তৈরী হয়েছে সেটা??? আপনাদের উত্তর আমার মনে হয় প্রথমটা। তাহলে আপনাদের কাছে আমার আবার প্রশ্ন তাহলে আপনি কোনটা বেছে নেবেন নিশ্চয়ই প্রথম টা, তাহলে আপনি এসইও এর ক্ষেত্রে কেন দ্বিতীয়টা নিবেন। আপনি চায়লে কোন ধরণের ব্যাংঙ্ক লিংঙ্ক না করে ই গুগলে প্রথম পেজে আসতে সক্ষম। কয়েকটা ধাপে আপনি আপনার বা আপনার ক্লাইন্টের সাইটের জন্য একটা করতে পারবেন। আর আমি একজন ওয়েব সাইট ডিজাইনার ও এসইও এক্সপার্ট হিসাবে এটা সব সময় করে থাকি যখন আমার হাতে কোন ওয়েব সাইট ডিজাইনের প্রোজেক্ট আসে, আসুন তাহলে শুরু করি আজকের আলোচনা…………..
০১. উন্নত মানের আর্টিকেল লেখাঃ- গুগলের সর্বশেষ আপডেটে দেখা গেছে যে তারা আর্টিকেলের উপরে বেশী জোর দিচ্ছে। কারণ কি তা আমরা এতদিনে জেনে গিয়েছি কিংবা সার্চে রেজাল্টে দেখেছি। যদি আপনি খুব ভাল মানের আর্টিকেল লেখেন তাহলে আপনি সার্চের ১০০ ভাগের ১০ ভাল এতেই পূরণ করতে পারবেন। আর আর্টিকেল অনলাইনে দেবার সময় আপনাকে অব্যশই HTML ট্যাগের ব্যবহার করতে হবে।
০২ ভিজিটার বৃদ্ধি করাঃ- আপনি কখন ই চাইবেন না যে আপনার সাইটে ভিজিটার কম আসুক বা কমে যাক। আমার তো মনে হয় কেউ চাইবে না। তার আপনাকে আপনার সাইটের জন্য ভিজিটার যোগাড় করতে হবে, এবার ভেবেন না কিভাবে এটা করব??? অব্যশই এটা করতে হবে ভাল মানের আর্টিকেল লিখে। আপনার সাইটে যত বেশী ভিজিটার আসবে তত বেশী আপনার সাইট গুগলে মান পাবে। যদি আপনার সাইটে ভিজিটার এসে বারবার ফিরে যায় আর কখন যদি না ফিরে আসে তাহলে কি হবে গুগল হয়ত আপনাকে প্লান্টি দিয়ে দিবে। আপনার ০৫ মাঝামাঝি আর্টিকেল আপনার সাইটে না রেখে একটা ভাল আর্টিকেল রাখেন তাহলে ভাল হবে। এটা অনেকটা আমাদের এলাকার প্রবাদ ব্যাকের মতন “নেই মার চেয়ে কানা মা অনেক ভাল”
০৩ ভাল মানের ডাটাঃ- আপনার ওয়েব সাইট যদি একেবারে সাদামাটা হয় তাহলে কেমন হয় আপনি বলেন আপনার সাইটে কি কোন ভিজিটার আসবে? উত্তর না আসবে না। তাহলে আপনার সাইট টাকে ভাল করে সাজাতে হবে আর তার জন্য আপনাকে আপনার সাইটে ব্যবহার করতে হবে বিভিন্ন ধরণের ছবি বা ইমেজ তার যখন আপনি এটা অ্যাড করবেন তখন আপনাকে অব্যশই Alt ট্যাগের ব্যবহার করতে হবে।
০৪ ভিডিও অপটিমাইজ করাঃ- আপনি যখন আপনার সাইটকে আর ও ভাল মানের করতে চান বা আপনি আপনার সাইটকে গুগল সার্চে আর ও আগে নিয়ে আসতে চায় তাহলে আপনাকে অব্যশই আপনার সাইটে ভিডিও যোগ করতে হবে। তবে এর জন্য আপনাকে অব্যশই ভিডিও টি ভাল মানের করতে হবে। আমরা অনেক সময় যখন গুগলে কোন তথ্য সার্চ দিলে হয়ত বা ৬ কিংবা ৭ নাম্বার সার্চে আমাদের কে একটা ভিডি ও দেওয়া হয়। তাহলে আমরা যদি আমাদের সাইটে কোন ভিডিও দিই তাহলে সেটা গুগল সার্চে কেন ১ম পেজে আসবে না? আর আমরা যদি কোন ভিডিও আমাদের সাইটে যোগ করি তাহলে সেটা আমাদের সাইটে XML সাইট ম্যাপ হিসাবে কাজ করে।
০৫ গুগল অথরশিপঃ- এটা একটা ওয়েব সাইটের জন্য বড় প্লাস পয়েন্ট কারন গুগল অব্যশই চাইবে যে প্রতিটা সাইট ই যেন বা তাদের প্রধানরা যেন তাদের সাথে যুক্ত থাকে, আর তার জন্য ই এই গুগল অথরশিপ। আমরা যখন গুগল সার্চ করি তখন দেখি যে অনেক সাইটের নিচে তাদের মালিক দের ছবি চলে আসছে। তার কারণ ঐ সমস্ত ওয়েব সাইটের মালিকরা গুগল প্লাসে তাদের একটা এ্যাকাউন্ট আছে। তবে এই ক্ষেত্রে আপনাকে অব্যশই খেয়াল রাখতে হবে যে, আপনি যখন এই ছবি ব্যবহার করবেন তখন আপনাকে অব্যশই আপনার ব্যক্তিগত ছবি ব্যবহার করতে হবে কোন ধরণের লোগো বা কার্টুন ছবি ব্যবহার করতে পারবেন না।
০৬ ওয়েব সাইট স্পিডঃ- এবার একটু ঠান্ডা মাথাতে ভাবুন যে আপনি একটা বাইক চালাচ্ছেন তার গতি ঘন্টায় ৬০ কি.মি আর একজন চালাচ্ছে ঘন্টা মাত্র ৪০ কি.মি। তাহলে আগে পৌছাবে কে? নিশ্চয়ই আপনি। এখানে ও ঠিক তাই আপনার ওয়েব সাইটের লোড হবার ক্ষমতা যদি অন্য সাইটের চেয়ে কম হয় তাহলে নিশ্চয়ই আপনার সাইট অন্য সাইট থেকে পিছিয়ে পড়বে। তাই আপনার উচিত হবে আপনার সাইট লোড হবার সময় কমিয়ে রাখা আর এর জন্য আপনি FTP সারভার ব্যবহার করতে পারেন। সেখানে আপনি আপনার সাইটের স্পিড বাড়াতে কমাতে পারবেন।
০৭ স্মার্টফোন এসইওঃ- বর্তমান সময়ে আমরা দেশসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এখন স্মার্ট ফোনের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। তার তাই আমাদের প্রয়োজন হয় রিসপনসিভ ওয়েব সাইট, যেখানে একজন ভিজিটার তার ফোন দিনে ওয়েব সাইটে প্রবেশ করে আর তার তখন যদি সে অনুভব করে যে তার ফোন এই সাইটটা ভাল ভাবে দেখা যাচ্ছে না তাহলে সে এই সাইটে ভিজিট করার আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে। আর তাই আমাদের ওয়েব সাইট যখন তৈরী করতে হবে তখন অব্যশই খেয়াল রাখতে হবে যে সাইট টা যেন স্মার্ট ফোন রিসপনসিভ হয়। দুঃখজনক হলেন সত্য যে অ্যাপেলের মতন একটা ওয়েব সাইট স্মার্টফোন রিসপনসিভ না।
০৮ আর্ন্তজাতিক ভাষাঃ- অনেক সময় দেখা যায় একটা তথ্য আমার দরকার কিন্তু আমি যদি দেখি সেই তথ্য অন্য ভাষাতে আছে কিন্তু আমার প্রয়োজন বেশী। আপনার সাইট কে আপনি প্রতিটা ভাষার জন্য উমুক্ত করে দিলেন তাহলে আপনার সাইট আগে সার্চে আগে আসার সম্ভবনা আছে।
০৯ গুগল প্লাসঃ- বর্তমান সময়ে গুগল বেশী প্রাধান্য দিচ্ছে সোসাল মিডিয়া আমি আমার নিজের চোখে দেখেছি যে গুগল প্লাসে যাদের এ্যাকাউন্ট আছে তাদের সাইট সার্চ রেজাল্টে আগে আচ্ছে।
১০ স্পিনিং অপটিমাইজেশনঃ- আপনাকে অব্যশই এই বিষয়ের দিকে খেয়াল রাখতে হবে যে, আপনার ওয়েব সাইটের মেটা ট্যাগের দিকে আপনাকে এমন কিছু মেটা ট্যাগ ব্যবহার করতে হবে যেখানে আপনি আপনার সাইটকে গুগলে না চাইলে আগে নিয়ে আসতে পারবেন। তবে এই ক্ষেত্রে আপনাকে অব্যশই বড় মেটা ট্যাগ ব্যবহার করতে হতে। তবে সেটা লিমিট যেন ৬০-৮০ শব্দের ভিতরে হয়।
১১ নতুন নতুন আর্টিকেল আপডেট করাঃ- আপনাকে প্রতিনিয়ত আপনার সাইটে নতুন নতুন আর্টিকেল আপডেট করতে হবে, অন্তত কিছু না হউক সপ্তাহে একটা করে আর্টিকেল দিতে হবে তাহলে গুগল রোবট আপনার ওয়েব সাইটে বারবার আসবে তথ্য সংগ্রহ করার জন্য আর সেটা আপনাকে সার্চ রেজাল্টে আগে নিয়ে আসতে সাহায্য করবে।
১২ চলমান ধারা বজায় রাখাঃ- আপনাকে অনপেজ এসইও করার ক্ষেত্রে অব্যশই চলমান ধারা বজায় রাখতে হবে, কারণ এটা প্রতিনিয়ত আপডেট হতে থাকে। আপনি আপনার সাইটে ছবি দিলেন তার জন্য আপনাকে অনপেজের কাজ করতে হবে আপনি নতুন কনটেন্ট দিলেন তার জন্য আপনাকে নতুন আপডেট দিতে হবে গুগলে। এক কথায় আপনাকে সব সময় আপনার সাইটে চলমান কিছু কাজ রাখতে হবে ই।
আশা করি এই পদ্ধিত গুলো আপনি যদি মেনে চলেন তাহলে আপনার মনে যে সমস্ত প্রশ্ন ছিল যে ব্যাংঙ্ক লিংঙ্ক ছাড়া কিভাবে একটা সাইট গুগল সার্চে প্রথম পেজে আসে তা হয়ত বা দূর হয়ে গেছে। ভাল লাগলে লেখটা শেয়ার করুন সবার সাথে। কারণ আনন্দ শেয়ার করলে কমে না বরং বাড়ে।

Comments (No)