Freelancing Marketplace কাজ করতে Cover Page তৈরি করবেন যেভাবে?

Freelancing Marketplace কাজ করতে Cover page তৈরি করবেন যেভাবে?

Freelancing Marketplace কাজ করতে হলে আপনাকে প্রথমে যে কাজটি করতে হবে তা হলে

Freelancing Marketplace এর কভার পৃষ্টা তৈরি করতে হবে।

কভার লেটার লেখার নিয়ম হলো:
আপনি যদি নিয়মিত বিড করে থাকেন, তারপর ও কোন কাজ না পান তাহলে আপনার কভার লেটার

টা একটু অন্যরকম ভাবে লেখার চেষ্টা করুন। ক্লায়নেটের জাগায় আপনাকে চিন্তা করুন। কিভাবে

একজন এপ্লাই করলে আপনি তাকে কাজে নিতেন। আশা করি কাজ হবে। সবাই চায় অভিজ্ঞতা। আপনার

কভার লেটারে আপনি নিজে শেখার সময় যে কাজ গুলো করেছেন, সেগুলো দিতে পারেন।

আরো পড়ুন: শুরু করুন ডিজিটাল মার্কেটিং ক্যারিয়ার।
কভার লেখার নিয়ম বলতে আসলে কিছু না। বিশাল একটা মেসেজের থেকে সিম্পল, সরাসরি কাজের

কথা দিয়ে কভার লেটার লিখলে সহজেই ক্লায়েন্টের আকর্ষন পাওয়া যায়। জব পোস্টটি পড়বেন, এরপর

ক্লায়েন্ট কি কোন প্রশ্ন করেছে কিনা, সে গুলো কভার লেটারে উল্ল্যেখ করবেন। আপনার কোন প্রশ্ন আছে

কিনা, সে প্রশ্ন করবেন। আপনি কিভাবে কাজটি সম্পুর্ণ করবেন তা লিখবেন। কেন আপনি জবটি কমপ্লিট

করতে পারবেন, তা লিখবেন। এভাবেই পারফেক্ট কভার লেটার লিখে ফেলতে পারবেন।। অন্য কাউকে

ফলো না করে নিজের মনের থেকে যেটা লিখতে ইচ্ছে করবে তাই লিখবেন কভার লেটারে।

আরো পড়ুন: যে-সব প্রোডাক্ট বাছাই করবেন অনলাইনে বিক্রির জন্য।
কাজ না করলে অভিজ্ঞতা কিভাবে হবে তাই না? যদি প্রথমে কেউই কাজ দিতে না চায়, তাহলে ফ্রী কাজ

করার চেষ্টা করুন। কোনো একটা কাজ দেওয়ার পর যত তাড়াতাড়ি সেটিতে আবেদন করা খুব ভালো Online Income Site

কাজ। তবে আবেদন করার সময় কাভার লেটারটি এমনভাবে লিখবেন, যেন বায়ার বুঝতে পারে আপনি

কাজটির বর্ণনা পড়েছেন এবং তা করতে পারবেন।

যত বেশি সম্ভব মার্কেটপ্লেসে সময় দেওয়ার চেষ্টা করুন:
আপনি যত বেশি Marketplace থাকবেন, ততই আপনার কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা। কারণ, কিছু কিছু

কাজ আছে যেগুলো মার্কেটপ্লেসে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে (এক-দুই ঘণ্টার মধ্যে) সম্পন্ন করে জমা দিতে হয়।

যেমন ফেসবুকে বা অন্য কোনো সাইটে ভোট দেওয়া এবং কিছু ভোট সংগ্রহ করে দেওয়া বা হঠাৎ করে

কোন ওয়েবসাইটে সমস্যা হয়েছে, তা ঠিক করে দেওয়া ইত্যাদি।

কাজেই শুরুতে বেশি সময় অনলাইনে থাকার চেষ্টা করুন, যাতে বায়ার আপনাকে কোনো বার্তা পাঠালে

সঙ্গে সঙ্গেই আপনি তার জবাব দিতে পারেন। তাহলে বায়ার বুঝতে পারবে, আপনি কাজের প্রতি

আন্তরিক।

যত দ্রুত সম্ভব কাজের জন্য বিড করাঃ
অনলাইন মার্কেটপ্লেসে দেখবেন, প্রতি মিনিটে নতুন নতুন কাজ দেওয়া হচ্ছে, সেগুলোতে আবেদন করুন।

যেসব কাজে কোনো কনট্রাক্টরের ইন্টারভিউ নেওয়া হয়েছে, সেসবে আবেদন না করাই ভালো।

শর্ত পূরণ করতে না পারলে বিড করবেন না:
যেসব কাজে শর্ত দেওয়া রয়েছে, আর সেগুলো যদি আপনি পূরণ করতে না পারেন, তবে সেসব কাজে

আবেদন না করাই ভালো।

পেমেন্ট মেথড এর বিষয়ে কিছু নোটঃ
Freelancing যেকোনো মার্কেটেই কাজ করেন না কেন যদি দেখেন ক্লায়েন্টের পেমেন্ট মেথড ভেরিফাইড

না, তাহলে সে যতই বলুক তারপরও তার কাজ করবেন না । কারণ, কাজ করার পরেই পেমেন্ট দিতে হয়

। এখানে পরে দেয়ার কোন সিস্টেম নাই । আপনি যদি কারো কাজ করে দেন তাহলে সে আপনাকে

পেমেন্ট দিতেও পারবে না যদি তার পেমেন্ট ভেরিফাই না থাকে । আর পেমেন্ট ভেরিফাই কিনা দেখতে

আপনি তার প্রোফাইলে চলে যান তাহলেই দেখতে পারবেন কিংবা প্রোজেক্টেই দেখতে পারবেন পেমেন্ট

ভেরিফাই রয়েছে কি না।

ক্লায়েন্ট পাবার জন্য যে কাজ করতে হবে:
ক্লায়েন্ট পাবার সবচেয়ে সহজ উপায় হলো কারো রেফারেন্সে কাজ পাওয়া। চমৎকার একটা প্রোফাইল

প্রস্তুত করে ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করে থাকতে হবে প্রথম কাজ পাবার জন্যে। এখানেই ধৈর্যের আসল পরীক্ষা

শুরু। অনেক অপেক্ষার পর একটা কাজ হাতে পেলে সেটা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নিখুতভাবে শেষ করতে

হবে। এতে ক্লায়েন্ট খুশি হয়ে হয়তো পরের কাজটিও আপনাকে দিয়ে দেবে, কিংবা অন্যের কাছে রেফারেন্স

করবে আপনার নাম। এভাবেই ফ্রিল্যান্স জগতে আপনি হতে পারবেন পরিচিত মুখ।

লেখা গুলো পড়ে ভালো লাগলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদেরকে শেয়ার করতে ভুলবেন না । আপনার

সুচিন্তিত মতামত আমার একান্ত কাম্য। তাই এই বিষয়ে আপনার যদি কোন মতামত থেকে থাকে তাহলে

অবশ্যই নিচে কমেন্ট করে জানাবেন। আমি আনন্দের সহিত আপনার মতামত গুলো পর্যালোচনা করে

রেপ্লাই দেওয়ার চেষ্টা করবো।

ভাল থাকবেন।

Comments (No)

Leave a Reply

এই সাইটের কোন লেখা কপি করা সম্পুর্ন নিষেধ