Munir Hasan এর মার্কেটিং এর ওপর চমৎকার একটি বই Emotional Marketing নিয়ে আজ Review করতে যাচ্ছি। আজকের এই বইতে ইমোশনাল মার্কেটিং নিয়ে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করবো। এই বইয়ে বর্ণনা করা বিভিন্ন দিক নির্দেশনাগুলো অনুধাবন করার চেষ্টা করবো।
প্রযুক্তির উৎকর্ষতা বৃদ্ধির সাথে মার্কেটিং নামক ধারণাটির সংজ্ঞা দীর্ঘায়িত হচ্ছে। রাজা-বাদশাদের আমলে সেই নৌকা করে মার্কেটিং এখন অনলাইন মার্কেটিং এ রূপান্তরিত হয়েছে। যার নতুন সংস্করণ ডিজিটাল মার্কেটিং। এর ফলে মার্কেটিং এর পরিধি বেড়েছে, বেড়েছে সুবিধাও।
পণ্য বা সেবার মার্কেটিং হচ্ছে ক্রেতার জন্য কোন পণ্যের মূল্য বা উপযোগিতা তৈরি করা। আপনি যদি কোন পণ্য বা সেবার দ্বারা ভোক্তা বা ক্রেতার প্রয়োজন মিটিয়ে তাদের সাথে একটি ভালো নেটওয়াকিং তৈরি করতে পারেন, তাহলে ভোক্তা আপনার পণ্য বা সেবা ছাড়া কিছুই বুঝবে না। আপনি কিভাবে আপনার প্রোডাক্টের উপযোগিতা ক্রেতার কাছে খুব চমৎকারভাবে উপস্থাপন করতে পারেন, এই বিষয়ে ইমোশনাল মার্কেটিং বইতে খুব সুন্দর আলোচনা করা হয়ে
বর্তমান বাংলাদেশে চাকরীর বাজারের করুণ দশা দেখে অনেক তরুণই এখন আত্মনির্ভরশীলতার পেছনে দৌঁড়াচ্ছেন এবং শ্রম, সময় ও মেধা বিনোয়োগ করছেন। এটা সত্যিকার অর্থে খুবই ভালো এবং ইতিবাচক একটি দিক। সবাই যদি চাকরির পেছনে দৌঁড়ায়, তাহলে চাকরি দেবে কে? আর এজন্যই বর্তমানে বাংলাদেশে আত্মোন্নয়নমূলক বইয়ের প্রতি পাঠকের সমৃক্ততা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
আর এমনই একটি সুন্দর বই হচ্ছে Emotional Marketing। মার্কেটিং বাজারের বিশালত্ব অনুভব করে এই বইয়ের লেখক মুনির হাসান বইটিকে মোট ৪ ভাগে রচনা করেছেন।
ইমোশনাল মার্কেটিং – প্রথম ভাগ
প্রথম খণ্ডে আপনারা Emotional Marketing নিয়ে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় পাবেন। যেমন ব্যবসায় হালাল-হারামের তুলনামূলক চিত্রায়ণ। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, “হালাল সাবান” এই ট্যাগ লাগিয়ে আমাদের দেশে দীর্ঘদিন ধরে সাবানের ব্যবসা করে আসছে বেশকিছু প্রতিষ্ঠান। কিন্তু আসলেই কি এগুলো হালাল? শুধুমাত্র “হালাল” শব্দটি দেখে আমরা আমাদের ইমোশনকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারছি না। আর ঝুঁকে পড়ছি এসব পণ্যের দিকে। বিপণনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো এভাবেই আমাদের ইমোশন নিয়ে খেলছে। যা মার্কেটিং এর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
এছাড়াও প্রচলিত আরো অনেক বিজ্ঞাপনের ব্যাখ্যা দেয়া হয়েছে ইমোশনাল মার্কেটিং বইটিতে। একটি বিজ্ঞাপনে আপনি ভোক্তার আবেগকে কিভাবে কাজে লাগাতে পারেন, তার ছয়টি মৌলিক দিক এই বইয়ে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। পাশপাশি দুর্দান্ত কিছু উদাহরণ আছে, যা পড়তে পড়তে আপনার মাথায়ও কোন আইডিয়া খেলে যেতে পারে।
একটি পণ্যের বিজ্ঞাপনের মধ্য দিয়ে আপনি আপনার ক্রেতাকে কীভাবে চমকে দিতে পারেন, তার দারুণ সব টিপস রয়েছে এই বইয়ে। শিশুদের জন্য কেমন বিজ্ঞাপন তৈরি করবেন বা নারী পণ্যে কিভাবে নারীদের আকৃষ্ট করবেন তার উৎকৃষ্ট কিছু উদাহরণ পাবেন এখানে। বইয়ের রয়েছে বেশকিছু বার কোড এবং গুরুত্বপূর্ণ লিংক। আপনি চাইলে স্কান করে এমন কিছু বিজ্ঞাপন দেখতে পাবেন। যা বাংলা বইয়ে সচরাচর দেখাই যায় না।
ইমোশনাল মার্কেটিং – দ্বিতীয় পর্ব
চমৎকার এই বইয়ের দ্বিতীয় পর্বে আলোচনা করা হয়েছে ইমোজি বা ইমোটিকোন নিয়ে। ইমোজির গুরুত্ব নিয়ে এরকম বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে, এমন বই সম্ভবন এই একটিই। বইয়ে উল্লেখিত প্রতিটি টিপসের সাথে রয়েছে তথ্য বা লিংক। উল্লেখিত লিংকের পরিসংখ্যানে যখন সংখ্যা দেখবেন তখন বিশ্বাসটা মনে ধরবে এবং বিশ্বাস হবে। প্রতিদিন ৫০০ কোটি ইমোজি মেসেঞ্জারে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। যা সত্যিই খুব অবাক করা তথ্য।
এই ইমোজি মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি উপকরণ। জাপানিদের মতে, “শেয়ারিং নলেজ ইজ পাওয়ার” । অর্থাৎ আপনি আপনার চিন্তা চেতনা অন্যের সাথে যত ভাগাভাগি করবেন, আপনার উৎপাদনশীলতা আরো বৃদ্ধি পাবে। যা এই বইয়ে দারুণভাবে বর্ণিত হয়েছে। Online Income BD
ইমোশনাল মার্কেটিং – তৃতীয় পর্ব
কেস স্টাডি বা বিভিন্ন প্রজেক্ট দেখে অনুপ্রাণিত হওয়া মার্কেটিং এর আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশল। ইমোশনাল মার্কেটিং বইয়ের তৃতীয় পর্বে চারটি কেস স্টাডি দেয়া আছে যা আপনাকে এই কৌশলগুলো রপ্ত করতে সহায়তা করবে। যেমন ডলার শেভ ক্লাব, কোকা-কোলা, ওয়েস্টজেট এয়ার লাইন্স এবং বাংলাদেশি ক্রাউন সিমেন্টের (কুদ্দুস) বিজ্ঞাপনটি লিংকসহ দেয়া আছে।
বিদেশী অন্যান্য বিপণন প্রতিষ্ঠানটির কৌশল বাদই দিলাম, বাংলাদেশের ক্রাউন সিমেন্টের এই বিজ্ঞাপনটিতে বাংলাদেশীদের আবেগকে যেভাবে কাজে লাগানো হয়েছে, তা এক কথায় অসামান্য। বিজ্ঞাপনটি দেখতে এই লিংকে ক্লিক করুন।
Emotional Marketing – চতুর্থ পর্ব
বর্তমান বিশ্বে সবথেকে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমের তালিকায় ফেসবুকের অবস্থান সবার শীর্ষে। পৃথিবীর প্রায় প্রতিটি দেশেই এর জনপ্রিয়তা অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমের তুলনায় অনেক অনেক বেশী। যারা ফেসবুক ব্যবহার করেন, তাদের মধ্যে এমন লোক খুব কমই আছেন যারা প্রতিদিন ফেসবুকে লগইন করে না। আর এভাবে বর্তমানে সারাবিশ্বে প্রায় ২.৬ বিলিয়ন মানুষ প্রতিমাসে এই প্লাটফরমটি ব্যবহার করে থাকেন।যদিও আমরা ফেসবুককে সাধারণত সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করি। কিন্তু বর্তমানে ডিজিটাল মার্কেটিং জগতে সব কিছু ছাপিয়ে যে কনসেপ্টটি চলে আসছে, তা হলো ফেসবুক মার্কেটিং।
যেহেতু জনপ্রিয় এই প্লাটফর্মটি প্রতিদিন প্রায় ২.৩ বিলিয়ন মানুষ ব্যবহার করে, তাই বিশাল এই জনগোষ্ঠীর উপস্থিতী কাজে লাগিয়ে আপনি খুব সহজেই ফেসবুকে আপনার প্রতিষ্ঠান কিংবা যেকোন সার্ভিসের প্রচারণা চালাতে পারেন। ডিজিটাল মার্কেটিং এর মধ্যে ফেসবুক মার্কেটিং এখন অনেক বেশি ফলদায়ক ও কার্যকরী বলে প্রমাণিত।
তাই আর দেরী না করে ইমোশনাল মার্কেটিং pdf download বইটি ডাউনলোড করতে নিচের ডাউনলোড বাটন এ ক্লিক করুন।
Size:- 16MB.
Download
এই বইয়র চতুর্থ খণ্ডে ফেসবুক ব্যবহার করে কীভাবে আপনি ইমোশনাল মার্কেটিং এর সুযোগ সৃষ্টি করতে পারেন, তার উপায় ব্যাখার করা হয়েছে। পাশাপাশি ক্রেতা ও ভোক্তাদের মাঝে কিভাবে ক্রয় করার মনোভাব সৃষ্টি করা যায় তা নিয়ে বেশ কিছু টিপসও দেয়া আছে।
ইমোশনাল মার্কেটিং PDF BOOK DOWNLOAD
প্রিয় পাঠক, কোর্সটিকায় আপনি কোন বিষয়ে লেখা চান, তা জানিয়ে নিচে কমেন্ট করুন। ওয়েব ডিজাইন, ডেভেলপমেন্ট এবং ফ্রিল্যান্সিং শিখতে আমাদের ফেসবুক গ্রুপে যোগ দিন। আমরা আছি ইউটিউবেও। আমাদের ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন এই লিংক থেকে।