Coding ছাড়া মাত্র 15 মিনিটে কিভাবে নিজের 1টি Website বানাবেন

অনেকেই আমার কাছে আসে এবং বলে যে আমি আমার Website তৈরি করতে চাই, তাই আপনি কি আমাকে জানাবেন কিভাবে একটি ওয়েবসাইট খোলা যায়!

Coding ছাড়া মাত্র 15 মিনিটে কিভাবে নিজের 1টি Website বানাবেন

ভাবতে ভালোই লাগে যে বাংলাদেশের অনেকেই একটি নিজস্ব Website বানানোর গুরুত্ব বুঝে গেছে।

যাইহোক আজ আমি আপনাদেরকে দেখাবো কিভাবে কারো সাহায্য ছাড়াই নিজে নিজে Website বানানো যায়।

তো আমার দেখানো পদ্ধতি অনুসরণ করে আজই আপনার পার্সোনাল বা বিজিনেস Website তৈরি করুন, কোনো কোডিং ছাড়াই!

তবে Website তৈরি করার নিয়ম দেখানোর আগে নিচের কয়েকটি জিনিস সম্পর্কে আপনার জেনে নেয়া উচিৎ।

Website কেন বানাবেন?
নতুন ওয়েব সাইট তৈরির আগে এই চিন্তা মাথায় আসলেও আসতে পারে, কিন্তু আপনি যদি একটি Website গুরুত্ব বুঝতে পারেন তবে আপনার এ ব্যাপারে আর ভাবতে হবে না।

আপনি যে ব্যবসাই করেন না কেন তার প্রসার করতে হলে আপনার বেশি বেশি কানেকশন বাড়াতে হবে। আর কানেকশন বাড়ানোর সবথেকে ভালো উপায় হলো আপনার ব্যবসা সম্পর্কে ইন্টারনেটে জানতে পারা।

এর কারণ হল মানুষ এখন কারো সাথে যোগাযোগ বা ব্যবসা করতে চাইলে সাথে সাথে অনলাইনে সার্চ করে তা সম্পর্কে জানতে চায়।

ধরেন আপনি একটি রেস্টুরেন্টের মালিক। আপনার শহরে কেউ যদি জানতে চায় যে সেখানে সব থেকে ভালো রেস্টুরেন্ট কোনটি, তখন সে গুগল এ যেয়ে হয়তো সার্চ দেবে এই লিখে: best restaurant in dhaka.

এখন আপনার যদি কোনো Website না থাকে তবে সে আপনার রেস্টুরেন্ট সম্পর্কেও জানতে পারবে না আর এই না জানার কারণে আপনি আপনার রেস্টুরেন্টের গ্রাহক হারাবেন।

এছাড়া একটি Website মাধ্যমে আরো অনেক উপায়ে আপনার ব্যবসার প্রসার ঘটানো সম্ভব।

যে ৩ টি উপায়ে আপনি আপনার Website খুলতে পারেন!
আমি এখানে একটি Website খোলার ৩ টি উপায় বলে দিচ্ছি।

(১) আপনি নিজেঃ
আপনার নিজের সাইট নিজেকে খোলার জন্য আমি সবথেকে বেশি গুরুত্ব দেব কারন এটি আপনাকে অনেক কিছু শিখতে ও সরাসরি আমেরিকান সার্ভার পেতে সাহায্য করবে। তবে এক্ষেত্রে আপনার নিজের একটি ইন্টারন্যাশনাল কার্ড (মাস্টারকার্ড বা ক্রেডিট কার্ড) থাকতে হবে।

কিভাবে নিজেই নিজের Website খুলবেন তা আমি আর্টিকেলে দেখিয়েছি তাই গাইডটি দেখতে থাকুন।

আপনি নিজে ওয়েব সাইট খোলার নিয়ম জানতে পারলে অনেকভাবেই লাভবান হতে পারবেন!

যদি আপনি কম্পিউটার ও ইন্টারনেট বিষয়ে খুব বেশি পারদর্শী না হন বা আপনার নিজের কোন পেমেন্ট মেথড না থেকে থাকে, তবে পরবর্তী উপায় দুটি দেখুন।

(২) আমাকে দিয়েঃ
বিদেশী ক্লায়েন্টের পাশাপাশি এখন আমি দেশি ব্যবসায়ীদের জন্যও ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ডের Website তৈরী করে দিয়ে থাকি।

আমার মাস্টারকার্ড দিয়ে আমি আপনার Website ডোমেইন, হোস্টিং, এস এস এল সার্টিফিকেট, প্রিমিয়াম থিম কিনে তা ডিজাইন করে সেটআপ করে দেব যা আপনাকে সর্বোচ্চ পারফরম্যান্স দিতে পারবে। ফলে আপনি আপনার ব্যবসা অনেক এগিয়ে নিতে পারবেন।

এক কোথায় আপনার Website খুঁটিনাটি সব কাজ সাশ্রয়ী মূল্যে আমি ও আমার টিম মেম্বাররা করে দেব।

(৩) অন্য যেকোন লোকাল কম্পানির কাছ থেকেঃ
এক্ষেত্রে আপনি রিসেলার হোস্টিং পাবেন তার মানে হল তারা তাদের কিনে নেওয়া হোস্টিং প্যাক থেকে একটি ক্ষুদ্র অংশ আপনাকে দেবে।

তাই এই উপায়ে আপনার Website না খোলাই উত্তম।

তাহলে ১ নাম্বার উপায়টি দেখুন যে আপনার দ্বারা তা সম্ভব হয় কিনা। ১ নাম্বার পদ্ধতিতে আপনি আপনার সাইটটি খুলতে ব্যর্থ হলে আমার সাথে যোগাযোগ করুন যাতে করে আমি আপনাকে একটি এসইও রেডি Website খুলে দিতে পারি।

আর উক্ত কোন পদ্ধতি দুটি অবলম্বন না করলে ৩ নাম্বার উপায়টি ফলো করতে পারেন তবে এটি আমি আপনাকে কখনোই সাজেস্ট করবো না।

একটি Website বানানোর খরচ কেমন?
তাহলে সর্বমোট কত টাকা লাগতে পারে একটি সুন্দর Website তৈরী করতে?

হ্যা, প্রথম বছরে একটি Website খরচ নিয়েই এখন আলোচনা করবো।

প্রথমেই আপনাকে জানতে হবে যে একটি ওয়েবসাইট খুলতে কি কি জিনিসের প্রয়োজন হয়।

এখানে একটি Website বানানোর প্রয়োজনীয় জিনিসের লিস্ট দেয়া হলো:
১. একটি ডোমেইন
২. একটি হোস্টিং প্যাকেজ
৩. একটি থিম

এছাড়া একটি SSL সার্টিফিকেট ও WhoisGuard এর মাদ্ধমে আপনার সাইটটিকে আরো নিরাপদ করতে পারেন।

একটি ডোমেইন এর এক বছরের জন্য দাম ১০ থেকে ১২ ডলার হয় (মাঝে মাঝে ডিস্কাউন্টের কারনে ৮ – ৯ ডলারেও ডোমেইন পাওয়া যায়)।

আর এই গাইডে যে হোস্টিং প্যাকেজটি ব্যবহার করে দেখাবো তার দাম বছরে ৩০.৮৮ ডলার যদিও এখন প্রায় ৫০% ডিসকাউন্টে মাত্র ১৫.৪৪ ডলারে হোস্টিং প্যাকেজটি কিনতে পারেন।

আর একটি এস ই ও থিম কিনতে পারবেন ৫০ ডলার বা বাংলাদেশী প্রায় ৪০০০ টাকায়।

এবং যাকে দিয়ে আপনার ওয়েবসাইটটি ডিজাইন করবেন তাকে ৩০০০ থেকে ৫০০০ টাকা দিতে হতে পারে।

সর্বমোট ৭৫ থেকে ৮০ ডলার বা বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ১০০০০ টাকা ব্যয়ে একটি মানসম্মত ওয়েবসাইটের মালিক হতে পারবেন।

তবে আপনার ওয়েবসাইটটির হোস্টিং প্যাকেজের ওপর নির্ভর করে এর দাম বাড়বে তার মানে হল আপনি যদি আরো বেশি কনফিগারেশনের হোস্টিং চান, তবে আপনাকে আরো বেশি পে করতে হবে।

এখানে সেরা ৩ টি হোস্টিং প্রোভাইডার সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।

আর যেকোনো ফ্রি থিম ব্যবহার করে আপনি আপনার সাইটটি চালাতে পারেন, তবে আমি সাজেস্ট করবো যে আপনি অবশ্যই একটি প্রিমিয়াম থিম ব্যবহার করবেন। এই যেমন আমার এই সাইটের থিমটি একটি প্রিমিয়াম থিম যা জেনারেটপ্রেস থেকে কেনা যার মূল্য বর্তমানে মাত্র ৫০ ডলার।

দারুন অফার!
বিশাল ডিস্কাউন্টে আমি মাত্র ৮০০০ টাকায় ডোমেইন, হোস্টিং, এস এস এল, প্রিমিয়াম থিম, ও ওয়েবসাইট ডিজাইন করে দিচ্ছি। এখানে আপনি প্রায় ২০০০ থেকে ৩০০০ টাকা ডিসকাউন্ট পাচ্ছেন।

কিভাবে নিজের একটি ওয়েবসাইট বানাবেন?
এখন দেখাবো কিভাবে ওয়েবসাইট তৈরি করা যায়। তাহলে আর দেরি না করে শিখে নেয়া যাক ওয়েব সাইট তৈরি করার নিয়ম।

ধাপ ১. প্রথমেই আপনার সাইটের নামটি নির্ধারণ করুন
ওয়েবসাইট তৈরী করার প্রথমেই আপনার একটি প্রাসঙ্গিক নাম পছন্দ করে নিতে হবে।

আপনি আমার মতো আপনার নামেও আপনার ওয়েবসাইট বানাতে পারেন।

তবে আপনি যদি কোনো ব্যবসার নামে সাইট খুলতে চান তবে ওই ব্যবসার নামটিই হবে আপনার ওয়েবসাইটের নাম।

আপনার ওয়েবসাইটের নাম নির্ধারণ হয়ে গেলে পরবর্তী ধাপে যান।

ধাপ ২. হোস্টিং কোম্পানির ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন
এবার আপনার একটি হোস্টিং কোম্পানির ওয়েবসাইটে ভিজিট করার পালা।

তো যে ওয়েব হোস্টিং কোম্পানিটি আমি আপনাকে রেকমেন্ড করতে যাচ্ছি সেটি হলো Namecheap.

Namecheap হোস্টিং পছন্দ করার অনেক কারণ রয়েছে এবং তার কিছু কারণ নিচে দেয়া হলো:

১. আনলিমিটেড স্টোরেজ সুবিধা

২. আনলিমিটেড ব্যান্ডউইডথ সুবিধা

৩. অনেক কম খরচে হোস্টিং করা

৪. Namecheap এর সার্ভার স্পিড ও সার্ভার রেসপন্স টাইম খুবই দ্রুতগতিসম্পন্ন

৫. এই হোস্টিং এর আপটাইম ও খুব ভালো

৬. খুবই রেস্পন্সিভ কাস্টমার সাপোর্ট

আর Namecheap হোস্টিং কোম্পানির রাঙ্কিং এ সব সময়ই ১ থেকে ১০ এর ভিতর থাকে।

ধাপ ৩. হোস্টিং প্যাকেজ সিলেক্ট করুন
এখানে ক্লিক করে Namecheap এর সাইটে প্রবেশ করুন।

এবার Annually বাটনে ক্লিক করে হোস্টিংটির বাৎসরিক মূল্য জানুন।

নিচে Namecheap এর ৩ টি হোস্টিং প্যাক দেখতে পাচ্ছেন –

প্রথম হোস্টিং প্যাকটিই শুরু করার ক্ষেত্রে যথেষ্ট।

তো এই প্রথম হোস্টিং প্যাকটি কিনতে এর নিচে থাকা Add to Cart বাটনে ক্লিক করুন।

এটি একটি নতুন পেইজ ওপেন করবে।

ধাপ ৪. আপনার পছন্দের নামে ডোমেইন এভেইলেবল আছে কিনা তা চেক করুন
namecheap-hosting-4

ওপরের Purchase a new domain বাটনটিতে ক্লিক করলে তা আপনাকে পরবর্তী পেইজে নিয়ে যাবে যেখানে ডোমেইন চেক করার জন্য একটি ব্ল্যাঙ্ক বক্স পাবেন:
namecheap-hosting-5

উক্ত বক্সে আপনার পছন্দ করা ওই ওয়েবসাইটের নামটি দিয়ে চেক করতে হবে যে তা অন্য কেউ আপনার আগেই রেজিস্ট্রেশন করে ফেলেছে কিনা।

তো আপনার ওয়েবসাইটের নামটি ওই বক্সে বসিয়ে তার পর একটি .com দিন এবং একটু অপেক্ষা করুন।

আপনার ডোমেইনটি যদি এভেইলেবল থাকে তবে তার পাশে একটি টিক মার্ক দেখতে পাবেন।

namecheap-hosting-6

আর যদি ডোমেইনটি এভেইলেবল না থাকে তবে আরেকটি ডোমেইন দিয়ে চেক করতে হবে।

যেহেতু ওয়েবসাইটের ডোমেইন হলো একটি ইউনিক নাম, তাই একটি ডোমেইন কেনা হয়ে গেলে তা আর অন্য কেউ কিনতে পারবে না।

এবার নিচের Add New Domain to Cart বাটনে ক্লিক করুন।

ধাপ ৫. অন্যন্য প্রয়োজনীয় হোস্টিং সার্ভিসসমূহ নির্বাচন করুন
ডোমেইন ও হোস্টিং ছাড়াও আরো কিছু সার্ভিস আপনার ওয়েবসাইট পরিচালনার জন্য প্রয়োজন হবে আর তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো SSL সার্টিফিকেট যা আপনার সাইটের নিরাপত্তাকে করবে আরো শক্তিশালী।

namecheap-hosting-7-ssl

SSL সাটিফিকেটটির পাশে থাকা কার্ট বাটনে ক্লিক করলেই তা আপনার পূর্বের বাছাই করা সার্ভিসসমূহের সাথে যোগ হয়ে যাবে।

স্টেপ ৬. অর্ডার কন্ফার্ম করুন
এবার আপনাকে আপনার বাছাইকরা সব সার্ভিসগুলো কেনার অর্ডার কনফার্ম করতে হবে।

আপনার শপিং কার্টে আপনি আপনার মোট বিল এর পরিমান দেখতে পাবেন।

নিচে একটি স্যাম্পল বিলিং দেখুন –

The total price of my blog for a year

আপনার বিল এর থেকে অনেক কম আসবে যেহেতু আপনি প্রথম হোস্টিং প্যাকেজটি সিলেক্ট করেছেন।

তো আপনার বিলটি পে করতে Confirm Order বাটনে ক্লিক করুন।

স্টেপ ৭. সাইন আপ/সাইন ইন করুন
আপনার বিল পে করতে অবশ্যই Namecheap এ একটি একাউন্ট থাকতে হবে আর এর জন্য আপনি একটি ফ্রি একাউন্ট খোলার জন্য বা আপনার যদি আগেই Namecheap এ একাউন্ট থেকে থাকে তবে তাতে লগইন এর জন্য একটি ফর্ম পাবেন।

namecheap-hosting-9-sign-in-or-sign-up

তো SIGN UP বা Sign in and Continue বাটনে ক্লিক করে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন বা একটি নতুন একাউন্ট খুলুন।

এরপর আপনার পেমেন্ট ইনফরমেশন প্রদানের পর আপনার বিল পরিশোধ হয়ে যাবে ও আপনি আপনার ইমেইল ইনবক্সে একাধিক ইমেইল পাবেন।

আপনি একটি ইন্টারন্যাশনাল ক্রেডিট কার্ড (Credit Card) বা পেপাল (PayPal) বা পেওনিয়ারের (Payoneer) মাধ্যমে আপনার হোস্টিং ও অন্যন্য সার্ভিসের টাকা পরিশোধ করতে পারবেন।

এখন সমস্যা হতে পারে এই যে আপনার কোনো ক্রেডিট কার্ড বা পেপাল বা পেওনিয়ার একাউন্ট নেই, তাহলে কি করবেন?

দেখুন আপনি একটু খোঁজ নিলেই আপনার আসে-পাশে অনেককেই পাবেন যারা ফ্রীলান্সিং বা অনলাইনে অন্যন্য কাজ করছে।

তাদের কাছ থেকে তাদের একটি পেমেন্ট মাধ্যম ব্যবহার করুন ও তাদেরকে ডলারের সমপরিমান বাংলাদেশী টাকা প্রদান করুন।

আর আপনার যদি নিজের একটি ক্রেডিট কার্ড বা অন্য কোনো ইন্টারন্যাশনাল মাস্টারকার্ড থেকে থাকে তবে তো আর কথাই নেই।

আপডেট! Eastern Bank LImited (EBL) ব্যাংক একটি মাস্টারকার্ড চালু করেছে যার নাম EBL Aqua MasterCard যার মাদ্ধমে আপনি অনলাইনের যেকোনো পেমেন্ট করতে পারবেন! Online Income Site

আপনার ওয়েবসাইটের জন্য সবকিছু কেনা শেষ, এখন আপনাকে আপনার সাইটটি সেটআপ করতে হবে।

এজন্য পরবর্তী ধাপগুলো অনুসরণ করুন।

স্টেপ ৮. ইমেইল চেক করুন
ইমেইলগুলো চেক করুন ও তা থেকে আপনি আপনার ওয়েবসাইটের কন্ট্রোল প্যানেল বা cPanel এর URL ,ইউজারনেম ও পাসওয়ার্ড পাবেন।

ধাপ ৯. আপনার হোস্টিং একাউন্টে প্রবেশ করে WordPress বা আপনার পছন্দের যেকোনো CMS ইনস্টল করুন
এবার ওই ইমেইল থেকে URL বা লিংকে ক্লিক করেআপনার কন্ট্রোল প্যানেলে যেয়ে ইউজারনেম ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে আপনার সাইটের কন্ট্রোল প্যানেলে প্রবেশ করুন।

namecheap-hosting-10

স্টেপ ১০. ওয়ার্ডপ্রেস ইনস্টল করুন
https://www.youtube.com/watch?v=D5DcUiPvrQU&t=362s

cPanel থেকে আপনাকে আপনার সাইটের জন্য একটি কনটেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (CMS) ইনস্টল করে নিতে হবে।

এজন্য আপনাকে সফটাকুলাস (Softaculous) নামে একটি অন ক্লিক ইনস্টলার ব্যবহার করতে হবে।

cPanel এর নিচে যেতে থাকুন ও Softaculous নামে একটি সেকশন পাবেন।

namecheap-hosting-11
WordPress এ ক্লিক করলে Install Now নামে একটি বাটন পাবেন।

namecheap-hosting-12

উক্ত বাটনে ক্লিক করলে কয়েকটি সেকশন সম্বলিত একটি ফর্ম দেখতে পাবেন।

প্রথম সেকশনটি হলো Software Setup যেখানে আপনাকে কয়েকটি জিনিস সিলেক্ট করে নিতে হবে।

namecheap-hosting-13

প্রথমেই http:// এর পরিবর্তে https:// সিলেক্ট করুন কারণ আপনার সাইটটিতে SSL ব্যবহার করবেন তাই।

এরপর আপনার সদ্য কেনা ডোমেইনটি সিলেক্ট করুন এবং In Directory ঘরটি খালি রাখুন।

এবার দ্বিতীয় সেক্শনে (Site Settings) যান যেখানে আপনার সাইটের নাম ও সাইটের ডেসক্রিপশন লিখতে হবে।

namecheap-hosting-14

তো প্রথম ঘরে আপনার সাইটের নাম ও দ্বিতীয় ঘরে আপনার সাইটের একটি স্লোগান লিখুন।

এবার তৃতীয় সেকশনটিতে যান যেখানে আপনার সাইটের এডমিন ইউজারনেম ও পাসওয়ার্ড সিলেক্ট করতে হবে।

namecheap-hosting-15

এডমিন ইউজারনেম হিসেবে admin বা আপনার নাম সিলেক্ট না করে অন্য কোনো শব্দ ব্যবহার করুন যা আপনার সাইটটিকে হ্যাকারদের হাত থেকে করবে আরো বেশি নিরাপদ।

একই সাথে একটি কঠিন পাসওয়ার্ড সিলেক্ট করুন।

সবশেষে নিচের Install বাটনে ক্লিক করলেই ওয়ার্ডপ্রেস ইনস্টল শুরু হয়ে যাবে।

namecheap-hosting-16

কিছুক্ষনের মধ্যেই আপনার সাইটটি রেডি হয়ে যাবে।

এবার আপনার Namecheap একাউন্টে সাইন ইন করুন ও আপনার ডোমেইনের পাশে লেখা Manage বাটনে ক্লিক করুন।

NAMESERVERS এ যেয়ে দেখুন সেখানে Namecheap BasicDNS আছে।

এটিকে পাল্টিয়ে Namecheap Web Hosting DNS সিলেক্ট করে দিন। কয়েক মিনিটের মধ্যে তা সেভ হয়ে যাবে।

এবার আপনার সাইটে ভিজিট করতে পারবেন যদি আপনার ডোমেইনের প্রোপাগেশন কমপ্লিট হয়ে থাকে। সাধারণত ২৪ থেকে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে নতুন কেনা ডোমেইনের প্রোপাগেশন কমপ্লিট হয়ে যায়।

তো এই সময়টুকু একটু ধৈর্য্য ধরুন যতক্ষণ না আপনার ডোমেইনটি প্রোপাগেট হয়ে যায়।

ধাপ ৯. আপনার সাইটে প্রবেশ করে প্রয়োজনীয় সবকিছু সেটআপ করুন
সুসংবাদ! আপনার সাইটটি এখন লাইভ হয়ে গেছে।

আপনি এখন যেকোনো ব্রাউজার দিয়ে আপনার সাইটে প্রবেশ করতে পারবেন।

এখন আপনার সাইটের ড্যাশবোর্ড এ যেয়ে সবকিছু কন্ট্রোল করতে চাইলে ব্রাউসার এর URL bar এ www.xyz.com/wp-admin/ দিয়ে সার্চ করুন। এখানে হলো আপনার সাইটের নাম।

দেখবেন আপনার সাইটে প্রবেশের জন্য ইউজারনেম ও পাসওয়ার্ড চাওয়া হচ্ছে:

আপনার ইউজারনেম ও পাসওয়ার্ড দিয়ে আপনার সাইটের ড্যাশবোর্ড বা ব্যাকএন্ড এ প্রবেশ করুন।

একটি ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট মনের মতো করে সাজানোর জন্য কিছু উল্লেখযোগ্য প্লাগিন ব্যবহার করা দরকার। এখানে কিছু প্লাগিন এর লিস্ট দেয়া হলো যা আপনি Plugins – Add New এ যেয়ে ইনস্টল ও একটিভ করে নিতে পারবেন:

Akismet Ani-Spam
AMP
Broken Link Checker
Glue for Yoast SEO & AMP
Google Analytics Dashboard for WP
Redirection
Sucuri Security
W3 Total Cache
WP-Optimize
Yoast SEO

এছাড়া আপনার উচিত অবশ্যই একটি প্রিমিয়াম থিম ব্যবহার করা যা ৫০ থেকে ১০০ ডলারের মধ্যেই পাওয়া যায়। আপনার সাইটকে SEO করে গুগল এ রাঙ্ক এ আনার জন্য একটি প্রিমিয়াম থিম কিন্তু খুবই জুরুরি। আর একটি মানসম্মত প্রিমিয়াম থিমের কোডিং নিখুঁত হওয়ায় এটি আপনার সাইটের নিরাপত্তাও অনেক জোরদার করতে পারবে।

ধাপ ১০. ওয়েবসাইট চালানো শিখুন ও নিশ্চিন্তে আপনার ওয়েবসাইটটি চালাতে থাকুন
এখন আপনার সাইটটি আপনার নিজের মতো করে ব্যবহার করতে হলে এর কিছু প্রয়োজনীয় পেইজ তৈরী করতে হবে।

Posts – Add New এই বাটনে যেয়ে পেইজ ও Pages – Add New এই বাটনের মাধ্যমে পোস্ট লিখতে পারবেন।

দেখলেন তো একটি ওয়েবসাইট তৈরী করা কত সহজ!

তো আর দেরি কেন? এক্ষুনি আপনার স্বপ্নের ওয়েবসাইটটি তৈরী করে ফেলুন এবং আপনার ব্যবসার প্রসারে আরো একধাপ এগিয়ে যান।

শেয়ার করে আপনার বন্ধুদেরকেও ওয়েবসাইট বানানোর এই সহজ উপায়টি জানিয়ে দিন ও কমেন্টে আপনার কোনো প্রশ্ন থাকলে তা জানান।

Comments (No)

Leave a Reply

এই সাইটের কোন লেখা কপি করা সম্পুর্ন নিষেধ