এন্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম চালিত মোবাইল ফোনের জনপ্রিয়তা দিন দিন বেড়েই চলছে। সেই সাথেই বেড়ে চলছে বিভিন্ন অ্যাপস এর চাহিদাও। দৈনিক অন্য যে কোনো অপারেটিং সিস্টেম এর ফোনের চেয়ে কয়েকগুন এন্ড্রয়েড চালিত ফোন বিক্রয় হচ্ছে। তাই সহজেই অনুমান করা যায় যে, আগামী কয়েক বছরের মধ্যে অ্যান্ড্রয়েড ফোনই হবে সর্বাধিক ব্যাবহৃত মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম।
এখন যেহেতু সবাই স্মার্টফোন ব্যবহার করে, তাই এখন এখানেই রেভিনিউ জেনারেট করার স্কোপ সবচেয়ে বেশি। অনেক অনেক বেশি। ২০১২ তে অ্যাপ মার্কেটের ভ্যালু ছিল $10 বিলিয়ন ডলার। যার গ্রোথ ১০০%। এখন যা ১০০ বিলিয়ন এই মার্কেটের ৫% বাংলাদেশে আনতে পারলে আমাদের ন্যাশনাল বাজেট থেকে বেশি হবে। আনতে পারাটা কঠিন নয়। দরকার সবার চেষ্টা। নিজ নিজ স্থান থেকে ভালো করে অ্যাপ ডেভেলপ করা, মানিটাইজ করা। নিজের জন্যই। মার্কেটটা বিশাল। নিজের জন্য কাজ করে যাবেন। এক নিজের অজান্তেই দেশেরও উপকার হবে। দেশের জন্য কাজ করা গর্বের নয় কি?
এ ছাড়া কোন প্রতিষ্ঠানের জন্য অ্যাপ তৈরির রয়েছে বিশাল সুযোগ। আজ কাল প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠানের একটি ওয়েব সাইটের পাশা পাশী একটি অ্যাপ ডেভেলপ করে নিচ্ছে। তা ছাড়া বিজনেস যারা করে, তারা সব কিছু চায় নিজেরা দেখা শুনা করতে। তাই যারা বিজনেস করে, তারা যদি তাদের বিজনেসের সকল আপডেট নিজ মোবাইলে বা ট্যাবে পেয়ে যায়, দারুণ হয় তাদের জন্য। প্রোডাক্টিভিটি বেড়ে যাবে তাদের। শুধু একটা অ্যাপই পারে তা করতে।
আপনি যদি একজন প্রোফেশনাল এন্ড্রয়েড অ্যাপ ডেভেলপার হয়ে সফটওয়্যার কম্পানিতে জব করতে চান অথবা নিজেই অ্যাপ ডেভেলপ করে গুগল প্লেতে অ্যাপ পাবলিশ করার মাধ্যমে ইনকাম করে স্মার্ট একটি ক্যারিয়ার গড়তে চান, তাহলে এই কোর্সটি হবে আপনার জন্য পারফেক্ট একটি কোর্স।কলেজ, ইউনিভার্সিটির ছাত্র থেকে শুরু করে, যেকোন ব্যাকগ্রাউন্ডের লোকজন সবাই এই কোর্সটি করতে পারে এবং একজন সাকসেসফুল এন্ড্রয়েড অ্যাপ ডেভেলপার হিসেবে ভবিষ্যতে নিজের ক্যারিয়ার গড়তে পারে।
অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট কঠিন নয়, সহজ। লার্নিং কার্ভটা একটু বেশি, এই যা। ঠিক মত শিখে একবার শুরু করলে পেছনে তাকাতে হবে না একটি বারের জন্য ও। শুরু করতে হবে, শুরু করাটাই কঠিন। একটা, শুধু একটা অ্যাপ হিট হলেই স্বপ্নটাই পরিবর্তন হয়ে যাবে। নতুন করে স্বপ্ন দেখাবে, নতুন লক্ষ্যে ~………