১৫টি উপায়ে যেভাবে অনলাইনে টাকা আয় করে নিতে পারবেন 2022

১৫টি উপায়ে যেভাবে অনলাইনে টাকা আয় করে নিতে পারবেন সেদিন হুট করে দিয়া আমাকে বললো, “দোস্ত তুই তো অনেক জায়গায় কাজ করিস, একটু বল তো ঘরে বসেই কোনো কাজ-টাজ করা যায় কিনা? সেমিস্টার ব্রেকে টুকটাক ইনকাম করতে পারলে ভালো হতো।” চিন্তা করে দেখলাম, শুধু দিয়াই না, এমন অসংখ্য মানুষ আছেন, যারা অনলাইনে ইনকাম করার নানান উপায় খুঁজছেন। তাদের মধ্যে অনেকেই হয়তো সঠিক পথটা বেছে নিতে পারছেন না, অনেকেই আবার বুঝতে পারছেন না কোনটা দিয়ে শুরু করবেন। চলুন তাহলে অনলাইনে ইনকাম করার কিছু কাজ সম্পর্কে জেনে আসা যাক!

পেইড সার্ভের মাধ্যমে অনলাইনে ইনকাম করার উপায়
অনলাইনে এমন অনেক ধরনের পেইড সার্ভে আছে, যেগুলো করে অনলাইন থেকে ইনকাম করতে পারবেন। মূলত কোনো কোম্পানি থেকে তাদের প্রোডাক্ট নিয়ে মানুষের ফিডব্যাক কী, নতুন প্রোডাক্টে কী কী থাকা উচিত, এসব জানার জন্য সার্ভে করা হয়।

এই কাজের জন্য আপনার মোবাইল বা কম্পিউটার হলেই চলবে। কিন্তু একটি পেইড আইপি লাগবেই, ফ্রি ভিপিএন দিয়ে বেশি দিন কাজ করতে পারবেন না।

১৫টি উপায়ে যেভাবে অনলাইনে টাকা আয় করে নিতে পারবেন
১৫টি উপায়ে যেভাবে অনলাইনে টাকা আয় করে নিতে পারবেন

ওয়েবসাইট ও অ্যাপ টেস্টার হয়ে অনলাইনে ইনকাম
একটি ওয়েবসাইট বা অ্যাপ কেমন কাজ করছে, ভিজিটররা সঠিক সেবাটা পাচ্ছেন নাকি তা দেখার জন্য তৃতীয় পক্ষ হিসেবে একজন ওয়েবসাইট ও অ্যাপ টেস্টার কাজ করেন।

অনেক ওয়েবসাইট ভিজিট করার সময় দেখা যায় লোড হতে সময় লাগছে, কিংবা অ্যাপটা ক্র‍্যাশ করছে। এসব ঘটনা হরহামেশাই ঘটে থাকে যার কারণে টেস্টারদের চাহিদা অনেক। একজন ওয়েবসাইট বা অ্যাপ টেস্টার হিসেবে আপনার কাজ হবে এই দুটো যাতে ইউজারদের কাছে সহজলভ্য হয় সেদিকে খেয়াল রাখা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এসব কাজ করে ঘন্টায় ১০-২০ ডলার আয় করা যায়।

ওয়েবসাইট তৈরি করে অনলাইনে ইনকাম
আজকাল নানান কাজে মানুষের ওয়েবসাইটের দরকার হয়। তাই আপনি যদি ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন তাহলে খুব সহজেই অনলাইনে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। আপনার সাইটে যদি ট্রাফিক থাকে, তাহলে ওয়েবসাইটের দামও ভালো পাবেন।

একটি ওয়েবসাইট বানাতে বেশি কিছু প্রয়োজন হয় না। শুধু ডোমেইন এবং হোস্টিং হলেই ওয়েবসাইট তৈরি করা সম্ভব। এরজন্য প্রথমে আপনাকে একটি হোস্টিং কিনতে হবে এবং একটি ডোমেইন রেজিস্ট্রেশন করে তারপর ওয়েবসাইট বানাতে হবে।

গুগল এডসেন্স থেকে অনলাইনে ইনকাম
ওয়েবসাইট বা ইউটিউব থেকে আয় করতে হলে প্রথমেই যে বিষয়টি চলে আসে সেটি হলো গুগল এডসেন্স এর মাধ্যমে ইনকাম।

আপনার যদি একটি ওয়েবসাইট বা ইউটিউব চ্যানেল থাকে, তখন সেই ইউটিউব চ্যানেল অথবা ব্লগের বিভিন্ন জায়গায় গুগল কর্তৃক এডসেন্সের বিজ্ঞাপন প্রদর্শিত হবে। আপনার সাইটের ভিজিটররা সেই বিজ্ঞাপনের ওপর ক্লিক করলে বিজ্ঞাপন থেকে আপনি একটি অংশ আয় করতে পারবেন।

গুগল এডসেন্স থেকে প্রতি ক্লিকে কত ইনকাম হয় এটাও নির্দিষ্ট নয়। তবে বিভিন্ন দেশ ভেদে প্রতি ক্লিক এর মূল্য $০.০১ ডলার থেকে শুরু করে $১০০ ডলার পর্যন্ত হয়ে থাকে। এটা নির্ভর করে আপনার কনটেন্ট কোয়ালিটি, কনটেন্টের ধরন এবং কন্টেন্ট কান্ট্রি অনুযায়ী।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে অনলাইনে ইনকাম
ওয়েবসাইট তৈরি করে অনলাইনে আয়ের আরেকটি জনপ্রিয় মাধ্যম হচ্ছে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। আপনার যদি ভাল মানের একটি ওয়েবসাইট থাকে এবং সেটিতে ভালো ভিজিটর আসে তাহলে আপনি চাইলেই যে কোন অ্যাফিলিয়েট লিংক বসিয়ে প্রোডাক্ট বিক্রি করে ইনকাম করতে পারবেন।

কোনো কোম্পানির প্রোডাক্ট সেল করে দিলে সেই কোম্পানির পণ্য বিক্রয়ের উপর আপনাকে সাধারণত ২% থেকে ৭০% কমিশন প্রদান করা হয়।

আপনার অনলাইন প্ল্যাটফর্মের ধরন যেমনই হোক না কেনো, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে আয় করা সম্ভব। ওয়েবসাইট, ইউটিউব চ্যানেল, ফেসবুক প্রোফাইল, এমনকি ইনস্টাগ্রামের মাধ্যমেও রেফারেল বা অ্যাফিলিয়েট ইনকাম করা সম্ভব।

ছবি ও ফুটেজ বিক্রি করে অনলাইনে ইনকাম
আপনি যদি আপনার তোলা কোনো ছবি অনলাইনে বিক্রি করতে চান তাহলে তার জন্য রয়েছে নানান ইমেজ শেয়ারিং বা স্টক ইমেজ সাইট। এই সাইটগুলোতে আপনি আপনার ছবি বিক্রি করার জন্য আপলোড দিতে পারবেন। তবে ছবিগুলো হতে হবে ভালো মানের, হাই রেজুলেশনের।

এমনই কয়েকটি ওয়েবসাইট হলো:

Shutterstock
Fotolia
GettyImages
iStock
Dreamstime

এসব ওয়েবসাইটে কাজ করতে চাইলে প্রথমেই আপনাকে ওয়েবসাইটে একাউন্ট খুলে আপনার তোলা ছবি আপলোড করতে হবে। তারপর আপনার ছবির কোয়ালিটি, রেজুলেশন ইত্যাদি বিষয় যাচাই-বাছাই করে আপনার প্রোফাইলটি ঐ ওয়েবসাইটে অনুমোদন দেওয়া হবে।

প্রোফাইল অনুমোদন পাওয়ার পর আপনি সেখানে আপনার তোলা ছবি আপলোড করতে পারবেন। তবে কর্তৃপক্ষ প্রথমে আপনার আপলোড করা প্রতিটি ছবিকে যাচাই করবে, তারপরেই ছবিগুলো আপলোড হবে এবং সবাই আপনার ছবি দেখতে পারবে।

অনেক বড় বড় কোম্পানি আছে যাদের বিভিন্ন কারণে নানান ছবির দরকার হয়। তখন ঐ সব বড় বড় কোম্পানি তাদের কাজের জন্য ভালো ভালো মার্কেটপ্লেস থেকে ছবি কিনে নেয়।

সাধারণত প্রায় সব ওয়েবসাইটই ফটোগ্রাফারদের প্রতি সেলের জন্য ৩০-৭০% কমিশন দেয়।

কিন্ডলে ইবুকের মাধ্যমে অনলাইন ইনকাম
আপনার যদি লেখালেখি করার ইচ্ছে বা অভিজ্ঞতা থাকে, তাহলে আপনি অ্যামাজন কিন্ডলের সাহায্য লাখ লাখ মানুষের কাছে আপনার লেখা প্রকাশ করতে পারবেন।

অ্যামাজন Kindle Direct Publishing এর সাহায্যে আপনি যেকোনো বই ডিজিটালি লিখে ৫ মিনিটের মধ্যে তা অনলাইনে প্রকাশ করতে পারবেন। মূলত একটি বই অ্যামাজনের গ্লোবাল নেটওয়ার্ক ও অ্যামাজনের ই-কমার্সের মাধ্যমে ২৪ থেকে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে অনলাইনে প্রচুর মানুষের কাছে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা যায়৷ আপনি নিজে Amazon KDP- এর সাহায্যে নানান ক্যাটাগরির বই প্রকাশ করতে পারবেন। আর বইয়ের দামটা ঠিক করবেন আপনি নিজেই। বই বিক্রির টাকা আপনার পেপ্যাল অথবা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে চলে আসবে।

ভয়েস ওভার আর্টিস্ট হয়ে অনলাইন ইনকাম
আপনি যদি শুদ্ধ ভাষায় সুন্দর করে গুছিয়ে কথা বলতে পারেন, তাহলে নানান জায়গায় ভয়েস ওভার আর্টিস্ট হিসেবে কাজ করতে পারবেন।

অডিওবুক, ভিডিও কন্টেন্ট, অ্যানিমেশন, অ্যাডভার্টাইজমেন্ট, প্রোডাক্ট ভিডিও, অডিও গাইড ইত্যাদি জায়গায় ভয়েস আর্টিস্ট হিসেবে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। লোকাল মার্কেটপ্লেসে আপনি প্রতি মিনিটের জন্য ৩০-৬০ টাকা পেতে পারেন৷ আর ফাইভারে কাজ করলে অর্থটা ৫ থেকে ৫০ ডলার অবধি যেতে পারে।

ভয়েস ওভার আর্টিস্ট হিসেবে সুন্দর স্বর ও শুদ্ধ উচ্চারণ ছাড়া প্রয়োজন রেকর্ডিংয়ের জন্য একটি ভালো মানের মাইক্রোফোন। এরপর মোবাইল দিয়ে রেকর্ডিংটা এডিট করে বায়ারকে পাঠিয়ে দিলেই হলো।

ডোমেইন নেম বেচা-কেনার মাধ্যমে অনলাইন ইনকাম
অর্থ উপার্জনের একটি জনপ্রিয় উপায় হলো ডোমেইন ফ্লিপিং। অর্থাৎ একটি ডোমেইন নেম কিনে সেটিকে বেশি দামে বিক্রি করা।

প্রথমে আপনাকে ডোমেইন নেম সম্পর্কে ভালোমত গবেষণা করতে হবে। কোন ধরনের ডোমেইন নেম-এর চাহিদা ও দাম বেশি সেগুলো জানতে হবে। এরপর আপনাকে একটি ডোমেইন নেম কিনে নিতে হবে। খুব আকর্ষণীয় এবং অর্থবহ কিছু নামের ডোমেইন কিনে রাখতে হবে। তবে এক্সপায়ারড হয়ে যাওয়া ডোমেইন নেম কেনাই বেশি লাভজনক। আপনি চাইলে ডোমেইন নেমটি দ্রুত বিক্রি করে ফেলতে পারেন, আবার অনেকদিন এটাকে নিজের কাছে রাখতেও পারেন।

১৫টি উপায়ে যেভাবে অনলাইনে টাকা আয় করে নিতে পারবেন 2022 1

ফ্রিল্যান্সিং করে অনলাইন ইনকাম
ফ্রিল্যান্সিং হলো এমন একটি মুক্ত পেশা, যেখানে আপনি ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের কাজ করে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।

জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং কাজগুলো হলো:

কন্টেন্ট রাইটিং, কপিরাইটিং, প্রুফরিডিং, গ্রাফিক ডিজাইনিং, ফটোগ্রাফি, ওয়েব ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট, সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট ইত্যাদি।

ফ্রিল্যান্সিং প্লাটফর্মে যেমন: Fiverr, Freelancer, Upwork ইত্যাদিতে একাউন্ট খুলে সেটি পোর্টফলিওর মতো সাজিয়ে ফেলুন। এরপর বায়ার তার চাহিদা এবং আপনার দক্ষতা দেখে আপনাকে কাজ দিবে।

আর আপনারা যারা ঘরে বসেই ধাপে ধাপে ফ্রিল্যান্সিং করা শিখতে চান, তাদের জন্য টেন মিনিট স্কুল নিয়ে এসেছে ”ঘরে বসে ফ্রিল্যান্সিং” কোর্স। এই কোর্সটির মাধ্যমে আপনি প্রাথমিক ফ্রিল্যান্সিং থেকে শুরু করে এডভান্স ফ্রিল্যান্সিং দক্ষতা এবং শেষ পর্যন্ত একজন শীর্ষ ফ্রিল্যান্সার হয়ে ওঠার ধাপগুলোর সম্পূর্ণ নির্দেশিকা পাবেন।

ফ্রিল্যান্সিং থেকে কত টাকা আয় করা যাবে এর কোন নির্দিষ্ট সীমানা নেই। কেউ এখান থেকে মাসে ৩০০ ডলার আয় করে থাকে আবার কেউ এখান থেকে মাসে ৩০০০ ডলার আয় করে থাকে।

ইউটিউবিং করে অনলাইনে ইনকাম করার উপায়
ইউটিউব থেকে রোজগারের জন্য আপনার চ্যানেলে অন্তত এক হাজার সাবস্ত্রাইবার থাকতে হবে। যদিও সাবস্ক্রাইবার প্রতি আপনি কোনো টাকা পাবেন না। তবে যত বেশি সাবস্ক্রাইবার থাকবে রোজগারের সম্ভাবনা ততই বেশি হবে। আপনি চাইলে কোনো ব্র্যান্ডের সঙ্গে কোলাবোরেশান করতে পারবেন।

এক হাজার সাবস্ক্রাইবারের সঙ্গেই আয় শুরুর জন্য বিগত ১২ মাসে প্রয়োজন হবে চার হাজার ঘণ্টা ভিউ। যত বেশি ভিউ পাবেন রোজগারের সম্ভাবনা ততই বাড়তে থাকবে। তবে আপনার ভিডিওর উপরে দেখানো লিঙ্কে ক্লিক করে কেউ সম্পূর্ণ বিজ্ঞাপন দেখলে তবেই রোজগার হবে ইউটিউব থেকে।

YouTube Studio থেকে Monitization বিভাগে গিয়ে চ্যানেলে বিজ্ঞাপন দেখানো সিলেক্ট করতে পারবেন। এখানেই ড্যাশবোর্ডে মাসে কত রোজগার হয়েছে দেখে নিতে পারবেন।

অনলাইন টিউটর হয়ে আয়
আপনি যদি কোনো বিষয়ে পারদর্শি হন, তবে অনলাইনে সে বিষয়ে শিক্ষা দিতে পারেন। অনলাইন টিউটরদের এখন অনেক চাহিদা এবং সব বয়সী শিক্ষার্থীদের আপনি শিক্ষা দিতে পারবেন। বিভিন্ন ওয়েবসাইটে অনলাইন টিউশনির সুযোগ রয়েছে। সেখানে সুবিধামতো সময়ে পড়াতে পারেন। আবার নিজেই একটা কোর্স খুলে ফেলতে পারেন।

কনটেন্ট রাইটিং ও ব্লগিং
আপনি লেখালেখিতে পারদর্শী হলে অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলোতে লিখে অর্থ উপার্জন করতে পারেন। ব্লগ লিখে আয় করতে হলে নিজের ব্লগ সাইট তৈরি করে লিখতে পারেন। ওয়ার্ডপ্রেস ও টাম্বলার প্ল্যাটফর্মে বিনামূল্যে ব্লগ লেখা যায়। আবার চাইলে নিজে ডোমেইন হোস্টিং কিনে ব্লগ চালু করতে পারেন।

আপওয়ার্ক, ফাইভারসহ বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং প্লাটফর্মে কনটেন্ট ও ব্লগ রাইটারদের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। ইংরেজি লেখায় দক্ষতা থাকলে এই ফ্রিল্যান্সিং প্লাটফর্মগুলোতে কাজ পাওয়াটা আপনার জন্য অনেক সহজ হয়ে যাবে। কাজের মানের ভিত্তিতে প্রতি ১০০০ ওয়ার্ডের জন্য কনটেন্ট রাইটাররা $৫ থেকে $১০০ পর্যন্ত পেয়ে থাকে।

এছাড়াও বিভিন্ন অনলাইন নিউজ পোর্টালে লেখালিখি করে আপনি অনলাইনে টাকা আয় করতে পারেন।

ডেটা এন্ট্রি করে অনলাইনে ইনকাম
ডাটাগুলোকে একটি কম্পিউটারের মাধ্যমে কিছু সফটওয়্যারের সাহায্যে যোগ বা আপডেট করাই হলো ডেটা এন্ট্রি। যাদের দ্রুতগতির টাইপিং দক্ষতা আছে, তারা এ ধরনের কাজ করতে পারবেন।

ইন্টারনেটের এরকম অনেক ফ্রিল্যান্সিং সাইট রয়েছে (Fiverr, Freelancer, Guru) যেখানে গিয়ে আপনারা ডাটা এন্ট্রির সাথে জড়িত কাজগুলো পাবেন। তবে এসব কাজে উপার্জন সাধারণত অন্যান্য কাজের তুলনায় কম হয়।

ভার্চ্যুয়াল সহকারী হয়ে অনলাইনে ইনকাম করার উপায়
বিভিন্ন দক্ষতার ভিত্তিতে ভার্চ্যুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট নিয়োগ দেয় প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে ফোন কল, ই-মেইল যোগাযোগ, ইন্টারনাল রিসার্চ, ডেটা এন্ট্রি, এডিটিং, রাইটিং, ব্লগ, গ্রাফিকস, টেক সাপোর্ট, সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবস্থাপনার মতো কাজ থাকে। 24/7 Virtual Assistant, Assistant Match, Freelancer.com, People Per Hour, Upwork এর মতো সাইটগুলোতে কাজ পাওয়া যায়।

এছাড়াও বিভিন্ন গ্রুপে সেকেন্ডহ্যান্ড বই বিক্রি করা, অনুবাদ, প্র‍্যাকটিকাল লিখে দেওয়ার মাধ্যমেও অনলাইনে খুব সহজেই অর্থ উপার্জন করা যায়।

অনলাইনে অর্থ উপার্জনের আগে যা মাথায় রাখবেন
কাজ শুরুর আগে যেসব ওয়েবসাইটে বা যার সাথে কাজ করবেন, সে সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে রাখা প্রয়োজন। কারণ, এমন অনেক ওয়েবসাইট ও মানুষ আছে, যেগুলো আপনাকে নানা ধরনের কাজের বিপরীতে ভালো মজুরির আশ্বাস দিলেও শেষমেশ প্রতারণা করে। এমন অনেক ওয়েবসাইট ও মানুষ রয়েছে, যারা আপনাকে ঠকানোর জন্য বসে আছে। তাই নতুন কোনো সাইটে কাজ করতে চাইলে তার সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া জরুরি। যেখানে কাজ করতে চাইছেন, দেখতে হবে, তা সক্রিয় ও বিশ্বাসযোগ্য কিনা।

অনলাইনে ইনকাম করে যেভাবে টাকা উঠাবেন:
খেয়াল রাখবেন, অধিকাংশ বিদেশি সার্ভে সাইটে পেমেন্ট মেথড হচ্ছে পেপ্যাল। কিন্তু বাংলাদেশ থেকে পেপ্যাল সাপোর্ট করে না৷ তবে পেপ্যালের জুম সেবা চালুর মাধ্যমে এখন থেকে আপনি সহজেই পেপ্যালের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা ওঠাতে পারবেন।

আপনি চাইলে সরাসরি আমাদের স্থানীয় ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, পেওনিয়ার অ্যাকাউন্ট এবং ওয়্যার ট্রান্সফার ব্যবহার করতে পারেন। এই পদ্ধতিগুলোর মাধ্যমে মার্কেটপ্লেস থেকে অর্থ উত্তোলন করতে চাইলে মার্কেটপ্লেসে তা ঠিক করে দিতে হবে। তবে, আপনার উত্তোলনের পরিমাণ যদি ২ হাজার ডলারের বেশি হয়, তাহলে ওয়্যার ট্রান্সফার হবে সবচেয়ে ভালো অপশন।

যদি আপনি মার্কেটপ্লেসের বাইরে সরাসরি কোনো ক্লায়েন্টের সঙ্গে কাজ করে থাকেন, সে ক্ষেত্রে আপনার পেওনিয়ার অ্যাকাউন্ট অথবা স্থানীয় ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে আপনি সরাসরি ক্লায়েন্টের কাছ থেকে টাকা আনতে পারবেন।

এখন বিকাশ অ্যাপের রেমিট্যান্স আইকন থেকে খুব সহজেই নতুন পেওনিয়ার অ্যাকাউন্টের রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন গ্রাহকরা। যাদের ইতোমধ্যে পেওনিয়ার অ্যাকাউন্ট আছে তারাও নিজেদের বিকাশ অ্যাকাউন্টের সঙ্গে সংযুক্ত করে নিতে পারবেন। অ্যাকাউন্ট সংযুক্ত হয়ে গেলে ফ্রিল্যান্সাররা তাৎক্ষণিক তাদের পেমেন্ট বিকাশ অ্যাকাউন্টে আনতে পারবেন।

Comments (No)

Leave a Reply

এই সাইটের কোন লেখা কপি করা সম্পুর্ন নিষেধ