বাছাইকৃত সেরা ১৫টি ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ | ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি? ২০২৪ সালে ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি এবং সবচেয়ে সহজ ১৫টি ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ সম্পর্কে জানুন যা আপনার চিন্তা ধারা পরিবর্তন করে দিবে।
বাংলাদেশের অনেক তরুণ উচ্চশিক্ষা লাভ করেও চাকরির বাজারে প্রবেশ করতে পারছেন। তাই আমাদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং হল বিকল্প কর্মসংস্থানের সুযোগ। ফ্রিল্যান্সিং বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
২০২২ সালের হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশ প্রায় ১০ লাখ মানুষ ফ্রিল্যান্সিং করে। যার মাধ্যমে বাংলাদেশের বছরে প্রায় ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থাৎ প্রায় ৯৬০০ কোটি টাকা ইনকাম হয়।
ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর অনেক বড় তাই ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকাম করার পূর্বে অবশ্যই আপনাকে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে। আপনি যদি লক্ষ নির্দিষ্ট করতে না পারেন তাহলে ফ্রিল্যান্সিং করে সফলতা পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।
ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ ও অনলাইনে কোন কাজের চাহিদা সবচেয়ে বেশি সহ ফ্রিল্যান্সিং এর সবচেয়ে সহজ কাজ কোনটি জানতে আমাদের পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
- ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি? সেরা ১৫টি ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ
- 1. Digital Marketing (ডিজিটাল মার্কেটিং)
- 2. Web Development (ওয়েব ডেভেলপমেন্ট)
- 3. App Development (অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট)
- 4. Graphics Design (গ্রাফিক্স ডিজাইন)
- 5. Video Editing (ভিডিও এডিটিং)
- 6. Content Writing (কনটেন্ট রাইটিং)
- 7. SEO (এসইও)
- 8. Social Media Marketing (সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং)
- 9. Translation (ট্রান্সলেশন)
- 10. Data Entry (ডেটা এন্ট্রি)
- 11. Web Designer (ওয়েব ডিজাইনার)
- 12. UI/UX Design (ইউআই/ইউএক্স ডিজাইন)
- 13. E-mail Marketer (ই-মেইল মার্কেটার)
- 14. Data Analysis (ডাটা অ্যানালাইসিস)
- 15. Virtual Assistant (ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট)
- ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি নিয়ে শেষ কথা
ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি? সেরা ১৫টি ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ
বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সিং সব থেকে আলোচিত বিষয়। অনেকেই আছে যারা চাকরি বাদ দিয়ে ফ্রিল্যান্সিংয়ের দিকে ছুটছে। এবং যারা ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম করছে তাদের মধ্যে তরুণদের সংখ্যা সব থেকে বেশি।
তাই যারা ফ্রিল্যান্সিং শিখতে চাচ্ছেন তাদের জন্য আজকে আমি আলোচনা করব ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি? সেরা ১৫টি ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ নিয়ে।
বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর ব্যাপক চাহিদা সহ ফ্রিল্যান্সিং এর অনেক সেক্টর রয়েছে। যা একজন ব্যক্তির পক্ষে সবগুলো শিখা কখনোই সম্ভব না। তবুও আপনার যদি স্বীকার খুব ইচ্ছা থাকে তাহলে সর্বোচ্চ ২/৩ বিষয়ে এক্সপার্ট হতে পারবেন।
আপনি ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম করতে চাইলে অবশ্যই আপনাকে যে কোন একটি কাজে এক্সপার্ট হতে হবে। এক্সপার্ট না হলে আপনি কম্পিটিশনে টিকতে পারবেন না। তাই আপনাকে জানতে হবে ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজে চাহিদা সব থেকে বেশি।টাল মার্কেটিং এর অনেক প্রয়োজন।
অনলাইন ইনকাম / ফ্রিল্যান্সিং
ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর অনেক বড় তাই ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকাম করার পূর্বে অবশ্যই আপনাকে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে। আপনি যদি লক্ষ নির্দিষ্ট করতে না পারেন তাহলে ফ্রিল্যান্সিং করে সফলতা পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।
ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ ও অনলাইনে কোন কাজের চাহিদা সবচেয়ে বেশি সহ ফ্রিল্যান্সিং এর সবচেয়ে সহজ কাজ কোনটি জানতে আমাদের পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
- ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি? সেরা ১৫টি ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ
- 1. Digital Marketing (ডিজিটাল মার্কেটিং)
- 2. Web Development (ওয়েব ডেভেলপমেন্ট)
- 3. App Development (অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট)
- 4. Graphics Design (গ্রাফিক্স ডিজাইন)
- 5. Video Editing (ভিডিও এডিটিং)
- 6. Content Writing (কনটেন্ট রাইটিং)
- 7. SEO (এসইও)
- 8. Social Media Marketing (সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং)
- 9. Translation (ট্রান্সলেশন)
- 10. Data Entry (ডেটা এন্ট্রি)
- 11. Web Designer (ওয়েব ডিজাইনার)
- 12. UI/UX Design (ইউআই/ইউএক্স ডিজাইন)
- 13. E-mail Marketer (ই-মেইল মার্কেটার)
- 14. Data Analysis (ডাটা অ্যানালাইসিস)
- 15. Virtual Assistant (ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট)
- ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি নিয়ে শেষ কথা
ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি? সেরা ১৫টি ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ
বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সিং সব থেকে আলোচিত বিষয়। অনেকেই আছে যারা চাকরি বাদ দিয়ে ফ্রিল্যান্সিংয়ের দিকে ছুটছে। এবং যারা ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম করছে তাদের মধ্যে তরুণদের সংখ্যা সব থেকে বেশি।
তাই যারা ফ্রিল্যান্সিং শিখতে চাচ্ছেন তাদের জন্য আজকে আমি আলোচনা করব ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি? সেরা ১৫টি ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ নিয়ে।
বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর ব্যাপক চাহিদা সহ ফ্রিল্যান্সিং এর অনেক সেক্টর রয়েছে। যা একজন ব্যক্তির পক্ষে সবগুলো শিখা কখনোই সম্ভব না। তবুও আপনার যদি স্বীকার খুব ইচ্ছা থাকে তাহলে সর্বোচ্চ ২/৩ বিষয়ে এক্সপার্ট হতে পারবেন।
আপনি ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম করতে চাইলে অবশ্যই আপনাকে যে কোন একটি কাজে এক্সপার্ট হতে হবে। এক্সপার্ট না হলে আপনি কম্পিটিশনে টিকতে পারবেন না। তাই আপনাকে জানতে হবে ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজে চাহিদা সব থেকে বেশি।
ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি? বাংলাদেশের জন্য সেরা ১৫টি ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ নিচে দেওয়া হল:
- Digital Marketing (ডিজিটাল মার্কেটিং)
- Web Development (ওয়েব ডেভেলপমেন্ট)
- App Development (অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট)
- Graphics Design (গ্রাফিক্স ডিজাইন)
- Video Editing (ভিডিও এডিটিং)
- Content Writing (কনটেন্ট রাইটিং)
- SEO (এসইও)
- Social Media Marketing (সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং)
- Translation (ট্রান্সলেশন)
- Data Entry (ডেটা এন্ট্রি)
- Web Designer (ওয়েব ডিজাইনার)
- UI/UX Design (ইউআই/ইউএক্স ডিজাইন)
- E-mail Marketer (ই-মেইল মার্কেটার)
- Data Analysis (ডাটা অ্যানালাইসিস)
- Virtual Assistant (ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট)
এছাড়াও বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং মাল্টিপ্লেসে IT Support (আইটি সাপোর্ট), Product Management (প্রোডাক্ট ম্যানেজমেন্ট), Photographer (ফটোগ্রাফার), Videographer (ভিডিওগ্রাফার) কাজের বেশ চাহিদা রয়েছে।
বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সিংয়ের এই কাজগুলো সব থেকে চাহিদা সম্পন্ন কাজ বলে ধরা হয়। তবে সাথে সময়ের সাথে সাথে মার্কেট প্লেসে অনেক নতুন নতুন কাজ আসে তাই সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে আপনাকে আপডেট হতে হবে। এবার প্রত্যেকটি কাজ সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আকারে আলোচনা করা যাক।
1. Digital Marketing (ডিজিটাল মার্কেটিং)
ডিজিটাল মার্কেটিং হল অনলাইনে পণ্য বা সেবা প্রচার করা বা বিক্রি করা। অর্থাৎ অনলাইনে বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম যেমন সার্চ ইঞ্জিল, সোশ্যাল মিডিয়া, ই-মেইল সহ বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে ক্লায়েন্টের পণ্য, সেবা বা ব্যান্ড প্রচার করা।
বর্তমানে ডিজিটাল মার্কেটিং এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে কেননা এটি কম খরচে অনেক গ্রাহকের কাছে প্রচার বা মার্কেটিং করা যায়। বর্তমান কম্পিটিশনের যুগ তাই যেকোনো ব্যবসা অথবা কোম্পানি অন্যদের থেকে ভালো করতে চাইলে একজন ডিজিটাল মার্কেটিং এর অনেক প্রয়োজন।
2. Web Development (ওয়েব ডেভেলপমেন্ট)
ওয়েব ডেভেলপমেন্ট হল ইন্টারনেটে ওয়েবসাইট বা অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করা। একটি অনলাইন ভিত্তিক ওয়েবসাইট বা অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করার জন্য একজন ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কে কোডিং ও প্রোগ্রামিং শিখতে হয়।
ওয়েব ডেভেলপমেন্ট শিখতে হলে আপনাকে HTML, CSS, PHP, JavaScript, jQuery, Bootstrap ইত্যাদি শিখতে হবে।
ওয়েব ডেভেলপমেন্টের চাহিদা বর্তমানে খুব বেশি কারণ প্রত্যেকটি ব্যবসা, প্রতিষ্ঠান, সংস্থা বা ব্যক্তি তাদের নিজস্ব ওয়েবসাইট তৈরি করতে চায়। কারণ ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী তাদের প্রচার করা সহজ হয় এবং ২৪ ঘণ্টায় যেকোনো জায়গা থেকে গ্রাহকরা সার্ভিস নিতে পারে।
3. App Development (অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট)
অ্যাপ ডেভেলপমেন্টের কাজ হল মোবাইল বা ডেস্কটপ ডিভাইসের জন্য সফটওয়্যার অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করা। বর্তমানে অ্যাপ ডেভেলপমেন্টের চাহিদা খুব বেশি।
কারণ সবার হাতে এখন একটা স্মার্ট ফোন রয়েছে তাই আপনার ব্যবসাটা বা সেবাটা যদি স্মার্টফোনের মাধ্যমে দেওয়া যায় তাহলে খুব সহজেই অনেক গ্রাহক তাদের হাতে থাকা স্মার্টফোনের মাধ্যমেই আপনার সেবা নিতে পারবে।
এছাড়াও আপনি নিজে নিজেই একটি গেম অথবা অ্যাপ তৈরি করে অনলাইন থেকে প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
4. Graphics Design (গ্রাফিক্স ডিজাইন)
গ্রাফিক্স ডিজাইন এর কাজ হল ক্লায়েন্ট এর জন্য বিভিন্ন পোস্টার, লোগো, বিলবোর্ড, ব্যানার, ম্যাগাজিন, বুক কভার ইত্যাদি তৈরি করে দেওয়া।
আপনার প্রোডাক্টটি যতই ভালো হোক না কেন যদি গ্রাহকদের সেটা দেখার পর আকর্ষণ না হয় বা পছন্দ না হয়। তাহলে সেটার বিক্রি কমে যাওয়ার সম্ভাবনাই অনেক বেশি।
তাই আপনার প্রোডাক্ট অথবা কোম্পানি কেমন তা গ্রাহকের কাছে প্রচার করার জন্য অবশ্যই একটি গ্রাফিক ডিজাইনার এর প্রয়োজন রয়েছে।
বর্তমানে গ্রাফিক ডিজাইনের চাহিদা খুব বেশি কারণ প্রত্যেকটা কোম্পানির জন্যই তাদের সোশ্যাল মিডিয়া, ওয়েবসাইট অথবা প্রোডাক্ট এর জন্য বিভিন্ন ব্যানার, লোগো বা ওয়েবসাইট ইত্যাদি ডিজাইন করার প্রয়োজন হয়।
একই কোম্পানির একাধিক কাজ একজন গ্রাফিক ডিজাইন এর দ্বারা করিয়ে নেয়। তাই বর্তমানে এ কাজের চাহিদা খুব বেশি।
5. Video Editing (ভিডিও এডিটিং
ভিডিও এডিটিং হল কম্পিউটারের মাধ্যমে বিভিন্ন সফটওয়্যার এর মাধ্যমে ভিডিও ক্লিপ, ফটো, সাউন্ড ইফেক্ট, টেক্সট, কালার ইত্যাদি যোগ করে ভিডিও করে আকর্ষণীয় করে তোলা।
বর্তমানে ভিডিও এডিটিং এর চাহিদা অনেক বেশি কারণ ইউটিউব, ফেসবুক, টিকটক সহ বিভিন্ন ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্মেতে মার্কেটিং করার জন্য ভিডিও এডিটর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।
আরও জানুন: কিভাবে ভিডিও না বানিয়ে ইউটিউব থেকে ইনকাম করতে হয়
২০২৪ সালে এসে মার্কেটপ্লেসে শর্ট ভিডিও এডিটিং এর কাজ অনেক বেশি পরিমাণে পাওয়া যাচ্ছে। ভবিষ্যতে এই কাজের চাহিদা আরো বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
6. Content Writing (কনটেন্ট রাইটিং)
কনটেন্ট রাইটিং এর কাজ হল ক্লাইন্ট আপনাকে লেখার বিষয়, সাবজেক্ট, কিওয়ার্ড এবং লেখার ফরমেট বলে দিবে, আপনাকে সেই বিষয়ে ভালো করে গবেষণা করে এবং বিশ্বাসযোগ্য উৎস থেকে তথ্য সংগ্রহ করে এসইও ফ্রেন্ডলি কনটেন্ট লিখে দিতে হবে।
কনটেন্ট রাইটিং এর চাহিদা বর্তমানে খুব বেশি হওয়ায় কন্টেন রাইটিং করে প্রচুর টাকা ইনকাম করা যায়। এবং প্রত্যেকটা ক্ষেত্রেই কনটেন্ট রাইটিং এর বেশ প্রয়োজন রয়েছে। একটি ভালো কনটেন্ট একটি ব্যান্ড ভ্যালু তৈরি করতে পারে এবং গ্রাহকদের খুব সহজেই আকর্ষণ করতে পারে।
সাধারণত প্রতিটি কোম্পানি, প্রতিষ্ঠান, সংস্থা বা ব্যক্তি তাদের প্রচার বাড়ানোর ক্ষেত্রে ফ্রিল্যান্সার দের দ্বারা কন্টেন রাইটিং করে থাকে।
7. SEO (এসইও)
এসইও বা (সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজ) এর কাজ হল কোন কনটেন্ট বা ওয়েবসাইট সার্চ ইঞ্জিন এর প্রথম পৃষ্ঠায় আনার চেষ্টা করা।
আমরা কোন কিছু যদি গুগল বা অন্য কোন সার্চ ইঞ্জিলে সার্চ করি তাহলে প্রথমদিকে যে ফলাফল থাকে আমরা সেই ফলাফল থেকে যেকোনো একটি ওয়েব সাইটে ক্লিক করে সেই বিষয়ে জানার চেষ্টা করি।
এতে গুগলের প্রথমে যে ফলাফল গুলো আমরা দেখতে পাই সেগুলো প্রথম পৃষ্ঠায় আনার জন্য প্রচুর এসিও কাজ করা লাগে। ক্লাইন্ট তাদের ওয়েবসাইট বা কনটেন্ট সার্চ ইঞ্জিনের প্রথম পৃষ্ঠায় আনার জন্য ফ্রিল্যান্সারদের দ্বারা এসিও করিয়ে নেয়।
8. Social Media Marketing (সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং)
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং হল ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউব ইত্যাদি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে ক্লায়েন্টের পণ্য, সেবা, ব্র্যান্ড বা ব্যবসা প্রচার করা।
আমাদের বেশিরভাগ মানুষই এখন সোশ্যাল মিডিয়া যেমন ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউব ইত্যাদি প্লাটফর্মে অ্যাকটিভ থাকে। তাই এখানে যে কোন ব্যান্ড বা পণ্য প্রচার করার সাথে সাথে গ্রাহকরা সে বিষয়ে জানতে পারে।
বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর খুব বেশি চাহিদা হওয়ার কারণ খুবই কম খরচে অনেক মানুষের কাছে প্রচার করা যায়।
9. Translation (ট্রান্সলেশন)
Translation-ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি
ট্রান্সলেশন এর কাজ হল একটি ভাষা বা লেখা থেকে অন্য কোন ভাষায় অনুবাদ করা। ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস ট্রান্সলেশন কাজের চাহিদা খুব বেশি।
কারণ একে অপরের সাথে যোগাযোগ করতে এবং আপনার ব্যবসা সম্পর্কে কনটেন্ট ট্রান্সলেশন করে অন্য দেশের মানুষকে বোঝানোর জন্য একজন ফ্রিল্যান্সার এর প্রয়োজন।
বর্তমানে ইংরেজি, স্প্যানিশ, ফরাসি, চীন, জার্মান, আরবি ইত্যাদি ভাষার ট্রান্সলেশন জব এর খুব বেশি চাহিদা রয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন টুলস বা সফটওয়্যার এর ব্যবহার করে ট্রান্সলেশন জব অনেক সহজ ভাবে করা যায়।
10. Data Entry (ডেটা এন্ট্রি)
ডাটা এন্ট্রি কাজ হল ক্লায়েন্টের নির্দেশনা অনুযায়ী আপনাকে বিভিন্ন ইনফরমেশন মাইক্রোসফট এক্সেল এ সাজাতে হতে পারে। এছাড়াও অন্যান্য কাজ হতে পারে যেমন ফটো থেকে টেক্সট রূপান্তর করা ইত্যাদি।
ডাটা এন্ট্রি কাজ করতে আপনাকে কম্পিউটার টাইপিং এর বেসিক জ্ঞান থাকতে হবে। ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে ডাটা এন্ট্রি কাজের খুব চাহিদা রয়েছে। ক্লাইন্টরা একজন ডাটা এন্টি ওয়ার্কার এর থেকে বিভিন্ন ইনফরমেশন নিয়ে তাদের কোম্পানির মার্কেটিং করে থাকে।
11. Web Designer (ওয়েব ডিজাইনার
ওয়েব ডিজাইন হল কোন একটি ওয়েবসাইট দেখতে কেমন হবে এবং সেখানে কি কি ফিউচার থাকবে তার একটি অবয়ব তৈরি করা। একজন ওয়েব ডিজাইনার ওয়েবসাইটের আউটলুক, ফ্রন্ট, কালার, ইমেজ, মেনু, টুল বার ইত্যাদি কেমন হবে তা নির্ধারণ করে।
ওয়েব ডিজাইন কাজের চাহিদা খুব বেশি। আপনি যদি ওয়েব ডিজাইন শিখে দক্ষ হন তাহলে আপনি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস এ কাজ করে প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
বর্তমানে ক্লায়েন্টের ব্যবসার সাথে মিল রেখে বিভিন্ন ধরনের ওয়েবসাইট তৈরি করতে হয়। এবং একজন ওয়েব ডিজাইনার ক্লায়েন্টদের জন্য কাজ করে অর্থ উপার্জন করেন।
12. UI/UX Design (ইউআই/ইউএক্স ডিজাইন)
UIUX Design-ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি
ইউআই/ ইউএক্স কাজ হল ওয়েবসাইট, মোবাইল অ্যাপ, সফটওয়্যার বা অন্যান্য ডিজিটাল পণ্যের ইউজার ইন্টারফেস এবং ইউজার এক্সপিরেন্স তৈরি করা।
অর্থাৎ কোন একটি সফটওয়্যার বা ওয়েবসাইট দেখতে কেমন হবে এবং কীভাবে তৈরি করলে ব্যবহারকারীর জন্য বোঝা সহজ হবে ঠিক সেভাবে সেই ওয়েবসাইট অথবা সফটওয়্যার তৈরি করা।
ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে ইউআই/ইউএক্স কাজের চাহিদা খুব বেশি। কারণ ক্লাইন্ট এর তৈরি ওয়েবসাইট অথবা সফটওয়্যার মানুষের পছন্দ হওয়ার জন্য একজন ভালো ইউআই/ইউএক্স ডিজাইনের এর প্রয়োজন।
13. E-mail Marketer (ই-মেইল মার্কেটার)
E-mail Marketer-ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি
ই-মেইল মার্কেটিং হলে একজন ব্যক্তি যে ইমেইলের মাধ্যমে বিভিন্ন পণ্য সেবা ব্যান্ড বা অফারের প্রচার করে। একজন ই-মেইল মার্কেটের কাজ হল:
- ই-মেইল মার্কেটিং এর পরিকল্পনা করা
- ইমেইলের লিস্ট তৈরি করা
- একটি সুন্দর ই-মেইল লেখা এবং ডিজাইন করা
- ই-মেইল মার্কেটিং সফটওয়্যার বা টুলস ব্যবহার করা
- ই-মেইল পাঠানো ট্র্যাক করা এবং অ্যানালাইসিস করা
- ই-মেইল মার্কেটিং পারফরম্যান্স দেখা ও উন্নতি করা
ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে ই-মেইল মার্কেটিং এর কাজের চাহিদা খুব বেশি। কারণ এটি খুব সস্তা এবং কার্যকরী একটি উপায় যা আপনার বিক্রয় আরো বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে।
14. Data Analysis (ডাটা অ্যানালাইসিস)
Data Analysis-ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি
ডাটা অ্যানালাইসিস এর কাজ হল বিভিন্ন উৎস থেকে সংগৃহীত ডাটা কে বিশ্লেষণ করা, মূল্যায়ন করা, ব্যাখ্যা এবং প্রতিবেদন তৈরি করা।
অর্থাৎ একজন ডাটা অ্যানালাইসিস এর উদ্দেশ্য হলো ডাটা থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য, জ্ঞান, প্যাটার্ন বা সূত্র বের করা এবং তা ব্যবহার করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা বা পরামর্শ দেওয়া।
ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে ডাটা অ্যানালাইসিস এর কাজের চাহিদা খুব বেশি। কারণ ডাটা অ্যানালাইসিস করে বিভিন্ন বিজনেস, সেবা, প্রতিষ্ঠান, সরকার, এনজিও ইত্যাদি তাদের কাজের পরিকল্পনা করে।
এছাড়াও ডাটা অ্যানালাইসিস করে বিভিন্ন সমস্যার সমাধান, নতুন পণ্য বা সেবা তৈরি, নতুন বাজার খোঁজ বা নতুন গ্রাহক আকর্ষণ করা সম্ভব।
15. Virtual Assistant (ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট)
ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট বলতে এমন একজন কে বোঝায় যে যেকোনো জায়গা থেকে তার ক্লাইন্টকে বিভিন্ন ধরনের সাপোর্ট প্রদান করে থাকে। এ সাপোর্ট হতে পারে প্রশাসনিক ব্যবসায়িক সামাজিক টেকনিক্যাল বা অন্য কিছু।
একজন ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট যেকোনো একটি বিশ্বের দক্ষ হতে পারে অথবা বিভিন্ন বিষয়ে দক্ষ হতে পারে। যেমন ওয়েব ডেভেলপার, গ্রাফিক ডিজাইনার, সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার, কন্টেন রাইটার, ডাটা এন্ট্রি অপারেটর ইত্যাদি।
ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে এই কাজের চাহিদা খুব বেশি। কারণ কাজ করার ক্ষেত্রে বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হয় এছাড়া বিভিন্ন বিষয় জানার জন্য ক্লায়েন্টের কাছে যথেষ্ট সময় থাকে না। তাই তারা ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হায়ার করে এবং তাদের বিজনেস সম্পর্কে বিভিন্ন রিচার্জ তাদেরকে করতে দেয়।
ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি নিয়ে শেষ কথা
আমরা ইতিমধ্যে ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি? ও সেরা ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ নিয়ে আলোচনা করেছি। এবং বাছাইকৃত সেরা ১৫টি ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ তুলে ধরেছি ও সেগুলো সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দিয়েছি। আশা করি ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি তা জেনে গেছেন।
ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর ও অনলাইন থেকে ইনকাম করার বিষয়ে বিভিন্ন টিপস জানতে আমাদের ওয়েবসাইটের সাথে থাকুন। পোস্টটি ভাল লাগলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। আমাদের পোস্ট সম্পর্কে যে কোন মতামত ও আপনাদের কোন প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট করুন। সবাইকে ধন্যবাদ।
Comments (No)