নাপা, এইস -এসব ওষুধ কি আসলেই নিষিদ্ধ?

dermannn
জ্বরে আপনার সন্তানের গা পুড়ে যাচ্ছে। এতদিন জ্বরে এলে প্রয়োজনে নাপা, এইস বা অন্য নামে প্যারাসিটামল ওষুধটি নিজে খেয়েছেন, পরিবার পরিজনকে খাইয়েছেন। আপনার বাসাতে এখনও প্যারাসিটামল আছে। সন্তান জ্বরে কাতর। কিন্তু আপনি তাকে প্যারাসিটামল নামক ওষুধটি খাওয়াচ্ছেন না। অথবা বলা ভাল যে খাওয়ানোর সাহস পাচ্ছেন না। আমি জানি পত্রিকা, অনলাইন পোর্টাল কিংবা টেলিভিশন মারফত আপনি জেনেছেন যে, দুই দশক আগে এই ওষুধ খেয়ে অনেক শিশু মারা গিয়েছিল। আর ভেজাল ওষুধ তৈরির অপরাধে কোম্পানির মালিক সহ সংশ্লিষ্টদের বহু বছর পরে হলেও সাজা হয়েছে। আপনার পরম আদরের ধন প্রিয় সন্তানকে তাই ওষুধটি খাওয়াতে আপনি দ্বিধাগ্রস্ত হবেন সেটাই স্বাভাবিক। বিকল্প কিছু আছে কিনা জানতে আপনি যোগাযোগ করলেন আপনার পরিচিত এক ডাক্তারের সাথে। তিনি নির্ভয়ে প্যারাসিটামল খাওয়াতে বললেন। আপনি কিছুটা আশ্বস্ত হলেন। কিন্তু একটুপর আরেকটি সংবাদে আপনার চোখ আটকে গেল। দেশে নাপা, এইস সহ ৫১ টি ওষুধ নিষিদ্ধ! এরপর কি আর সন্তানকে প্যারাসিটামল খাওয়ানো যায়? দেখুন, সম্প্রতি জানা যাচ্ছে প্যারাসিটামলের সাথে মেথিওনিন নামক আরেকটি ওষুধের কম্বিনেশন হিসেবে প্রস্তুতকৃত (বানিজ্যিক নাম নাপা সফট, প্যারাডট, এইস সফট, রেনোমেট, ফাস্ট-এম, টেমিপ্রো ইত্যাদি) ওষুধের নিবন্ধন বাতিল করা হয়েছে। মনে রাখতে হবে নাপা, এইস বা যে নামেই হোক প্যারাসিটামল কিন্তু নিষিদ্ধ করা হয়নি। প্যারাসিটামল একটি জরুরী ওষুধ। এধরনের সংবাদ শিরোনামগুলো মানুষকে বিভ্রান্ত করে। তাই সংবাদ মাধ্যমগুলোর প্রতি আকুল আবেদন শিরোনামকে চটকদার করতে গিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করবেন না। সংবাদ প্রচারের গুরুত্ব সকলের উপকারে, জ্ঞান বৃদ্ধিতে… যে সংবাদ মানুষকে বিভ্রান্ত করে তা অপসংবাদ। – ডা. রামিম ইসলাম ইবনে নূর

Comments (No)

Leave a Reply

এই সাইটের কোন লেখা কপি করা সম্পুর্ন নিষেধ