ডিজিটাল মার্কেটিং কি? মাসে সেলস কোটি টাকা। কিভাবে শুরু করবেন?

ডিজিটাল মার্কেটিং কি? মাসে সেলস কোটি টাকা। কিভাবে শুরু করবেন? বর্তমানে ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রায় সকল রূপ আমাদের সামনে। পুরো বিশ্ব আজ আমাদের হাতের মুঠোয় । প্রতিটি ক্ষেত্রেই যেন ডিজিটাল বাংলাদেশের ছোঁয়া আমাদের এই ছোট্ট জীবনকে ত্বরান্বিত করছে। শিক্ষা জীবন থেকে শুরু করে ব্যবসা ক্ষেত্র পর্যন্ত এর বিস্তার। ঠিক তেমনি এই ডিজিটালাইজেশন এর ব্যবসা ক্ষেত্রের একটি রূপ হলো “ডিজিটাল মার্কেটিং “। অনেকেই এটিকে ইন্টারনেট মার্কেটিং বা অনলাইন মার্কেটিং ও বলে।

ডিজিটাল মার্কেটিং কি? মাসে সেলস কোটি টাকা। কিভাবে শুরু করবেন? 1

অনলাইন মার্কেটিং এর একটি অংশ হলো সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটি

আপনি হয়তো শব্দটি কখনো না কখনো কোথাও না কোথাও শুনে থাকবেন। আপনি জানেন কি এর মাধ্যমে হাজার হাজার টাকা ইনকাম সম্ভব? হ্যাঁ, সম্ভব। তাই তো আজকে আমরা আপনাকে জানাতে চলেছি অনলাইন মার্কেটিং সমন্ধে। সাথেই থাকুন-

ডিজিটাল মার্কেটিং কি? মাসে সেলস কোটি টাকা। কিভাবে শুরু করবেন?

Table of Contents

  • Digital marketing  এর ধারণা
  • Digital marketing এর বিস্তার এবং ব্যবহার
  • অনলাইন মার্কেটিং এর বিস্তারিত
    • Affliate Marketing-
    • Cost Per Action Marketing –
    • Content Marketing-
    • Mobile Marketing-
    • Search Engine Optimization (SEO) –
    • Search Engine Marketing  (SEM)
    • Email Marketing
    • Social Media Marketing (SMM)
    • Digital Display Marketing-
  • অনলাইনে মার্কেটিং এ দক্ষতা অর্জনের উপায়-
  • ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রাথমিক জ্ঞান লব্ধ করা-
  • নিজ ওয়েবসাইটের কাজ শুরু করে-
  • নিজেকে একজন SEO Expert রূপে গড়ুন-
  • গুগল অ্যাড সার্টিফিকেট-
  • ফেসবুক অ্যাড অ্যাডভারটাইজে দক্ষ হন-
  • দক্ষ গুগল অ্যানালাইটিক্স-
  • ফ্রিল্যানসার হিসেবে অংশ নিন-
  • ইন্টার্ন শিপ করা-
    • নতুন নতুন আপডেট এবং মার্কেটিং টুলস সম্পর্কে নিয়মিত খোঁজ রাখা
  • শেষকথা-

Digital marketing  এর ধারণা

মার্কেটিং ব্যবসায়ীদের মূল অস্ত্র । একমাত্র মার্কেটিং এর মাধ্যমেই তাদের ব্যবসা ক্ষেত্রে লাভজনক ফলাফল আশা করা যায় । তাই বলা যায় মার্কেটিং ব্যবসার মূল মন্ত্র। মূলত মার্কেটিং  বলতে কোনো একটি প্রোডাক্ট এর যথাযথ প্রচার -প্রচারণা কে বুঝানো হয়ে থাকে। মার্কেটিং এর মূল উদ্দেশ্য হলো একে জনসম্মুখে তুলে ধরা এবং সেটিকে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে নিয়ে সঠিক গুণগত মান বৃদ্ধির মাধ্যমে তার আশাজনক লাভ অর্জন করা।  মার্কেটিং বিভিন্ন উপায়ে করা হয়ে থাকে।

Read More

আর যখন এই মার্কেটিং ইন্টারনেট এবং অত্যাধুনিক ডিজিটাল প্রযুক্তি যেমন কম্পিউটার, মোবাইল ফোন এবং অন্যান্য ডিজিটাল মিডিয়া ও প্লাটফর্ম এর সহায়তা নিয়ে প্রোডাক্ট এর প্রচার প্রচারণা করা হয়,  সেটিকেই বলা হয় “ডিজিটাল/ইন্টারনেট মার্কেটিং “।

আমরা অনেকেই হয়ত ডিজিটাল মার্কেটিং শব্দটি শুনে থাকলেও জানিনা এর সঠিক ব্যবহার কিংবা তার কোনো প্রয়োগ। এছাড়া এর বিস্তার সম্পর্কেও আমাদের অনেকেরই নেই কোনো ধারণা। আবার অনেকে এর ধারণা জানলেও কীভাবে  একজন ডিজিটাল মার্কেটার এ আদর্শ হওয়া যায় তা নিয়ে নেই কোনো ধারণা। তাই চলুন আজ জেনে নেয়া যাক ডিজিটাল/ অনলাইন মার্কেটিং এর বিস্তার, ব্যবহার এবং কীভাবে এই মার্কেটিং এ সফল হওয়া যায় তার কিছু সার কথা।

Digital marketing এর বিস্তার এবং ব্যবহার

ডিজিটাল মার্কেটিং খুব অল্প দুটি শব্দ হলেও এর ক্ষেত্র ব্যাপক।  এর কিছু ক্ষেত্র সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক-

  • Affiliate Marketing
  • Cost Per Action (CPA) Marketing
  • Content Marketing
  • Mobile Marketing
  • Search Engine Optimization
  • Search Engine Marketing
  • Email Marketing
  • Social Media Marketing(SMM)
  • Digital Display Marketing

এগুলো ছাড়াও অনলাইন মার্কেটিং এর আরো বেশ কিছু ক্ষেত্র রয়েছে। সত্য বলতে ডিজিটাল বা অনলাইন মার্কেটিং আসলে একক কোনো একটি বিষয় নয়। এর নিয়ন্ত্রণে বেশ কিছু ক্ষেত্র রয়েছে এবং প্রতিটি ক্ষেত্রই অনেক ব্যাপক।  তাই এগুলো এক একটি বিষয় নিয়ে আলাদা ভাবে বিস্তারিত জানতে হবে। আর এই সবগুলো ক্ষেত্রের মিলিত রূপই হলো “Digital marketing “

অনলাইন মার্কেটিং এর বিস্তারিত

Affliate Marketing-

অন্য কোনো ক্লায়েন্ট এর প্রোডাক্ট প্রচারের মাধ্যমে তা সেল করার পর সেই ক্লায়েন্ট এর নিকট থেকে কমিশনের কিছু অংশের শেয়ার পাওয়ার মাধ্যমে যে মার্কেটিং বিজনেস করা হয় তাই-ই হলো Affliate Marketing

উদাহরণ স্বরূপ – ধরুন আপনি আপনার প্রোডাক্ট একজনকে দিলেন যেন সে আপনার প্রোডাক্ট এর  যথাযথ প্রচার করিয়ে সেল করে। এবং সেটার যে সম্পূর্ণ কমিশন আপনি পাবেন তার কিছু অংশ সেই ক্লায়েন্ট এর সাথে শেয়ার করলেন। এক্ষেত্রে সেই ক্লায়েন্ট যে কমিশন পেল এটিই তার জন্য একটি Affliate Marketing ।

Cost Per Action Marketing –

CPA Marketing মূলত Affliate Marketing এর একটি ‘Style’ মাত্র। কিন্তু পার্থক্য হলো Affliate Marketing এ আপনি কাস্টমার  রেজিস্ট্রার করানোর পর যদি তারা প্রোডাক্ট নিতে যদি সম্মতি না দেয় তাহলে আপনি কোনো কমিশন পাবেন না। আপনি তখনই কমিশন পাবেন যখন আপনি কাস্টমারের কাছে আপনার ক্লায়েন্ট এর প্রোডাক্ট সেল করাতে পারবেন।

আরও পড়ুন: গুগল এডসেন্স থেকে মাসে $১৫০০ ডলার আয় করার উপায় । পূর্ণাঙ্গ গুগল এডসেন্স এর নিয়ম

অন্যদিকে CPA Marketing এ আপনার প্রোডাক্ট সেল না হলেও সমস্যা নেই। এক্ষেত্রে আপনাকে শুধু আপনার Affliate এ কাস্টমারকে রেজিস্ট্রার করাতে হবে। আর রেজিস্ট্রার করালেই আপনি আপনার কমিশন পেয়ে যাবেন। যেহেতু এখানে প্রোডাক্ট সেল না করালেও কমিশন পাওয়া সম্ভব, তাই অনেকেই এই মার্কেটিং এর প্রতি বেশ উৎসুক।

Content Marketing-

Content Marketing হলো এমন একটি ক্ষেত্র যেটি কিছু সৃজনশীল সৃষ্টি এবং অনলাইন বিষয়বস্তু যেমন ভিডিও,  ব্লগ এবং সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট এর মাধ্যমে কাজ করে থাকে।

মূলত এটি কোনো একটি কন্টেন্ট কে কেন্দ্র করে রেলিভেন্ট, সৃজনশীল এবং জ্ঞান বিষয়ক তথ্য প্রদান করে যা কিছু লেখনীর মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়। তবে এটি কোনো ব্রান্ড এর প্রচার করে না কিন্তু কোনো প্রডাক্ট বা সার্ভিস এর প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি করে। বর্তমানে এটি ইন্টারনেট মার্কেটিং এ একটি অনন্য জায়গা দখল করে রয়েছে।

Mobile Marketing-

Mobile Marketing একটি মালটি চ্যানেল মার্কেটিং প্লাটফর্ম যেটির উদ্দেশ্য হলো ‘Audience’ এর স্মার্টফোন এর নিকট পৌঁছে তাদেরকে বিভিন্ন ফোন, ট্যাবলেট কিংবা অন্যান্য ডিভাইসের ফিচার এর প্রচারণা। এটি করা হয় মূলত SMS, MMS , Mobile Application কিংবা ওয়েবসাইট দ্বারা।

অর্থাৎ Digital marketing শুরু করার আগে অন্তত পক্ষে একটু হলেও আপনাকে প্রাথমিক ধারণা অর্জন করতে হবে।  কোথায় এবং কী কী ক্ষেত্রে করা যেতে পারে এ সম্পর্কে জ্ঞান রাখা অত্যাবশ্যকীয়। তাই আপনার সর্বপ্রথম কাজ হবে ডিজিটাল তথা অনলাইন মার্কেটিং সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা অর্জন করা।

Read More

  • ১০০% বিনামূল্যে ওয়েবসাইট তৈরি (Free)
  • অনলাইন ব্যবসা কি? কিভাবে শুরু করব, লাভজনক অনলাইন ব্যবসার আইডিয়া
  • ওয়েবসাইট তৈরি করে আয় করার উপায় 2021 [Secret টিপস]
  • দ্রুত অনলাইনে ইনকামের সহজ ব্লগিং টপিক

Search Engine Optimization (SEO) –

এই মার্কেটিং ক্ষেত্রকে সংক্ষেপে  ‘SEO Marketing’ বলা হয়ে থাকে। Search Engine Optimization হলো এর মাধ্যমে কোনো website এর “Key Word” কে নির্দিষ্ট সার্চ ইঞ্জিন এ ‘Rank’ করানো হয়। ধরুন, আপনি গুগলে কোনো একটি বিষয় নিয়ে সার্চ করলেন । এখন আপনি নিশ্চয়ই লক্ষ্য করে থাকবেন যে সার্চ করার জন্য  সম্পূর্ণ টাইপ করার আগেই গুগল থেকে আপনাকে বেশ কিছু প্রসঙ্গত বিষয়ে তুলে ধরা হয়। এবং অনেকাংশেই দেখা যায় আপনি সম্পূর্ণ টাইপ করার পূর্বেই আপনার নির্ধারিত টপিকটি আপনি পেয়ে যান। এবং সার্চ করার পর অনেকগুলো সাইট থেকেই আপনি রিভিউ দেখতে পারবেন ।

এর মাঝে সময় বাঁচানোর উদ্দেশ্যে আপনি নিশ্চয়ই যে রিভিউটি প্রথমে দেখাবে সেটিটেই ক্লিক করবেন। মূলত এইযে রিভিউ গুলির একটি ‘Serial’ বা ‘Ranking’ – এই কাজটিই করা হয় SEO Marketing  বা Search Engine Optimization এর সহায়তায়। আর এর বিস্তৃতিই হলো ‘SEO Marketing’.

Search Engine Marketing  (SEM)

Search Engine Marketing হলো এক ধরণের ‘Business Forum’ যেখানে মূল কাজ হলো ইন্টারনেট এর সহায়তায় কোনো একটি Website কে সার্চ ইঞ্জিন এ তার ‘Visibility’ বাড়ানোর মাধ্যমে উন্নয়ন ঘটানো। মূলত এখানে সেই website থেকে কিছু ‘Paid’ অ্যাডভারটাইজমেন্ট দেখানো হয়। এবং এই সম্পূর্ণ ক্ষেত্রটি হলো Searh Engine Marketing।

Email Marketing

ইমেইল এর সাহায্যে যখন কিছু সাংখ্যিক   কাস্টমারকে কমার্সিয়াল মেসেজ  দেয়া হয় সেটাই মূলত Email Marketing । ধরুন আপনি একজন কাস্টমার এর সাথে কাজ করছেন। সে সময়ে তার নিকট আপনি কমার্সিয়াল উদ্দেশ্যে যে কোনো মেসেজ তাকে পাঠালেই সেটি ইমেইল মার্কেটিং হিসেবে গণ্য হবে। এবং স্বাভাবিক ভাবেই এর উদ্দেশ্য হলো অ্যাডভারটাইজ এবং বিজনেস এর জন্য আবেদন।

Social Media Marketing (SMM)

বর্তমানে এটি একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় মার্কেটিং প্লাটফর্ম । কেননা আমাদের  সকলেই প্রতিনিয়তই স্যোশাল মিডিয়া তে সব সময় সঙ্গত থাকি। আর তাই Social Media Marketing অনেকেরই পছন্দসই প্লাটফর্ম । মূলত বিভিন্ন  Social Media তে কোনো প্রোডাক্ট এর প্রচার প্রচারণার মাধ্যমে মার্কেটিং করাই হলো ‘Social Media Marketing’।

Digital Display Marketing-

ইন্টারনেট এর সহায়তা নিয়ে যখন বিভিন্ন ওয়েবসাইট, অ্যাপস্ কিংবা সোশ্যাল মিডিয়া তে ব্যানার,  টেক্সট, ইমেইজেস, ফ্লাশ, ভিডিও অথবা অডিও এর মাধ্যমে গ্রাফিক অ্যাডভারটাইজ করাকে বলা হয় Digital Display Marketing । এর মূল উদ্দেশ্য হলো সাইট  ভিজিটরদের নিকট কিছু ব্রান্ড মেসেজ এবং জেনারেল অ্যাডভারটাইজ প্রচার করা। তবে যেহেতু এক্ষেত্রে আধুনিক প্রযুক্তির আশ্রয়ে কাজ করা হয় তাই এই ক্ষেত্রটি বেশ ব্যয়বহুল।

ডিজিটাল মার্কেটিং একটি ব্যাপক বিস্তৃতি । এগুলো মূলত ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রধান ক্ষেত্র সমূহ। তবে এগুলো ছাড়াও  এর আরো বেশ কিছু ক্ষেত্র রয়েছে।

অনলাইনে মার্কেটিং এ দক্ষতা অর্জনের উপায়-

অনেকেই অনলাইন মার্কেটিং এর সাথে পরিচিত হওয়া সত্ত্বেও কীভাবে এক্ষেত্রে সফল হওয়া যায় তা নিয়ে দ্বিধা দ্বন্দ্বে পড়েন। অনলাইন মার্কেটিং এ কীভাবে পারদর্শী হওয়া যায় তার কিছু উপায় সমূহ জেনে নেয়া উচিত । যেমন-

  • আপনার website কে নিয়মিত আপডেটেড রাখুন এবং আপডেটেড ও ইফেকটিভ কন্টেন্ট যোগ করুন।
  • আপনার website এ কাস্টমার এক্সপেরিয়েন্স এর ব্যবস্থা রাখুন।
  • লোকাল SEO এর অ্যাডভান্টেইজ নিয়ে website কে ডেভেলপ করুন।
  • Google এ একটি ‘My  Business’ প্রোফাইল রাখুন।
  • একটি ‘Online Reputation Management ‘ তৈরি করুন।
  • SEO এবং SEM এর সুবিধা নিয়ে এর সঠিক ব্যবহার করুন।
  • একটি শক্তিশালী এবং সার্বক্ষণিক ‘Call to action’ নিয়ন্ত্রণ করুন।
  • Online এ আপনার পারফরম্যান্স কে ট্র্যাক করুন এবং আপগ্রেড করুন।
  • কোনো কিছু করার পূর্বে একটি নিজস্ব ম্যাপ আউট করুন।
  • ডিজিটাল/ ইন্টারনেট মার্কেটিং কিভাবে শুরু করবেন?

একজন বিগিনার হিসেবে কীভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং শুরু করবেন তা নিয়ে অনেকের অজানার শেষ নেই। আজ আমরা আপনাদের সামনে এই অজানাকে তুলে ধরার চেষ্টা করব। কীভাবে আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং শুরু করবেন তা নিয়ে কিছু আলোচনা করা হলো:-

ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রাথমিক জ্ঞান লব্ধ করা-

আচ্ছা মনে করুন আপনি ক্রিকেট খেলবেন। এখন আপনি ক্রিকেট খেলার সঠিক নিয়মই জানেন না। কিংবা আপনি ক্রিকেট এর জন্য যেসব কৌশল প্রয়োজন সেগুলো কখনো চোখেই দেখেন নি। তাহলে আপনার দ্বারা কী ক্রিকেট খেলা সম্ভব? মোটেই না। ঠিক তেমনি আপনি যে কোনো ক্ষেত্রে সঠিক ধারণা না থাকলে কখনোই সফল হতে পারবেন না। ডিজিটাল মার্কেটিং ও এর বাহিরে নয়। আপনি জানেনই না Digital marketing কী, তাহলে কীভাবে এই কাজ আপনি করতে পারবেন?

অর্থাৎ ডিজিটাল মার্কেটিং শুরু করার আগে অন্তত পক্ষে একটু হলেও আপনাকে প্রাথমিক ধারণা অর্জন করতে হবে। ডিজিটাল মার্কেটিং কোথায় এবং কী কী ক্ষেত্রে করা যেতে পারে এ সম্পর্কে জ্ঞান রাখা অত্যাবশ্যকীয়। তাই আপনার সর্বপ্রথম কাজ হবে Digital marketing সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা অর্জন করা।

আরও পড়ুন:

  • মার্কেটপ্লেসে কাজ পাওয়ার 100% কার্যকরি কৌশল [আউটসোসিং]
  • ওয়েবসাইট তৈরি করে আয় করার উপায় 2021 [Secret টিপস]

নিজ ওয়েবসাইটের কাজ শুরু করে-

স্বাভাবিক ভাবে বর্তমানে এই বিষয়টি অনেকের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এবং ডিজিটাল মার্কেটিং এ কাজ করার জন্য অনেকেই এই ক্ষেত্রকে বেছে নিচ্ছে। কেননা এটি আয় করার জন্য একটি সহজ উপায়এবং সবথেকে বড় কথা আপনি ঘরে বসে নিজেই এটি তৈরি করতে পারবেন।

তবে এই ক্ষেত্রে একটি শর্ত রয়েছে। আপনি যখন একটি ওয়েবসাইট চালু করবেন তখন কিন্তু সাথে সাথেই আপনাকে টাকা দেয়া হবে না। আপনার ওয়েবসাইট থেকে আয় করার জন্য আপনাকে গুগল কর্তৃক অ্যাডসেন্স অর্ডার পেতে হবে। এবং এটিটেই একটু সমস্যা। অনেকে অ্যাডসেন্স অর্ডার পেতে বেশ কয়েকবার ব্যর্থ হয় এবং পরবর্তীতে তারা হাল ছেড়ে দেয় যেটি মোটেই ঠিক নয়।

আপনি সঠিক জ্ঞান আয়ত্তে এনে সঠিক পদ্ধতিতে যদি অ্যাডসেন্স এর জন্য কাজ করতে পারেন তবে অনেক সহজেই এই অর্ডার পেয়ে যাবেন। এবং পরবর্তীতে আপনি আপনার বানানো ওয়েবসাইট থেকে Digital marketing এর মাধ্যমে আয় করতে পারবেন।

অবশ্যই পড়ুন:

  • পূর্ণাঙ্গ ব্লগিং টিউটরিয়াল (গাইড)। [ব্লগিং শিখে আয় করুন]
  • বাংলা ভাষায় ব্লগিং এর নাড়িভুড়ি
  • ব্লগিং কি? কেন? কিভাবে ব্লগিং শুরু করবেন: অনলাইনে আয়
  • ব্লগিং কাকে বলে? কেন ব্লগিং শুরু করা উচিৎ
  • ব্লগিং এর ভালো Topic/বিষয় নির্বাচন করার কৌশল
  • দ্রুত অনলাইনে ইনকামের সহজ ব্লগিং টপিক

নিজেকে একজন SEO Expert রূপে গড়ুন-

ডিজিটাল মার্কেটিং এ ক্যারিয়ার গড়তে হলে SEO Expert হওয়া ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। কেননা একজন SEO Expert  এর কাজই হলো ওয়েবসাইট কে গুগল লিস্টে সাভনে তুলে আনা। আপনি যখন একটি ওয়েব সাইট চালাবেন তখন এই কাজ করতে না পারলে আপনার ওয়েব সাইট কখনো ভিজিটর পাবে না। অনেকে ওয়েবসাইট খুলে শত শত পোস্ট দিয়ে বসে থাকে। আর ভাবে মনে হয় পাহাড় পর্বত জয় করে এসেছে। কিন্তু যথাযথ ফলাফল পায় না। এর মূল কারণ হলো SEO Expert না হওয়া কিংবা এ সম্পর্কে জ্ঞান না রাখা।

তাই ডিজিটাল মার্কেটিং এ সফল হতে হলে  SEO Expert রূপে অবশ্যই গড়ে তুলতে হবে। নতুবা কখনোই সঠিক ফল আশা করতে পারবেন না। এবং ওয়েবসাইটকেও জনপ্রিয় করে তুলতে হিমশিম খেতে হবে।

Read More

  • ঘরে বসে অনলাইনে আয় করার সহজ উপায়
  • অনলাইনে আয় করার ১২ টি সহজ উপায় [for student]
  • ওয়েবসাইট তৈরির খরচ কত? বিস্তারিত জেনে নিন

গুগল অ্যাড সার্টিফিকেট-

গুগল অ্যাড সার্টিফিকেট হলো গুগল কর্তৃক একটি স্মারক যা অধিকারের ফলে আপনিযদি আপনার কোনো প্রডাক্ট বা সার্ভিস জনপ্রিয় করতে চান তাহলে এই গুগল কর্তৃক আপনার সেই প্রডাক্ট বা সার্ভিস ইন্টারনেটে সর্বত্র অ্যাডভারটাইজ এর মাধ্যমে দেখানো হবে। এবে এটি গুগল নিজেই পরিপূর্ণ করবে। গুগল অ্যাড অতীতে গুগল অ্যাডওয়ার্ড নামে পরিচিত ছিল।

তাই এই সার্টিফিকেট অর্জন করতে পারলে আপনি Digital marketing এ এক ধাপ আরো এগিয়ে যাবেন। যা অবশ্যই প্রশংসনীয়। গুগল অ্যাড সার্টিফিকেট অর্জন করতে পারলে অনেক সহজেই আপনি মার্কেটিং করতে পারবেন। অর্থাৎ আপনি যদি Affliate কিংবা CPA মার্কেটিং এর সাথে যুক্ত থাকেন তাহলে বেশ সহজেই সাফল্য আনতে পারবেন। তাই এটি ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটি অনন্য দিক।

ফেসবুক অ্যাড অ্যাডভারটাইজে দক্ষ হন-

বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া শুধু আর সোশ্যাল মিডিয়ার জায়গায় নেই। এটি একটি অনেকাংশে মার্কেটিং প্লাটফর্ম রূপে গড়ে উঠেছে। আর এই সকল সোশ্যাল মিডিয়ার মধ্যে বেশি জনপ্রিয় হলো ফেসবূক।

তাই আপনি ফেসবুক এর সহায়তা নিয়ে ফেসবুক পেইজ গুলোতে আপনার নিজস্ব প্রডাক্ট বা সার্ভিস এর প্রচারণা করতে পারেন। এবং ফেসবুক অ্যাড এ দক্ষ হতে পারলে সেই অ্যাডে আপনি আপনার যে প্রডাক্ট গুলো প্রমোট করবেন সেগুলো অনেকটাই জনপ্রিয়তা লাভ করতে পারবে। যা ডিজিটাল মার্কেটিং এ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আরও পড়ুন: কিভাবে ফেসবুক থেকে আয় করা যায়।

দক্ষ গুগল অ্যানালাইটিক্স-

আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং এ যে বিষয়ের উপর কাজ করবেন সেগুলো গুগল থেকে কী রকম সাড়া পাচ্ছে কিংবা সেগুলো কতটা জনপ্রিয়তা বা নিয়মিত ভিজিটর পাচ্ছে সেগুলো সম্পর্কে আলোচনা করা অত্যন্ত জরুরি। আর একজন গুগল অ্যানারলাইটার হলে আপনি সহজেই  একাজ করতে পারবেন। এর মূল উদ্দেশ্য হলো আপনার কাজগুলো আরো কতটা উন্নতি করা উচিত তা সম্পর্কে ধারণা পাবেন। পরবর্তীতে সেগুলো নিয়ে কাজ করার মাধ্যমে Digital marketing এ বেশ সফলতা পাবেন।

ফ্রিল্যানসার হিসেবে অংশ নিন-

নিজস্ব ওয়েবসাইট তৈরি করে সেটি থেকে আয় করা অনেক ঝামেলার মনে হতে পারে। কেননা গুগর অ্যাডসেন্স অর্ডার সহ নিয়মিত পোস্ট দেয়া, জনপ্রিয়তা লাভ করা ইত্যাদি অনেক কষ্টসাধ্য মনে হতে পারে।

তবে যারা এই সমস্যা নিয়ে চিন্তিত তাদেরও হতাশ হবার কোনো কারণ নেই। কেননা আপনি যদি একান্তই এ কাজে সফল হতে না পারেন তাহলে এই ডিজিটাল মার্কেটিং এ আপনি একজন ফ্রিল্যানসার হিসেবে অংশ নিতে পারেন। নিজ ওয়েবসাইটের কাজ করা আর অন্য ক্লায়েন্ট এর ওয়েবসাইটে কাজ করা সম্পূর্ণ আলাদা অভিজ্ঞতা। তাই আপনি একজন ফ্রিল্যানসার হিসেবে অংশ নিয়ে বেশ সফল ভাবে Digital marketing সম্পন্ন করতে পারেন।

ইন্টার্ন শিপ করা-

যারা অনলাইন মার্কেটিং নিজে থেকে শুরু করার ক্ষেত্রে নিজস্ব আত্মবিশ্বাস এর অভাবে ভুগছেন, এই সেক্টরটি তাদের জন্য সবচেয়ে যোগ্য। কেননা আপনি যদি নিজেকে একজন অনভিজ্ঞ মনে করেন তাহলে আপনার এখানে আসার জন্য এটি সবথেকে ভালো উপায়। কারণ ইন্টার্ন শিপ রূপে কাজ করার জন্য আপনি একদিকে যেমন অন্যের অর্ডারে কাজ করে আয় করতে পারবেন, এর পাশাপাশি নিজের জ্ঞান এবং দক্ষতা আরো বৃদ্ধি করতে পারবেন। যার ফলে পরবর্তীতে নিজেই একটি ডিজিটাল/ ইন্টারনেট মার্কেটিং নিয়ে ব্যবসা ক্ষেত্র স্থাপন করতে পারবেন।

নতুন নতুন আপডেট এবং মার্কেটিং টুলস সম্পর্কে নিয়মিত খোঁজ রাখা-

নিজেকে সব সময় আপডেট রাখা একজন বুদ্ধিমানের কাজ। কেননা আপডেট না রাখলে নতুন জ্ঞান এর সাথে তাল মেলাতে গেলে নিজেখে অনভিজ্ঞ মনে হবে। তাই এ সম্পর্কে নিয়মিত আপডেট রাখা অপরিহার্য বিষয়। এতে করে আপনি এমন কোনো সংবাদ ও পেতে পারেন যেখানে আপনি যথেষ্ট দক্ষ এবং পারদর্শী। তাই নিঃসেন্দহে সেই ক্ষেত্রে ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে নিজেকে সফলরূপে দেখতে পারবেন।

পাশাপাশি ইন্টারনেট মার্কেটিং এর টুলস্ সম্পর্কে জ্ঞান রাখাও গুরুত্বপূর্ণ। কেননা এতে করে সহজেই আপনি Digital marketing এ নিজের অনভিজ্ঞতাকে হ্রাস করতে পারবেন। ধীরে ধীরে দক্ষ হয়ে নিজের অভিজ্ঞতা। জ্ঞান এর ভাণ্ডার পরিপূর্ণ করে ডিজিটাল মার্কেটিং এ পারদর্শিতার পরিচয় দিতে সক্রিয় হবেন।

শেষকথা-

ডিজিটাল/অনলাইন/ইন্টারনেট মার্কেটিং আজ অনেকের কর্মসংস্থান এর যোগান দিয়েছে। পাশাপাশি কমিয়েছে বেকারত্মের হার। এবং ক্রমশ এর পরিধি বিস্তৃতি লাভ করছে। তাই সঠিক জ্ঞান ও দক্ষতা কাজে লাগিয়ে সঠিক উপায়ে আপনিও এখানে অংশ নিয়ে নিজেকে স্বাবলম্বী রূপে গড়ে তুলুন। আমরা চেষ্টা করেছি আপনাদেরকে ডিজিটাল মার্কেটিং, অনলাইন মার্কেটিং, ইন্টারনেট মার্কেটিং  এর সঠিক ধারণা দিয়ে এক্ষেত্রে উদ্বুদ্ধ করার। আমাদের বিশ্বাস আপনারা অনেকেই আজ উপকৃত হয়েছেন এবং সেটিই আমাদের সার্থকতা। তাই আশা করি আপনাদের মূল্যবান মতামত কমেন্ট বক্সে আমাদের জানাতে ভুলবেন না!

Comments (No)

Leave a Reply

এই সাইটের কোন লেখা কপি করা সম্পুর্ন নিষেধ