উদ্যোক্তা ,, সফল উদ্যোক্তা জীবনসংগ্রাম, কাজের অনুকূল পরিবেশ

উদ্যোক্তা ,, সফল উদ্যোক্তা জীবনসংগ্রাম, কাজের অনুকূল পরিবেশ, উদ্যোক্তা হলো সে ব্যক্তি যে নিজে থেকেই কোনো ধারণা বা পরিকল্পনামাফিক ব্যবসা বা কোম্পানি পরিচালনা করে বা সৃষ্টিশীল কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে নিজের ও সমাজের উন্নয়নে কাজ করে। উদ্যোক্তাকে সব সময় ঝুঁকি নিয়ে উদ্যোগ নিতে হয় এবং নিজের দক্ষতাকে নতুন কিছুর জন্ম দেয়।

শখের পেঁপে বাগান থেকে লাখ টাকা আয়

উদ্যোক্তা ,, সফল উদ্যোক্তা জীবনসংগ্রাম, কাজের অনুকূল পরিবেশ 1

নিজের শখের পেঁপে বাগানের যত্ন নিজেও নেন মহসিন

কৃষি উদ্যোক্তা মো. মহসিন বলেন, ‘দশ বছর আগে দেশে এসেছি। মুরগি ও গরুর খামার করেছি। শখের বসে গত দুই বছর ধরে পেঁপে চাষ করছি। এখানে আমি সফল মনে করি নিজেকে। যদি প্রাকৃতিক দূর্যোগ না হয় তাহলে কৃষিতে কোনো লোকসান নেই।’

গাছে থরে থরে ঝুলে আছে সবুজ পেঁপে। বাগানে চলছে পরিচর্যা ও পেঁপে সংগ্রহের কাজ। ঠিক যেন ছবির মত।

এমন দৃশ্য দেখা গেলো কুমিল্লা বুড়িচং উপজেলার কালাকচুয়া এলাকায়। সেখানে রেড লেডি জাতের পেঁপে চাষ করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন কৃষক মো. মহসিন। শখের বসে করা এই পেঁপে বাগান এখন তার লাখ টাকার আয়ের উৎস।

কৃষি উদ্যোক্তা মহসিন জানান, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি ব্যবস্থাপনা বিষয়ে স্নাতকোত্তর শেষ করেন তিনি। তারপর ব্যবসায়ের উদ্দেশ্য প্রবাসে পাড়ি জমান। দশ বছর আগে দেশে ফিরে আসেন। মনোযোগ দেন কৃষিতে। তার মাছের ঘেরসহ মুরগি ও গরুর খামারও রয়েছে।

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে মহসিনের পেঁপে বাগানটি। ৬০ শতক জমি চাষে ব্যয় হয়েছে প্রায় দুই লাখ টাকা। ইতোমধ্যে এক লাখ টাকার বেশি পেঁপে বিক্রি করেছেন তিনি। আশা করছেন আরও ৫ থেকে ৬ লাখ টাকা বিক্রি করতে পারবেন।

সকাল সকাল পেঁপে সংগ্রহ করে জমির আইলেই বিক্রি করছেন তিনি পেঁপে। কাঁচা পেঁপে বিক্রি করেন না। পাকা পেঁপে পাইকারি প্রতি কেজি বিক্রি করছেন ৭০ থেকে ৭৫ টাকা দরে।

কৃষি উদ্যোক্তা মো. মহসিন বলেন, ‘দশ বছর আগে দেশে এসেছি। মুরগি ও গরুর খামার করেছি। শখের বসে গত দুই বছর ধরে পেঁপে চাষ করছি। এখানে আমি সফল মনে করি নিজেকে। যদি প্রাকৃতিক দূর্যোগ না হয় তাহলে কৃষিতে কোনো লোকসান নেই।’

উপজেলা কৃষি অফিসার আফরিনা আক্তার বলেন, ‘মহসিন একজন শিক্ষিত উদ্যোক্তা। তার বাগানটি আমরা পরিদর্শন করেছি। বাগানটির অবস্থা ভালো। আমাদের উপসহকারী কর্মকর্তাকে তাকে পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করছেন প্রয়োজন মত। তাদের মতো উদ্যোক্তারা এগিয়ে এলে বাণিজ্যিক কৃষি আরও সমৃদ্ধ হবে।’

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কুমিল্লার উপপরিচালক আইউব মাহমুদ বলেন, ‘পেঁপে ফল ও সবজি দুইভাবেই খাওয়া যায়। এর পুষ্টিমানও অনেক। কুমিল্লায় ১৫ হেক্টরের বেশি জমিতে পেঁপের চাষ হচ্ছে। আমরা মহসিন সাহেবের মতো উদ্যোক্তা তৈরির জন্য কাজ করে চলছি। শিক্ষিত উদ্যোক্তার মাধ্যমে বাণিজ্যিক কৃষিকে দ্রুত এগিয়ে নেয়া যায়।’

Comments (No)

Leave a Reply

এই সাইটের কোন লেখা কপি করা সম্পুর্ন নিষেধ