স্বাগতম! আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এই ব্যবসা বোঝার উদ্দেশ্যে সময় দেওয়ার জন্যে, যা সারা পৃথিবী জুরে কোটি মানুষের জীবনে এনেছে অভাবনীয় পরিবর্তন। আমরা আশা করি এই সময় টুকু আপানার জীবন পরিবর্তনেও ভূমিকা রাখবে।
আপনার মনে হয়ত অনেক প্রশ্ন জমে আছে। চলুন আমরা সবথেকে বড় তিনটি প্রশ্ন দিয়ে শুরু করি।
প্রথমত, “ফরেভার লিভিং প্রোডাক্টস” এর পরিচয় কি?
তারপরে, আমরা ঠিক কি কাজ করি এবং আমরা কিভাবে এই কাজ করি?
এবং সব শেষে, “ফরেভার” কি করে সারা পৃথিবীময় লক্ষ্ লক্ষ লোককে সুস্বাস্থ্য, সৌন্দর্য্য এবং অনন্দময় জীবন আর জীবিকা অর্জন করতে সাহায্য করে?
আসুন এই শেষ প্রশ্নটির উত্তর দিয়ে আমরা শুরু করি।
এক কথায় উত্তরটি হচ্ছে নেটওয়ার্ক মার্কেটিং বা মাল্টি লেভেল মার্কেটিং। আপনি হয়ত ‘নেটওয়ার্ক মার্কেটিং’ কি, তা জানেন না। নেটওয়ার্ক মার্কেটিং বা কখনো কখনো যাকে বলা হয় “মাল্টি লেভেল মার্কেটিং” হলো একটি কার্যকরী ব্যবসা পন্থা যেখানে পণ্য বিক্রয়ের জন্যে গ্রাহকের ব্যক্তিগত পরিচয় সূত্রকে ব্যবহার করা হয়। যেসব কোম্পানি এই পন্থা ব্যবহার করে, তারা প্রতি বছর বহু বিলিয়ন ডলারের পণ্য বিক্রয় করে থাকে। এই ব্যবস্থায় পণ্য ব্যবহারের পর সন্তুষ্ট ভোক্তা বা কাস্টমারকে, পন্যের বিপণন/বিক্রয় কাজে নিয়োগ করা হয়। এরা ব্যক্তিগত পরিচয় এর সূত্র ধরে এই পণ্যগুলোর বিপননে সহায়তা করেন এবং বিনিময়ে কোম্পানির কাছ থেকে বোনাস পেয়ে থাকেন।
“নেটওয়ার্ক মার্কেটিং” আরো পরিষ্কার করে বুঝতে হলে আপনাকে প্রথমে আমাদের প্রচলিত বাজার ব্যবস্থা সম্পর্কে বুঝতে হবে। আমাদের বর্তমান প্রচলিত বাজার ব্যবস্থার শুরু হয়েছিল ইংলান্ডে প্রায় তিনশতাধিক বছর আগে। এই ব্যবস্থা তার পরে খুব একটা পরিবর্তন হয়নি যদিও সময় এর সাথে সাথে আমাদের জীবনে এসেছে অকল্পনীয় পরিবর্তন। এই ব্যবস্থাটি বোঝার সুবিধার্থে চলুন আমরা এক বোতল ফলের রস কে একটি পন্যের উদাহরণ হিসাবে ব্যবহার করি।
প্রচলিত ব্যবস্থায়, পণ্য উৎপাদনের এর সুচনা হয় চাষী কে দিয়ে, যে ফলটি ফলায় এবং একজন প্রস্তুতকারকের কাছে ফলটি বিক্রয় করে কিছু মুনাফার বিনিময়ে। প্রস্তুতকারক তার কারখানায় নিয়ে এই ফল থেকে রস বের করেন, বোতলে ভরেন, মোড়ক লাগিয়ে বিক্রয়যোগ্য পণ্যটি প্রস্তুত করে । তার পরে সেটি বিক্রয় করেন পাইকারী বিক্রেতাদের কাছে। পাইকারী বিক্রেতারা সেই পণ্য খুচরা বিক্রেতার কাছে বিক্রয় করে। আর সব শেষে, খুচরা বিক্রেতা এই ফলের রস বিক্রয় করে ভোক্তা বা কাস্টমার এর কাছে। বুঝতেই পারছেন এই প্রত্যেকটি ধাপেই রয়েছে বিভিন্ন রকমের খরচ এবং বিক্রেতার মুনাফা করার প্রয়োজনীয়তা।
এই পদ্ধতিটি খুব খারাপ কোনো পদ্ধতি নয়। কিন্তু “ফরেভার” এর থেকেও সহজ এবং সরল একটি ‘নেটওয়ার্ক মার্কেটিং’ ভিত্তিক বিপণন ব্যবস্থা ব্যবহার করে। ফরেভার পৃথিবীর সবথেকে বড় কোম্পানি যা উতকৃষ্ট মানের ঘ্রীত-কুমারী বা এলো ভেরা সমৃদ্ধ পণ্য প্রস্তুত করে। চাষ, প্রস্তুতকরণ, পরিবহন এবং খুচরা বিক্রেতার হাতে পৌছানো পর্যন্ত, সবটাই ‘ফরেভার’ নিজেই ব্যবস্থা করে থাকে। বিপণন এর জন্যে ফরেভার আপনার বা আমার মত ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা, যারা পণ্যটি ব্যবহার করে সন্তুষ্ট, তাদেরকে বিক্রেতা হিসাবে নিযোগ করে, যাদের বলা হয় “ফরেভার বিজনেস অউনার”। প্রচলিত ব্যবস্থায় যে মুনাফা মাঝের পাইকারী আর খুচরা বিক্রেতারা পেতো, “ফরেভার” এখন তা-ই আমাদের কে বোনাস আর উদ্দীপক পুরস্কার হিসাবে প্রদান করে এবং পন্যের গুণগত মান বৃদ্ধির প্রচেষ্টায় ব্যবহার করে।
“ফরেভার বিজনেস অউনার”দের রয়েছে দুটি উপার্জনের পথ। আমাদের রয়েছে অল্প সংখ্যক ভোক্তা বা কাস্টমার যারা আমাদের এই চমৎকার পণ্যগুলোকে প্রতিদিন ব্যবহার করেন। আর দ্বিতীয়ত আমাদের রয়েছে এমন লোকের একটি দল বা টিম, যারা আমাদের মতই ঘর থেকে সুবিধা মত সময়ে বিক্রয় এবং দল গঠনের মধ্যমে নিজেরা কিছু বাড়তি উপার্জন করতে চান।
একটি উদাহরণ দিলে জিনিষটা হয়তো আরো পরিষ্কার হবে। ধরুন আপনাকে ফরেভার কোম্পানি এক টুকরো জমি আর একটি স্ট্রবেরী গাছ দিল। শর্ত হলো যে আপনার জমিতে যত স্ট্রবেরি হবে, তার একটি ভাগ আপনি পাবেন। সাথে আরো শর্ত দিলো যে আপনি যদি আপনার মতো অন্য কাউকে ফরেভার কোম্পানির সাথে পরিচয় করিয়ে দেন, তাহলে ফরেভার কোম্পানি এই নতুন মানুষটিকেও আপনার জমির মতোই একটুকরো জমি দেবে আর স্ট্রবেরি গাছ দেবে ওই একই শর্তে। আর তার জমি থেকে ফরেভার যে ভাগ পাবে, সেই ভাগের একটা অংশ আপনাকে দেবে এই জন্যে যে আপনি এই নতুন মানুষটিকে ফরেভার কোম্পানির সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন। এবং এই ব্যবস্থা বাকি জীবন চালু থাকবে। এই শর্ত দুটো মেনে, এখন আপনি নিজের গাছের যত্ন করছেন আর ফল হলে নিজের ভাগ বুঝে নিচ্ছেন এবং বিক্রি করে নগদ পয়সা পাচ্ছেন। সাথে আপনার আত্মীয় বন্ধুদেরকে এই সুযোগের কথা বলে তাদেরকে কোম্পানি’র সাথে পরিচয় করিয়ে দিলেন। এবারে আপনারা প্রত্যেকেই নিজেদের গাছ গুলোকে যত্ন করছেন এবং নিজেদের আত্মীয়-বন্ধুদের ফরএভার কোম্পানির সাথে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছেন। যখন গাছে ফল হলো, প্রত্যেকই সেই ফলগুলোর ন্যায্য অংশ ভোগ করলেন। সাথে ফরএভার কোম্পানি প্রত্যেকের কাছ থেকে ফলের যে ভাগ পেলো, তা বিক্রির টাকা থেকে অল্প অল্প করে আপনাকে দিলো দ্বিতীয় শর্তমতে। তাহলে এক টুকরো জমিতে ফল চাষ করে যত্ন নিয়ে, আপনি একাধিক টুকরো জমির ফসলের সমান উপার্জন করতে পারলেন । আপনার দলের সকলেই যার যার প্রাপ্য মতো ফরএভার কোম্পানির ভাগ থেকে বাড়তি পয়সা পেলেন ঠিক একই ভাবে। ফরএভার ব্যবসাটি ঠিক এই রকম এবং ঠিক এই ভাবেই আপনার ও আপনার চেনাজানা লোকেদের উপকার করতে পারে।
এবারে দেখুন অন্য কোনো নেটওয়ার্ক মার্কেটিং কোম্পানির তুলনায় ফরেভার এর সাথে আপনার ব্যবসা করার সুবিধাগুলো কি কি।
এক নম্বরেই পাবেন আপনার কাজ এবং কাজের সময় সম্পর্কে স্বাধীন সিদ্ধান্ত নেবার ক্ষমতা। শতকরা নব্বই ভাগ লোক এই ব্যবসা শুরু করেন চাকুরীর পাশাপাশি খন্ডকালীন উপার্জন পথ হিসাবে এবং কাজ করেন নিজেদের সুবিধাজনক সময়ে।
দ্বিতীয়ত পাবেন আত্ম-উন্নয়নের চমত্কার সুযোগ। যেহেতু মানুষ নিয়ে এবং মানুষ ঘিরে আমাদের সব কর্মকান্ড, তাই আমাদের জীবনকে গুছিয়ে আনতে হয়। সময় কে পরিকল্পনা মাফিক ব্যবহার করতে হয়। নিজেকে ছিমছাম ভাবে উপস্থাপন যোগ্য হয়ে থাকতে হয়। শিখতে হয় এবং শেখাতে হয়। টীম মেম্বারদের সামনে নিজেকে অনুকরণীয় উধাহরণ হিসাবে তুলে ধরতে হয়। এসবের সাথে বারে আত্মবিশ্বাস আর নেতৃত্ব দেবার দক্ষতা। আমরা আমাদের বন্ধু-বান্ধব আর বন্ধুসুলভ সহকর্মীদের সাথে কাজ করি। অপসন্দনীয় কারো সাথে আমরা কাজ করি না। আপনিও কাজ করবেন শুধু তাদের সাথে, যাদের সাথে আপনি কাজ করতে পছন্দ করবেন।
এবং সব থেকে গুরুত্ব পূর্ণ হলো, আপনি কত উপার্জন করতে চান, সে সিদ্ধান্তও থাকবে আপনার হাতে।
আপনার জন্যে ফরেভার দিচ্ছে পণ্য, সার্বিক সহায়তা আর একটি সিস্টেম বা পদ্ধতি যা ব্যবহার করে আপনি অর্জন করতে পারেন বহুগুন প্রবৃদ্ধি এবং সাথে, কাঙ্খিত উপার্জন। আপনি পাচ্ছেন জীবনে সফলতা এনে দেবার এমন একটি সিস্টেম যা দেশে ও বিদেশে প্রমানিত হয়েছে বহুজনের জীবনে।
এবারে আসুন ফরেভার লিভিং প্রোডাক্টস কোম্পানি সম্পর্কে আরো একটু বিস্তারিত জেনে নিই।
ফরেভার লিভিং প্রোডাক্টস যাত্রা শুরু করেছিল ১৯৭৮ সালে। একজন মহান উদ্যোক্তা এটি শুরু করেন, যার নাম রেক্স মন। তার স্বপ্ন ছিল প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে এলো ভেরা গাছের আশ্চর্যজনক গুনাবলী কে পৃথিবীময় লাখো-কোটি মানুষের স্বাস্থ্যসেবার জন্যে পৌছে দেওয়া, এবং এমন একটি কোম্পানি গঠন করা যা অতি সাধারণ মানুষদেরকেও এনে দেবে অসাধারণ জীবন গড়ার সুযোগ।
তিনি বুঝেছিলেন যে একা এই কাজ তার পক্ষে সম্ভব নয়। তাই তিনি কযেক জন অত্যন্ত বুদ্ধিমান আর মেধাবী লোককে সাথে নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিলেন, যারা আজও আরিজোনা’র স্কতসদেল এ আমাদের গ্লোবাল হেড অফিস এবং দেশীয় হেড অফিস সমূহ থেকে কাজ করে যাচ্ছেন। তরুণ প্রজন্মের যারা ফরেভার এর সাথে যুক্ত হয়েছেন তারা দেখতে পাচ্ছেন উজ্জলতর একটি ভবিষ্যত।
ফরেভার পৃথিবীর সবথেকে বড় এলোভেরা ভিত্তিক পণ্য প্রস্তুতকারক কোম্পানি। ১৯৭৮ সালে যখন অনেকেই এলোভেরার নামও শোনেননি, তখন এলোভেরার পচন-রোধ করে বাজারজাত করার পথ ছিল অজানা। সেই সময়ে ফরেভার গবেষণা করে এলোভেরার পচন-রোধ করার একটি পন্থা উদ্ভাবন করে এবং এই পদ্ধতিটির অনুকরণের উপর নিষেধাজ্ঞা অধিকার (পেটেন্ট) ক্রয় করে। সে কারণে অন্য কোনো কোম্পানি এই পদ্ধতি ব্যবহার করতে পারে না। যা হোক, এই আবিষ্কারের ফলে এলোভেরাকে জমিয়ে রাখা, পরিবহন করা এবং সারা পৃথিবীময় ছড়িয়ে দেওয়া সম্ভব হয়ে ওঠে। তাই আমেরিকা তে যাত্রা শুরু করলেও, এটি এখন পৃথিবীর ১৫৫ টিরও বেশি দেশে বিস্তৃত । ফরেভার সবগুলো মহাদেশে রয়েছে, যা প্রমান করে যে এটি সত্যিই একটি আন্তর্জাতিক কোম্পানি।
ফরেভার এর রয়েছে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার দীর্ঘদিনের ইতিহাস। আমাদের অধিকাংশ অফিস, ফ্যাক্টরি, পরিবহন এবং গুদাম ইত্যাদি, সবই আমাদের কেনা সম্পত্তি। ১৯৭৮ সাল থেকে শুরু করে কোনো ঋণ ছাড়াই ফরেভার বিশাল ব্যবসায় পরিনত হয়েছে। সাম্প্রতিক বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার সময় অনেক কোম্পানি যখন দেউলিয়া হয়ে গেছে, তখনও ফরেভার ছিল স্বাধীন, সচ্ছল, স্থিতিশীল আর শক্তিশালী।
ফরেভার সম্পূর্ণ ঋণ মুক্ত একটি কোম্পানি যার রয়েছে নগদ অর্থ আর একশত পঞ্চাশ কোটি ডলারের বেশি সম্পদ ও সম্পত্তি। ফলে দেউলিয়া হবার ভয় নেই মোটেও। অর্থাত এই কোম্পানির সাথে আপনার আর আমার ভবিষ্যত নিরাপদ।
ব্যবসা করে উপার্জন বাড়ানোই ফরেভার কোম্পানির একমাত্র উদ্দেশ্যে নয়। জনসেবায় ফরেভার এর রয়েছে “ফরেভার গিভিং” নামের একটি দাতা অঙ্গ সংস্থা, যার মাধ্যমে ফরেভার, শিক্ষার সরঞ্জাম, জরুরি সাহায্য, পঙ্গুদের সেবা এবং আরো অনেক উপায়ে পৃথিবীময় হাজার হাজার মানুষকে বিনামূল্যে সেবা প্রদান করে চলেছে। অসহায় দের সেবা করার জন্যে ‘ফরেভার গিভিং’ সবসময়ই নতুন নতুন পথ খুঁজে বার করে চলেছে।
শুধু ফরেভার কোম্পানিই নয়, যারা ফরেভার পণ্য নিয়ে ব্যবসা করেন, তাদের অনেকেই ব্যক্তিগত ভাবে জনসেবা কাজে নীয়জিত আছেন। তেমনি একজনের গল্প বলছি এবারে। ভারতের ফরেভার ব্যবসায়ী সুনীল গুপ্ত অসহায় শিশুদের জীবনে শিক্ষার আলো ছড়াতে নিজ খরচে একটি স্কুল চালাচ্ছেন । তিনি একটি অত্যান্ত ঘনবসতিপূর্ণ গরিব এলাকায়, গরিব শিশুদের জন্যে একটি স্কুল প্রতিষ্ঠা করেছেন এবং চালাচ্ছেন। তার ভাষ্যমতে, তিনি ফরেভার ব্যবসা করে নিজের জীবনে সফলতা এনেছেন এবং এখন তার চারপাশের মানুষদের শিক্ষা, খাদ্য এবং অনন্য উপায়ে সাহায্য করতে চেষ্টা করছেন।
সুনীল গুপ্তের মত হাজার ফরেভার ব্যবসায়ী খাদ্য, শিক্ষা, চিকিত্সা সহ বিবিধ উপায়ে তাদের আশেপাশের ভাগ্যহতদের সাহায্য করে চলেছেন। সত্যিই মহৎ সেবায় নিয়জিত অনেক মহৎ প্রাণ। আর এখন এমন মানব সেবার সুযোগ আপনার হাতের কাছে।
পরিবেশ রক্ষায়ও ফরেভার অত্যান্ত সজাগ। নিরাপদ এবং প্রাকৃতিক চাষ, প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং প্রস্তুতকরণ পদ্ধতি ব্যবহার করে আমরা পেয়েছি আন্তর্জাতিক এলো বিজ্ঞান কাউন্সিল এর স্বীকৃতি। পশুদের প্রতি সদয় আচরণের জন্যে আমরা আরো পেয়েছি ‘ক্রুয়েল্টি ফ্রি’ (বাংলা করলে যার অর্থ হয় নিষ্ঠুরতা মুক্ত) নামক একটি সংস্থা’র স্বীকৃতি, কেননা আমাদের পণ্যসামগ্রীর মান পরীক্ষার জন্যে আমরা পশুপাখিদের ব্যবহার করি না।
১৯৭৮ সালের পর থেকে অনেকবারই বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক মন্দা আঘাত হেনেছে। দেউলিয়া হয়ে গেছে অনেক বড় এবং ছোট প্রতিষ্ঠান। ফরেভার কিন্তু প্রত্যেক বছরই বেড়ে বড় হয়েছে এবং এগিয়ে গিয়েছে।
এবার আসুন দেখি ফরেভার ঠিক কিভাবে এমন স্থিতিশীল এবং বর্ধিষ্ণু একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠা করেছে।
আমেরিকার টেক্সাস এবং ডোমিনিকান রিপাবলিক এ ফরেভারের রয়েছে হাজার হাজার একরের এলোভেরা চাষের জমি। যতদুর দৃষ্টি যায় শুধু এলোভেরা আর এলোভেরা। আমাদের এই এলোভেরা প্রক্রিয়াজাত করা এবং মানুষের পক্ষে ব্যবহার যোগ্য পণ্য হিসাবে প্রস্তুত করার সব পদ্ধতিও ফরেভারের মালিকানাধীন। যার কারণে ফরেভার সারা বছর ধরে বিরামহীন ভাবে সর্বোত্তম মানের এলোভেরা সরবরাহ করতে পারে ।
আরো আছে পন্যের মানোন্নয়নের জন্যে অত্যাধুনিক গবেষনাগার, বৈজ্ঞানিক এবং গবেষক। ফরেভারের বৈজ্ঞানিকগণ অতি সাম্প্রতিক বৈজ্ঞানিক প্রযুক্তি এবং পন্থাবলী ব্যবহার করার জন্য প্রশিক্ষিত এবং স্বীকৃতি সনদপ্রাপ্ত। পন্যের মান বৃদ্ধির জন্যে ফরেভারের থেকে বেশি গুরুত্ব, মনোযোগ এবং সময় আর কেউ দেয় না।
অত্যাধুনিক পদ্ধতিতে এলোভেরা বোতলজাত করার জন্যে সম্প্রতি আমরা ৬০-৬৫ কোটি ডলার খরচ করে একটি নতুন কারখানা বসিয়েছি। এমন বিশাল বিনিযোগ এর কারণ হলো শতাব্দীর পরে শতাব্দী ধরে মানুষ সেবার এই ব্যবসা চালিয়ে যাবার ইচ্ছা।
আমাদের গবেষনাগার এবং কারখানায় সর্বাধুনিক বৈজ্ঞানিক সরঞ্জাম ব্যবহার করা হয় যা অন্যান্য অধিকাংশ নেটওয়ার্ক মার্কেটিং কোম্পানির কেনার সাধ্যের বাইরে। ফলে তারা তৃতীয় কোনো কোম্পানি কে দিয়ে পণ্য প্রস্তুত করার কাজ করিয়ে থাকে। ফরেভার তাদের থেকে ভিন্ন। আমরা মাটি থেকে শুরু করে পণ্য আপনার হাত-এ পৌছানো পর্যন্ত সবটা নিজেরাই করি। এই ভিন্নতার স্বাধ আর অনুভূতি আপনি নিজেই অবুভব করতে পারবেন। এই ভিন্নতায় আপনি বিশ্বাস করে নির্ভর করতে পারেন।
এবার আসুন আমরা দেখি “ফরেভার” বিশ্বজুড়ে কি কি প্রকারের পণ্যের বাজার, প্রতিযোগিতার জন্যে বেছে নিয়েছে।
আমরা ত্বক এবং ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ব্যবহার এর জন্য এমন সব পণ্য প্রস্তুত করি যা সকলে প্রতিদিন ব্যবহার করেন। যেমন দাত মাজার পেস্ট, সাবান, শ্যাম্পু, লোশন, ক্রিম এবং হরেক রকমের মেকআপ। ফরেভার ব্যবসায়ী দের জন্যে যা একটি বিশাল বানিজ্য-সুযোগ। আপনি কি এমন কাউকে চেনেন যিনি রোজ দাত মাজেন? অথবা এমন কেউ যিনি মুখে ক্রিম ব্যবহার করেন? বা ঠোঁটে লিপবাম বা মাথায় শ্যাম্পু বা শরীরে সাবান ব্যবহার করেন? বা এমন কেউ যিনি ভিটামিন কিনে খান? বা কোনো প্রকার চর্মজনিত অসুখে ভুগছেন? বা দুর্বলতায় ভুগছেন? বা রাতে যিনি ভালো ঘুমোতে পারেন না? বা এলার্জিতে ভুগছেন? যদি আপনার চেনা এমন কেউ থাকে, তাহলে আপনার কাস্টমার খুজতে আর দুরে যেতে হবে না।
২০১৫ সালে ওজন নিয়ন্ত্রক পন্যের বিশ্ব চাহিদা ছিল প্রায় ৫৮৬ বিলিয়ন ডলারের। ফরেভার এর রয়েছে ওজন নিয়ন্ত্রনে বিশেষ রকম কার্যকরী পণ্য সামগ্রী। যেমন আমাদের সি-৯, ফিট-১ এবং ফিট-২ পণ্যগুলো, যার মধ্যে মূল পণ্য ছাড়াও থাকে সঠিক পুষ্টি-তথ্য এবং ব্যয়াম বা শরীরচর্চা শিক্ষা।
চলুন ক্লিন নাইন (সি-৯) বিষয়ে একটু বিস্তারিত আলোচনা করি। ক্লিন নাইন মাত্র নয় দিনে আপনাকে আরো সুশ্রী এবং সতেজ করে তুলবে মাত্র ১০০ ডলারেরও কম খরচে। আপনার পকেট এর উপর চাপ সৃষ্টি না করে ওজন নিয়ন্ত্রণ শুরু করার এটি তাই একটি সহজ উপায়। ক্লিন নাইন এর উপকারিতার মধ্যে বিশেষ রকম উল্লেখযোগ্য একটি হচ্ছে যে এটি আপনার দেহে জমে থাকা দুষিত/ক্ষতিকর বর্জ্য, যা আপনার আহার করা খাদ্য থেকে সর্বোচ্চ পরিমান পুষ্টি শুষে নিতে বাধা সৃষ্টি করে, সেগুলো পরিষ্কার করে। এছাড়াও ক্লিন নাইন আপনার ক্ষতিকর খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করতে সহায়তা করবে। এটি আমাদের ব্যবসা বাড়ানোর জন্যে বা কাউকে আমাদের পণ্য এবং ব্যবসা পদ্ধতি সম্পর্কে জানানোর জন্যে চমত্কার একটি পণ্য।
ফরেভার এর আরো রয়েছে ভিটামিন এবং পরিপূরক খাদ্যের এক বিশাল সংগ্রহ। শিশু এবং প্রাপ্তবয়স্কদের নিত্য প্রয়োজনীয় সাধারণ ভিটামিন এবং খনিজ লবন থেকে শুরু করে সুনিদিষ্ট পুষ্টি চাহিদার ক্ষেত্রে সুনিদ্দিষ্ট ভিটামিন বা খনিজ লবন ইত্যাদি সব রকমের পণ্যই রয়েছে আমাদের। ক্লিন নাইন প্রোগ্রাম সম্পূর্ণ করার পর প্রাত্যহিক স্বাস্থ্য রক্ষার জন্যে যারা সর্বোচ্চ মানসম্পন্ন পুষ্টি প্রোগ্রাম খুজছেন, ‘ভাইটাল ৫’ ঠিক তাদেরই জন্যে। ফরেভার এর পাঁচটি অপরিহার্য পুষ্টি পণ্য সমন্বয়ে গড়া ‘ভাইটাল ফাইভ’ মানব দেহের বিভিন্ন সিস্টেমগুলোকে সক্রিয় রাখতে সাহায্য করার পাশাপাশি অন্যান্য পুষ্টি চাহিদা পূরণ করে সুসাস্থের মজবুত ভিত্তি তৈরী করবে। ‘ভাইটাল ফাইভ’ পূরণ করে আমাদের অত্যাবশ্যকীয় প্রাত্যহিক পুষ্টি চাহিদা এবং এর সাথে সুনিদ্দিষ্ট পুষ্টি চাহিদা পূরণের জন্যে ফরেভার এর অন্যান্য পুষ্টি পণ্য সামগ্রী সমূহ ব্যবহার করা উচিত। ভাইটাল ফাইভ প্রতিদিন প্রত্যেকের জন্যে অত্যাবশ্যকীয়।
ব্যবসা বৃদ্ধির জন্যে ফরেভার ব্যবসায়ীদের রয়েছে তিনটি পথ।
প্রথম পথটি হলো ফরেভার এর পণ্য নিজে ব্যবহার করা এবং অন্যদেরকে ব্যবহারে উত্সাহিত করা। এই পথটি মূলত একটি খুচরা বিক্রয় ব্যবসার মত।
দ্বিতীয় পথটি হলো আপনার মতই যারা একটু বাড়তি রোজগার এর পথ খুজছেন, যারা ফরেভার এর পণ্য নিজে ব্যবহার করবেন এবং তাদের চেনা জানাদের মাঝে সরবরাহ করতে আগ্রহী, এমন সব লোকদেরকে নিয়ে একটি ছোট্ট দল বা টিম গঠন করা।
এবং শেষ পথ হলো আপনার টীম যখন বড় হতে শুরু করবে, বিসনেস ডেভেলপার হিসাবে আপনার টীম এর সদস্যদের ব্যবসা বড় করতে সাহায্য করা।
চলুন এই পথ গুলোকে আরো একটু বিস্তারিত ভাবে বোঝার চেষ্টা করি। প্রথমে আপনি ফরেভার এর পণ্য সামগ্রী ব্যবহার করে এবং এ সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জেনে আপনার চেনা-জানাদের কে এই পন্যের গুনাগুন ব্যাখ্যা করে এগুলো ব্যবহার করতে উত্সাহিত করবেন। এবং এভাবে আপনি একটি খুচরা ব্যবসা গড়ে তুলবেন। আমরা শতকরা নব্বই ভাগ ফরেভার ব্যবসায়ীরা মোটেও বিক্রয় প্রতিনিধি নই। আমরা শুধু পণ্যগুলো ব্যবহার করি, সুফল ভোগ করি এবং অন্যদের কে ব্যবহার করতে সুপারিশ করি। ১৫-২০ জনের বেশি গ্রাহক বা কাস্টমার অধিকাংশ ফরেভার ব্যবসায়ীরই থাকে না। এমন সংখ্যক কাস্টমার থাকলে গড়পরতায় প্রতি মাসে ২৫০ ডলার থেকে ৪০০ ডলার রোজগার করা যায়। এটা, আপনার মাসিক খরচের ভার খানিকটা কমাবে নিশ্চয়।
এর পরের ধাপ হচ্ছে, একটি ছোট্ট টীম গঠন করা। আপনি যখন আপনার চেনা জানাদের মধ্যে এই পণ্য সরবরাহ করবেন, দেখবেন তাদের মধ্যেও অনেকেই আপনার মতই বাড়তি রোজগারে উত্সাহী। এমন ১৫-২০ জন যদি আপনার দল এ থাকে, যারা নিজেদের ব্যবসা বাড়াতে কাজ করছেন, তাহলে প্রতি মাসে আপনি ১০০০ ডলার থেকে ২৫০০ ডলার পর্যন্ত রোজগার করতে পারেন। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এই বাড়তি রোজগার দিয়ে মর্টগেজ এর পয়সা হয়ে যাবে। অথবা মাসিক খরচও এর চাপ কমে যাবে অনেকটাই।
সব শেষে ফরেভার এর ঠিক এই ব্যবসার ধারণা বেশি বেশি লোকেদের সাথে আলোচনা করে আপনি গড়তে পারবেন একটি বিশাল টীম যেখানে আপানর সদস্যরাও বারবার ঠিক এই একই কাজ করবেন। লম্বা সময় ধরে অব্যাহত ভাবে ব্যবসা করে গেলে আপনি পাবেন জীবন বদলে দেবার মত ফল। প্রতি মাসে ২৫০০ ডলার থেকে ২৫০০০ ডলার পর্যন্ত। এই পর্যায়ে পৌছে গেলে আপনার উত্সাহ আরো বেড়ে যাবে কেননা, অনেকগুলো নতুন ধরনের বোনাস এবং পুরস্কার পাবার রাস্তা খুলে যাবে আপনার সামনে। প্রথমেই বলতে হয় সম্মানী’র মত উপার্জনের কথা। সম্মানী বা রয়ালটি হচ্ছে কোনো কাজ একবার করে, তার থেকে অনিদিষ্ট কাল পর্যন্ত উপার্জন করা। আমাদের সমাজে লেখক, শিল্পী বা বৈজ্ঞানিকগণ এমন সম্মানী পেয়ে থাকেন। এদিকে আপনার ব্যবসা একটি পূর্ব নির্দেশিত আকার ধারণ করলে ফরেভার আপনাকে দেবে সম্মানী। অর্থাত এর পরে আপনি যদি কাজ না করেন বা না করতে পারেন, তাহলেও আপনার উপার্জন বন্ধ হবে না। ভেবে দেখুন তো, আপনি আজ যা করছেন, তাতে যদি ছমাস কাজে যেতে না পারেন, আপনার উপার্জন কি বহাল থাকবে?
এর পরে আছে, চেয়ারম্যনের বোনাস বা ফরেভার এর বাত্সরিক উল্লেখযোগ্য ব্যবসা বৃদ্ধির বোনাস। যোগ্য প্রমানিত হলে আপনার রাখা অবদান সাপেক্ষে ফরেভার আপনার অন্যান্য মাসিক রোজগার এর বাইরে আপনাকে এই বোনাস দেবে। ২০১৪ সালে, সব থেকে বেশি ব্যবসা বাড়ানোর পুরস্কার সরূপ জার্মানির রল্ফ কিপ্প পেয়েছিলেন ১৩ কোটি ডলার। ফরেভার আপনার মত শত শত লোকদেরকে বিশাল অঙ্কের বোনাস দিয়ে থাকে। ফরেভার ২০১৪ সালে মোট ২২ মিলিয়ন ডলার বোনাস আকারে দিয়েছিল তাদেরকে, যারা এই কার্যকরী পদ্ধতি বার বার ব্যবহার করে অব্যাহত ভাবে ব্যবসা করে গিয়েছেন। আমাদের সব থেকে তুখোর ব্যবসায়ীরা দেখা যায় এই ব্যবসা সবচেয়ে বেশি উপভোগ ও করে থাকেন।
এর পরে আছে আমাদের ‘ফরেভার টু ড্রাইভ’ নামের একটি অর্জিত পুরস্কার এর ব্যবস্থা। এর অধীনে, ব্যবসায় আপনার অবদানের উপর ভিত্তি করে আপনাকে বাত্সরিক সর্বোচ্চ ৯৬০০ ডলার দেওয়া হবে। অধিকাংশ ব্যবসায়ী রাই এই পয়সা তাদের স্বপ্নের গাড়ি কিনতে খরচ করেন। নাম টি সেখান থেকেই এসেছে। এই পুরস্কারটি আপনার ব্যবসা বাড়াতে খুব সাহায্য করে, কেননা আপনার দলের সদস্যরা সচক্ষে দেখতে পান যে যথাযথ ভাবে ব্যবসা করলে তারাও অমন গাড়ি পেতে পারেন।
এছাড়া আছে কোম্পানির খরচে আন্তর্জাতিক ভ্রমনের পুরস্কার। প্রতিবছর যারা এই পুরস্কার পাবার পূর্বশর্তগুলো পূরণ করেন, তারা পান ফরেভার এর খরচে পৃথিবীর দুইটি ভিন্ন জায়গায় দুইটি ভ্রমনের সুযোগ। ২০১৫ সালে এই জায়গাগুলো ছিল সিঙ্গাপুর এবং মক্সিকোর কেন্কুন। ২০১৬ সালে হবে দক্ষিন আফ্রিকার জোহানেসবার্গ আর গ্রীস। ফরেভার বহন করবে সব খরচ, সাথে আপনাকে দেবে হাত খরচের জন্য পয়সা। হাজার হাজার ফরেভার ব্যবসায়ীরা সেখানে যাবেন, আর আপনিও সে সুযোগ পেতে পারেন।
ফরেভার ব্যবসার উপকারিতা সেখানেই শেষ নয়। একটু ধর্য্য ধরে বসুন, আমি বুঝিয়ে বলছি। ফরেভার ব্যবসায়ীরা উপভোগ করেন নিজের ব্যবসা থাকার মজা অথচ চাষ, প্রক্রিয়াজাতকরণ, মান নিয়ন্ত্রণ, প্রস্তুতকরন, পরিবহন বা পরিবেশনের মাথা ব্যথা সব কিন্তু ফরেভার এর।
আপনার সুসাস্থ্য এবং সফলতায় ভরা দীর্ঘ জীবনের শেষে বিদায়ের ক্ষণে আপনি আপনার পছন্দের যে কোনো উত্তরসুরীর জন্যে এই রোজগার রেখে যেতে পারবেন যেন তারা আপনার পরিশ্রমের ফল আপনি চলে যাবার বহুদিন পরেও ভোগ করতে থাকেন।
আপনার দলের শত শত বা হাজার হাজার সদস্যরা আপনার জন্যে প্রতিদিন প্রতি ঘন্টায় যোগান দেবে আপনার অব্যাহত মাসিক রোজগারের।
অবিশ্বাস্য রকমের সহজ মনে হচ্ছে? তাহলে মন দিয়ে শুনুন। এটি মোটেও ছেলে-খেলা নয়। কঠিন পরিশ্রম ব্যতীত বড় ব্যবসা গড়া যায় এমনটা মোটেও ভাববেন না। জীবন বদলে দেবার মত ব্যবসা গর্তে হলে, আপনাকে
- সময় নষ্ট না করে, অব্যাহতভাবে কঠিন পরিশ্রম করতে হবে।
- অনেক বড় স্বপ্ন দেখতে হবে এবং সে স্বপ্ন পূরণের অদমনীয় ইচ্ছা থাকতে হবে।
- সহকর্মীদের কাছ থেকে শিখতে হবে। এটি একটি সামাজিক ব্যবসা। তাই আপনি সমাজে যত বেশি মিশবেন তত আপনার ব্যবসা বড় হবে।
- দৃঢ় হতে হবে। অনেকেই আপনাকে উপহাস করবে, তাচ্ছিল্য করবে, আপনার মুখের উপর ‘না’ বলে দেবে। নিরুত্সাহিত হবেন না। সেসব ঝেড়ে ফেলতে শিখতে হবে।
- যত বেশি সম্ভব পণ্য ব্যবহার করে তার সুফল উপভোগ করতে হবে এবং অন্যদের কে ব্যবহারের জন্যে উত্সাহিত করতে হবে।
আপনি দৃঢ়তার সাথে অব্যাহত ভাবে কাজ করে গেলে, সঠিক সময়ে আপনার ব্যবসা নিশ্চিতভাবেই আপনার স্বপ্ন পূরণ করবে।
আমাদের সবার জীবনেই কিছু মুহূর্ত থাকে যা আমাদের কে চিতদিনের মত বদলে দিতে পারে। এই পরিবেশনা দেখা এবং শোনা ছিল বিশ্বজুড়ে লক্ষ লক্ষ লোকের জীবনে তেমনি একটি পরিবর্তনের মুহূর্ত, যখন তারা এই ব্যবসাটি একবার করে দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। এই মুহুর্তেই আপনিও পারেন এমনি করে অপনার জীবন পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিতে। আপনাকে একলা কিছুই করতে হবে না বরং ফরেভার পরিবার এর অন্যান্য সদস্যদের সাথে মিলে মিশে কাজ করবেন।
একদা একজন বিজ্ঞ ব্যক্তি বলেছিলেন যে আমাদের সিদ্ধান্ত গুলোই আমাদের অদৃস্ষ্ট কে নিয়ন্ত্রণ করে। আপনার সামনেও এই মুহুর্তে রয়েছে তেমনি একটি সিদ্ধান্ত নেবার সুযোগ যা আপনার এবং আপনার প্রিয়জনদের ভাগ্য কে চিরদিনের মত পরিবর্তন করে দিতে পারে। সিদ্ধান্ত নিতে পারেন শুভ সুচনা করার। শুভ সূচনা করার জন্যে পণ্য গুলো অর্ডার দিন, নিজে ব্যবহার করুন এবং এদের গুণগত মান সম্পর্কে নিশ্চিত হউন। তারপরে এই পণ্য এবং ব্যবসা পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন। আপনার মনে যত প্রশ্ন আছে, সব প্রশ্নের জবাব জেনে নিন। শিখুন কি করে আপনি আপনার এই ব্যবসা কে এগিয়ে নেবেন এবং বড় করবেন। তারপরে সেই মতে কাজ করুন। জীবন বদলে নিন।
এতক্ষণ ধর্য্য ধরে আমাদের সাথে থাকার জন্যে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।