সাংকেতিক মুদ্রা বিটকয়েনের উদ্ভাবক হিসেবে নিজেকে দাবি করেছেন অস্ট্রেলিয়ার কম্পিউটার বিজ্ঞানী ও ব্যবসায়ী ক্রেইগ রাইট। এর মাধ্যমে মুদ্রাটির মূল ধারণা কার মস্তিস্কপ্রসূত? তা নিয়ে বছরের পর বছর ধরে চলা জল্পনা-কল্পনায় ভিন্ন মাত্রা যোগ করলেন তিনি।
এতদিন বিটকয়েনের উদ্ভাবক হিসেবে পরিচিত ছিলেন ডোরেইন সাতোশি নাকামোতো। তিনি ২০১৪ সালে দাবি করেন, ২০০৮ সালে এই মুদ্রা ব্যবস্থার প্রচলন করেন তিনি।
বিটকয়েনের উদ্ভাবক হিসেবে নিজেকে দাবি করার পর, নিজের স্বপক্ষে প্রযুক্তিগত বেশকিছু প্রমাণও হাজির করেছেন ক্রেইগ রাইট।বিটকয়েন সম্প্রদায়ের বিশিষ্ট সদস্যরা এবং এটির কোর ডেভলপমেন্ট দল তার দাবি সঠিক বলে নিশ্চিত করেছেন।
ক্রেইগ রাইট তিনটি গণমাধ্যমের কাছে (বিবিসি, দ্য ইকোমিস্ট ও জিকিউ) নিজের পরিচয় প্রকাশ করেছেন। যুক্তরাজ্যের গণমাধ্যম তিনটির কাছেই মূলত তিনি বিটকয়েনের উদ্ভাবক বিষয়ে প্রমাণাদি পেশ করেছেন।
বিটকয়েন হলো লেনদেন হওয়া সাংকেতিক মুদ্রা। এর লেনদেনটি বিটকয়েন মাইনার নামে একটি সার্ভারে সুরক্ষিত থাকে। পিয়ার-টু-পিয়ার যোগাযোগ ব্যবস্থায় যুক্ত থাকা একাধিক কম্পিউটার বা স্মার্টফোনের মধ্যে বিটকয়েন লেনদেন হলে এর কেন্দ্রীয় সার্ভার ব্যবহারকারীর লেজার হালনাগাদ করে দেয়। একটি লেনদেন হওয়ার সাথে সাথে নতুন বিটকয়েন উৎপন্ন হয়। ১ বিটকয়েন সমান প্রায় ৪৪৫ ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ৩৪ হাজার ৭৭৬ ডলার।