গরমের দিনে শোনাবো পপসিকল আইস পপ আবিষ্কারের গল্প।

পপসিকল শব্দটার সাথে আমাদের পরিচয় নাই, কিন্তু জিনিসটা আমাদের অপরিচিত নয়।
বিজ্ঞানের খাতায় লিখতে বসেছি এর আবিষ্কারকের বিশেষত্বের জন্য।
পপসিকল আবিষ্কার করেন ফ্রাংক এপারসন।

md jobayer

    ১৯০৫ সালে ফ্রাংকের বয়স তখন মাত্র এগারো বছর । তখনকার সময়ে সোডা ওয়াটার পানীয় খুব জনপ্রিয় ।
    একদিন ফ্রাংক সোডা ওয়াটার পাউডার পানিতে গোলাচ্ছিলেন। কোন কারণে সে মিশ্রণটা রেখে দিলো।
    মিশ্রণটা নাড়ানোর জন্য যে নাড়ানী ছিলো ওটা ওই পাত্রেই রয়ে গেলো। সারা রাত ওভাবেই ছিল। সেই রাতে তাপমাত্রা রেকর্ড পরিমান কমে ছিলো।
    সকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রাংক মজাদার একটি জিনিস আবিষ্কার করলো। তার নাড়ানী কাঠির মাথায় সোডা জমাট বেঁধে আছে। এরকম অভিজ্ঞতা এই প্রথম ।
    সে তার স্কুলের বন্ধুদের জিনিসটা দেখালো। সবাই বেশ মজা পেলো।

jobaye

  • ১৯২৩ সাল, ফ্রাংক এখন ২৯ বছরের যুবক। সাংসারিক বুদ্ধি তার ভালোই আছে।
    তার মাথায় আছে সোডা ওয়াটার জমাট বাঁধার অভিজ্ঞতা।
    এই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে তিনি সাত ফলের ফ্লেভার দিয়ে নতুন খাদ্যপণ্য এপসিকল তৈরী করলেন।
    পরবর্তীতে এপসিকলের নাম বদলে রাখা হয় পপসিকল।
  • Blackberry-Prosecco-Popsicles_Bakers-Royale1

    নসাধারনের মাঝে পপসিকল জনপ্রিয়তা পেলো। মোট তের স্বাদের পপসিকল তৈরী হলেও বছরজুড়ে কমলা স্বাদের পপসিকলের চাহিদা বেশী।
    ফ্রাংক তার আবিষ্কারের ব্যবসায়িক গুরুত্ব অনুধাবন করতে পেরে প্যাটেন্টের জন্য আবেদন করেন।
    ১৯২৪ সালে তিনি পপসিকল আবিষ্কারের স্বত্ব পান।
    ১৯২৮ সাল পর্যন্ত ফ্রাংক ৬০ মিলিয়নের বেশী পপসিকল আইস পপ বিক্রির রয়ালিটি পান।

    Comments (No)

    Leave a Reply

    এই সাইটের কোন লেখা কপি করা সম্পুর্ন নিষেধ