ইউটিউব এসইও: কিভাবে ইউটিউব ভিডিও ভিউ বাড়বে? YouTube SEO: How to increase YouTube video views? 1

ইউটিউব এসইও: কিভাবে ইউটিউব ভিডিও ভিউ বাড়বে? YouTube SEO: How to increase YouTube video views? ইউটিউব ভিডিও এর ভিউ বাড়ানোর জন্য ইউটিউব ভিডিও এসইও করার বিকল্প কিছু নেই। ভিডিও ভিউ বাড়ানোর জন্য অবশ্যই আপনার ইউটিউব চ্যানেল এর ভিডিওগুলো সঠিকভাবে এসইও করতে হবে। আপনার ভিডিওতে কোয়ালিটি কনটেন্ট থাকা সত্বেও যদি আশানুরুপ ভিউ না হয় তাহলে বুঝতে হবে আপনি ভিডিওতে প্রোপারলি এসইও করছেন না। একমাত্র প্রোপার ইউটিউব ভিডিও এসই আপনার ইউটিউব চ্যানেল এর ভিডিও ভিউ বৃদ্ধি করতে পারে।
8আমরা এসইও এর কথা শুনলে শুধুমাত্র গুগল সার্চ ইঞ্জিন এর কথা চিন্তা করি। কিন্তু বর্তমানে গুগল সার্চ ইঞ্জিনের পাশাপাশি ইউটিউব সার্চ ইঞ্জিন অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। কারণ মানুষ এখন তাদের প্রয়োজনীয় তথ্য খুঁজার ক্ষেত্রে গুগল এর পাশাপাশি ইউটিউব ব্যবহার করছে।

  • আরো পড়ুন – কিভাবে ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করতে হয়?
ইউটিউব এসইও: কিভাবে ইউটিউব ভিডিও ভিউ বাড়বে? YouTube SEO: How to increase YouTube video views?
ইউটিউব এসইও: কিভাবে ইউটিউব ভিডিও ভিউ বাড়বে? YouTube SEO: How to increase YouTube video views?

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (এসইও) এর ক্ষেত্রে এ দুটি সার্চ ইঞ্জিন এর আলাদা এলগরিদম রয়েছে। গুগল সার্চ ইঞ্জিন কনটেন্ট র‌্যাংক করানোর ক্ষেত্রে এক ধরনের এলগরিদম ব্যবহার করে এবং ইউটিউব সার্চ ইঞ্জিন ভিডিও র‌্যাংক করানোর ক্ষেত্রে ভিন্ন ধরনের এলগরিদম ব্যবহার করে। তুলনামূলকভাবে ইউটিউব ভিডিও এর এসইও করা একটি ব্লগের চাইতে অনেকাংশে সহজ কাজ। আপনি চাইলে কিছু ট্রিকস অনুসরণ করে খুব সহজে ইউটিউব ভিডিও এসইও করার কাজ সেরে নিতে পারেন।


26আপনারা সবাই একটি বিষয় পরিষ্কারভাবে জানেন যে, ইউটিউব চ্যানেলের ভিডিওতে যার যত বেশি ভিউয়ার থাকবে গুগল এ্যাডসেন্স হতে তার তত বেশি ইনকাম হবে। বর্তমানে অনলাইন হতে আয় করার যত পদ্ধতী রয়েছে সেগুলোর মধ্যে ইউটিউব হচ্ছে সবচাইতে সহজ ও বিশ্বস্ত একটি প্লাটফর্ম। সাধারণত ব্লগিং করে অনলাইন হতে আয় করার জন্য যে সকল অভিজ্ঞতা থাকতে হয় ইউটিউব এর ক্ষেত্রে সে ধরনের কোন অভীজ্ঞতার প্রয়োজন হয় না।


একজন ব্যক্তি শুধুমাত্র তার নিজস্ব ক্যামেরার মাধ্যমে বিভিন্ন দৃশ্য ধারন করতঃ ভালমানের ভিডিও আপলোড করতে পারলে কোন ধরনের অতিরিক্ত অভিজ্ঞতা ছাড়াই ইউটিউব থেকে টাকা উপার্জন করতে সক্ষম হবেন। এ ছাড়াও আপনি যে বিষয়ে ভাল জানেন সে বিষয়ে টিউটরিয়াল ভিডিও তৈরি করে ইউটিউব হতে টাকা আয় করতে পারবেন। আমার জানামতে ইন্টারনেট হতে টাকা আয় করার মত সহজ অন্য কোন প্লাটফর্ম আদৌ নেই।

কিছু টাইপের ইউটিউব ভিডিও আছে যেগুলোর অনেক কম্পিটিশন রয়েছে। বিশেষকরে যারা টিউটরিয়াল টাইপের ভিডিও শেয়ার করে থাকেন তাদের কম্পিটিশনটা একটু বেশি হয়ে থাকে। কারণ এ ধরনের ভিডিও ইউটিউবে বেশি পরিমানে আপলোড করা হয়ে থাকে। আর যারা প্রকৃতির বিভিন্ন আশ্বচর্য্য জনক বিষয় নিয়ে আলোক চিত্র ধারণ করে ইউটিউবে আপলোড করেন তাদের ক্ষেত্রে এই কম্পিটিশনটা কম হয়ে থাকে।


উদহারণ স্বরূপ – যারা Wild Life নিয়ে ভিডিও শেয়ার করেন তাদের কম্পিটিশন কম ও ঐ ধরনের ভিডিও এর জনপ্রিয়তা বেশি হওয়ার কারণে সহজে প্রচুর পরিমানে ভিউয়ার পেয়ে যান। আপনি এ ধরনের ভিডিও আপলোড করতে পারলে খুব সহজে আপনার ইউটিউব চ্যানেলের জনপ্রিয়তা অর্জন করতে পারবেন।

ইউটিউব ভিডিও এসইও কি?

ইউটিউব ভিডিও এসইও বুঝার পূর্বে আপনাকে এসইও বিষয়টি বুঝতে হবে। আসলে এসইও কি বা কি জন্য এসইও করা হয় সে বিষয়ে আমি এই পোস্টে আলোচনা করতে চাইছি না। কারণ এসইও বিষয় নিয়ে আমাদের ব্লগে কয়েকটি বিস্তারিত পোস্ট রয়েছে। সেই পোস্টগুলো পড়লে এসইও বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারবেন।

  • আরো পড়ুন – সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন কি এবং কিভাবে SEO শিখবেন?

তারপরও সংক্ষেপে বলে নিচ্ছি যে, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (এসইও) হচ্ছে যেকোন সার্চ ইঞ্জিন (যেমন-গুগল, বিং ও ইউটিউব) এর সার্চ রেজাল্টের শীর্ষে বা প্রথম পেজে বা প্রথম পাতার ১০ টির মধ্যে সবার উপরে থাকার এক ধরনের কৌশল। অর্থাৎ একটি ব্লগ কিংবা ইউটিউব চ্যানেলকে সার্চ রেজাল্টের সবার উপরে শো করিয়ে ভিজিটর বা ভিউয়ার বৃদ্ধি করাই হচ্ছে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (এসইও) এর কাজ।


কারণ আপনারা জানেন যে, গুগল ও ইউটিউবে যেকোন বিষয়ে লক্ষ লক্ষ পোস্ট ও ভিডিও রয়েছে। আপনি যখন গুগল বা ইউটিউবে কোনকিছু লিখে সার্চ করেন তখন সার্চ রেজাল্টের প্রথম পাতার উপরে যে পোস্ট থাকে সেগুলো থেকেই আপনার প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করে থাকেন। এ ক্ষেত্রে আপনার প্রয়োজনীয় তথ্য জানতে পরে পাতায় বা ৪-৫ নং পোস্টে যাওয়ার দরকার পড়ে না। এ জন্য যারা অনলাইনে কাজ করে তারা তাদের ব্লগ ও ভিডিও এর ভিজিটর বৃদ্ধি করার উদ্দেশ্যে সার্চ রেজাল্টের প্রথম পাতার শীর্ষে নিয়ে আসার জন্য এসইও এর কাজ খুব মনোযোগ সহকারে করে থাকে।

আমি আগেই বলেছি ইউটিউব ও গুগল সার্চ ইঞ্জিন দুটির এলগরিদম আলাদা। সেই জন্য ভিডিও এর ক্ষেত্রে গুগল সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন না করে ইউটিউব সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন করতে হবে। ইউটিউব এসইও হচ্ছে ইউটিউব সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন করার একটি প্রক্রিয়া। অর্থাৎ ইউটিউবে আপনার টপিক রিলেটেড যত ভিডিও রয়েছে সেগুলোকে পিছনে ফেলে সবার উপরে আসার কাজই হচ্ছে ইউটিউব এসইও।

কিভাবে ইউটিউব ভিডিও এসইও করবেন?

ভিডিও তৈরি করার পূর্বেই ইউটিউব ভিডিও এসইও করার শুরু করতে হয়। তারপর ইউটিউব ভিডিও এসইও করার জন্য কয়েকটি ধাপ থাকে যেগুলো ধারাবাহিকভাবে অনুসরণ করেই ভিডিও র‌্যাংক করাতে হয়। এ ক্ষেত্রে আপনি যদি মনেকরেন যে, প্রথমে একটি ভিডিও তৈরি করে নিবেন, তারপর ভিডিও আপলোড করবেন এবং এসইও করা শুরু করবেন, তাহলে আপনি কখনো ইউটিউবে ভিডিও র‌্যাংক করতে পারবেন না। সে জন্য প্রোপার এসইও করে কিভাবে ইউটিউব ভিডিও এর র‌্যাংক বৃদ্ধিসহ প্রচুর পরিমানে ভিডিও ভিউ বাড়িয়ে নিবেন সেই বিষয়ে এখন ধারাবাহিকভাবে আলোচনা করব।

১। ভিডিও এর কিওয়ার্ড রিসার্চঃ

ভিডিও র‌্যাংক করানোর জন্য কিওয়ার্ড রিসার্চ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিভাবে কিওয়ার্ড রিসার্চ করতে হয় সে বিষয়ে আমার ব্লগে একটি পোষ্ট রয়েছে। কিন্তু আপনি যেহেতু এখাবে ইউটিউব নিয়ে কাজ করছেন সেহেতু আপনাকে ইউটিউব ভিডিও এর কিওয়ার্ড রিসার্চ করে কিওয়ার্ড সম্পর্কে ধারণা নিতে হবে। এখানে গুগল হতে কিওয়ার্ড রিসার্চ করাটা খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ নয়।
কিওয়ার্ড রিসার্চ করার জন্য অনলাইলে অনেক টুলস রয়েছে। সবগুলো টুলস এর মধ্যে যেগুলো ভালোমানের টুল তার প্রায় সবগুলো হচ্ছে পেইড ভার্সণ। আমি আপনাকে অনেকগুলো টুলস এর নাম বলতে পারব কিন্তু আপনি সেগুলো টাকা ছাড়া ফ্রিতে ব্যবহার করতে পারবেন না। যেমন-জনপ্রিয় কয়েকটি কিওয়ার্ড রিসার্চ টুলস হচ্ছে-

  • Ahrefs
  • Semrush
  • KWFinder

অনলাইলে যতগুলো এসইও টুলস রয়েছে তাদের মধ্যে এই তিনটি হচ্ছে সবচাইতে জনপ্রিয়। এই তিনটির যেকোন একটি ব্যবহার করতে পারলে আপনি অনায়াসে যেকোন ভিডিও অথবা পোস্ট র‌্যাংক করতে পারবেন। আমি সাত ডলার খরছ করে সাত দিনের জন্য Ahrefs টুলটির Trial ভার্সন ব্যবহার করেছিলাম।
এই টুলটির ভীতরে এত সব ফিচার্স রয়েছে যেটি দেখে আমি অবাক হয়ে যাই। একটি পোস্ট বা ভিডিও র‌্যাংক করানোর জন্য শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত কি কি করতে হবে তার সবটুকো এই টুলস থেকে সহজে জানা সম্ভব হয়। কিন্তু অবাক করা বিষয় এটি ব্যবহার করতে চাইলে মাসে অন্তত ৫০ ডলার খরছ করতে হয়।

আপনি টাকা খরছ করতে না চাইলেGoogle Keword Plannerদিয়ে ফ্রিতে সহজে কিওয়ার্ড রিসার্চ করতে পারবেন। তবে আপনি যদি শুধুমাত্র ইউটিউব ভিডিও এর কিওয়ার্ড রিসার্চ করতে চান তালে Google Keword Planner এর প্রয়োজন হবে না।

Ahrefs টুলস দিয়ে কিওয়ার্ড রিসার্চঃ

জনপ্রিয় Ahrefs টুলস বর্তমানে ফ্রিতে শুধুমাত্র কিওয়ার্ড রিসার্চ করার জন্য সুযোগ দিচ্ছে। তবে ভবিষ্যতে সেই সুযোগ নাও থাকতে পারে। কিওয়ার্ড রিসার্চ করার জন্য প্রথমেAhrefsটুলস এর লিংকটিতে ক্লিক করুন।

ইউটিউব এসইও: কিভাবে ইউটিউব ভিডিও ভিউ বাড়বে? YouTube SEO: How to increase YouTube video views? 2

উপরের চিত্রে দেখুন YouTube SEO কিওয়ার্ডটি বাংলাদেশ থেকে ইউটিউবে কি পরিমানে সার্চ করা হয় সেটি জানার জন্য সার্চ করায় নিচের দিকে তার সাথে রিলেটেড অন্যান কিওয়ার্ডও সহ সেই কিওয়ার্ড লিখে ইউটিউবে মাসে কি পরিমানে সার্চ করার হয় সেটি শো করছে। সুতরাং এই অসাধারণ টুলটির ফ্রি ভার্সন ব্যবহার করে সহজে আপনার ভিডিও এর কিওয়ার্ড সম্পর্কে ধারনা নিতে পারবেন।

ইউটিউব সার্চ ব্যবহার করে কিওয়ার্ড রিসার্চঃ

সহজে কিওয়ার্ড সম্পর্কে ধারনা পাওয়ার জন্য ইউটিউব সার্চ ইঞ্জিনকে কাজে লাগাতে পারেন। ইউটিউব হতে কিওয়ার্ড সম্পর্কে ধারনা নেওয়ার জন্য ইউটিউব সার্চ ইঞ্জিনে আপনার কাঙ্খিত কিওয়ার্ডটি টাইপ করুন।

ইউটিউব এসইও: কিভাবে ইউটিউব ভিডিও ভিউ বাড়বে? YouTube SEO: How to increase YouTube video views? 3

উপরের চিত্রে দেখুন YouTube SEO লিখে সার্চ করার ফলে এর সাথে সম্পৃক্ত সকল কিওয়ার্ড শো করছে। এখানে সাধারণত যেসকল কিওয়ার্ড লিখে লোকজন ভিডিও খুঁজে থাকে সেই কিওয়ার্ডগুলো সাজেস্ট করে। কাজেই ইউটিউব সার্চ ইঞ্জিন থেকেও চাইলে আপনি খুব সহজে কিওয়ার্ড রিসার্চ করে কিওয়ার্ড সম্পর্কে ধারণা নিতে পারেন।

ইউটিউব হতে জনপ্রিয় কিওয়ার্ড বাছাইঃ

আপনি কি বিষয়ে ভিডিও তৈরি করবেন সে সম্পর্কে পরিষ্কার ধারনা নিতে না পারলে সে ক্ষেত্রে জনপ্রিয় যেকোন ইউটিউব চ্যানেল থেকে খুব সহজে সেই সময়ের জনপ্রিয় কিওয়ার্ড সম্পর্কে ধারনা নিতে পারেন। এই কাজটি করার জন্য যেকোন একটি জনপ্রিয় বা আপনার প্রিয় একটি চ্যানেল ভিজিট করুন।

ইউটিউব এসইও: কিভাবে ইউটিউব ভিডিও ভিউ বাড়বে? YouTube SEO: How to increase YouTube video views? 4

উপরের চিত্রের দেখুন যেকোন জনপ্রিয় ইউটিউব চ্যানেল এর ভিডিও ট্যাব হতে Sort By এ ক্লিক করে Most Popular অপশনে ক্লিক করলে ঐ চ্যানেল এর সবগুলো জনপ্রিয় ভিডিও ধারাবাহিকভাবে শো হবে। এভাবে আপনি চাইলে যেকোন ভিডিও তৈরি করার পূর্বে জনপ্রিয় কিওয়ার্ড সম্পর্কে আইডিয়া নিতে পারেন।

২। ইউটিউব ভিডিও অপটিমাইজেশনঃ

ইউটিউব ভিডিও অপটিমাইজেশন এর ভিতরে অনেকগুলো অংশ রয়েছে। এই অংশে আমরা একটি ভিডিও তৈরি করা থেকে শুরু করে আপলোড করার পর মুহুর্তে ভিডিও এর ভীতরে কি ধরনের এসইও করা প্রয়োজন হয় সেগুলো নিয়ে পয়েন্ট আকারে ধারাবাহিকভাবে আলোচনা করব।

ভালোমানের কনটেন্ট তৈরিঃ

অনলাইনে সর্বক্ষেত্রে কনটেন্ট ইজ কিং। আপনি ব্লগিং করুন অথবা ইউটিউবে কাজ করুন না কেন আপনার কনটেন্ট ভালোমানের হতেই হবে। কারণ প্রতিযোগিতামুলক বিশ্বে যেখানে ভালোমানের কনটেন্ট নিয়ে কাজ করে কম্পিটিশনে টিকা সম্ভব হচ্ছে না সেখানে নরমাল কনটেন্ট দিয়ে কোনভাবে কাজ করে সফল হতে পারবেন না। সেই জন্য আপনি যে বিষয়ে সবচাইতে বেশি অভিজ্ঞতা সম্পন্ন সেই বিষয় নিয়ে ভিডিও তৈরি করতে হবে। সেই সাথে ভিডিওতে কনটেন্ট উপস্থাপন করার স্টাইলও অবশ্যই ভালো হতে হবে।

আকর্ষণীয় ভিডিও তৈরিঃ

টিউটরিয়াল ভিডিও তৈরি করার ক্ষেত্রে ভিডিও Editing এর মাধ্যমে প্রফেশনাল মানের ভিডিও তৈরি করাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। এ ক্ষেত্রে আপনি উন্নতমানের ভিডিও Editing সফটওয়ারের কাজ কোন প্রতিষ্ঠান থেকে ভালভাবে শিখে নিতে পারেন। বিভিন্ন ধরনের Visual ইফেক্ট যুক্ত করে যত ভালভাবে ভিডিও উপস্থাপন করতে পারবেন, আপনার চ্যানেলে তত বেশি ভিজিটর ধরে রাখতে সক্ষম হবেন।

ভিডিওতে Background Music দেওয়াঃ

ভিডিও ভালভাবে এ্যাডিট করার পাশপাশি ভিডিও এর ব্যকগ্রাউন্ডে কিছু আকর্ষণীয় মিউজিক রাখবেন। এ কাজটির ফলে ভিডিওটি সম্পর্কে ভিউয়ারদের আকর্ষণ বৃদ্ধি পাবে। তবে লক্ষ্য রাখবেন যে, ভিডিওতে যখন নিজস্ব সাউন্ড থাকবে তখন আপনার সাউন্ডের চাইতে যেন মিউজিক এর সাউন্ড বেশি না হয়। নিজেস্ব ভয়েস ব্যবহার করে টিউটরিয়াল তৈরির ক্ষেত্রে আঞ্চলিকতা পরিহার করে স্মার্ট, সুন্দর ও সাবলিন ভাষায় উপস্থাপন করার চেষ্টা করবেন।

ভিডিও এর গুরুত্ব সম্পর্বে বলাঃ

ভিডিও তৈরি করার সময় শুধু কনটেন্ট সম্পর্কে না বলে কথার ফাঁকে ফাঁকে ভিডিওতে থাকা প্রোডাক্ট বা বিষয়বস্তু এর গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে বলবেন। তাহলে একজন ভিজিটর আপনার ভিডিও এর প্রতি সহজে আকৃষ্ট হবে। এক কাথায় ভিডিও তৈরি করার ক্ষেত্রে আপনি কথায় পটু ও স্মার্ট হতে হবে।

ভিডিওতে কমেন্ট ও সাবস্ক্রাইব করতে বলাঃ

আপনি সবসময় ভিডিওতে কথার ফাঁকে চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করে নেওয়ার জন্য বলবেন। তাছাড়া ভিডিও কেমন লেগেছে ইত্যাদি জানানোর জন্য দর্শকদের কমেন্ট ও লাইক করার জন্য উৎসাহিত করবেন। কারণ যে ভিডিওতে যত বেশি লাইক ও কমেন্ট থাকে সেই ভিডিওটি সার্চ ইঞ্জিন সহ দর্শকের কাছে গুরুত্ব বহন করে।

ভিডিওতে Like ও Dislike বৃদ্ধিঃ

ভিডিও এর ভীতরে কথা বলার সময় Subscribe করার পাশাপাশি Like করারও আহ্বান জানাবেন। আপনার ভিডিওতে প্রচুর পরিমানে লাইক থাকার পাশাপাশি কিছু Dislike থাকলে দুটিই ট্রাফিক বৃদ্ধিতে Like হিসেবে কাজ করবে। কারণ ভিডিওতে Dislike এর চাইতে Like বেশি থাকলে Dislike তার প্রকৃত অর্থ বহন করতে পারে না।
ইউটিউব ধরে নেয় ভিডিওটিতে ভাল কিছু আছে যার জন্য Like ও Dislike হচ্ছে। তবে Like এর চাইতে Dislike বেশি হলে হিতের বিপরীত হতে পারে। এ ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার ভিডিওটির মানের উপর খেয়াল রাখবেন। তাহলে কোন ভাবে Dislike বেশি হবে না।

ভিডিওতে সঠিক ফাইল Name দেওয়া:

ভিডিও তৈরি করার পর ইউটিউবে আপলোড করার পূর্বে ভিডিওটির নাম এমনভাবে লিখবেন যাতে ভিডিও এর বিষয়ের সাথে মিল থাকে। আপনি যদি নাটক তৈরি করে ভিডিও এর নাম টিউটরিয়াল আকারে দেন, সে ক্ষেত্রে ভিডিও এর ভিউ পাওয়ার সম্ভাবনা প্রথমেই কমে যায়। আপনি যে বিষয় নিয়ে ভিডিও তৈরি করেছেন ঠিক সেই বিষয়ের সাথে মিল রেখে সুন্দরভাবে ভিডিও এর টাইটেল লিখবেন।

ইউটিউব এসইও: কিভাবে ইউটিউব ভিডিও ভিউ বাড়বে? YouTube SEO: How to increase YouTube video views? 5

ভিডিও এর টাইটেল অপটিমাইজঃ

ভিডিওর Title এ আমাদের টার্গেট করা কীওয়ার্ড ব্যবহার করাটা সবচেয়ে জরুরী। কারণ ইউটিউব আপনার ভিডিওর টাইটেলে এর কিওয়ার্ড পড়ে ভিডিও এর বিষয় সম্পর্কে বুঝতে পারে। সেজন্য আপনি যদি নিজের ভিডিও টাইটেলে টার্গেটেড কিওয়ার্ড ব্যবহার না করেন, তাহলে ইউটিউব আপনার ভিডিওর বিষয় বুঝতে পারবে না। এতেকরে সার্চ রেজাল্টে আপনার ভিডিও সঠিক জায়গায় সঠিক কীওয়ার্ড এর জন্য শো হবে না। কাজেই যে, কিওয়ার্ড টার্গেট করে ভিডিও তৈরি করছেন সেই কিওয়ার্ডগুলো ভিডিও টাইটেলে অবশই ব্যবহার করবেন।

ভিডিও এর ট্যাগ অপটিমাইজঃ

অধিকাংশ নতুন YouTuber এ বিষয়টি না বুঝার কারনে কোন গুরুত্ব দেন না। ভিডিও আপলোড করার পর Descriptions এর ঠিক নিচের দিকে Tags দেওয়ার জন্য একটি খালি ঘর দেখতে পাবেন। এখানে ছোট ছোট ট্যাগ লিখে দেওয়ার অপশন থাকে। আপনি শুধুমাত্র আপনার ভিডিওটি কোন ক্যাটাগরির সেটা সিলেক্ট করে দেবেন, অর্থাৎ আপনার ভিডিওটি যে টাইপের ঠিক সে ধরনের বা কাছাকাছি ধরনের ১০-১২ টি Tags সিলেক্ট করে দেবেন। এতেকরে সার্চ ইঞ্জিন আপনার ভিডিও এর ধরণ সহজে বুঝে নিতে সক্ষম হবে।


সঠিক ও উপযুক্ত ট্যাগ বাছাই করার জন্য নিচের দুটি Browser Extention ব্যবহার করতে পারে। এই দুইটি Extention গুগল ক্রোম সাপোর্ট করে।

আপনার পছন্দমত যেকোন একটি ব্যবহার করতে পারেন। আমার কাছে দুটিই খুব প্রিয়। এই দুটি Browser Extention প্রায় সমানভাবে কাজ করে। কাজেই যেকোন একটি ব্যবহার করে সহজে আপনার ভিডিওর ট্যাগ বাছাই করতে পারনে।

TubeBuddy দিয়ে কিভাবে ইউটিউব ভিডিও এর ট্যাগ বাছাই করবেন?

  • প্রথমে উপরের লিংক হতে TubeBuddy Browser Extention গুগল ক্রোম ব্রাউজারে ইনস্টল করে নিতে হবে।
  • ইনস্টল করার পর ইউটিউব একাউন্ট ব্যবহার করে সাইনইন করতে হবে।
  • তারপর যে বিষয়ে আপনার ভিডিও এর ট্যাগ প্রয়োজন সেই কিওয়ার্ডটি ইউটিউবে সার্চ করবেন।
  • তারপর যে ভিডিওটি প্রথমে শো করবে সেটি ভিজিট করলে TubeBuddy Extention টি ঐ ভিডিও এর ট্যাগগুলো শো করবে।
ইউটিউব এসইও: কিভাবে ইউটিউব ভিডিও ভিউ বাড়বে? YouTube SEO: How to increase YouTube video views? 6
  • এখানে সবুজ রংয়ের সংখ্যা দ্বারা মার্ক করা ট্যাগগুলো আপনার ভিডিওতে ব্যবহার করতে পারেন।

ঠিক একইভাবে আপনি এ বিষয়ে আরো জনপ্রিয় কয়েকটি ভিডিও এর ট্যাগ যাচাই করে আপনার ভিডিও এর জন্য প্রয়োজনীয় ট্যাগ বাছাই করতে পারেন।

ভিডিও আকর্ষণীয় Thumbnail দেওয়াঃ

ইউটিউবে ভিডিও দেখার বিষয়টি নিয়ে রিসার্চ করলে দেখা যায় প্রায় ৮০% এর বেশি লোক ইউটিউব ভিডিও এর Thumbnail দেখে ভিডিও দেখা শুরু করে। অনেক ইউটিউবার এটা বলে থাকেন যে, যে যত বেশি আকর্ষণীয় Thumbnail ভিডিওতে ব্যবহার করে তার ভিডিও তত বেশি জনপ্রিয় হয়। আপনি একটি ভিডিও তৈরির জন্য ৩ ঘন্ট খরছ করলে Thumbnail তৈরি করার জন্য মিনিমাম ১ ঘন্টা ব্যয় করবেন। কারণ একটি ভিডিও এর Thumbnail ভিডিওটি কেমন হবে সেটি সংক্ষেপে বর্ণনা করে। কাজেই Thumbnail অবশ্যই ভিডিও এর বিষয়ের সাথে মিল রেখে আকষর্ণীয় করে তৈরি করবেন।

ভিডিও Description এ সঠিক কিওয়ার্ড দেওয়াঃ

ভিডিও আপলোড হওয়ার সাথে সাথে ভিডিও এর নিচে Descriptions লিখার জন্য একটি খালি ঘর দেখতে পাবেন। এখানে কমপক্ষে ০৮-১০ লাইনে সাজিয়ে Descriptions লিখে দিতে হয়। আপনার ভিডিওটি সম্পর্কে সার্চ হতে পারে এমন আর্টিকেল এর সমন্বয়ে গোছালভাবে একটি ছোট Descriptions লিখে দেবেন। এটা মূলত ম্যাটা Descriptions ট্যাগ এর ন্যায় কাজ করে। কেউ যখন আপনার ভিডিও এর বিষয়ের সাথে মিল রয়েছে এমন কিছু লিখে ইউটিউবে সার্চ করবে, তখন টাইটেলে সেই কীওয়ার্ড না পেয়ে Descriptions এ পেয়ে গেলে ভিডিওটি সার্চ রেজাল্টে চলে আসার সম্ভাবনা থাকে।

ভিডিও এর Playlists তৈরিঃ

আপনার ইউটিউব চ্যানেলে যতগুলো এক ক্যাটারির ভিডিও রয়েছে সেগুলোকে ক্যাটাগরি অনুসারে এক একটি Playlists তৈরি করতে পারেন। আলাদা আলাদা Playlists তৈরি করার ফলে ভিজিটররা সহজে আপনার ইউটিউব চ্যানেল হতে তাদের প্রয়োজনীয় সকল ভিডিও দেখতে পারবে।

ভিডিওতে ক্যাপশন ব্যবহারঃ

ভিডিও আপলোড করার পর ইউটিউব ভিডিও এ্যাডিটর ব্যবহার করে ভিডিওতে Close Caption ব্যবহার করা যায়। আপনি ভিডিওতে ক্যাপশন যুক্ত করার মাধ্যমে ভিডিও এর সাউন্ডগুলো লিখিতভাবে ভিডিওতে শো করাতে পারেন। এতেকরে একজন ভিউয়ার ভিডিও এর ভয়েস শুনার পাশাপাশি ভিডিও এর বিষয় লিখিতভাবে দেখে সহজে বুঝতে পারবে। তাছাড়া Annotation এর মাধ্যমে বিভিন্ন Text লিংক আকারে যুক্ত করে দেওয়া যায়। এ ক্ষেত্রে ভিউয়ার আপনার ভিডিওটি দেখার পর ভাল লাগলে অন্য ভিডিওটিও দেখতে আগ্রহ প্রকাশ করবে। এ বিষয়টি সহজে আপনার বিভিন্ন ভিডিও এর ভিউয়ার বৃদ্ধি করবে।

৩। ইউটিউব ভিডিও প্রমোট করাঃ

আমরা ইতোপূর্বে ইউটিউব ভিডিও কিওয়ার্ড রিসার্চ ও ভিডিও অপটিমাইজেশনের বিষয়ে জেনেছি। উপরে বিষয়গুলো করার পর বসে থাকলে হবে না। আপনার কঠোর পরিশ্রমের বিনিময়ে তৈরি করা ভিডিওগুলো দ্রুততার সহিত দর্শকের কাছে পৌছে দেওয়ার জন্য ভিডিওগুলো বিভিন্ন মাধ্যমে শেয়ার করতে। বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া যেমন-ফেইসবু, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম সহ আরো বিভিন্ন ব্লগ ও ওয়েসবসাইটে বেশি পরিমানে শেয়ার করার মাধ্যমে ভিডিও জনপ্রিয় করে তুলতে হবে।

অন্য চ্যানেলে ভিডি লিংকিং করাঃ

আপনি যে বিষয়ে নিয়ে ভিডিও তৈরি করেন এমন টাইপের অন্য কোন জনপ্রিয় চ্যানেল এর সাথে আপনার সম্পর্ক ভালো থাকলে আপনার ভিডিওটি ঐ চ্যানেলে শেয়ার করতে পারেন। কোন জনপ্রিয় চ্যানেলে এ কাজটি করার সুযোগ দিলে খুব দ্রুত আপনার ভিডিও জনপ্রিয় হয়ে উঠবে।

দ্রুত শেয়ার করাঃ

আপনি যখন ভিডিও আপলোড করবেন তখন ভিডিওটি ফেলে না রেখে নিজে নিজে বিভিন্ন মাধ্যমে শেয়ার করতে শুরু করবেন। কারণ আপনার চ্যানেলটি নতুন হয়ে থাকলে সদ্য আপলোড হওয়া ভিডিওটি সম্পর্কে কেউ জানবে না। সে জন্য আপলোড করার পর যত দ্রুত সম্ভব সোসিয়াল মিডিয়া’সহ বিভিন্ন মাধ্যমে শেয়ার করতে থাকবেন।
এতে করে অন্তত ঐ মিডিয়ার ক্রলারগুলো আপনার ভিডিওটি সম্পর্কে ধারনা পেয়ে কিছু ভিজিটর এনে দিতে সক্ষম হবে। আপনার ভিডিওটি পুরাতন হওয়ার সাথে সাথে শেয়ার ও ভিউয়ার বৃদ্ধি না পেলে সার্চ ইঞ্জিনের কাছে ভিডিও এর মূল্য কমে যাবে।

ইমেইলের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়াঃ

অনলাইনে নিয়মিত সম্পৃক্ত থাকে এমন কিছু ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ইমেইল এড্রেস সংগ্রহ করে তাদেরকে মেইলের মাধ্যমে আপনার ভিডিওটি সম্পর্কে জানিয়ে দিতে পারেন। এ বিষয়টি আপনার ভিডিও এর ভিউয়ার ‍বৃদ্ধি করার পাশাপাশি সবার সাথে এক ধরনের কমিউনিকেশন তৈরি করবে। এ কাজটি করতে পারলে নিঃসন্দেহ আপনার ভিডিওতে কিছু ট্রাফিক পেয়ে যাবেন।

সোসিয়াল মিডিয়াতে শেয়ারঃ

ব্লগিং কিংবা ইউটিউব উভয় ক্ষেত্রে ট্রাফিক বৃদ্ধি করার ক্ষেত্রে সোসিয়াল মিডিয়া গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। ফেইসবুক, টুইটার, গুগল প্লাস ও ইনস্টগ্রাম সহ বিভিন্ন সোসিয়াল মিডিয়াতে ইউটিউব চ্যালেন এর নামে একটি পেজ তৈরি করে ফলোয়ার বৃদ্ধি করতে পারলে ‍খুব সহজে ভিডিও এর ভিউয়ার বৃদ্ধি করে নিতে পারবেন।

ব্লগ এবং ওয়েবসাইটে শেয়ারঃ

আপনার পরিচিত বা বন্ধুদের ভালমানের ব্লগে ভিডিও শেয়ার করেও ভিউয়ার বৃদ্ধি করে নিতে পারবেন। বর্তমানে গুগল ব্লগস্পট এর মাধ্যমে খুব সহজে একটি নিজস্ব ব্লগ তৈরি করে নেওয়া যায়। এ ক্ষেত্রে আপনার ইউটিউব চ্যানেল এর ভিডিওগুলো শেয়ার করার পাশাপাশি ভিডিও সম্পর্কে কিছু আর্টিকেল শেয়ার করে ভিডিও এর ভিউয়ার বৃদ্ধি করে নিতে পারেন।

ইন্টারভিউতে জয়েন করাঃ

আপনার চ্যানেলকে অধিক মাত্রায় জনপ্রিয় করে তুলার জন্য আপনি বিভিন্ন ছোট বড় ইউটিউব চ্যানেলে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে ইন্টারভিউতে বা টকশোতে জয়েন করতে পারেন। এ কাজটি করলে বিভিন্ন ইউটিউবারদের সাথে আপনার একটা কমিউনিটি তৈরি হবে। তাছাড়া সম্ভব হলে আপনিও জনপ্রিয় ইউটিউবারদের আপনার স্টুডিওতে অতিথি হওয়ার জন্য আমন্ত্রন জানিয়ে সেই ভিডিও আপনার চ্যানেলে আপলোড করেও চ্যানেলের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাশাপাশি ভিডিও এর ভিউ বাড়িয়ে নিতে পারেন।

ইউটিউব ভিডিও এর ভিউ কিভাবে বাড়াবেন?

উপরের সকল আলোচনা ও বিশ্লেষন করার পর এখন নিশ্চয় আপনার বুঝতে বাকি নেই যে, একটি ইউটিউব চ্যানেল এর ভিডিও ভিউ বাড়ানোর জন্য কি কি করতে হবে? ভালমানের ভিডিও আপলোড করার পাশপাশি উপরের সবগুলো টিপস যথাযথভাবে অনুসরণ করলে আপনি অল্প দিনে একজন ভালমানের YouTuber হতে পারবেন।
এ বিষয়টি অবশ্যই খেয়াল রাখবেন যে, ভালমানের ভিডিও ছাড়া আপনি কোনভাবে ভিউয়ার বৃদ্ধি করতে পারবেন না। কোন রকম ছয় নয় টাইপের ভিডিও আপলোড করে ভিউয়ার বৃদ্ধি করা সম্ভব হবে না। বাংলাদেশে কিছু YouTuber রয়েছেন যারা মনেকরেন বিভিন্ন সাইট হতে অন্যের ভিডিও আপলোড করে ইউটিউব থেকে আয় করা সম্ভব।
এ কাজটি কখনো করতে যাবেন না। ইউটিউব কোন ধরনের কপি করা ভিডিও গ্রহন করে না। তবে Fair Usage Policy অনুসরণ করে অন্যের ভিডিও এর কিছু অংশ ব্যবহার করতে পারেন। এ ক্ষেত্রেও অনেক নিয়ম রয়েছে যেগুলো নিয়ে অন্য কোন পোষ্টে আলোচনা করব।

By ইনকাম নিউজ

আমি একজন ফ্রিল্যান্সার। নিজে আয় করার পাশাপাশি নতুনদের সহযোগীতা করতে ভালবাসি।

Leave a Reply

You missed

এই সাইটের কোন লেখা কপি করা সম্পুর্ন নিষেধ