লাইলাতুল কদরের ফজিলত

লাইলাতুল কদরের ফজিলত

হজরত আবুজর গিফারী (রা.) বলেন, আমি রাসুল (সা.)-এর কাছে জানতে চাইলাম—‘শবেকদর নবীযুগের সঙ্গে সম্পৃক্ত, না পরেও হবে?’ উত্তরে তিনি বললেন—‘এটি কিয়ামত পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।’ আমি জানতে চাইলাম—‘এটি রমজানের কোন অংশে হয়ে থাকে?’ জবাবে তিনি বললেন—‘প্রথম ও শেষ দশ দিনের ভেতর তালাশ কর।’ এরপর তিনি অন্য প্রসঙ্গে চলে গেলেন। লাইলাতুল কদরের ফজিলত

 

আবার আমি জানতে চাইলাম—‘বলে দিন দশদিনের কোন অংশে হয়ে থাকে?’ আমার এই প্রশ্নে তিনি এত বেশি রাগ হলেন যে, এর আগে-পরে কখনোই তিনি আমার প্রতি এত বেশি রাগ হননি। এরপর বললেন—‘এরূপ উদ্দেশ্য হলে আল্লাহতায়ালা কি জানিয়ে দিতে পারতেন না? শেষ দশদিনের রাতগুলোতে তালাশ কর।

এতটুকুই যথেষ্ট, এরপর এ বিষয়ে কোনো প্রশ্ন করবে না।’ লাইলাতুল কদরের নিয়তে এ রাতে ইবাদত-আমল করে থাকেন। মুসলমানদের কাছে এ রাত হাজার মাসের চেয়েও উত্তম। মহিমান্বিত এ রাতের ইবাদত সাধারণ এক রাতের ইবাদতের চেয়ে হাজারগুণ বেশি সওয়াব মেলে। বিশ্ব মুসলমানদের কাছে সওয়াব হাসিল ও গোনাহ মাফের সুযোগ হিসেবে এ রাতের রয়েছে এক অতুলনীয় মর্যাদা।

পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, পবিত্র কদরের রাত হাজার মাসের চেয়েও উত্তম। এ রাতেই নাজিল হয়েছিল জীবন বিধান পবিত্র আল-কোরআন। এ রাতের ফজিলত সম্পর্কে আল্লাহতায়ালা ‘আলফ’ তথা ‘হাজার’ শব্দ ব্যবহার করেছেন। আলফ আরবি গণনার সর্বোচ্চ সংখ্যা। মুফাসসিরগণ বলেন, যদি এর চেয়ে বড় আরও কোনো সংখ্যা প্রচলিত থাকত, তাহলে আল্লাহতায়ালা হয়তো তাই ব্যবহার করতেন। এছাড়া শবেকদরের ফজিলত তো আর হাজার মাসের মধ্যে সীমিত করা হয়নি। বরং বলা হয়েছে, লাইলাতুল কদর হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম। তার সঠিক পরিমাণ কত, তা আল্লাহই ভালো জানেন। এখানে সংখ্যার হিসাব মুখ্য নয়, আল্লাহর অশেষ দানটিই এক্ষেত্রে প্রধান হিসেবে ধর্তব্য হবে। Online Earning Income

Comments (No)

Leave a Reply

এই সাইটের কোন লেখা কপি করা সম্পুর্ন নিষেধ