কেনাকাটা বা অর্থ লেনদেনের জন্য অনলাইন মাধ্যম দিনকে দিন জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। এর প্রধান কারণ হলো, ঘরে বসেই অনায়াসে কাজটি সেরে ফেলা যায়। কোন রকম দৌড়াদৌড়ির দরকার হয় না। কিন্তু এই বিষয়ে অসাবধান হলে ঠকে যেতে পারেন আপনি। অনলাইনে কেনাকাটা করার ক্ষেত্রে কিছু বিষয় আপনাকে অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে।
ডিসকাউন্ট অফার ও ডাবল টাকা অফারের নামে প্রোডাক্ট কিনে ঠকে গেছেন এমন ব্যক্তি কম নেই। তো আসুন আজ জেনে নিই অনলাইন থেকে প্রোডাক্ট কেনার আগে কোন বিষয়গুলো মাথায় রাখা অত্যন্ত জরুরি।
প্রোডাক্টের রেটিং ও রিভিউ দেখে বিভ্রান্ত হবেন না :
বেশিরভাগ গ্রাহকরা অনলাইন শপিংয়ে প্রোডাক্ট কেনার আগে যে কোনও প্রোডাক্টের
রেটিং ও রিভিউ দেখে নেয় । যদি রেটিং ভালো মনে হয় তবে তিনি সেই প্রোডাক্টটি
কেনেন। কিন্তু আপনাকে বলে রাখি যে অনলাইন সাইটগুলিতে করা বেশিরভাগ রিভিউ
ভুয়ো। অনেক গ্রাহক অনলাইনে একটি রিভিউ পড়ে বা ফটোগুলি দেখে মনে করে যে
প্রোডাক্টটি ভালো, তবে ডেলিভারির পর প্রোডাক্টটি খারাপ বার হয়। এর পরে
অনলাইন পোর্টাল বা ই-কমার্স সংস্থাগুলি এই প্রোডাক্টটি ফিরিয়ে নিতে
অস্বীকার করে। এই কারণে আপনাকে সবসময় অনেকগুলো রিভিউ পড়েই প্রোডাক্ট কেনা
উচিত।
দেখুন ফোনটি নতুন নাকি রিফার্ববিশড :
অনেক সময় কম দামে ফোন কেনার ইচ্ছায় আমরা রিফার্ববিশড প্রোডাক্ট কিনে
ফেলি। রিফার্ববিশড প্রোডাক্ট হলো সেই সমস্ত প্রোডাক্ট যেগুলো খারাপ হওয়ার
পর কোম্পানি সারিয়ে আবার বিক্রি করছে। এই ফোনগুলো আবারও খারাপ হওয়ার
সম্ভবনা থাকে। তাই স্মার্টফোন কেনার সময় অবশ্যই দেখে নেবেন ফোনটি নতুন
নাকি রিফার্ববিশড।
সেরা অফারটি মাথায় রাখুন :
ই-কমার্স সাইটগুলি থেকে স্মার্টফোন অর্ডার দেওয়ার সময়,খুঁজে দেখুন কোন
ওয়েবসাইট সেরা অফার দিচ্ছে। সাথে খেয়াল রাখবেন তাদের কতটা বিশ্বাস করতে
পারবেন । যেখানেই সেরা অফার দেওয়া হচ্ছে সেখানে থেকে স্মার্টফোন কিনে নিন।
তবে অবশ্যই যাচাই করে। বেশি কিছু ই-কমার্স সাইটে অফারের নামে প্রতারণার
খবর পাওয়া যাচ্ছে । আর অনলাইনে চটকদার বিজ্ঞাপন খেকে সাবধানে পন্য কিনুন ।
ডেলিভারির সময় দেখে নিন :
এই সমস্ত সেলে বিভিন্ন সাইট দেরিতে প্রোডাক্ট ডেলিভারি করে। কোন কোন সাইট
তো আবার ১৫ দিন ঝুলিয়ে রাখা তাই স্মার্টফোন কেনার সময় প্রোডাক্টটি কখন
পৌঁছাবে দেখে নেবেন।
স্মার্টফোনের ফিচার যাচাই করুন :
অনেকসময়, ই-কমার্স সাইটগুলি কোনো স্মার্টফোনকে আকর্ষণীয় করে তুলতে মিথ্যা
ফিচার লিখে রাখে। তাই কোনো স্মার্টফোন কেনার সময় সেই কোম্পানির অফিসিয়াল
ওয়েবসাইট থেকে স্মার্টফোনটির ফিচার যাচাই করে নেবেন।
রিটার্ন ও রিফান্ড পলিসি অবশ্যই পড়ে নিন :
আপনি তাড়াহুড়োতে কোনো স্মার্টফোনের রিটার্ন ও রিফান্ড পলিসি না পড়ে কিনে
নিলেন। কয়েকদিন বাদে যখন ফোনটি খারাপ হয়ে গেলো, কোম্পানির সাথে যোগাযোগ
করায় আপনাকে জানানো হলো এই স্মার্টফোনের রিটার্ন বা রিফান্ড সম্ভব নয়।
ফলে আপনি সমস্যায় পড়ে গেলেন। তাই অনলাইনে কোনো প্রোডাক্ট কেনার আগে
অবশ্যই রিটার্ন ও রিফান্ড পলিসি বারবার পড়ে নেবেন।
Comments (No)