সেরা Freelancing টিপস The Best Freelancing Tips প্রতিদিন আমরা কিছু না কিছু করছি। দোকান পাট থেকে শুরু করে অনলাইন বিজনেস। যে যেটাই পারছি করছি।
কেউ জানে না আগামীকাল তার কি হবে। তাই আজকে থেকেই আপনার পরিকল্পনা শুরু করে দেয়া দরকার।
যদি তাই হয় অনলাইন ক্যারিয়ারের বিস্তারিত নিয়ে আজকের লেখা। আপনি যদি একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষ হন এবং অনলাইনে কিছু একটা করতে চান তাহলে আপনাকে বলবো এই আর্টিকেল টি আপনার জীবনের সেরা আর্টিকেল হতে চলেছে। অনলাইনে সেক্টর এর শেষ হয়। আপনাকে যেকোন একটা চয়েজ করতে হবে। দ্বিধা দন্দ ভূলে যেকোন একটা নিয়ে কাজে নেমে পড়ুন।
শ্রেণীভেদে ৪টি Freelancing কাজের তালিকাঃ
১/ ওয়েব ডিজাইন
২/ গ্রাফিক ডিজাইন
৩/ ডিজিটাল মার্কেটিং
৪/ এ্যাপ ডেভলপার
ওয়েব ডিজাইনঃ
ওয়েব ডিজাইন হল এমন একটা সেক্টর যেখানে আপনি পাবেন নিজের ব্রান্ডিং এর সর্বোচ্চ সুবিধা। এখনকার দিনে মানুষ চায় নিজে কিছু একটা করতে। স্বাধীন ভাবে নিজের ক্যারিয়ার গড়তে ওয়েব ডিজাইন এর বিকল্প কিছু নেই।
আপনি যদি ওয়েব ডিজাইন এ নিজের ক্যারয়ার গড়তে চান তাহলে যেসব সুবিধা পাবেন
১/ নিজের পোর্টফোলিও বানিয়ে দেশী এবং বিদেশি ক্লায়েন্ট এর ক্লায়েন্ট এর সাথে কাজ করার সুযোগ।
২/ ওয়েবসাইট বানিয়ে নিজেকে স্বাবলম্বী করার সুযোগ।
৩/ শপিফাই, ওয়ার্ডপ্রেস, মেজেন্ডা হল ওয়েবসাইট বানানোর মেইন কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম।
৪ / নিজের মত পেজ বিল্ডিং করার সুবিধা
৫/ নিজের মত মেনু বানানোর সুবিধা
৬/ নিজের মত অডিও, ভিডিও, ছবি এ্যাড করার সুবিধা
৭/ নিজের আর্টিকেল বিশ্বব্যাপী প্রচার করার সুবিধা।
৮/ একটি ইন্টারন্যাশনাল মানের ওয়েবসাইট বানিয়ে $৩০০০ ডলার থেকে $৬০০০ ডলার আয় করার সুবিধা।
৯/ পুরো ওয়েবসাইট এর কন্ট্রোল করার সুবিধা।
গ্রাফিক ডিজাইনঃ
আধুনিক এই যুগে নিজের ব্রান্ডিং করার জন্য আরেকটি স্কিল হল গ্রাফিক ডিজাইন। অনলাইন এ যেকোন কিছুৃ করতে গেলে একজন গ্রাফিক ডিজাইনার এর দরকার পরবেই। গ্রাফিক ডিজাইনার ই পারবে আপনার ব্রান্ডের আইডেন্টিটি সবার সামনে উপস্থাপন করতে। ব্রান্ডে তাই গ্রাফিক ডিজাইনার এর ভূমিকা অপরিসীম।
আসুন জেনে নেয়া যাক গ্রাফিক ডিজাইনার হওয়ার সুবিধাঃ
১/ ব্রান্ডিং করার সুযোগ।
২ নিজের আইডেন্টিটি সবার সামনে উপস্থাপন এর সুযোগ।
৩/ প্যাসিফ আর্নিং এর সুযোগ।
৪/ ফাইভার আপওয়ার্ক এ কাজ করার সুযোগ।
৫/ টিশার্ট, ব্যনার, লোগো, ব্রশিয়ার, টেম্পলেট সহ আরও অনেক কিছু তৈরী করার সুযোগ।
৬/ একজন লোগো ডিজাইনার $৩০০ থেকে $৫০০ পর্যন্ত চার্জ করে থাকে।
৭/ গ্রাফিক ডিজাইনের জন্য এ্যডোব ইলাস্ট্রেটর, এ্যাডোব ফটোশপ খুবই জনপ্রিয়।
৮/ গ্রাফিক ডিজাইনার হতে হলে প্রচুর ধৈর্য আর লেগে থাকার অভ্যেস জরুরি।
৯/ রিসার্চ করার অভিজ্ঞতা লাগে প্রচুর।
৩/ ডিজিটাল মার্কেটিংঃ
ডিজিটাল মার্কেটিং হল একটি জনপ্রিয় পেশা বর্তমান এই সময়ে। ছাত্র, গৃহিনীর, চাকরিজীবী সবাই এই পেশার দিকে ঝুকছে। কারণ বর্তমান সময়ে সবাই অনলাইন পেশার দিকে বেশী চাহিদা থাকায় এই ডিজিটাল মার্কেটিং এর উপর জোর বাড়ছে।
ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রকারভেদ।
১/ সোস্যাল মিডিয়া মার্কেটিং
২/ এস.ই.ও
৩/ আর্টিকেল রাইটিং
৪/ ব্লগ তৈরী
৫/ ওয়েবসাইট তৈরী
৬/ এস.এম.এম
৭/ ইমেইল মার্কেটিং
৮/ ভিডিও মার্কেটিং
৯/ টেলি মার্কেটিং।
এসব কিছুর মধ্যে যেকোন একটা নিয়ে আপনি শুরু করতে পারেন।
সোস্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করে আপনি আপনার নিজের যোগ্যতা সকলের কাছে প্রমান করতে পারবেন। সব সেক্টর এই মার্কেটিং একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
৪/ এ্যাপ ডেভপলারঃ
মোবাইল ফোনের চাহিদা যেমন বাড়ছে ঠিক তেমনি বাড়ছে মোবাইল এ্যাপলিকেশন এর চাহিদা। তরুণ রা ঝুকছে বিভিন্ন গেমসের দিকে। আর এই এই সুযোগটাই কাজে লাগিয়ে এ্যাপস ডেভলপার রা বাজারে নিয়ে আসছে নানারকম গেমিং, স্বাস্থ্য সেবা সহ বিভিন্ন ক্যাটাগরির এ্যাপস। তাই এ্যাপ ডেভলপ ও হতে পারে আপনার ক্যারিয়ারের অবিচ্ছেদ্য অংশ। এখানে রয়েছে প্রচুর সম্ভাবনা।
এ্যাপ ডেভলপার হওয়ার ১০ টি সুবিধাঃ
১/ প্রফেশনাল প্লাটফর্ম এ কাজ করার সুযোগ
২/ একটি টিম হয়ে কাজ করলে ভাল রেজাল্ট আনা সম্ভব
৩/ কোর বিজনেস এর দিকে ফোকাস দেয়া সম্ভব।
৪/ নতুন নতুন আইডিয়া নিয়ে কাজ করার সুযোগ
৫/ একটি এ্যাপ ডেভলপারের এর মাসিক আয় $9700 ডলার ( এপ্রোক্সমেটলি)
আজ এই পর্যন্তই। নতুন নতুন টেক সম্পর্কিত নিউজ পেতে ডিজিটাল ক্রিয়েটর এর সাথেই থাকুন।
আপনার পোষ্টটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং তথ্যবহুল। ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবেন তা নোটখাতা ওয়েবসাইটে দেখে নিন। ধন্যবাদ।