কীভাবে Fiverr গিগ র্যাঙ্ক করবেন? How to rank Fiverr gig?
Fiverr একটি জনপ্রিয় অনলাইন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস, আপনি যদি ফাইভারে কাজ করতে চান তবে আপনাকে কাজ পাবার জন্য বিড করতে হবে না, আর এই বৈশিষ্টটির কারনে ফাইভার দিন দিন ফ্রিল্যান্সারদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। তবে ফাইভারে কাজ পেতে হলে প্রথমেই আপনাকে সুন্দর ভাবে আপনার সার্ভিসের গিগ তৈরি করতে হবে এবং তার পরে সেই গিগকে র্যাঙ্ক করতে পারলেই আপনি কাজ পেতে থাকবেন।
বর্তমানে আমাদের দেশের বেশিরভাগ ফ্রিল্যান্সার Fiverr দিয়ে তাদের ফ্রিল্যান্সিং যাত্রা শুরু করেন। তবে ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে যদি আপনার ভালো ধারনা না থাকে তবে এই পোষ্টটি প্রথমে পড়ে নিন তাহলে ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে আপনার একটি ভালো ধারনা হয়ে যাবে, পোষ্টটি পড়তে ক্লিক করুন কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করবো – ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার সম্পূর্ণ গাইড । ফাইভারে সকল প্রকার কাজ পাওয়া যায় বলে এখন বেশিরভাগ বায়ার ফাইভার থেকে সার্ভিস ক্রয় করে থাকেন। তবে মজার বিষয় হলো ফাইভারে প্রথম দিকে মাত্র ৫ ডলারের কাজ পাওয়া গেলেও এখন হাজার ডলারের কাজ পাওয়া যায়। ৫ ডলারের কাজ পাওয়া যেত বলেই ফাইভারের নাম ফাইভ-আর রাখা হয়েছিল।
Fiverr মার্কেটপ্লেসটি হচ্ছে দোকানের মতো, এখানে আপনি আপনার সার্ভিসের মূল্য নির্ধারণ করে গিগ আকারে ক্রেতার কাছে আপনার সার্ভিসকে উপস্থাপন করবেন, ক্রেতা আপনার গিগ থেকে সার্ভিস সম্পর্কে ধারনা নিবে এবং যদি আপনার সার্ভিস ক্রেতার কাছে ভালো এবং সাশ্রয়ী মনে হয় তবে তা ক্রয়ের জন্য আপনাকে ক্রেতা নিজেই অফার করবে।
আমি নিজেও মনে করি নতুন ফ্রিল্যান্সারের জন্য Fiverr একটি অত্যান্ত চমৎকার মার্কেটপ্লেস। ফাইভারে কাজ পাবার জন্য ফ্রিল্যান্সারদেরকে এপ্লাই বা বিড করতে হয় না তাই ফ্রিল্যান্সাররা সহজেই ধৈর্য হারিয়ে ফেলে না, চিন্তার কিছু নেই আমি কিছু সহজ টিপস দিবো এগুলো যদি আপনি ভালভাবে এপ্লাই করতে পারেন তবে আপনি দ্রুত ফাইভারে কাজ পেতে পারেন। তবে চলুন তার আগে আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক। Online Income Site List
Fiverr কি?
Fiverr হচ্ছে একটি অনলাইন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেকপ্লেস, ফাইবার প্রতিষ্ঠিত হয় দুই হাজার দশ সালে, প্রথম দিকে ফাইবারে মাত্র ৫-ডলারের কাজ পাওয়া যেত আর তাই ফাইভারের নামকরন করা হয়েছিল ফাইভ-আর। অন্যান্য ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস থেকে ফাইবারের সিস্টেমটা একটু ভিন্ন, ফাইভারে কাজ পাবার জন্য বায়ারের কাছে এপ্লাই বা বিড করতে হয় না।
গিগ কি?
গিগ হচ্ছে পণ্য বা সেবার একটি অন্য নাম। Fiverr আপনাকে আপনার সার্ভিসটি ক্রেতার কাছে গিগ এর মাধ্যমে উপস্থাপন করতে হবে, আপনি আপনার সার্ভিসের যাবতীয় তথ্য গিগের মাধ্যমে ক্রেতার কাছে উপস্থাপন করতে পারবেন। নিম্নের চিত্রে দেখুন কিভাবে গিগের মাধ্যমে আপনি আপনার সার্ভিসের বিস্থারিত বর্ণনা এবং মূল্য নির্ধারণ করতে পারবেন।
How to rank Fiverr Gig
চিত্রের দিকে লক্ষ্য করে দেখুন এই সেলার তার গিগের মাধ্যমে তার সার্ভিসের তিনটি ধাপে তার সার্ভিস বিক্রি করছে, প্রথমে সে বেসিক সার্ভিস প্রদান করছে, তার পর স্ট্যান্ডার্ড এবং প্রিমিয়াম। উক্ত গিগে সে তার প্রিমিয়াম সার্ভিসে দুই দিনের মধ্যে লগো ডিজাই করে দিবে এবং তার তার মূল্য সে নির্ধারণ করেছে ১২৫ – ডলার। এর আর কিছু নিছে লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন কন্টাক্ট সেলার নামে একটি বাটন আছে উক্ত বাটনে ক্লিক করে ক্রতা বা বায়ার সেই সেইলার বা বিক্রেতার সাথে যোগাযোগ করে অর্ডার করতে পারবে। এবং এটাই হচ্ছে গিগ এর কার্যকারিতা, আবার একবার বলে নেই গিগ হচ্ছে ফ্রিল্যান্সারের সার্ভিস বিক্রেতার কাছে প্রদর্শনের একটি মাধ্যম।
কিভাবে Fiverr গিগ র্যাঙ্ক করাবেন তা জানার আগে এটা জানা জরুরী যে কেন আপনাকে আপনার ফাইভার গিগগুলোকে র্যাঙ্ক করাতে হবেঃ
কেন Fiverr গিগ র্যাঙ্ক করানো প্রয়োজন?
Fiverr যেহেতু কাজের জন্য বিড করার সিষ্টেম নেই তাই সহজে ক্রেতার নিকট গিগকে প্রদর্শনের জন্য গিগ র্যাঙ্ক করানোর প্রয়োজন হয়।
Fiverr সিস্টেম অনুযায়ী ক্রেতা তার প্রয়োজন অনুসারে সার্ভিস খুঁজে বের করেন এখানে ফ্রিল্যান্সার ক্রেতার সাথে প্রথমেই যোগাযোগ করতে পারে না।
মনে করুন আপনি একজন লগো ডিজাইনার, আপনি Fiverr একটি একাউন্ট খোলেছেন এবং আপনার সার্ভিসের বিস্থারিত বর্ণনা এবং মূল্য নির্ধারণ করে একটি গিগ তৈরি করলেন, এখন যদি কোন ক্রেতা আপনার গিগ দেখে আপনার সার্ভিস ক্রয় করতে চান তবে তিনি আপনার সাথে যোগাযোগ করবেন এবং আপনি আপনার সার্ভিস বিক্রি করতে পারবেন।
কিন্তু ফাইভারে আপনি ছাড়াও আরো অনেক লগো ডিজাইনার আছে এবং তারা সবাই আপনার মতোই সার্ভিস প্রদান করে, এক্ষেত্রে যদি ক্রেতা আপনার গিগকেই খুঁজে না পায় তাহলে আপনি কিভাবে আপনার সার্ভিস বিক্রি করবেন?
সহজ কথায় ফাইভারে সার্চ রিজাল্টের শীর্ষে গিগকে নিয়ে আসার জন্য গিগের র্যাঙ্ক করানোর প্রয়োজন হয়ে থাকে।
কীভাবে ফাইভার গিগ র্যাঙ্ক করবেন?
সহজ কিছু কৌশল অবলম্ভন করার মাধ্যমে ফাইভারের গিগ র্যাঙ্ক করানো সম্ভব, তবে এই কাজটি করার জন্য আপনাকে কয়েক ধাপে কাজটি করতে হবে। নিম্নে ধাপে ধাপে কীভাবে ফাইভার গিগ র্যাঙ্ক করবেন তা বর্ণনা করা হলোঃ
১. ফাইভার গিগের এসইওঃ
ফাইভার গিগের জন্য এসইও করা অত্যান্ত জরুরী একটি বিষয়। আপনি যদি আপনার গিগের ভালোভাবে এসইও করতে পারেন তবে আপনার গিগ সার্চ রেজাল্টের শীর্ষে আসার সম্ভাবনা অনেক বেশি হবে। এসইও করবার জন্য আপনি প্রথমে কিওয়ার্ড রিসার্চ করতে পারেন এবং টার্গেটেড কিওয়ার্ডগুলো দিয়ে ভালোভাবে অপ্টিমাইজ করার মাধ্যমে আপনার গিগের এসইও এর কাজ সম্পন্ন করতে পারেন।
২. এসইও ফ্রেন্ডলি গিগ টাইটেলঃ
এসইও করবার সময় সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব যে বিষয়টির উপর দিতে হয় তা হচ্ছে টাইটেল। আপনার গিগের টাইটেলের মধ্যে অবশ্যই আপনাকে কিওয়ার্ড যুক্ত করতে হবে। কারন সার্চার যখন কোন কিওয়ার্ড দিয়ে সার্চ করে তখন সবার প্রথমে রোবট টাইটেলকে রিড করে রেজাল্ট প্রদর্শন করে। তাহলে বুঝতেই পারছেন এসইও ফ্রেন্ডলি টাইটেল কতোটা কার্যকরী।
৩. গিগের আকর্ষণীয় ছবিঃ
গিগের জন্য কপিরাইট মুক্ত আকর্ষণীয় ছবি ব্যাবহারের মাধ্যমে ক্রেতার দৃষ্টি আকর্ষণ করা সম্ভব। যে কোন ক্রেতা টাইটেল পড়ার পরেই গিগের ছবির দেখে থাকেন যদি টাইটেল এবং ছবি ক্রেতাকে আকৃষ্ট করতে পারে তবেই ক্রেতা গিগ এর সম্পূর্ণ বিষয়বস্তু পড়বার জন্য ক্লিক করেন। জেনে রাখা ভালো সকল ক্রেতাই যে গিগ দেখেই সার্ভিস ক্রয় করবেন তা ভাবা ভূল, তবে ছবি এবং টাইটেল দেখে যদি ক্রেতা ডেসক্রিপশন পড়ার জন্য গিগে ক্লিক করেন তবে গিগের ইম্প্রেশন এবং ক্লিক বাড়বে এবং এটি পরবর্তী সার্চারের জন্য সার্চ রেজাল্টের শীর্ষে নিয়ে আসতে সহায়তা করবে। তাই গিগে আকর্ষণীয় সিম্পল এবং হাই রেজুলেটেড ছবি যুক্ত করবার চেষ্টা করুন এবং যদি সম্ভব হয় তবে একের অধিক ছবি ব্যাবহার করুন।
৪. প্রোফাইলঃ
মনে করুন আপনি কোন প্রতিষ্টানে চাকুরী করতে চান এবং সেই প্রতিষ্টানের নিয়োগকর্তা আপনার সম্পর্কে কিছুই জানেন না, তাহলে আপনাকে প্রথমেই যে কাজটি করতে হবে তা হচ্ছে আপনার আকর্ষণীয় একটি সিভি তৈরি করতে হবে এবং সেই সিভিতে আপনার যোগ্যতা এবং দক্ষতা কি আছে না আছে তা লিপিবদ্ধ করতে হবে। ঠিক তেমনি ফাইভারে কাজ পেতে হলে আপনাকে আপনার সুন্দরভাবে প্রোফাইলটি সাজাতে হবে।
বায়ার গিগ দেখেই আপনাকে কাজ দিবে তার কোন গ্যারান্টি নেই তাই যথা সম্ভব আপনার নিজের প্রোফাইলটি সুন্দরভাবে সাজাতে হবে। যদি আপনার প্রোফাইল দেখে বায়ার বুঝতে পারে আপনি একজন প্রফেশনাল তাহলেই বায়ার আপনাকে কাজ দিবে।
৫. পোর্টফোলিও ওয়েবসাইটঃ
আপনি যদি নিজেকে দক্ষ এবং ভালো মানের ফিল্যান্সার হিসেবে প্রতিষ্টিত করতে চান তবে অবশ্যই আপনার একটি পোর্টফোলিও ওয়েবসাইট থাকা জরুরী। কারন একটি ওয়েব সাইট থাকলে আপনি বায়ারের কাছে নিজেকে আরো বেশি প্রফেশনাল ভাবে প্রদর্শন করতে পারবেন, ওয়েবসাইটে আপনি আপনার কাজ সম্পর্কে বিস্থারিত তুলে ধরতে পারবেন, আপনি কি কি কাজ আগে করেছেন আপনার কাজ এর কিছু সিম্পল এগুলো আপনি ওয়েবসাইটে প্রদর্শন করতে পারেন।
দেখা যায় নতুন ফ্রিল্যান্সারদেরকে বায়ার কাজ দিতে চায় না তবে এই ক্ষেত্রে আপনার যদি একটি সুন্দর এবং প্রফেশনাল মানের ওয়েবসাইট থাকে এবং ওয়েবসাইটে আপনি আপনার পোর্টফোলিওটি সুন্দরভাবে সাজাতে পারেন তবে শুরুর দিক থেকেই কাজ পাবার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে।
ওয়ার্ডপ্রেস ব্যাবহার করে আপনি কোন কোডিং নলেজ ছাড়াই ওয়েবসাইট তৈরি করে নিতে পারবেন, বলতে গেলে ওয়ার্ডপ্রেসে ওয়েবসাইট তৈরি করা একেবারে পানির মতো সহজ। অনেক ফ্রি থিম এবং প্লাগিন আছে যেগুলো শুধু ক্লিক করার মাধ্যমে আপনি প্রফেশনাল ওয়েবসাইট তৈরি করে নিতে পারবেন।
ভয়ের কিছু নেই ওয়েবসাইট তৈরি শিখার জন্য কোথাও ৬-মাসের ট্রেনিং নিতে হবে না। ইউটিউবে অনেক ভিডিও আছে সেগুলো দেখে দেখেই আপনি নিজে নিজেই ওয়েব সাইট তৈরি করতে পারবেন।
ওয়েব সাইট তৈরি করবার জন্য আপনার অবশ্যই ডোমেইন এবং হোষ্টিং প্রয়োজন হবে তবে আপনার জন্য সুখবর হচ্ছে আপনি যদি এই লিংকে ক্লিক করে হোষ্টিং প্লান ক্রয় করেন তবে আপনি এক (১)বছরের জন্য ফ্রি ডোমেইন, এসএসএল সার্টিফিকেট এবং আপটু ৬৩% ডিস্কাউন্ট পেয়ে যাবেন, তার মানে আপনার অনেক টাকা সেভ হয়ে যাচ্ছে।
Get UpTo 63% Bluehost Hosting Plan Discount
Get UpTo 63% Bluehost Hosting Plan Discount
Get UpTo 63% Bluehost Hosting Plan Discount
কিভাবে bluehost থেকে হোষ্টিং প্লান ক্রয় করবেন তা জানতে এই লিংকে ক্লিক করুন, এখানে ধাপে ধাপে সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া দেয়া আছে।
৬. গিগ ডেসক্রিপশনঃ
গিগ ডেসক্রিপশন একটি অনেক বড় ফেক্টর, আপনি যদি গিগ ডেসক্রিপশনে আপনার সার্ভিস সম্পর্কে ভালোভাবে বিস্তারিত সবকিছু তুলে না ধরতে পারেন তবে ক্লাইন্ট হারোনোর সম্ভাবনা বেশি হবে।
তাই গিগ তৈরি করবার সময় যথা সাধ্য সার্ভিস সম্পর্কে বিস্থারিত এবং সহজ ভাবে সবকিছু উপস্থাপন করবার চেষ্টা করুন। ডেসক্রিপশনে কোন রকম কঠিন শব্দ ব্যাবহার করা থেকে বিরত থাকুন।
৭. ট্যাগঃ
ট্যাগ ফাভারের গিগ র্যাঙ্ক করার পেছনে অনেক বড় ভূমিকা পালন করে। ফাইভার গিগে ট্যাগ মূলত এসইও এর কাজ করে থাকে। সার্চারের নিকট সার্চ রেজাল্ট প্রদর্শনের জন্য রোবট ট্যাগকে প্রাধান্য দিয়ে থাকে। তাই ট্যাগ ব্যাবহারের সময় ট্যাগের মধ্যে অবশ্যই আপনার টার্গেটেড কিওয়ার্ড যুক্ত করুন।
৮. সোশ্যাল শেয়ারঃ
সোশ্যাল শেয়ারের মাধ্যমে গিগের রেংক বৃদ্ধি করা সম্ভব। তাই সকল সোস্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মে আপনার গিগের লিংক শেয়ার করুন। এটা থেকে আপনি কিছু নতুন ক্লায়েন্ট পেতে পারেন অথবা আপনার গিগের ইম্প্রেশন ও ক্লিক বৃদ্ধি পাবে।
উপসংহারঃ
উক্ত আর্টিকেলে ফাইভার গিগ র্যাঙ্ক করানোর সকল কৌশল তুলে ধরা হয়েছে, আমি আশা করি আপনি এই আর্টিকেল থেকে কিছুটা হলে বুঝতে পেরেছেন কিভাবে ফাইভার গিগ এর র্যাঙ্ক বাড়ানো সম্ভব, এর পরেও যদি আপনার কোন রকম প্রশ্ন থাকে কমেন্ট বক্সে আমাকে জানান আমি শীগ্রই আপনার প্রশ্নের উত্তর দিতে চেষ্টা করবো।
আর আপনি যদি এসইও সিখতে চান তবে এই লিংকে ক্লিক করে আমার আর্টিকেলগুলো পড়তে পারেন।
ধন্যবাদ।
Comments (No)