ফ্রিল্যান্সিংকে পেশা হিসেবে নিয়ে অনেক তরুণই তাদের ভাগ্য বদলেছেন। কিন্তু এই পেশার সামাজিক স্বীকৃতি নেই এখনো। সে রকম এক তরুণের জীবনের গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে রাহিতুল ইসলামের উপন্যাস আউটসোর্সিং ও ভালবাসার গল্প অবলম্বনে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র। উপন্যাসের নামেই চলচ্চিত্রটির নাম রাখা হয়েছে। এবং চিত্রনাট্যও করেছেন লেখক নিজেই।
আউটসোর্সিং ও ভালবাসার গল্প স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রটি তৈরি করেছেন মাবরুর রশীদ। তিনি বলেন, ফ্রিল্যান্সিং পেশার এই গল্পটি দারুণ। এটি তরুণ তরুণীদের স্বাবলম্বী হওয়ার পিছনে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করবে। এই ধরনের গল্প নিয়ে সাধারণত আমাদের এখানে তেমন কোনো কাজ হয় না। কাজটি করতে গিয়ে একটা নতুন অভিজ্ঞতা হলো। আশা করি চলচ্চিত্রটি সবার ভালো লাগবে।
আউটসোর্সিং ও ভালবাসার গল্প উপন্যাসটি কোনো কাল্পনিক গল্প নয়। এটি মাহাবুব নামের একজন ফ্রিল্যান্সারের জীবন থেকে নেয়া। ভালবাসার কাজ আর ভালবাসার মানুষ নিয়ে এক অদ্ভুত টানাপোড়েনের গল্প। গল্পটিতে মাহবুব এক স্বাধীনচেতা যুবক। নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারে বেড়ে ওঠা ছেলেটি শুধুমাত্র নিজের পরিশ্রম ও বুদ্ধি মত্তার জোরে সফলতা অর্জন করতে চাই। সবাই যখন চাকরীর পিছনে ছুটছে, মাহবুব তখন ফ্রিল্যান্সিংকে পেশা হিসেবে বেছে নেন।
সমাজ, এমনকি কাছের মানুষের সাথে তার দূরত্ব তৈরি হতে থাকে। প্রেমিকা রাইসার সাথে টানাপোড়েন শুরু হয়। তবু নিজের কাজের প্রতি সম্মান ও একাগ্রতা নিয়ে সে এগিয়ে যায়। মাহবুব কি পারবে এইসব প্রতিকূলতা জয় করতে। এমনই এক গল্প নিয়ে রাহিতুল ইসলামের উপন্যাস অবলম্বনে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র আউটসোর্সিং ও ভালবাসার গল্প।
রাহিতুল ইসলামের আউটসোর্সিং ও ভালবাসার গল্প উপন্যাসের নায়ক ও নায়িকার শেষ পরিণতি কি হবে? নায়িকার পরিবার কী একজন ফ্রিল্যান্সারের হাতে মেয়েকে তুলে দেবে? নাকি সমাজের চাপে পেশা বদল করতে হবে মাহাবুবকে? অথবা সব ছাপিয়ে জয় হবে প্রেমের, ভালবাসার…?
১৩ অক্টোবর ঢাকায় আউটসোর্সিং ও ভালবাসার গল্প স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রটির শুটিং হয়েছে। গল্পে মাহবুব চরিত্রে অভিনয় করেছেন আফরান নিশো আর রাইসা চরিত্রে তানজিন তিশা। তিশা বলেন, কাজটি করে আমার খুবই ভাল লেগেছে। মাত্র দুটি দৃশ্যেই ছবির গল্প শেষ। কিন্তু অনেক তথ্য নির্ভর।
আউটসোর্সিং ও ভালবাসার গল্প চলচ্চিত্রটি গতকাল ধ্রুব টিভি নামের একটি ইউটিউব চ্যানেলে প্রচারিত হয়েছে। ধ্রুব টিভি ইউটিউব চ্যানেলের সত্বাধিকারি ধ্রুব গুহ বলেন, এই চলচ্চিত্রটি আমাদের দেশের তরুণদেরকে স্বাবলম্বী হওয়ার পথ দেখাবে। যারা বাংলাদেশকে বিশ্বের দুয়ারে তুলে ধরছে তাদের নিয়ে এমন গল্প আসলেই প্রশংসিত। আউটসোর্সিং ও ফ্রিল্যান্সিং পেশার এই গল্পটি আমার কাছে দারুণ লেগেছে। আশা করি আপনাদের কাছেও ভাল লাগবে।
আউটসোর্সিং ও ভালবাসার গল্প উপন্যাসের লেখক রাহিতুল ইসলাম বলেন, ফ্রিল্যান্সিংকে পেশা হিসেবে নিয়ে অনেক তরুণই নিজের ভাগ্য বদলেছেন। কিন্তু এই পেশার সামাজিক স্বীকৃতি এখনও নেই। অথচ সরকারি কিংবা বেসরকারি যেকোনো চাকরির চেয়ে আউটসোর্সিং পেশা হিসেবে অনেক ভালো। নিজের অনেকটা স্বাধীনতা রয়েছে। আউটসোর্সিং ও ভালবাসার গল্প চলচ্চিত্রটি দেখতে এই লিংকে ক্লিক করুন।
