আমরা আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে শিখব অনলাইন থেকে টাকা আয় করার সেরা উপায় ও নিয়ম গুলো সম্পর্কে। (Make Money from Online). বর্তমানে অনলাইনে কাজ করে টাকা ইনকাম করার জন্য ইন্টারনেটে প্রচুর অ্যাপ বা ওয়েবসাইট পাওয়া যায়।
কিন্ত, মনে রাখবেন এই ইনকাম করার অ্যাপ বা ওয়েবসাইট গুলোর মধ্যে সবাই কিন্ত আপনাকে টাকা দিবে না। তবে, আবার এমন অনেক অ্যাপস বা ওয়েবসাইট রয়েছে যে গুলো ব্যবহার করে অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করা সম্ভব।
অনলাইন থেকে টাকা আয় করার জন্য আমি আজকে যে উপায় বা নিয়ম গুলো বলবো সেগুলো আপনারা যেকেউ ব্যবহার করে ইনকাম করতে পারবেন।
আপনারা যদি অবসর সময়ে অনলাইনে কাজ করে পার্ট-টাইম টাকা আয় করতে চান, তাহালে নিচের দেওয়া উপায় গুলো অবশ্যই নজর দিন। ( Make Money from Online )
কিভাবে অনলাইন থেকে টাকা আয় করবেন ?
১. ব্লগিং (Blogging)
২. ইউটিউব চ্যানেল থেকে আয়
৩. অনলাইন ইনকাম অ্যাপ
Mobile apps থেকে ইনকাম করার জন্য নিচের অ্যাপপস গুলো ব্যবহার করতে পারেনঃ
৪. ক্যাপচা টাইপিং করে আয়
৫. আর্টিকেল লিখে টাকা আয়
৬. ySense ওয়েবসাইট থেকে আয়
৭. Fiverr ওয়েবসাইটে কাজ করে আয়
আজকে আমরা কি শিখলাম
মোবাইল দিয়ে টাকা আয় কিভাবে করবেন? (Earn Money from Smartphone)
মোবাইলে কাজ করে টাকা ইনকাম করার সেরা ৭ টি উপায় আমি আপনাদের বলবো। তবে, এমন ভাববেন না যে কোনো কাজ না করে আপনি টাকা আয় করতে পারবেন।
এর জন্য আপনাকে দিনে ২ থেকে ৩ ঘন্টা সময় দিয়ে কাজ করতে হবে ইনকাম করার ক্ষেএে। আর মোবাইলে আয় করার প্রতিটা উপায় বা মাধ্যম এখানে আলদা আলদা রকমের।
তাই কিছু উপায় ব্যবহার করে সামান্য ইনকাম করতে পারবেন, আবার কিছু উপায় ব্যবহার করে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তাই, আপনি কত সময় কাজ করবেন, কোন উপায় ব্যবহার করবেন সেটা সম্পর্ন আপনার উপর নির্ভর করবে।
মোবাইল দিয়ে অনলাইন থেকে টাকা আয় করতে কি কি লাগবে?
- ভালো মানের একটি স্মার্টফোন ।
- ইন্টারনেট কানেকশন।
- টাকা তোলার জন্য PayPal, Back account ইত্যাদি প্রয়োজন হবে।
কিভাবে মোবাইলে কাজ করে অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করবেন?
তাহালে চলুন নিচে থেকে জেনে আসি কিভাবে ঘরে বসে মোবাইলে কাজ করে টাকা ইনকাম করা যাবে।
১. ব্লগিং (Blogging)
মোবাইল দিয়ে ইনকাম করার সব থেকে জনপ্রিয় এবং লাভজনক উপায় হলো ব্লগিং (Blogging). বর্তমানে ব্লগিং করে লক্ষ লক্ষ মানুষরা লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করছে প্রতিমাসে। আমি নিজে একজন ব্লগিং করছি।
আপনি যদি ইন্টানেটে ব্লগিং সম্পর্কে সার্চ করেন তাহালে বুঝতে পারবেন ব্লগিং কতটা জনপ্রিয়। এখন আপনি যদি মোবাইলে ব্লগিং করতে চান তাহালে প্রথমে একটি ব্লগ সাইট তৈরি করতে হবে। এক্ষেএে আপনি নিজে মোবাইল থেকে সম্পর্ন ফ্রিতে একটি ব্লগিং ব্লগ তৈরি করতে পারবেন।
ব্লগ তৈরি করার পরে আপনি সেখানে নিজের দক্ষতা হিসাবে বিভিন্ন বিষয়ে আর্টিকেল লিখে পাবলিশ করতে হবে। এভাবে নিয়মিত ভাবে ব্লগে আর্টিকেল পাবলিশ করতে থাকলে ধীরে ধীরে ব্লগে প্রচুর ভিজিটর্স বা ট্রাফিক আসতে থাকবে।
কিভাবে ব্লগিং (blogging) শুরু করলে সফল হবেন?
আপনার ওয়েব সাইটে যখন ব্লগে ভিজিটর্স বা ট্রাফিক আসতে থাকবে, তখন থেকে আপনি বিভিন্ন মাধ্যমে টাকা আয় করতে পারবেন। যেমন-
- গুগল এডসেন্স
- অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
- পেইড রিভিউ
আপনি এই আর্টিকেলটি পড়ার সময় হয়ত বিভিন্ন বিজ্ঞাপন দেখতে পেয়েছেন। যা Google AdSense মাধ্যমে দেখানো হয়ে থাকে, আর আমি মূলত এই Google AdSense মাধ্যমেই টাকা আয় করে থাকি।
আপনারা যদি সঠিক ভাবে ব্লগিং করতে পারেন তাহালে প্রতি মাসে ৩০,০০০ টাকা থেকে ৪০,০০০ টাকার বেশি আয় করতে পারবেন। তবে, এর জন্য প্রথমে আপনাকে কয়েক মাস ধৈর্য ধরে কাজ করতে হবে।
২. ইউটিউব চ্যানেল থেকে টাকা আয়
ব্লগিং এর মতো ঘরে বসে ইউটিউব থেকে আয় করা অনেক সহজ ও লাভজনক। কারণ, বর্তমানে স্কুল কলেজের বাচ্চা থেকে শুরু করে বয়স্ক মানুষরা পর্যন্ত এই মাধ্যমে টাকা ইনকাম করছে।
এর জন্য আপনাকে একটি ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করতে হবে এবং সেখানে নিয়মিত ভাবে ভালো ও আকর্ষনীয় ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতে হবে। আপনি যে বিষয়ে ভালো চানেন সেই বিষয়ে ভিডিও বানাতে পারেন।
নিয়মিত ভিডিও আপলোড করার ফলে ধীরে ধীরে আপনার চ্যানেলে মানুষরা ভিডিও গুলো দেখতে থাকবে এবং আপনার ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রইব করবে। যখন আপনার চ্যানেলে ১০০০ সাবস্ক্রইবার এবং ৪০০০ ঘন্টা ওয়ার্চ টাইম হয়ে যাবে তখন আপনি monetization এর জন্য apply করতে পারবেন।
- ইউটিউব চ্যানেল থেকে আয় করার উপায় (সেরা গাইড – ২০২১)
চ্যানেল মনিটাইজেশন করার পরে আপনার বানানো ভিডিও গুলোতে বিভিন্ন কোম্পনির বিজ্ঞাপন দেখানো হবে। যার ফলে আপনি টাকা আয় করতে পারবেন।
আপনি যদি নিজের চ্যানেলটিকে জনপ্রিয় করে তুলতে পারেন তাহালে বিভিন্ন মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। যেমন-
- প্রোডাক্ট রিভিউ
- অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
- পেইড প্ররোমশন
- পেইড রিভিউ ইত্যাদি
মনে রাখবেন, আপনি যখন নিচের ইউটিউব চ্যানেলের জন্য ভিডিও বানাবেন তখন কোথাও থেকে কোনো ভিডিও, ইমেজ এবং অডিও ক্লিপ কপি করবেন না।
৩. অনলাইন ইনকাম অ্যাপ
আপনারা হয়তো জানেন মোবাইলে টাকা ইনকাম করার অনেক গুলো অ্যাপ রয়েছে। আপনি যদি Google Play store গিয়ে online income apps লিখে সার্চ দেন তাহালে অনেক apps দেখতে পাবেন।
তবে, এই ধরনের অ্যাপস গুলো থেকে আপনি তেমন ভালো ইনকাম করতে পারবেন না। কারণ, এই অ্যাপের পিছনে আপনি যতটা সময় নষ্ট করবেন সেই সময় হিসাবে তারা আপনাকে টাকা দিবে না।
- টাকা ইনকাম করার অ্যাপ
তবে, আপনার হাতে যদি প্রচুর সময় থাকে তাহালে ইনকাম করার সেরা অ্যাপস গুলো ব্যবহার করার পরামর্শ দিবো। এই apps গুলোতে বিভিন্ন ধরনের কাজ করে আপনি আয় করতে পারবেন। যেমন-
- ভিডিও দেখা
- গেম খেলা
- সার্ভে কাজ করা
- অ্যাপস ডাউনলোড করা
- এড ক্লিক করে
Mobile apps থেকে ইনকাম করার জন্য নিচের অ্যাপপস গুলো ব্যবহার করতে পারেনঃ
- Pocket money app
- Dream11
- Google pay
- RozDhan
- Google opinion rewards
- Zagl
এই অ্যাপস গুলো ছাড়াও আপনি Google play store এ বিভিন্ন ধরনের টাকা ইনকাম করার অ্যাপস পেয়ে যাবেন। সেগুলোর মাধ্যমেও আপনারা সাধারণ কিছু কাজ করে টাকা আয় করতে পারবেন।
৪. ক্যাপচা টাইপিং করে অনলাইন থেকে টাকা আয়
ইন্টারনেটে আপনি অনেক ক্যাপচা টাইপিং করা ওয়েবনাইট পাবেন। যেখানে আপনি captcha typing করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। মোবাইলে ফ্রি সময় কাজ করে ইনকাম করার ক্ষেএে ক্যাপচা টাইপিং অনেক লাভজনক।
এই কাজটি নিজের মোবাইল দিয়ে অনেক সহজে করতে পারবেন। এখানে আপনাকে প্রতিদিন ২ থেকে ২ ঘন্টা সময় দিয়ে কাজ করলে মাসে ৫০০০ থেকে ৮০০০ টাকা আয় করতে পারবেন।
- ক্যাপচা এন্ট্রি করে আয় করুন
এখানে ১০০০ ক্যাপচা সঠিক ভাবে সম্পর্ন করার বিপরীতে আপনাকে $১ ডলার থেকে $৩ ডলার পর্যন্ত দেওয়া হবে। ইন্টারনেটে সার্চ করলে আপনি প্রচুর ক্যাপচা ওয়েবসাইট পেয়ে যাবেন।
৫. আর্টিকেল লিখে টাকা আয়
আপনি যদি লেখালেখি করতে ভালোবাসেন তাহালে অনলাইনে আর্টিকেল লিখে টাকা আয় করতে পারবেন। বর্তমানে হাজার হাজার ব্লগ, অনলাইন নিউজ পোর্টাল, সোশ্যাল মিডিয়া পেজ রয়েছে যেখানে আর্টিকেল লেখার জন্য রাইটার প্রয়োজন।
আপনি নিজের মোবাইল থেকে Google docs ব্যবহার করে মোবাইলে আর্টিকেল লিখতে পারবেন। লেখালেখি কাজ খোঁজার জন্য ব্লগিং এর সাথে জড়িত ফেসবুক পেজ গুলোতে গিয়ে কাজ খুঁজতে হবে।
- লেখালেখি করে আয় করার ওয়েবসাইট পেমেন্ট বিকাশে
এছাড়া ব্লগ বা ওয়েবসাইটের মালিকগণের সাথে যোগাযোগ করার জন্য Contact page গিয়ে ইমেইল করে তাদের সাথে কাজ করতে পারেন। আপনার লেখার কোয়ালাটির যদি ভালো হয় তাহালে ১০০০ – ১৫০০ শব্দের আর্টিকেল লেখার জন্য আপনাকে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত দেওয়া হবে।
৬. ySense ওয়েবসাইট থেকে আয়
আমি আগে এই ব্লগে বলেছি কিভাবে ySense ওয়েবসাইট থেকে আয় করতে হবে। আপনাদের পড়ার সুবিধার জন্য আমি নিচে আর্টিকেলটির লিংক দিয়ে দিবো, যাতে আপনারা সহজে পড়তে পারেন।
ySense মূলত একটি পেইড সার্ভে করে টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট। যেখানে প্রতিটি সার্ভে গুলো সম্পর্ন করার বিপরীতে বেশ ভালো পরিমানে টাকা দিয়ে থাকে।
- ySense দ্বারা কিভাবে অনলাইনে টাকা ইনকাম করা যায়
এখানে প্রতিটি paid survey সম্পর্ন করার বিপরীতে আপনাকে $0.50 থেকে $5 পর্যন্ত টাকা দিয়ে থাকে। আপনি সম্পর্ন ফ্রিতে একটি একাউন্ট তৈরি করে মোবাইলে কাজ করতে পারবেন। আপনাকে প্রতিদিন ১ থেকে ২ ঘন্টা কাজ করে ইনকাম করতে পারবেন।
ySense একটি অনেক পুরোনো ওয়েবসাইট যার কারণে অনেক মানুষরা বিশ্বাসের সাথে এখানে কাজ করে। তাছাড়া সার্ভে থেকে অন্য মানুষের refer করে valid singup করানোর জন্য আপনাকে টাকা দেওয়া হবে।
৭. Fiverr ওয়েবসাইটে কাজ করে আয়
অনেকে আমার কাছে প্রশ্ন করতে পারেন ভাই মোবাইল দিয়ে কিভাবে Fiverr ওয়েবসাইটে কাজ করে আয় করবো? কি আমি ঠিক বলছি তো?
- কিভাবে (Fiverr) ফাইভারে বেশি কাজ পাওয়া যায়?
যেহেতু আপনি মোবাইল দিয়ে কাজ করবেন, তাই কনটেন্ট রাইটিং এবং সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট এর সাথে জড়িত সকল কাজ গুলো মোবাইলে করতে পারবেন। তবে, প্রথমে আপনাকে Fiverr ওয়েবসাইটে গিয়ে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হব।।
সহজ এফিলিয়েটস ডট কম Sohojaffiliates.com
আর আপনি যদি একেবারে নতুন হন তাহলে আপনার জন্য ভাল হবে সহজ এফিলিয়েট। এখানে মাত্র ৫ টা ভিডিও টিউটোরিয়াল দেখেই কাজ করতে পারবেন। ৫০০ টাকা হলেই উইথড্র দিতে পারবেন। ১ থেকে ২ ঘন্টায় পেমেন্ট দিয়ে দেয়। সাইটের লিংক সহজ এফিলিয়েটস।
আশা করি সঠিক ভাবে কাজ করলে উপরোক্ত প্রক্রিয়াটি আপনার যথাযথ কাজে আসবে এবং খুব অল্প সময়ের মধ্যেই সফল হবেন ইনশা আল্লাহ। ধন্যবাদ…
Comments (No)