আপনাকে যদি বলি বর্তমানে ১ Bitcoin মুল্য প্রায় ৪২,৮৭,৬২২.৫০ বাংলাদেশী টাকারও বেশি এবং ৩৭,০২,০৯৭.৩২ ভারতীয় টাকার বেশি। কি বিশ্বাস হচ্ছে না তো! না হওয়ারই কথা বটে!
যদি বিশ্বাস না হয় bitcoin price সার্চ করে দেখুন বুঝতে পারবেন। এখন মানুষ অনেক জায়গায় invest করছে কিন্তু এই bitcoin invest করলে কত লাভ হতে পারে আপনি নিশ্চয় বুঝতে পারছেন
কারন এগুলো হচ্ছে ডিজিটাল মুদ্রা সুতরাং একবার যদি bitcoin buy করার website থেকে bitcoin buy করে রেখে দিতে পারেন পড়ে বিক্রি করলে বহুত দাম পাবেন।কিন্তু প্রথমে bitcoin এর পুরো ব্যাপারটা জেনে নিতে হবে
আজকে আমরা জেনে নেব বিটকয়েন বা bitcoin মানে কি, বিটকয়েন কি বাংলাদেশে বৈধ, বিটকয়েন ওয়েবসাইট কোনটি, Bitcoin ওয়ালেট কি (what is bitcoin wallet), bitcoin কিভাবে আয় করা যায়, বিটকয়েন কিভাবে কাজ করে, কিভাবে bitcoin account open করে এই সব কিছু নিয়ে বিস্তারিত
বিটকয়েন(bitcoin) কি ও উপার্জন
সূচিপত্র hide
1 বিটকয়েন বা bitcoin মানে কি
2 বিটকয়েন কিভাবে কাজ করে
3 বিটকয়েন কি বাংলাদেশে বৈধ ?
4 বিটকয়েন ওয়েবসাইট
5 bitcoin কিভাবে আয় করা যায় বা কিনব
5.1 Bitcoin Buying Website
5.1.1 UNOCOIN
5.1.2 ZEBPAY
6 কিভাবে bitcoin আয় বা ইনকাম করব
6.1 Method- 1
6.2 Method- 2
6.3 Method- 3
7 Bitcoin Advantages
8 Bitcoin Disadvantages
9 বিটকয়েন ওয়ালেট কি (what is bitcoin wallet)
10 কিভাবে bitcoin wallet account খুলবেন
11 কিভাবে Coinbase একাউন্ট খুলবেন
12 Highlights
12.1 বিটকয়েন কিভাবে ইনকাম করবো ?
12.2 বিটকয়েন কি বাংলাদেশে বৈধ ?
12.3 বিটকয়েন কিভাবে কাজ করে ?
12.4 বিটকয়েন কিভাবে কিনবো ?
12.5 বিটকয়েন কী ?
12.6 বিটকয়েন ওয়ালেট কি ?
12.7 bitcoin মানে কি
12.8 বিটকয়েন এর ইতিহাস ?
বিটকয়েন বা bitcoin মানে কি
বিটকয়েন হল একটি ভার্চুয়াল মুদ্রা। যেমন বাকি মুদ্রা গুলি- রুপি, ডলার ইত্যাদি হয়ে থাকে ঠিক সেরকমই বিটকয়েন আসলে ডিজিটাল মুদ্রা। তবে বাকি মুদ্রাগুলির সাথে এর পার্থক্য হল- বিটকয়েনকে আমরা দেখতে এবং টাচ করতে পারব না। অর্থাৎ এটি কোনো পদার্থ বা বস্তু নয়। বিটকয়েনকে আমরা কেবল মাত্র অনলাইন ওয়ালেট তৈরি করে, সেখানে জমা রাখতে পারি।
বিটকয়েনের আবিষ্কর্তা হলেন- SATOSHI NAKAMOTO, তিনি ২০০৯ সালে বিটকয়েন আবিষ্কার করেন। বিটকয়েন আসলে বিকেন্দ্রীভূত মুদ্রা। অর্থাৎ এটীকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য কোনো কেন্দ্রীয় সংস্থা বা কোনো ব্যাঙ্ক নেই। অর্থাৎ কোনো কেন্দ্রীয় সংস্থা এর মালিক নয়।
সুতরাং দেখা যাচ্ছে বিটকয়েন যে কেউ ব্যবহার করতে পারে। যেমন ইন্টারনেট আমাদের সবার জন্য উন্মুক্ত এর কোনো নির্দিষ্ট মালিকানা নেই, ঠিক সেইরকমই বিটকয়েনেও উন্মুক্ত। যে কেউ এটি ব্যবহার করতে পারে
বিটকয়েন কিভাবে কাজ করে
সাধারণত বিটকয়েনের ব্যবহার অনলাইন কেনাবেচার ক্ষেত্রে বা কোনো প্রকার লেনদেনের ক্ষেত্রে করা হয়ে থাকে। বিটকয়েন PEER TO PEER NETWORK অর্থাৎ কোনো ক্রেডিট কার্ড বা ব্যাঙ্ক বা কোনো কোম্পানির সাহায্য ছাড়াই আমরা একে অপরের সাথে লেনদেন করতে পারি।
লেনদেনের ক্ষেত্রে বিটকয়েনকে অনেক স্মার্ট মুদ্রা ধরা হয়ে থাকে। বর্তমান দিনে- developers, entrepreneur ইত্যাদি লোকেরা bitcoin প্রচুর পরিমাণে ব্যবহার করছেন, এবং এর ব্যবহার বিশ্বব্যাপী।
বাদবাকি পেমেন্ট করার সময় যেমন আমাদের ব্যাঙ্ক থেকে যেসমস্ত প্রসেস দেওয়া হয় সেগুলি অনুসরণ করতে হয়, এবং আমাদের যাবতীয় পেমেন্টের তথ্য ব্যাঙ্কের কাছে থেকে যায়। কিন্তু বিটকয়েনের মাধ্যমে পেমেন্ট করলে সেই তথ্য কোনো প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানি দেখতে পায় না।
কারণ বিটকয়েনের তো কোনো মালিকই নেই। বিটকয়েনের মাধ্যমে হওয়া যাবতীয় তথ্য একটি Public Ledger এ জমা হয় এবং একে Block-chain বলা হয়। আর এই Block-chain টিই transaction টি সফল হয়েছে কিনা তা দেখায়।
বিটকয়েন কি বাংলাদেশে বৈধ ?
বিটকয়েন বাংলাদেশে বৈধ নয়, এক কথায় নিষিদ্ধ। বাংলাদেশের কেন্দ্রীয়ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংক দেশে এই মুদ্রার ব্যবহার বৈধ করেনি। কেন্দ্রীয় ব্যাংক মনে করে এই মুদ্রার লেনদেনে করলে মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ করার যে আইন সেই সম্পর্কিত আইনের লঙ্ঘন হতে পারে।
২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাসে বাংলাদেশ ব্যাংক দেশের জনগণকে বিটকয়েনের বিষয়ে সতর্ক করে বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করে। তাতে বলা হয়, বিভিন্ন ওয়েবসাইট ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে দেশে বিটকয়েনের লেনদেন হচ্ছে, যা কোনও নিয়ন্ত্রক সংস্থা কর্তৃক অনুমোদিত নয়। এসব ভার্চুয়াল মুদ্রার ব্যবহার বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইন ১৯৪৭, সন্ত্রাসবিরোধী আইন ২০০৯ এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২-এর দ্বারা সমর্থিত হয় না। ফলে মানুষের আর্থিক ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।
বিটকয়েন ওয়েবসাইট
বর্তমানে বিতকইন এর ওয়েবসাইটটি হল bitcoin.org
এই ওয়েবসাইটগুলি থেকে আপনি খুব সহজেই bitcoin buy করতে পারবেন।
Bitcoin Buying Website
UNOCOIN
এটী বিটকয়েন ক্রয় করার একটি অন্যতম বিশ্বস্ত ওয়েবসাইট। এই ওয়েবসাইটের বিশিষ্ট গুলী হল-
কোনো ট্যাক্স লাগবে না।
এই ওয়েবসাইটটি থেকে বিটকয়েন ক্রয় করা এবং এর সার্ভিস অনেক ভালোমানের।
আপনি যদি Unocoin ব্যবহার করেন, তাহলে এটি ব্যবহার করার কোনো চার্জ আপনাকে দিতে হবে না।
এছাড়াও আপনি এখানে auto sell bit-coin নামে একটি অপশনও পেয়ে যাবেন।
সবথেকে বড় কথা হল- নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে এখানে আপনি 2 step verification পাবেন।
ZEBPAY
এই ওয়েবসাইটটি বিশ্ব ব্যাপী তাদের কার্যকলাপ পরিচালনা করে। যার ফলে আপনি অনেক VENDOR পেয়ে যাবেন। এই সাইটটির বিশিষ্টগুলী হল-
এর মাধ্যমে আপনি বিটকয়েনের সাহায্যে মোবাইল বা DTH রিচার্জ করতে পারবেন।
এর সাহায্যে আপনি FLIPKART, AMAZON ইত্যাদি বড়বড় কোম্পানি গুলীর ভাউচার কিনতে পারবেন। যার ফলে আপনি অতিরিক্ত ১০% ছাড় পেয়ে যাবেন।
এটি সবথেকে দ্রুত কাজ করে। অর্থাৎ সার্ভিসিং স্পিড বেশি।
এটি অনেক বেশি নিরাপদ।
এখানে বিটকয়েনের দাম বাজারের তুলনায় কম থাকে।
এর একটি অ্যাপ আছে, ফলে আপনি মোবাইল থেকেও আপনার অ্যাকাউণ্ট কন্ট্রোল করতে পারবেন।
কিভাবে bitcoin আয় বা ইনকাম করব
কিভাবে bitcoin আয় করব যদি জানতে চান তাহলে বলব বিটকয়েন উপার্জন করার তিনটি রাস্তা রয়েছে –
Method- 1
যদি আপনার কাছে অঢেল টাকা আছে, তাহলে আপনি সরাসরি ৯৯৯ ডলার দিয়ে একটি বিটকয়েন কিনতে পারেন। তবে এর মানে এটা নয় যে, আপনাকে পুরোপুরি ৯৯৯ ডলারই লাগবে। আপনি বিটকয়েনের ছোট ইউনিট ‘সতোশি’(satoshi) ও কিনতে পারেন।
যেমন ভারতে ১ টাকা ১০০ পয়সার সমান তেমনই ১ টি বিটকয়েন ১০ কোটি সতোশির সমান। তেমনভাবে আপনি চাইলে ধীরে ধীরে satoshi কিনতে কিনতে ১ বিটকয়েন জমাতে পারেন।
আপনার মনে এবার প্রশ্ন জাগতে পারে বিটকয়েন কিনে লাভ কি?
তাহলে বলব যতই দিন গড়িয়ে যাচ্ছে ততই এর দাম বেড়েই চলছে। যখন এটি প্রথম চালু হয়েছিল তখন এটির দাম ছিল খুবই কম। কিন্তু বর্তমানে এটির দাম অনেক বেশি। আর দিন দিন এর দাম বেড়েই চলছে। তাই bitcoin buy করলে আপনার টাকা বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি।
Method- 2
ধরুন আপনি অনলাইনে কোনো জিনিস বিক্রি করেন। আপনি যাকে আপনার দ্রব্য বিক্রি করলেন তার থেকে আপনি টাকার বদলে বিটকয়েন নিতে পারেন ( যদি তার থাকে)। আর এই বিটকয়েন গুলি সরাসরি আপনার বিটকয়েন ওয়ালেটে জমা হবে।
Method- 3
আর তিন নম্বর পদ্ধতিটি হল- Bit-coin mining. আর এর জন্য আপনার একটি হাই প্রসেসর যুক্ত কম্পিউটারের দরকার হবে। শুধু প্রসেসর হাই হলেই হবে না, হার্ডওয়্যার-ও ভালো মানের থাকতে হবে।
বিটকয়েন দিয়ে পেমেন্ট করার আগে ভেরিফাই করা হয়, যে বিটকয়েন আসল কি না! আর যারা এই ভেরিফাইের কাজটি করে থাকে তাদের miners বলা হয়। আর এই miners দের কাছে অনেক উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন কম্পিউটার থাকে, আর এরা পেমেন্ট ভেরিফাইয়ের কাজটি করে থাকে।
তাদের কাজ হল যে পেমেন্টটি হচ্ছে সেটি আসল নাকি এর মধ্যে কোনো জড়তা লুকিয়ে আছে! আর এই ভেরিফিকেশনের কাজটি করার সুবাদে তাদেরকে কিছু বিটকয়েন বা সতোশি দেওয়া হয়। আর এইভাবেই বাজারে নতুন নতুন বিটকয়েন চলে আসে।
আর এই ভেরিফিকেশনের কাজটি যে কেউ করতে পারবে, কেবলমাত্র সাথে একটি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন এবং হাই gpu যুক্ত কম্পিউটার থাকলেই হল। আর এই সব কম্পিউটার ক্রয় করা কিন্তু সবার বাজেটের মধ্যে থাকে না।
যেমন আমাদের দেশে বার্ষিক টাকা ছাপানোর একটি লিমিট আছে, যে এর থেকে বেশি টাকা ছাপানো যাবে না, ঠিক সেইরকমই ২১ মিলিয়নের থেকে বেশি বিটকয়েন একসাথে বাজারে পাওয়া যায় না।
যেমন বর্তমানের পরিসংখ্যান অনুযায়ী বাজারে প্রায় ১৩ মিলিয়নের কিছু বেশি বিটকয়েন রয়েছে। আর এরপর বাজারে যতগুলি নতুন বিটকয়েন আসবে সবগুলিই mining এর মাধ্যমেই আসবে।
Bitcoin Advantages
এখানে ক্রেডিট কার্ড বা ডেবিট কার্ডের তুলনায় ট্যাক্স অনেক কম কাটা হয়ে থাকে।
বিটকয়েন পৃথিবীর যে কোনো জায়গায় এবং যেকোনো সময়ে পাঠানো যেতে পারে।
আমাদের ব্যাঙ্কে যেমন নিয়মিত লেনদেন না করলে আমাদের অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়, এখানে কিন্তু সেই অসুবিধাটি নেই। আপনার এই অ্যাকাউন্ট কোনোদিনও বন্ধ হবে না, যদি আপনি জালিয়াতি না করেন।
যদি আপনি দীর্ঘ সময়ের জন্য বিটকয়েন ইনভেস্ট করতে চান তাহলে, কিন্তু ভবিষ্যতে আপনার অনেক লাভ হতে পারে। কারণ যতই দিন যাচ্ছে, ততই বিটকয়েনের দাম বেড়েই চলছে।
বিটকয়েন লেনদেনের উপর কোনো সরকার বা প্রতিষ্ঠান নজর রাখে না, তাই কিছু কিছু লোক আছেন যারা খারাপ কাজের জন্য লেনদেন করেন, এগুলি তাদের ক্ষেত্রে বিশেষ সহায়ক হয়ে থাকে।
Bitcoin Disadvantages
বিটকয়েনকে নিয়ন্ত্রণ করার কোনো প্রতিষ্ঠান বা ব্যাঙ্ক নেই বলে, এর দাম হঠাৎ করেই কমে যায়, বা বেড়ে যায়। তাই ঠিক মত খেয়াল না রাখলে আপনার লোকসান হতে পারে।
যদি কোনোদিনও আপনার অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়ে যায়, তাহলে আপনার কিছুই করার থাকবে না। এমনকি কেউই আপনাকে সাহায্য করতে পারবে না।
পেমেন্ট করার সময় পেমেন্ট Unsuccessful হলেও অনেক সময় টাকা কেটে নেয়, সেগুলি আর ফিরে পাওয়া যায় না।
বিটকয়েন ওয়ালেট কি (what is bitcoin wallet)
বিটকয়েনকে আমরা কেবলমাত্র ইলেকট্রনিক্যালি জমা করতে পারি, আর এই জমা করার জন্যই বিটকয়েন ওয়ালেটের প্রয়োজন হয়ে থাকে।
বিটকয়েন ওয়ালেট বিভিন্ন প্রকার হয়ে থাকে, যেমন- Desktop wallet, Mobile wallet, Web based wallet, Hardware wallet ইত্যাদি। আর এর মধ্যে আপনার সুবিধা মত আপনি যেকোনো ওয়ালেট বানাতে পারেন। আর এটি একটি ইউনিক পরিচয় পত্রের মত কাজ করে থাকে।
যেমন ধরুন – আপনি কোথা থেকেও bitcoin income করলেন, এবার সেগুলি স্টোর করার জন্য আপনার কাছে একটি নির্দিষ্ট পরিচয়পত্র চাওয়া হবে, যেখানে আপনার বিটকয়েনগুলি জমা হবে।
তাছাড়াও আপনি যদি বিটকয়েন কিনতে চান বা বিক্রয় করতে চান তারজন্যও আপনার বিটকয়েন ওয়ালেটের প্রয়োজন হবে। আর এরপর আপনি যতগুলি বিটকয়েন বিক্রি করবেন সেগুলি transfer bit coin wallet এর মাধ্যমে আপনি আপনার ব্যাঙ্ক একাউন্টে নিয়ে নিতে পারবেন।
কিভাবে bitcoin wallet account খুলবেন
বিটকয়েন ওয়ালেট একাউন্ট খোলার জন্য অনেক সাইট আছে তারমধ্যে Coinbase এবং Blockchain সবচেয়ে জনপ্রিয়।
তবে আমি Blockchain এর তুলনাই Coinbase কেই বেশি প্রাধান্য দিবো কারন Coinbase অনেক বেশি সিকিউরড এবং ব্যবহার করাও অনেক সহজ এবং সবথেকে বড় সুবিধা Coinbase থেকে বিটকয়েন ট্রান্সফার করতে কোনো ফি প্রদান করতে হয়না
কিন্তু Blockchain থেকে বিটকয়েন ট্রান্সফার করতে প্রচুর ফি প্রদান করতে হয়।
কিভাবে Coinbase একাউন্ট খুলবেন
Coinbase একাউন্ট খুলতে এই লিংকে যান তারপর Signup করুন তারপর ইমেইল একটা লিংক যাবে সেটাতে ক্লিক করে ভেরিফাই করবেন।
তারপর একাউন্ট এ লগিন করে Dashboard থেকে BTC Wallet এ গিয়ে My adress এ ক্লিক করলে ৩৪ ডিজিটের এলোমেলো অক্ষরের একটা এড্রেস পাবেন এটাই আপনার ওয়ালেট এড্রেস এর মাধ্যমেই আপনার উপার্জিত বিটকয়েন আপনার একাউন্ট এ জমা হবে।
আরেকটা পদ্ধতিতে আপনি Coinbase একাউন্ট খুলতে পারেন এটা সবথেকে সহজ পদ্ধতি এ পদ্ধতিতে একাউন্ট খুলতে প্রথমে আপনাকে Playstore থেকে Coinbase এপটি নামাতে হবে।
তারপর এপটি ওপেন করে Signup করে ইমেইল ভেরিফাই করে নিতে হবে তারপরে এপটি ওপেন করে Dashboard প্যানেল থেকে Btc Wallet এ ক্লিক করতে হবে তারপর ডানদিকের এড্রেস আইকন এ ক্লিক করলে ৩৪ ডিজিটের বিটকয়েন এড্রেস পাবেন এড্রেস এর নিচের Copy Adress এ ক্লিক করলে এড্রেস কপি হয়ে যাবে।
এই এড্রেসটি বিভিন্ন বিটকয়েন ইনকাম এর সাইটে রেজিস্ট্রেশন করতে কাজে লাগবে।
দেখুন – Coinbase কি? Coin-base এ একাউন্ট তৈরী কিভাবে করতে হয়
সবশেষে,
আজ আমরা দেখে নিলাম,বিটকয়েন বা bitcoin মানে কি, বিটকয়েন কি বাংলাদেশে বৈধ, বিটকয়েন ওয়েবসাইট কোনটি, bitcoin কিভাবে আয় করা যায়, বিটকয়েন কিভাবে কাজ করে, কিভাবে bitcoin account open করে এই সব কিছু নিয়ে বিস্তারিত
Highlights
বিটকয়েন কিভাবে ইনকাম করবো ?
যদি আপনার কাছে অঢেল টাকা আছে, তাহলে আপনি সরাসরি ৯৯৯ ডলার দিয়ে একটি বিটকয়েন কিনতে পারেন। তবে এর মানে এটা নয় যে, আপনাকে পুরোপুরি ৯৯৯ ডলারই লাগবে। আপনি বিটকয়েনের ছোট ইউনিট ‘সতোশি’(satoshi) ও কিনতে পারেন। যেমন ভারতে ১ টাকা ১০০ পয়সার সমান তেমনই ১ টি বিটকয়েন ১০ কোটি সতোশির সমান। তেমনভাবে আপনি চাইলে ধীরে ধীরে satoshi কিনতে কিনতে ১ বিটকয়েন জমাতে পারেন।
বিটকয়েন কি বাংলাদেশে বৈধ ?
বিটকয়েন বাংলাদেশে বৈধ নয়, এক কথায় নিষিদ্ধ। বাংলাদেশের কেন্দ্রীয়ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংক দেশে এই মুদ্রার ব্যবহার বৈধ করেনি। কেন্দ্রীয় ব্যাংক মনে করে এই মুদ্রার লেনদেনে করলে মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ করার যে আইন সেই সম্পর্কিত আইনের লঙ্ঘন হতে পারে।
বিটকয়েন কিভাবে কাজ করে ?
সাধারণত বিটকয়েনের ব্যবহার অনলাইন কেনাবেচার ক্ষেত্রে বা কোনো প্রকার লেনদেনের ক্ষেত্রে করা হয়ে থাকে। বিটকয়েন PEER TO PEER NETWORK অর্থাৎ কোনো ক্রেডিট কার্ড বা ব্যাঙ্ক বা কোনো কোম্পানির সাহায্য ছাড়াই আমরা একে অপরের সাথে লেনদেন করতে পারি। লেনদেনের ক্ষেত্রে বিটকয়েনকে অনেক স্মার্ট মুদ্রা ধরা হয়ে থাকে।
বিটকয়েন কিভাবে কিনবো ?
সোনা বা অন্য কোনো গয়নার মতই আপনি আপনার দেশীয় মুদ্রাতেই বিটকয়েন কিনতে পারবেন। ১.UNOCOIN ২.ZEBPAY । এই ওয়েবসাইটগুলি থেকে আপনি খুব সহজেই bitcoin buy করতে পারবেন।
বিটকয়েন কী ?
বিটকয়েন হল একটি ভার্চুয়াল মুদ্রা। যেমন বাকি মুদ্রা গুলি- রুপি, ডলার ইত্যাদি হয়ে থাকে ঠিক সেরকমই বিটকয়েন আসলে ডিজিটাল মুদ্রা। তবে বাকি মুদ্রাগুলির সাথে এর পার্থক্য হল- বিটকয়েনকে আমরা দেখতে এবং টাচ করতে পারব না। অর্থাৎ এটি কোনো পদার্থ বা বস্তু নয়। বিটকয়েনকে আমরা কেবল মাত্র অনলাইন ওয়ালেট তৈরি করে, সেখানে জমা রাখতে পারি।
বিটকয়েন ওয়ালেট কি ?
বিটকয়েন ওয়ালেট হল জায়গা যেখানে বিটকয়েনকে আমরা কেবলমাত্র ইলেকট্রনিক্যালি জমা করতে পারি, আর এই জমা করার জন্যই বিটকয়েন ওয়ালেটের প্রয়োজন হয়ে থাকে।
bitcoin মানে কি
বিটকয়েন আসলে ডিজিটাল মুদ্রা। তবে বাকি মুদ্রাগুলির সাথে এর পার্থক্য হল- বিটকয়েনকে আমরা দেখতে এবং টাচ করতে পারব না। অর্থাৎ এটি কোনো পদার্থ বা বস্তু নয়। বিটকয়েনকে আমরা কেবল মাত্র অনলাইন ওয়ালেট তৈরি করে, সেখানে জমা রাখতে পারি।
বিটকয়েন এর ইতিহাস ?
বিটকয়েনের আবিষ্কর্তা হলেন- SATOSHI NAKAMOTO, তিনি ২০০৯ সালে বিটকয়েন আবিষ্কার করেন। বিটকয়েন আসলে বিকেন্দ্রীভূত মুদ্রা। অর্থাৎ এটীকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য কোনো কেন্দ্রীয় সংস্থা বা কোনো ব্যাঙ্ক নেই। অর্থাৎ কোনো কেন্দ্রীয় সংস্থা এর মালিক নয়।
Comments (No)