বাংলাদেশের মানুষদের কাছে জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেসের নাম, আপওয়ার্ক। ওয়েবঠিকানা: upwork.com ।এখানে বায়াররা বিভিন্ন কাজ নিয়ে জব পোস্ট করে। কাজ করতে আগ্রহী ফ্রিল্যান্সাররা সেই কাজ পাওয়ার জন্য বিড করে। এসব বিড দেখে বায়াররা তাদের কাজের জন্য যোগ্য লোককে বাছাই করে। আজ আপওয়ার্ক নিয়ে বিস্তারিত গাইডলাইন দেয়ার চেষ্টা করেছি। আপওয়ার্কে একবার কাজ পেলে পিছনে ফিরে না তাকালেও চলে। আপওয়ার্কে একজন বায়ারের কাছ থেকে ভালো ফিডব্যাক পেলে অন্য বায়াররা ঐ সেলারকে খুব সহজেই বিশ্বাস ও কাজের যোগ্য মনে করে। Freelancing শিখুন সফল ক্যারিয়ার গড়ুন পর্ব ০৮ : Upwork নিয়ে বিস্তারিত
Freelancing শিখুন সফল ক্যারিয়ার গড়ুন পর্ব ০৮ : আপওয়ার্ক নিয়ে বিস্তারিত
এর আগের পর্বগুলো যারা মিস করেছেন, তাদের জন্য আগের পর্বগুলোর লিংক দিচ্ছি।
১ম পর্ব: ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা
২য় পর্ব: ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে সমাজে প্রচলিত ভুল ধারণাগুলো
৩য় পর্ব: ফ্রিল্যান্সিংয়ে সফল হতে করনীয়
৪র্থ পর্ব: চাকুরি নাকি ফ্রিল্যান্সিং
৫ম পর্ব: বিখ্যাত মার্কেটপ্লেসের পরিচিতি
৬ষ্ঠ পর্ব: মার্কেটপ্লেসের বাইরে ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ পাওয়ার উপায়
৭ম পর্ব: পেমেন্ট উত্তোলনের উপায়
এক নজরে বিস্তারিত [hide]
1 আপওয়ার্কে যে সমস্ত কাজপাওয়া যায় :
2 কাজের ধরন :
3 আপওয়ার্কে অ্যাকাউন্ট ও শতভাগ প্রোফাইল তৈরি :
4 আপওয়ার্কে কাজের জন্য কিভাবে আবেদন করতে হয় :
5 কভার লেটার লিখা:
6 কভার লেটারের গঠন :
7 কাজ শুরু করুন :
8 আপওয়ার্কে সফলতার ব্যাপারে মনে রাখতে হবে নিচের বিষয়গুলো:
9 আপওয়ার্কের পেমেন্ট মেথড :
আপওয়ার্কে যে সমস্ত কাজপাওয়া যায় :
-ওয়েব এবং সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট
– এসইও, অনলাইন মার্কেটিং
– মোবাইল অ্যাপস
-রাইটিং ও ট্রান্সলেশন
-সেলস ও মার্কেটিং
-ডিজাইন ও মাল্টিমিডিয়া
-নেটওয়ার্কিং ও ইনফরমেশান সিস্টেম
-অ্যাডমিনিস্ত্রেটিভ সাপোর্ট ইত্যাদি।
কাজের ধরন :
আপওয়ার্কে দুইভাবে কাজ করা যায়। একটি হচ্ছে ফিক্সড – অর্থাৎ কাজ শেষে বায়ার চুক্তি অনুযায়ী একটা নির্দিষ্ট অর্থ পরিশোধ করে।
অপরটি হল আওয়ারলি – অর্থাৎ আপওয়ার্ক একটা বিশেষ সফটওয়্যার দ্বারা ফ্রিল্যান্সারদের কাজের হিসাব রাখে এবং বায়ারকে সময়মত কাজের স্ক্রীনশট দিয়ে কাজের অবহিত করা হয়। ঘণ্টা অনুযায়ী কাজ ,যত ঘণ্টা কাজ করা হবে বায়ার তত ঘণ্টার ডলার পেমেন্ট করবে।
আপওয়ার্কে অ্যাকাউন্ট ও শতভাগ প্রোফাইল তৈরি :
আপওয়ার্কে কাজের জন্য আবেদন করতে হলে প্রথমে আপওয়ার্কে একটি অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। এক্ষেত্রে একটা ইমেইল এড্রেস লাগবে। অ্যাকাউন্ট নিশ্চিত করার জন্য ইমেইল ভেরিফিকেশান করা হয়। অ্যাকাউন্ট করার সময় সাইনআপ ফর্মে সঠিক তথ্য দিয়ে পূরণ করতে হয়। অ্যাকাউন্ট নিশ্চিত হয়ে গেলে নিজের প্রোফাইলকে প্রফেশনালভাবে সাজাতে হবে।
আপওয়ার্কে অ্যাকাউন্ট লগইন থাকা অবস্থায় ” এডিট প্রোফাইল ” এগিয়ে অ্যাকাউন্ট এডিট করতে হবে। হাসি খুশি স্পষ্ট প্রোফাইল পিকচার ব্যবহার করা ভাল। প্রোফাইলে আপনার অতীতে করা কাজের উদাহরণযুক্ত করা যায়। এটা বায়ারকে আপনার প্রতি আস্থা তৈরি করে। তাছাড়া যে কাজে আপনি এক্সপার্ট সে কাজের যদি কোন সনদপত্র থাকে তাহলে তা ব্যাবহার করতে পারবেন। টাইটেলে আপনি যে কাজ করতে চান সেগুলোর সুন্দরভাবে উল্লেখ করুন যাতে যে কেউ বুঝতে পারে আপনি সে কাজগুলোতে দক্ষ। এটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কারন এটাই আপনার নামের সাথে সবার প্রথমে ক্লায়েন্ট দেখতে পারবে। এটা দেখে ক্লায়েন্ট পছন্দ করলে আপনার বাকি প্রোফাইল দেখতে আগ্রহবোধ করবে। ওভারভিউ সুন্দর করে লিখবেন। কপিপেস্ট করা যাবেনা।
নিজে লিখলে সবচেয়ে ভাল হয়। যদি না হয় অন্য কোথাও থেকে আইডিয়া নিতে পারেন। এখানে যে যে বিষয়ে আপনি দক্ষ সে বিষয়গুলো যোগ করতে পারেন। সর্বনিম্ন ৫ডলার করবেন, তাও প্রথম ফিডব্যাক পর্যন্ত। এরপর বাড়াতে থাকবেন। স্কিলটেস্ট ছাড়া ১০০% প্রোফাইল করা যাবেনা। প্রোফাইল শতভাগ করার জন্য স্কিল টেস্ট দিতে হয়। যার যেই বিষয়ের উপর জ্ঞান আছে এবং যে বিষয়ে কাজ করতে আগ্রহী সে সেই বিষয়ের উপর স্কিল টেস্ট দিতে পারেন। স্কীল টেস্টে ভাল ফলাফল করলে সেটিকে প্রোফাইলে প্রদর্শণ করাবেন। তাতে প্রোফাইল শক্তিশালী এবং প্রফেশনাল হবে।
ফ্রিল্যান্সিং শিখুন সফল ক্যারিয়ার গড়ুন পর্ব ০৮ : আপওয়ার্ক নিয়ে বিস্তারিত
আপওয়ার্কে কাজের জন্য কিভাবে আবেদন করতে হয় :
জবে ক্লিক করলে যে কাজটি ক্লায়েন্ট আপনাকে দিয়ে করাবে সেটির বর্ণনা আসবে। সেটি ভালভাবে পড়ে দেখুন, আপনার পক্ষে করা সম্ভব কিনা। কাজটির ধরন কি? ঘন্টাভিত্তিক হলে লিখা থাকবে আওয়ারলি, ফিক্সড হলে লেখা থাকবে ফিক্সড। তারপর থাকে কতদিনের মধ্যে কাজ শেষ করতে হবে, কাজটি কবে পোস্ট হয়েছে আরও অনেক কিছু আছে। পড়ে বুঝে নিতে হবে বাকিটুকু।
কাজটি করার জন্য ক্লায়েন্ট কিরকম যোগ্যতা লোক চাচ্ছে সেটা জানা যাবে। যেমন- ফিডব্যাক স্কোর ক্লায়েন্ট চায়।
১) আপওয়ার্কে কাজের জন্য আবেদন করাটাকে বিড বলা হয়। আপনার একাউন্টের জন্য নির্দিষ্ট ৩০টি বিড করার কোটা আছে। অর্থাৎ এক মাসে ৩০টা কাজের জন্য আবেদন করা যায়। সুতরাং আপনার এ কোটা ভালভাবে বুঝে ব্যবহার করবেন। শুধু শুধু বিড করে কোন আপনার কোটা নস্ট করে কোন লাভ নেই। তাছাড়া অতিরিক্ত বিড কিনাও যায়।
২) যে কাজটির জন্য বিড করবেন, সেটার বর্ণনা ভালভাবে পড়ে বুঝেনিন। যে কাজে বেশি বিড হয়নি, সেগুলোতে বিড করবেন, কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা প্রচুর বেড়ে যাবে। যদি আপনার প্রোফাইল নতুন হয়, তাহলে আপনার এ নিয়ম ভালভাবে পালন করতে হবে।
৩) খুব বেশি অনলাইনে থাকার চেষ্টা করুন, যাতে ক্লায়েন্ট আপনাকে কোন কারনে মেসেজ দিলে সেটার উত্তর দিতে দেরি না হয়।
৪) বিড করার আগে অবশ্যই ক্লায়েন্টের প্রোফাইল চেক করে নিবেন। ক্লায়েন্টের প্রোফাইল চেক করার সময় যে যে বিষয় লক্ষ্য করবেন:
– ক্লায়েন্ট এখন পর্যন্ত কত ঘন্টা কাজ করিয়েছে।
– ক্লায়েন্টের পেমেন্ট মেথড ভেরিফাইড কিনা।
– যে টাইপ কাজে বিড করছেন, সে টাইপের কাজ ক্লায়েন্ট আগে করায়ে থাকলে সেটা কত রেটে করা হয়েছে, সেটা খেয়াল করবেন। সে অনুযায়ি বিড করবেন। বিড করার জন্য কভার লেটার লাগবে।
কভার লেটার লিখা:
কভার লেটার ইংরেজিতে লিখতে হয়। এজন্য ইংরেজিতে মোটামুটি জ্ঞান থাকা আবশ্যক। খুব সুন্দর ইংরেজী ব্যবহার করে, বড় কোন কিছু লেখাকে ভাল কভার লেটার বলেনা।
ক্লায়েন্টকে একদম পারলে একলাইনে লিখুন কাজটি পারবেন, তাহলে ক্লায়েন্ট খুশি হবে সবচাইতে বেশি। ক্লায়েন্টের সময়ের মূল্য আছে। বড় কভার লেটার দেখলে ভয়ে আর সেটা পড়বেনা ক্লায়েন্ট।
মনে মনে নিজেকে ক্লায়েন্ট ভাবুন। এবার ভাবুন, আপনাকে কেউ কিভাবে বললে আপনি কাজটি টাকা খরচ করে করবেন। তাহলে ক্লায়েন্ট আপনার যোগ্যতা নিয়ে সন্দেহে পড়ে যাবে। কাজটি পারার ব্যাপারে কনফিডেন্ট প্রকাশ করুন। অন্যের কভার লেটার নিজে ব্যবহার করবেননা। আপনি ইংরেজী কম জানলেও না। কারন আপনি খুব ভাল কেউ ইংরেজী পারে এমন কাউকে দিয়ে হয়ত কভার লেটারটি লেখালেন্। ক্লায়েন্ট কাজ দেয়ার আগে আপনাকে ইন্টারভিউতে ডাকবে। তখন দেখল আপনার ইংরেজী লেখার ধরন অন্যরকম, তখন শুরুতেই আপনার ব্যাপারে বিশ্বাসটি উঠে যাবে। সেজন্য কাজটি আর আপনি পাবেননা। নিজের একই কভার লেটারও বারবার ব্যবহার করবেন না।
অর্থাৎ যা লিখবেন, প্রত্যেকে বিড করার সময় কাজের বর্ণনা বুঝে লিখবেন। বেশি কথা না বলে আপনার কাজের স্যাম্পল দিন। এটি আপনার ৫০০০ লাইনের কথা বলার সমান কাজ করে দিবে। কভার লেটারে নিজের গুনগান গেয়ে কিংবা করুণা ভিক্ষা চেয়ে ক্লায়েন্টকে আকর্ষণ করার চেষ্টা করবেন না। প্রজেক্টটি ভালভাবে বুঝে সে অনুযায়ি কভার লেটার তৈরি করুন। কখনো ভুলেও আপনার ইমেইল, স্কাইপ আইডি, ইয়াহু, এগুলো কভার লেটারে দেওয়া যাবেনা। ক্লায়েন্ট আপনাকে নক করলে শুধুমাত্র তখনি আপনার কন্টাক্ট ডিটেইলস তাকে দিবেন।
কভার লেটারের গঠন :
কভার লেটারের প্রথমে স্যার বলে সম্বোধন করলে বাংলাদেশিরা পছন্দ করে। কিন্তু হাই , হ্যালো দিয়ে সম্বোধন করলে বিদেশীরা পছন্দ করে। কভার লেটার লিখার সময় নিজেকে এক্সপার্ট পরিচয় দিলে বায়ার আপনার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করবে। প্রজেক্টটি পড়ে আপনি যে ক্লায়েন্টের চাহিদা ভালভাবে বুঝেছেন, সেটি লেটারের প্রথমেই বোঝানোর জন্য কোন লাইন লিখতে পারেন। এবার বোঝানোর চেষ্টা করুন, আপনারে পক্ষে যে কাজটি করা সম্ভব। এ ধরনের কাজের ব্যপারে আপনার পূর্ব অভিজ্ঞতা উল্লেখ করুন। ক্লায়েন্টের রিপ্লাইয়ের জন্য আপনি অপেক্ষা করছেন, এ ধরনের কোন লাইন লিখুন। ধন্যবাদ সহকারে নিজের নাম উল্লেখ করে শেষ করেন লেটারটি।
ফ্রিল্যান্সিং শিখুন সফল ক্যারিয়ার গড়ুন পর্ব ০৮ : আপওয়ার্ক নিয়ে বিস্তারিত
কাজ শুরু করুন :
বায়ার যদি কাজের জন্য আপনাকে নির্বাচন করে তাহলে বায়ার আপনার ইন্টারভিউ নিবে। বায়ার যদি মনে করে আপনি কাজটি পাওয়ার যোগ্য তাহলে কাজটি পেতে পারেন। ঘণ্টাভিত্তিক কাজেরক্ষেত্রে আপওয়ার্ক থেকে আপওয়ার্ক টিম সফটওয়্যারটি নামিয়ে নিন, পিসিতে ইন্সটল করুন। এবার কাজ শুরু আগে কাজটি সিলেক্ট করে স্টার্ট – এ ক্লিক করুন। দেখতে পাবেন, কাজের সময় গণনা শুরু হয়ে গেছে। সফটওয়্যারটি কিছুক্ষণ পরপর আপনার কম্পিউটারের স্ক্রিণশট নিবে, সাথে সাথে সেটা আবার ক্লায়েন্টের কাছে পাঠিয়ে দিবে। কাজ শেষ হলে বায়ার যখন আপনাকে পেমেন্ট দিয়ে চুক্তি শেষ করবেন, তখন আপনার কাছে একটি নোটিফিকেশন আসবে। এবার বায়ার ফিডব্যাক দিবে, আপনাকেও দিতে হবে বায়ার সম্পর্কিত ফিডব্যাক।
পূর্ণমান ৫-এর মধ্যে এ ফিডব্যাক হয়। উভয়পক্ষ ফিডব্যাক দিলেই কেবল একজন অপরজনেরটা দেখতে পাবেন। ভালো ফিডব্যাক পেলে পরবর্তীকালে বেশি কাজ পেতে সুবিধা হয়। বাজে ফিডব্যাক পেলে সেটি মুছে ফেলতে পারবেন। আপনি যদি বায়ারের পেমেন্ট ফেরত দিয়ে দেন, তাহলে আপনার প্রোফাইলে ওই বাজে ফিডব্যাক আর দেখা যাবেনা। নোটিফিকেশন পেইজে “গিভ রিফান্ড” -এ ক্লিক করে আপনি বায়ারকে পেমেন্ট ফেরত দিয়ে দিতে পারবেন। বায়ার আপনাকে পেমেন্ট দেওয়ার পর সেই পেমেন্ট এক সপ্তাহের মতো পেন্ডিং থেকে তারপর আপনার ওডেস্ক অ্যাকাউন্টে জমা হবে। আপনার বর্তমানে ব্যালান্স কত আছে এবং পেনডিং-এ কত আছে, সেটি জানার জন্য “ট্রান্সেকশান হিস্টরি “-এ ক্লিক করুন।
আপওয়ার্কে সফলতার ব্যাপারে মনে রাখতে হবে নিচের বিষয়গুলো:
১) প্রফেশনাল এবং শতভাগ সম্পন্ন প্রোফাইল প্রস্তুত করতে হবে।
– প্রোফাইলের ছবি হিসেবে হাসিখুশি স্পষ্ট চেহারার নিজের ছবি ব্যবহার করতে হবে।
– ওভারভিউয়ে নিজের দক্ষতার ব্যপারে সংক্ষিপ্ত কিন্তু যেকোন বায়ারকে আকর্ষণ করার মত কিছু লিখতে হবে।
– আগের কাজের অভিজ্ঞতাগুলো সুন্দরভাবে বর্ণনা সহকারে লিখতে হবে।
– স্কীল টেস্ট পরীক্ষা দিয়ে ভাল নাম্বার অর্জন করতে হবে।
২) বিড করার ক্ষেত্রে বুদ্ধির পরিচয় দিতে হবে, কারণ বিড করার কোটা নির্দিষ্ট।
– কোন জব পোস্টের ১০ মিনিটের মধ্যে বিড করতে হবে।
– ভালভাবে পারা সম্ভব শুধুমাত্র সে ধরনের কাজগুলোতেই বিড করতে হবে।
– সুন্দর কভার লেটার লিখে বিড করতে হবে।
৩) কভার লেটারের মাধ্যমেই বায়ারকে আকর্ষণ করতে হবে।
– কভার লেটারটি কারও, এমনকি নিজের অন্য কোন কভার লেটারের কপি হতে পারবেনা।
– কভার লেটারে বায়ারকে বুঝাতে হবে তিনটি বিষয়।
ক) আপনি কাজের বর্ণনা ভালভাবে বুঝেছেন।
খ) কাজটি কিভাবে করতে চাচ্ছেন।
গ) কাজটি আপনার জন্য নতুন অভিজ্ঞতা না।
– নিজের বেশি গুণগান গাওয়ার চাইতে পূর্বে করা একই ধরনের কাজের প্রমাণ শেয়ার করুন।
ফ্রিল্যান্সিং শিখুন সফল ক্যারিয়ার গড়ুন পর্ব ০৮ : আপওয়ার্ক নিয়ে বিস্তারিত
আপওয়ার্কের পেমেন্ট মেথড :
আপওয়ার্ক থেকে বাংলাদেশে সাধারণত ৩ বৈধ উপায়ে টাকা উঠানো যায়।
বাংলাদেশীদের জন্য আপওয়ার্ক ” লোকাল ফান্ড ট্রান্সফার” নামে এক বিশেষ সার্ভিস চালু করেছে। যা ব্যাংক একাউন্ট থাকলে সরাসরি সেই একাউন্টে ” লোকাল ফান্ড ট্রান্সফার” আর মাধ্যমে আপওয়ার্ক থেকে টাকা ট্র্যান্সফার করা যায়। প্রথম ট্রান্সফারে কোন ধরনের সার্ভিস ফি কাটবেনা। পরবর্তিতে প্রতিবার ট্রান্সফারে $ ৪. ৯৯ কাটবে। অপরটি হচ্ছে পাইওনিয়ার ডেবিটকার্ডের মাধ্যমে আপওয়ার্ক থেকে আয় করা অর্থ সরাসরি এটিএম বুথের মাধ্যমে উঠানো যায়। প্রতি বার $ ২ . ০০ কাটবে। আরেকটি মাধ্যম হচ্ছে স্ক্রিল। স্ক্রিলকার্ড দিয়ে সবচেয়ে স্বল্পখরচে অর্থাৎ প্রতি ট্রান্সেকশান এ $১ . ০০ ডলার খরচ করে আপওয়ার্ক থেকে টাকা উত্তোলন করা যায়।
Comments (No)