মুভিং এভারেজ সাধারণত একটি শেয়ারের সুনির্দিষ্ট সময়ের জন্য গড় মূল্য প্রকাশ করে থাকে । মুভিং এভারেজ সাধারণত ব্যাবহার করা হয় শেয়ারের মোমেন্টাম (growth) এবং সম্ভাব্য সাপোর্ট ও রেজিস্টান্স লেভেল নির্ণয় করার জন্য। অন্য দিকে মুভিং এভারেজ আমাদের একটি ট্রেন্ডের পরিবর্তনের সংকেত ও দিয়ে থাকে। আমরা সাধারণত তিন ধরনের মুভিং এভারেজ ব্যাবহার করে থাকি টেকনিক্যাল এনালাইসিসে।
প্রকারভেদ : মুভিং অ্যাভারেজ প্রধানত ৪ প্রকার । যথা –
- Simple Moving Average (SMA)
- Linear Weighted Moving Average (WMA)
- Exponential Moving Average (EMA)
- Smoothed Moving Average
- সিম্পল মুভিং এভারেজ/Simple Moving Average (SMA)
- ওয়েটেড মুভিং এভারেজ/ Weighted Moving Average (WMA)
- এক্সপোনেনসিয়াল মুভিং এভারেজ/ Exponential Moving Average (EMA)
- সিম্পল মুভিং এভারেজঃ এটি হচ্ছে সবচেয়ে সাধারন প্রক্রিয়া যা মূল্যের চলমান গড় (moving average) গননা করতে সাহায্য করে। একটি নির্দিষ্ট সময়ের সমাপ্তি মুল্যের যোগফলকে ঐ নির্দিষ্ট সময়ের সংখ্যা দ্বারা ভাগ করে এটি নির্ণয় করা হয়। অন্যভাবে বলা যায় সিম্পল মুভিং এভারেজ হচ্ছে একটি শেয়ারের নির্দিষ্ট সময়ের গড় মূল্য। এই ক্ষেত্রে একটি বিষয় অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে যে প্রত্যেকটি দিনের শেয়ারের মূল্যকেই সমান প্রাধান্য দেয়া হয়।
চিত্রে আমরা দুটি সিম্পল মুভিং এভারেজ দেখতে পাচ্ছি। একটি হচ্ছে ১৫ দিনের এবং একটি হচ্ছে ৫০ দিনের। অনেক এনালিস্ট এই সিম্পল মুভিং এভারেজকে দুটি সময়ের জন্য ব্যাবহার করে থাকেন। যেমন ১৫ দিন এবং ৫০ দিনের। তবে আমাদের বাংলাদেশের মার্কেটের ক্ষেত্রে যদি আমরা ১০ দিন এবং ২৫ দিনের সিম্পল মুভিং এভারেজ ধরি তবে সেটি ভালো কাজ করে থাকে। এখন মূল কথা হচ্ছে আমরা এই সিম্পল মুভিং এভারেজ দিয়ে কি উপকার পেতে পারি বা এই সিম্পল মুভিং এভারেজ কিভাবে আমাদের একটি শেয়ার ট্রেড করতে সাহায্য করবে? এর উত্তর হচ্ছে সিম্পল মুভিং এভারেজ আমাদের দুই ভাবে ক্রয় এবং বিক্রয় সিগন্যাল দিয়ে থাকে। একটি হচ্ছে ক্রস ওভার এবং অন্যটি হচ্ছে সাপোর্ট এবং রেজিসটান্স এর মাধ্যমে। এখন আসা যাক ক্রস ওভারের ব্যাপারে।
Comments (No)