Fiverr 1 টি জনপ্রিয় Online Marketplace

Fiverr বর্তমানে একটি জনপ্রিয় Online Marketplace এর নাম। এটা এমন একটা মার্কেটপ্লেস যেখানে বিভিন্ন ধরনের সেবা আদান প্ররান করা হয়। লক্ষ লক্ষ Freelancer শেখানে স্বাধীনভাবে কাজ করে থাকে।

এখানে আপনি বিভিন্ন প্রযুক্তি ভিত্তিক কাজ করতে পারবেন। যেহেতু এটি একটি অনলাইন মার্কেটপ্লেস সেহেতু আপনি এখানে অনলাইন এবং প্রযুক্তি ভিত্তিক বিভিন্ন সেবা বিক্রি করে থাকবেন।

ধরুন আপনি Amazon Affiliate Niche সাইট এর জন্য Keyword Research করতে পারেন, ধরুন আপনি লিখলেন আমি 5 ডলারের বিনিময়ে Keyword Research করে দিতে পারি। এরপর যদি কোন বায়ার তার Niche সাইট এর জন্য Keyword Research চায় তাহলে সে 5 ডলারের বিনিময়ে আপনাকে দিয়ে কাজটি করিয়ে নিতে পারে।

Fiverr

ধরুন আপনি একজন দক্ষ গ্রাফিক ডিজাইনার। এখন আপনার নিজের তৈরি কিছু আকর্ষনীয় ডিজাইন দিয়ে আপনার একাউন্ট সাজাতে হবে যেটাকে ফাইভারের ভাষায় গিগ বলা হয়। আপনার গিগ যত আকর্ষনীয় হবে তত আপনার কাছে কাজের রিকুয়েস্ট আসবে। আর সেসব কাজ সফল ভাবে করে দিতে পারলেই ঘরে বসে আপনি অনেক টাকা আয় করতে পারবেন।

তবে আপনাকে অবশ্যই নিন্মবর্ণিত শর্তগুলো মেনে Fiverr ব্যাবহার করতে হবে। সুতরাং এই মার্কেটপ্লেস ব্যাবহার শুরু করার আগে এখানে সেবা আদান প্রদানের শর্তগুলো ভাল করে পড়ে নিন।

  1. এই সাইট ব্যাবহার করা, একাউন্ট খোলা অথবা “Accept or agree to the Terms of Service” বাটনে ক্লিক করার মানে হচ্ছে আপনি ফাইভারের “Terms of Service” অর্থাৎ সেবা আদান প্রদানের শর্তগুলো মেনে নিয়েছেন এবং একমত পোষণ করছেন। আপনি যদি এই শর্তগুলোর সাথে একমত পোষণ না করেন তবে এই সাইট ব্যাবহার করা এমনকি সাইটে প্রবেশ করা থেকেও বিরত থাকুন।
  2. এই সাইট ব্যাবহার করার জন্য আপনার বয়স অবশ্যই ১৩ বছর বা তার বেশি হতে হবে। এর নিচে হলে এখানে সেবা আদান প্রদান করতে হলে পিতামাতার অনুমতি লাগবে। কারন, আপনি যখন এই সাইট ব্যাবহার করছেন তার মানে দাড়াচ্ছে যেকোন আন্তর্জাতিক ডিল করার জন্য আপনার বয়স আঈনত বৈধ। সুতরাং আপনার বয়স যদি ১৩ বছরের কম হয় তবে এই সাইট আপনার ব্যাবহার করা উচিৎ নয়।
  3. Fiverr এর কাস্টমার সাপোর্ট সেন্টার দিনে ২৪ ঘন্টা এবং সপ্তাহে ৭ দিনই খোলা আছে। Fiverr site নিয়ে অথবা শর্তাবলী নিয়ে যদি কোন প্রশ্ন থাকে তবে যোগাযোগ করুন। (উল্লেখ্য এটা লাইভ সাপোর্ট না)

মূল শর্তাবলীঃ

  • Fiverr এ প্রদত্ত সেবাগুলোকে Gig® বলা হয়।
  • গিগের মাধ্যমে যারা সব সার্ভিস বা সেবা প্রদান করে থাকেন তাদের Sellers বলা হয়।
  • যারা এই সার্ভিসগুলো কেনে তাদেরকে Buyer বলা হয়।
  • Gig Page হচ্ছে সেই যায়গা যেখানে একজন সেলার কি কি সেবা দিতে চান (বা কাজ করতে চান) সেগুলোর বিস্তারিত বর্নান দেয়া থাকে, আর ক্লায়েন্ট সেখান থেকে গিগ কিনে সেবা (বা কাজ) অর্ডার করেন।
  • Gig Extra হচ্ছে মুল কাজের সাথে সম্পর্কযুক্ত অতিরিক্ত কিছু সেবা যেগুলো গিগের নিচে আলাদা ভাবে একজন সেলার যুক্ত করেন। (এই সেবার জন্য ক্লায়েন্টকে আলাদা চার্জ করা হয়)
  • একাধিক সেবার জন্য Gig Extras থেকে অর্ডার না করে যদি একই গিগ বার বার অর্ডার করা হয় তবে তাকে Gig Multiples বলে।
  • Gig Packages হচ্ছে একাধিক সার্ভিস একত্রে অফার করা। এর সুবিধা হচ্ছে একই গিগে ভিন্ন ভিন্ন দামে ভিন্নি ভিন্ন সার্ভিস সাজিয়ে রাখা যায়। অনেকটা আমরা মোবাইলে যেমন বান্ডেল প্যাক কিনি তেমন। ফাইভারে একটা গিগে সর্বোচ্চ ৩ টা পেকেজ এড করা যায়।
  • Custom Offers হলো এমন বিশেষ প্রস্তাব (Price Quote) যেটা ক্লায়েন্টের কিছু নির্দিষ্ট চাহিদার প্রেক্ষিতে একজন সেলার ক্লায়েন্ট কে অফার করে।
  • একজন সেলারের কাছ থেকে Custom Offer পাবার জন্য একজন বায়ার যখন তার চাহিদার বিস্তারিত বিবরন দিয়ে সেলার কে মেসেজ দেয় তখন তাকে Custom Order বলে। কিন্তু বায়ার যদি গিগ ভিজিট করে “Contact me” অপশন থেকে মেসেজ দেয় তবে সেটা সাধারন মেসেজ। আর যদি প্রফাইল ভিজিট করে সর্বশেষ গিগের পাশে “Request a Custom Order” অপশন থেকে মেসেজ দেয় তবে সেটা হবে Custom Order (এদের মাঝে মৌলিক কোন পার্থক্য নেই) উভয় ক্ষেত্রেই রিপ্লাই দেয়ার সময় কাস্টম অফার পাঠানো যাবে।
  • Order হচ্ছে ক্লায়েন্ট ও সেলারের মাঝে আনুষ্ঠানিক চুক্তি (যখন কোন গিগ অর্ডার করা হয়)
  • Disputes হচ্ছে একটি অর্ডার চলাকালীন সময়ে বায়ার ও সেলারের মাঝে চলমান মতবিরোধ যেকোন ধরনের ঝগড়া বা মতবিরোধ।
  • Revenue হচ্ছে সেই পরিমান টাকা যেটা একজন সেলার অর্ডার কমপ্লিট হবার পর উপার্জন করেন।
  • Sales Balance হচ্ছে সেই পরিমান Revenue যেটা ক্লিয়ার হয়ে একাউন্টে জমা হয় এবং সেলার চাইলে যেকোন সময় তুলতে অথবা (ফাইভারে) খরচ করতে পারেন। (উল্লেখ্য ফাইভারে অর্ডার কমপ্লিট করার ১৪ দিন পর ডলার Sales Balance এ যোগ হয়। তবে টপ রেটেড সেলারদের ৭ দিন পর যোগ হয়)
  • Shopping Balance হচ্ছে ফাইভার থেকে কেনাকাটা করার মত ক্রেডিট যেটা পূর্বের কোন অর্ডার কেন্সেল হবার ফলে ক্লায়েন্টের একাউন্টে ফিরে এসেছে। এছাড়া ফাইভারের পক্ষ থেকে গিগের মাধ্যমে সার্ভিস কেনার জন্য যে প্রমোশনাল অফার দেয়া হয় তাকেও Shopping Balance বলে।

ফাইভারে কাজ করার পদক্ষেপসমূহ

  • প্রথমে আপনার একটা Fiverr Account থাকতে হবে। ফাইভারে কখনো ব্যক্তিগত কোন তথ্য দেয়া যাবেনা। ফাইভার চায়না যে কোন ওয়ার্কার সরাসরি বায়ারের সাথে যোগাযোগ করুক।
  • ফাইভারের সকল নিয়ম মেনে আপনি যেসব কাজে দক্ষ সেসব কাজের উপরে আকর্ষনীয় গিগ তৈরি করবেন।
  • সঠিক নিয়মে গিগ তৈরি করা থাকলে ফাইভার নিজেই আপনার গিগ মার্কেটিং করবে।
  • আপনার কাজের ক্যাটাগরি অনুযায়ী আপনার কাছে বায়ার রিকুয়েষ্ট আসবে এবং আপনাকে তার সঠিক রিপ্লে দিতে হবে।
  • আপনার গিগ পছন্দ হলে বায়ার আপনাকে কাজ দিবে।
  • কাজ সম্পর্কে সবকিছু বায়ারের কাছে জেনে নিতে হবে।
  • এরপর কাজ সম্পুর্ন করে বায়ারের কাছে জমা দিতে হবে। তাহলে আপনার কাঙ্ক্ষিত মুল্য পেয়ে যাবেন। যদি বায়ার আপনার কাজে অনেক খুশি হয় তাহলে আপনাকে কিছু অতিরিক্ত মুল্য দিবে যাকে টিপস বলা হয়।
  • এরপর আপনি আপনার আয় করা অর্থ ব্যাংকে ট্রান্সফার করবেন।

ফাইভারে একাউন্ট করুন নিচের লিংক থেকে

Join Fiverr Now

Comments (No)

Leave a Reply

এই সাইটের কোন লেখা কপি করা সম্পুর্ন নিষেধ