আমদের দেশে প্রায় দীর্ঘ ২৪-২৫ বছর পর্যন্ত ছাএ- ছাএী থাকা কালিন সময় বাবা মার উপরই নির্ভরশীল
থাকতে হয়। কারন ছাএ অবস্থায় আমরা কেও কোন কাজ করি না।অপর দিকে উন্নয়শীল দেশের
ছেলেমেয়েরা তাদের স্টুডেন্ট লাইফেই নিজেরাই নিজেদের খরচ বহন করতে পারছে শুধু তাই নয় তারা
নিজেদের খরচ বহন করার পাশাপাশি তাদের পরিবারকে সহযোগিতা ও করতে পারছে স্টুডেন্ট লাইফে
তাদের উর্পাজিত অর্থ দিয়ে।তারা যদি করতে পারে তাহলে আমাদের দেশের ছেলে মেয়েরা তাদের
স্টুডেন্ট লাইফের দীর্ঘ সময় শুধু বাবা মার উপরি নির্ভর করেই কাটিয়ে দিবে কেন? আমরা চেষ্টা করলে
কি পারবো না ।
আমরা সকলেই জানি আমাদের দেশের শিক্ষার হার এখনো শতভাগ নয়। এর একটি বিশেষ কারণ হলো
সামর্থ ।আমাদের দেশের বেশিরভাগ বাবা মারই তাদের সন্তানদের ২৪-২৫ বছর ভরন পোষণ সহ
লেখাপড়ার খরচ চালাতে সক্ষম হয় না । যার দরুন বেশিরভাগ শিক্ষার্থীকেই উচ্চ শিক্ষা হতে বঞ্চিত হতে
হয়।কিন্তু আমাদের ছেলে মেয়েরা যদি তাদের স্টুডেন্ট লাইফ থেকেই কিছু একটা করে তাদের নিজেদের
খরচ নিজেরাই বহন করতে পারত, তাহলে কিন্তু আমাদের দেশের শিক্ষার হার শতভাগ হতে খুব বেশি
সময়ের প্রয়োজন নেই।
স্টুডেন্ট লাইফে কিছু করার কথা মানে আমি কিন্তু কাউকে দিনমজুরের কাজ করতে বলছি না বা
আপনার study বাদ দিয়ে কিছু করার কথা বলছি না। বর্তমানে এই ডিজিটাল যুগে সেই রকম কাজের
কোন অভাব নেই। কারণ ডিজিটাল যুগে আপনি এমন ও সুবিধা পাবেন যে আপনার মন চাইলে কাজ
করবেন না মন চাইলে করবেন না যখন সময় পাবেন তখন করবেন যখন সময় পাবেন না তখন করবেন
না। মানে এখানে কাজের কোন বাধ্যবাধকতা নেই।
এরকম কিছু কাজের কথা আজ আমি এই আটির্কেলে উল্লেখ করতে যাচ্ছি । আশা করি আপনাদের ভাল
লাগবে । স্টুডেন্ট লাইফে পড়াশুনার পাশাপাশি কিছু একটা করতে পারবেন সাথে আপনার নিজের খরচ
নিজে বহন করতে পারবেন।
এমন ধরনর ৫ শ্রেষ্ঠ উপায়গুলি হলো:
১. ইউটিউবে থেকে আয় করতে পারেন:
স্টুডেন্ট লাইফে যদি কিছু করতে চান তাহলে ইউটিউবের চেয়ে ভালো কোন মাধ্যম আপনি পাবেন না।
কারণ ইউটিউব এমন একটি প্লাটফ্রম যেখানে আপনি প্রতিদিন কিছু সময় দিয়েই মাস শেষে ভালো একটি
এমাউন্ট আয় করতে পারবেন। আমরা সকলেই জানি ইউটিউব হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ভিডিও
শেয়ারিং ওয়েবসাইট। আপনি ইচ্ছে করলে এখানে আপনার নিজের নামে একটি ইউটিউব চ্যানেল তৈরি
করে সেখানে বিভিন্ন বিষয়ে ভিডিও তৈরি করে ছাড়তে পারেন। আপনি যত ভিডিও ছাড়বেন আপনার
ভিডিওগুলো তত বেশি ভিউ হতে থাকবে এবং একটা সময় পর ইউটিউব আপনাকে তাদের ডিফল্ট
আয়ের উৎস মনিটাইজেশন কারার অবশনটি এনাবল করে দেবে এবং আপনি তখন বেশ ভালো একটি
এমাউন্ট আয় করতে পারবেন।
আরো জানুন : কিভাবে একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলবেন এবং সেখান থেকে আয় করবেন?
২. ফেসবুক থেকে আয় করতে পারবেন:
বর্তমানে ফেসবুক বাংলাদেশেও তাদের ডিফল্ট আয়ের উৎসটি এনাবল করেছে। যেহুতু বাংলাদেশের
প্রেক্ষাপটে ইউটিউবে চেয়ে ফেসবুকের ব্যবহারকারি ও জনপ্রিয়তা বেশি তাই আপনি ইচ্ছে করলে
আপনার পার্টটাইম আয়ের উৎস ফেসবুকেও তৈরি করে ফেলতে পারেন। এর জন্য সবার প্রথমে আপনাকে
একটি ফেসবুক পেজ তৈরি করে ফেলতে হবে তারপর অনেকটা ইউটিউবের মত সেই পেজে নিয়মিত
ভিডিও আপলোড করতে হবে এবং সেখানে একটা নির্দিষ্ট টার্গেট পূরণ করার পর ফেসবুক আপনার পেজ
মনিটাইজেশন করার সুযোগ দিবে এবং এবং আপনার ইনকাম করার সুযোগ করে দিবে। তাই আপনি
ইচ্ছে করলে ফেসবুক থেকে বেশ ভালো পরিমান একটি এমাউন্ট আয় করে ফেলতে পারেন প্রতিমাসে।
আরো জানুন : ফেসবুক এ্যাকাউন্ট খুলবেন কিভাবে এবং কিভাবে কাজ শুরু করবেন?
৩. শিক্ষামূলক ব্লগিং সাইট খুলে আয় করতে পারেন:
আপনি চাইলে আপনার জ্ঞান সকলের সাথে অনলাইনে শেয়ার করার মাধ্যমে আয় করতে পারেন। এর
জন্য আপনাকে সবার প্রথমে একটি ব্লগ সাইট তৈরি করতে হবে তারপর আপনার জানা বিভিন্ন বিষয়
নিয়ে আপনার ব্লগে লেখালেখি করতে পারেন। আর আপনি যখন ভালো ভালো আটির্কেল আপনার ব্লগে
নিয়মিত পাবলিশ করে যাবেন তখন আপনার ব্লগ আসতে আসতে জনপ্রিয় হতে থাকবে এবং একসময়
পর অনেক বেশি জনপ্রিয়তা অর্জন করবে আপনার ব্লগ তখন আপনি চাইলে সেখানে থেকে নানা উপায়ে
আয় করতে পারবেন। তবে সবচেয়ে জনপ্রিয় ও পচলিত আয়ের উপায়টি হলো গুগল এডসেন্স । আপনি
আপনার ব্লগে বিভিন্ন শিক্ষামূলক বিষয় নিয়ে লেখালেখি করতে পারেন ।
আরো জানুন: কিভাবে একটি ব্লগ তৈরি করতে হয় এবং সেখান থেকে আয় করতে হয় ?
৪. ফিল্যান্সিং করে আয় পারেন :
ইদানিং আমাদের দেশে ফিল্যান্সিং পেশাটা বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। তাই আপনিও চাইলে আপনার
পড়াশোনার পাশাপাশি ফিল্যান্সিং করতে পারেন এবং আয় করতে পারেন। ফিল্যান্সিং করার জন্য
আপনাকে সবার প্রথমে অনলাইন ভিত্তিক বেশ কিছু কাজে সর্ম্পকে জানতে হবে । তারপর বিভিন্ন
মার্কেটপ্লেসে আপনাকে যোগ দিতে হবে আপনি যেই কাজ জানেন সেই কাজটি পাওয়ার জন্য । এবং
আপনি যদি একটু চেষ্টা করেন তাহলে খুব সহজেই আপনি কাজ পেয়ে যাবেন এবং তা সম্পাদন করার
মাধ্যমে আয় করতে পারবেন । যা পুরো বিশ্ব জুড়ে পচলিত রয়েছে। এখন সবচেয়ে ভাল কাজের সাইটের
নামটি হলো ফাইবার – fiverr.com আপনি চাইলে এখানে কাজ করতে পারেন ।
আরো জানুন: ফাইবার কি?এখানে কোন ধরনের কাজ পাওয়া যায় তার সর্ম্পকে আলোচনা কর?
৫. শিক্ষা বিষয়ক বিভন্ন সেবা প্রধান করে আয়:
আপনার মোবাইল, ল্যাপটপ আর ইন্টারনেটকে কাজে লাগিয়ে শিক্ষার্থীদের তাদের পাঠ্যক্রমের বিভিন্ন
কাজে সহযোগীতা করার মাধ্যমে টাকা আয় করতে পারেন। শিক্ষাজীবনে একজন শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন
অনলাইনে রেজিষ্ট্রেশন, স্কলারশীপ অ্যাপ্লিকেশন, রিসার্চসহ বিভিন্ন কাজ সম্পাদন করতে হয় । যা অনেক
শিক্ষার্থীর পক্ষেই করা সম্ভব হয় না। যার ফলে তারা বিভিন্ন অভিজ্ঞ ব্যাক্তির সহযোগিতা নিয়ে থাকে।
আপনি চাইলে সেই কাজ গুলো করে দিতে পারেন এবং বিনিময়ে একটা এমাউন্টের অর্থ চার্জ করতে
পারেন এবং এভাবেও আপনি আয় করতে পারেন খুব সহজেই।
সুতরা ছাএ ও ছাএী বন্ধুরা আর বেকার সময় নষ্ট করবেন না । নিজে সময়ের দিকে খেয়াল দিন। এবং
তার সৎ ব্যবহার করুন। আপনি আয় করনে আপনি যেমন ভাল থাকবেন তেমনি আপনার পরিবার ও
খুশি হবে এবং সুখে থাকবে।
তাই বলি এগিয়ে চলুন আপনার ভাল হবে ।
ভাল থাকবেন।।
Comments (No)