Earning by Translation ট্রান্সলেশন বা অনুবাদের কাজ করে আয় 1
Earning by Translation ট্রান্সলেশন বা অনুবাদের কাজ করে আয়

নিজের কোন দক্ষতা কাজে লাগিয়ে অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করার যতগুলো কার্যকর উপায় রয়েছে তার মধ্যেট্রান্সলেটিং বা অনুবাদেরকাজটা হলো অন্যতম। Earning by Translation ট্রান্সলেশন বা অনুবাদের কাজ করে আয়

Translation কি?

ইংরেজি Translation শব্দের অর্থ অনুবাদ করা। অর্থাৎ এক ভাষা থেকে অন্য ভাষায় কোন কথা বা লেখাকে অনুবাদ করা। যিনি অনুবাদের কাজটি করেন, তাকে বলা হয় Translator বা অনুবাদক।

পৃথিবীতে কয়েক শতাধিক দেশ এবং অঞ্চল রয়েছে। এবং আমরা জানি যে, প্রত্যেকটি দেশ এবং অঞ্চলের মানুষের রয়েছে নিজস্ব ভাষা, সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য। একে অপরের সাথে কথা-বার্তা কিংবা যোগাযোগ রক্ষার জন্য নিজস্ব ভাষা ব্যবহার করা হয়।

কিন্তু যখন অন্য কোন দেশের মানুষ বা ভিন্ন ভাষাভাষী কারও সাথে যোগাযোগ রক্ষার প্রয়োজন পড়ে, তখন কিন্তু সেইভিন্ন ভাষাটানা জানলে যোগাযোগ রক্ষা করা সম্ভব হয় না। কিন্তু সবাই তো আর সব ভাষা জানে না। সেই ক্ষেত্রে উক্ত ভাষাটি জানে এমন একজনঅনুবাদকেরসাহায্য নেওয়া হয়।

একজন Translator বা অনুবাদক নিজের মাতৃভাষা ছাড়াও এক বা একাধিক ভিন্ন ভাষায় দক্ষ হয়ে থাকেন। ফলে তিনি দুটি ভাষার কোন একটির লেখা কিংবা কথাকে অপর ভাষায় অনুবাদ করতে পারেন। এরকম এক বা একাধিক ভাষা জানা ব্যক্তিকেদোভাষীওবলা হয়।

আমাদের দেশে পেশাদার অনেক ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা ভিন্ন ভাষায় কোন লেখা কিংবা অডিও কথা-বার্তা অনুবাদ করে দেন। দেশীয় মার্কেটে এই ধরণের কাজের চাহিদা এবং পারিশ্রমিক বেশ সন্তোষজনক। তাছাড়া এটি একটি সম্মানজনক পেশা হিসেবেও স্বীকৃত।

বিশ্ব বাজারে Translation চাহিদা

Translation হলো ভাষা ভিত্তিক একটি দক্ষতা। সুতরাং যেখানে ভাষা আছে সেখানে অনুবাদও থাকবে। আর ভাষা ছাড়া তো সবকিছুই অচল!

ব্যবসা-বাণিজ্য থেকে শুরু করে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, উন্নয়ন, কিংবা রাষ্ট্র ব্যবস্থাপনা সবকিছুতেই অনুবাদের প্রয়োজন হয়। বিশেষ করে, দ্রুত গ্লোবালাইজেশনের এই যুগে বিশ্ব বাণিজ্য এখন অনলাইনমুখী।

অনলাইনকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে অনেক বড় বড় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান। সেগুলোর সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা এবং বিশ্ববাজারে নিজেদের চাহিদা এবং গ্রাহক সংখ্যা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রতিনিয়ত বাড়ছে অনলাইনে বিভিন্ন ধরণের Content-এর সংখ্যা। আর এইসব কন্টেন্ট ম্যানেজ করার জন্য Translation অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

যে কোন ধরণের Business বা Service কে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিতে কিংবা বিশ্ববাজারে প্রতিযোগিতা করার জন্য অবশ্যই সংশ্লিষ্ট দেশের ভাষা এবং কালচার সম্পর্কে যথেষ্ট ধারণা রাখতে হয়। তা না হলে কখনোই ব্যবসায়িক টার্গেট অর্জন করা সম্ভব নয়।

এই ক্ষেত্রে ভাষার গুরুত্বটা সবার আগে চলে আসে। কারণ যে দেশে আপনি বিজনেস করবেন সেই দেশের ভাষা এবং কালচার সম্পর্কে আপনার ধারণা না থাকলে কখনোই সেখানে ভোক্তা কিংবা গ্রাহক তৈরি করতে পারবেন না। এই জন্য নতুন কোন অঞ্চল বা রিজিওয়নে ব্যবসা শুরু করার জন্য অবশ্যই সেখানকার ভাষা এবং রীতি-নীতি জানে এমন কোন ট্রান্সলেটরের সাহায্য নেওয়া হয়ে থাকে।

Translation সব ক্ষেত্রেই রয়েছে, ভবিষ্যতেও থাকবে। মোট কথা, এটি এমন একটি কর্ম যা সমস্ত পৃথিবীটাকে একত্রিতকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে এবং ভবিষ্যতেও করবে। আর এইসব কারণেই মূলত অনলাইন মার্কেটপ্লেস গুলোতে ইদানিং Translation চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

দুনিয়া যতই এগোচ্ছে Translation চাহিদা ততই বাড়ছে। কারণ Translation ছাড়া Global Village-এর বাস্তবিক রূপ কখনোই সম্ভব হবে না।

কেন Translation কে বেছে নিবেন?

ট্রান্সলেশনকে নিজের ক্যারিয়ার বা পেশা হিসেবে কেন নিবেন সেটা হয়তো ইতিমধ্যেই উপরের লেখাগুলো থেকে কিছুটা অনুধাবন করতে পেরেছেন। এগুলো ছাড়াও বিবেচনার জন্য আরও কয়েকটি তথ্য জেনে নিন।

দ্রুত Globalization এবং বিশ্বজুড়ে অনলাইনে Content-এর পরিমাণ বৃদ্ধির ফলে বিগত দশকে গ্লোবাল ট্রান্সলেশন মার্কেটের অবিশ্বাস্য অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। কমন সেন্স এডভাইসরী (CSA)-এর জরীপ অনুযায়ী বিগত ২০১৫ সালে Global Outsource Language Service ইন্ড্রাষ্টির মূল্যমান ছিল- ৪০ বিলিয়ন ডলার যা ২০২০ সালে প্রায় ৪৫ বিলিয়ন ডলারে এসে দাঁড়াবে।

শুধু তাই না, ট্রান্সলেটর এবং ইন্টারপ্রেটারদের কর্মসংস্থান ২০১৮ থেকে ২০২৮ সালের মধ্যে প্রায় ৯% বৃদ্ধি পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে, যা অন্যান্য ইন্ড্রাষ্টির গড় অগ্রসরতার তুলনায় অনেক বেশি।

ব্যুরো অফ ল্যাবর স্ট্যাটিক্টিস-এর তথ্য মতে সর্বোচ্চ দ্রুত গতিতে অগ্রসরমান পাঁচটি পদবীর মধ্যে রয়েছে ট্রান্সলেটর এবং ইন্টারপ্রেটার পদবীটি।

সুতরাং বুঝাই যাচ্ছে, Translation চাহিদা এবং কর্মসংস্থান বর্তমানে যেটুকু আছে আগামি অন্তত ১০ বছরের মধ্যে এর থেকেও অনেক বেশি বৃদ্ধি পাবে।

এছাড়া, Translation কাজগুলো যে কোন জায়গায় থেকেই সম্পুর্ণ স্বাধীনভাবে করা যায়। এই পেশায় যতটুকু সম্মান রয়েছে তার থেকেও বেশি রয়েছে পারিশ্রমিক। একজন দক্ষ এবং প্রফেশনাল ট্রান্সলেটর শুধুমাত্র অনলাইনে কাজ করেই সুন্দরভাবে চলার মতো পর্যাপ্ত পরিমাণ অর্থ ইনকাম করতে পারে। বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস গুলো ঘুরলেই সেটা আন্দাজ করা যায়।

এবার আসল কথায় আসা যাক। Translation কাজ করার জন্য আপনার কোন ধরণের যোগ্যতা থাকা দরকার? কিংবা কাজ করার জন্য কোন ভাষাটি আপনার জানা থাকতে হবে?

Translation ভাষা কি হবে?

অনুবাদ করার জন্য অবশ্যই দুটি ভাষা জানা প্রয়োজন। এখন কথা হলো সেই ভাষা দুটি কোনগুলো?সেগুলো কি বাংলা আর ইংরেজি, নাকি অন্য কিছু?

আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে বিদেশী ভাষা হিসেবে ইংরেজিটাই সবচে বেশি ব্যবহৃত হয় এবং এটা বেশ ভালো পারার কথা আমাদের। আর মাতৃভাষা হিসেবে বাংলা তো আছেই।

কিন্তু অনলাইনে কাজ করার ক্ষেত্রে বাংলা আর ইংরেজি দিয়ে আপনি বেশিদূর এগোতে পারবেন না। বাংলা থেকে ইংরেজি বা ইংরেজি থেকে বাংলার অনুবাদের কাজ দেশীয় লোকাল মার্কেটে পাওয়া গেলেও অনলাইনের বিশ্ব বাজারে কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা একেবারেই কম। এ ক্ষেত্রে আপনি নতুন কোন ভাষা শিখে নিতে পারেন।

ভাবছেন নতুন কোন ভাষা শিখে ফেলা কি এতই সহজ?

সহজ না, আবার কঠিনও না। আপনার যদি পর্যাপ্ত ধৈর্য আর আগ্রহ থাকে তবে নতুন একটা নয়, একাধিক ভাষাও শিখে ফেলতে পারবেন। অবশ্য এর জন্য সময় এবং কঠোর পরিশ্রমেরও দরকার হবে। কিন্তু ফলাফল যে নির্ধিদ্বায় সাফল্যজনক তা নিশ্চিত থাকতে পারেন।

নতুন ভাষা শেখার যদি আগ্রহ থাকে এবং সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন, তবে শেখার জন্য এমন একটি ভাষাকে বেছে নিবেন যেটি শিখলে ট্রান্সলেটর হিসেবে আপনার ক্যারিয়ার এবং কর্মজীবন সাফল্যময় হবে।

এই জন্য বর্তমানে ট্রান্সলেশন জবগুলোতে যেসব ভাষার চাহিদা বেশি এবং ভবিষ্যতেও যেসব ভাষার চাহিদা থাকবে পর্যাপ্ত, এমন কোন ভাষা নির্বাচন করাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে।

ট্রান্সলেশনে কোন ভাষার চাহিদা বেশি?

পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন রকমের ভাষা প্রচলিত আছে। অনলাইনে কাজ করার ক্ষেত্রে কোন ভাষার জনপ্রিয়তা সবচাইতে বেশি বা কোন ভাষাটি শিখলে বেশি কাজ পাবেন এরকম নির্দিষ্ট করে কিছু বলা মুশকিল।

তবে বিগত দশকে যেসব ভাষাভাষী ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধে পেয়েছে, যেসব ভাষার কন্টেন্ট অনলাইনে বেশি পরিমাণে রয়েছে এবং কন্টেন্ট তৈরির সংখ্যা অগ্রসরমান, যেসব দেশ বিশ্ব বাণিজ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে কিংবা যেসব ভাষার Translation চাহিদা মার্কেটপ্লেস গুলোতে বর্তমানে বেশি রয়েছে-এই রকম অনেক বিষয় বিবেচনা করে এক্সপার্টরা কিছু সাজেশন দিয়ে থাকে।

আপনি যদি Translation কাজগুলো করার জন্য কিংবা ট্রান্সলেশনকে নিজের ক্যারিয়ার হিসেবে নেওয়ার জন্য নতুন কোন ভাষা শেখার সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন তবে এক্সপার্টদের সাজেশন অনুযায়ী নীচে বর্ণিত ভাষাগুলোর মধ্য হতে কোন একটি শিখতে পারেন।

বর্তমান ট্রান্সলেশন জগতে এই ভাষাগুলোর চাহিদা রয়েছে প্রচুর এবং ভবিষ্যতেও চাহিদার পরিমাণ তুলনামূলক বেশি থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।

Translation কাজ করার জন্য যেসব ভাষা শিখতে পারেন:-

Smplified Chinese

চিন সহ সারা পৃথিবীর প্রায় ৯১৭ মিলিয়ন মানুষ যে ভাষাটি ব্যবহার করে সেটি হলো চাইনিজ বা ম্যান্ডারিন ভাষা এবং এটি চিনের অফিসিয়াল ল্যাংগুয়েজও। আর বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ইকোনোমী হলো চাইনা।

বিশ্বের অনেক দেশের সাথেই চিনের ব্যবসায়িক সম্পর্ক রয়েছে এবং চিনে উৎপাদিত বিভিন্ন পণ্য পৃথিবীর অনেক দেশেই রপ্তানী হয়। কিন্তু চায়নার অধিকাংশ মানুষই ইংরেজি বলতে পারে না, বা ইংরেজিটাকে গুরুত্ব দেয় না। সব ক্ষেত্রে তাদের নিজেদের ভাষা ব্যবহার করতেই স্বস্থিবোধ করে।

চাইনিজ ভাষাভাষী ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে এই ভাষার অনুবাদের চাহিদাও বৃদ্ধি পাচ্ছে।

সুতরাং ভালো ইংরেজি জানার পাশাপাশি চাইনিজ ভাষায় দক্ষতা অর্জন করতে পারলে অনলাইনে প্রচুর পরিমাণ Translation কাজ পাবেন তা নির্দ্বিধায় বলা যায়। অতএব, শেখার জন্য চাইনিজ ভাষাটাকে বিবেচনায় রাখতে পারেন।

Spanish

স্প্যানিশ হলো পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম জনপ্রিয় একটি ভাষা। ইউরোপ, আফ্রিকা, উত্তর আমেরিকা এবং দক্ষিণ আমেরিকা এই চারটি মহাদেশ সহ পৃথিবীর প্রায় ২০টি দেশে এই ভাষার ব্যবহার রয়েছে। ইউরোপ এবং আমেরিকায় ইংরেজির পর সেকেন্ড ল্যাংগুয়েজ হিসেবে স্প্যানিশকেই বিবেচনা করা হয়।

তাছাড়া, ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের অনেক বড় একটা অংশ স্প্যানিশ ভাষী। গড় GDP-এর হার সবচে বেশি যেসব দেশে এরকম ৫০টি দেশের মধ্যে স্প্যানিশ ভাষা ব্যবহারকারী দেশের তালিকায় রয়েছে স্পেইন, ম্যাক্সিকো, আর্জেন্টিনা, কলোম্বিয়া, চিলি এবং পেরু।

সুতরাং ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটে স্বাভাবিকভাবেই স্প্যানিশ ভাষার Translation একটা চাহিদা তৈরি হয়েছে এবং বর্তমানে এই ভাষার Translation কাজও পাওয়া যায় প্রচুর।

Arabic

পৃথিবীর প্রায় ৪২০ মিলিয়ন মানুষের মুখের ভাষা আরবী এবং প্রায় ২৫টি ভিন্ন ভিন্ন দেশের অফিসিয়াল ল্যাংগুয়েজ হিসেবে আরবীকে ব্যবহার করা হয় যার মধ্যে মিডল ইস্ট এবং আফ্রিকার অনেক দেশ রয়েছে।

এছাড়াও মিডল ইস্টে ইন্টারনেট জনপ্রিয়তা এবং ব্যবহারকারী বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে আরবী ভাষার কন্টেন্টের সংখ্যাও। সেইসব কন্টেন্ট ট্রান্সলেট করার জন্য বর্তমানে ট্রান্সলেটরদের যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে এবং তা অদূর ভবিষ্যতেও বিদ্যমান থাকবে বলে ধারণা বিশেষজ্ঞদের।

সুতরাং ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটে কাজ করার জন্য ইংরেজি জানার পাশাপাশি আরবী ভাষাটা শিখতে পারেন। এতে খুব সহজেই আরবী টু ইংলিশ বা ইংলিশ টু আরবী Translation কাজগুলো পাওয়ার সুযোগ তৈরি হবে এবং ট্রান্সলেশন পেশায় সাফল্য অর্জন করতে পারবেন।

French

Translation জন্য আরও একটি জনপ্রিয় ভাষা হলো ফ্রেঞ্চ। যেসব দেশের ইকোনোমি খুবই শক্তিশালী এরকম কয়েকটি দেশের অফিসিয়াল ল্যাংগুয়েজ হচ্ছে এটি।

সারা পৃথিবীর প্রায় ২৯ টি দেশের অফিসিয়াল ল্যাংগুয়েজ হিসেবে ফ্রেঞ্চ কে ব্যবহার করা হয়। তার মধ্যে একমাত্র অফিসিয়াল হিসেবে ১৩টি দেশ এবং কো-অফিসিয়াল হিসেবে ১৬টি দেশে রয়েছে ফ্রেঞ্চ ভাষার ব্যবহার।

সুতরাং ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটে ফ্রেঞ্চ ভাষার চাহিদা কেমন হতে পারে এবং ট্রান্সলেশন জগতে এই ভাষার কি পরিমাণ কাজ পাওয়া যেতে পারে তা সহজেই অনুমেয়।

ইংরেজি জানার পাশাপাশি ফ্রেঞ্চ ভাষাটা শিখতে পারলে আশা করি Translation কাজ করে সাফল্য লাভ করতে পারবেন।

Portuguese

ট্রান্সলেশন জগতে বর্তমানে পর্তুগীজ ভাষার চাহিদাও ব্যাপক। দুনিয়ার প্রায় ১০টি দেশের অফিসিয়াল ভাষা হিসেবে এটি প্রচলিত আছে যার মধ্যে আছে ব্রাজিল, মোজাম্বিক, অ্যাংগোলা, পর্তুগাল, গিনিয়া, ম্যাকাও ইত্যাদি দেশ।

তাছাড়া ল্যাটিন আমেরিকায় স্প্যানিশের পরেই দ্বিতীয় বৃহত্তম ভাষাটি হলো পর্তুগীজ ভাষা। ব্রিটিশ কাউন্সিল পর্তুগীজ ভাষাকে সর্বোচ্চ গুরুত্বপূর্ণ ১০টি ভাষার তালিকার মধ্যে রেখেছে UK-এর ভবিষ্যত ব্যবসা, বিজ্ঞান, শিক্ষা এবং রাজনৈতিক সুবিধাকে বিবেচনা করে।

বিজনেস এবং ইন্টারন্যাশনাল রিলেশনের ক্ষেত্রে পর্তুগীজ ভাষাটা বর্তমানে অনেক গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত। সুতরাং নতুন ভাষা হিসেবে পর্তুগীজ ভাষা শিখতে পারেন।

Japanese

অন্যান্য জনপ্রিয় ভাষাগুলোর মধ্যে Translation জন্য জাপানিজ ভাষাটাও অন্যতম। এটি জাপানের অফিসিয়াল ল্যাংগুয়েজ এবং জাপান ছাড়াও ভিন্ন আরও তিনটি দেশের মাতৃভাষা হিসেবে এটিকে ব্যবহার করা হয়।

জাপানের মোট জনসংখ্যার ৯০ ভাগই শহুরে বা উর্বান জনগোষ্ঠী, যারা তাদের মোবাইল ফোন দিয়ে অনলাইনে কেনাকাটা করতে পছন্দ করে এবং ওয়েস্টার্ণ প্রোডাক্টের প্রতি অন্যরকম একটা আগ্রহবোধ রয়েছে।

অপরদিকে জাপানের ই-কমার্স সেলস দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু দেশের ৯৯ ভাগ মানুষই ইংরেজি কিংবা অন্য কোন ভাষাকে ব্যবহার করে না। সেই ক্ষেত্রে অনলাইনে জাপানিজ ভাষার Translation চাহিদাও যথেষ্ট পরিমাণ রয়েছে।

আর জাপানিজ ভাষার একাধিক লেখার স্টাইল এবং ব্যাকরণ একটু জটিল হওয়ার কারণে এই ভাষার Translation পারিশ্রমিকও তুলনামূলক একটু বেশিই হয়ে থাকে।

Malay

অনলাইন ট্রান্সলেশন জগতে মালয় ভাষাটাও অনেক জনপ্রিয়। ডিজিটাল মার্কেটারদের কাছে মালয় ভাষা ব্যবহার হয় এরকম দেশের মধ্যে ইন্দোনেশিয়া এবং মালয়শিয়ার অনলাইন মার্কেট খুবই আকর্ষণের। কারণ এই ভাষাভাষী ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা দ্রুতই বৃদ্ধি পাচ্ছে। এছাড়া বিগত ২০১৬ সালে ইন্দোনেশিয়ার ই-কর্মাস মার্কেট প্রায় ৫.৬ মিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে।

এইসব কারণেই অনলাইনে মালয় ভাষার Translation চাহিদা বাড়ছে এবং ভবিষ্যতে এর চাহিদা আরও বাড়বে বলে মার্কেট রিসার্চারদের ধারণা।

যদিও মালয়শিয়া এবং ইন্দোনেশিয়ান ভাষার মধ্যে উচ্চারণ এবং ব্যাকরণগত কিছু পার্থক্য রয়েছে, কিন্তু যে কোন একটি শিখলে অপরটি খুব সহজেই শিখে ফেলা যাবে। যেমন- মালয় ভাষা শিখলে ইন্দোনেশিয়ান ভাষা অল্প সময়েই আয়ত্ব করতে পারবেন, কারণ ইন্দোনেশিয়ান ভাষাটি মালয় ভাষারই প্রমীত রূপ।

Russian

ট্রান্সলেশন জগতে জনপ্রিয় ভাষাগুলোর মধ্যে রাশিয়ান ভাষাটাও অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এটি রাশিয়া, বেলারুস, কাজাখাস্তান এবং কিরগিস্তানের অফিসিয়াল ল্যাংগুয়েজ। এছাড়াও ইস্টার্ন ইউরোপের কয়েকটি দেশ যেমন এস্টোনিয়া, ল্যাটিভা, লিথুনিয়া, মালডোবা, ইউক্রেইন, আর্মেনিয়া, বুলগেরিয়া, ফিনল্যান্ড এবং জর্জিয়ার মতো দেশগুলোতে রাশিয়ান ভাষার ব্যবহার রয়েছে।

অনলাইন ব্যবহারকারীদের বিরাট একটা অংশই হলো রাশিয়ান ভাষাভাষী এবং বর্তমানে রাশিয়ার অর্থনীতি এবং অনলাইন উপস্থিতি দ্রুতই বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে ট্রান্সলেশন জগতে রাশিয়ান ভাষার চাহিদাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভবিষ্যতেও এই ভাষার চাহিদা থাকবে প্রচুর। নতুন ভাষা শিখার সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকলে রাশিয়ান ভাষাটি বিবেচনায় রাখতে পারেন।

German

অন্যান্য ভাষার মধ্যে ট্রান্সলেশন জগতে জার্মান ভাষারও চাহিদা ব্যাপক। ইন্টারন্যাশনাল যে কোন ইকোনোমিতে প্রভাব সৃষ্টি করার মতো শক্তি থাকায় এটি ট্রান্সলেশন জগতে টপ লিষ্টেড ভাষাগুলোর মধ্যে অন্যতম।

তাছাড়া, যেসব দেশের ইকোনোমি সারা বিশ্বের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এমন কয়েকটি দেশেই জার্মান ভাষার ব্যবহার রয়েছে, যেমন- জার্মান, লাক্সামবার্গ, সুইজারল্যান্ড এবং বেলজিয়াম।

ইউরোপে জার্মানের অনলাইন মার্কেট দ্রুতই অগ্রসর হচ্ছে। ফশশ্রুতিতে বাড়ছে বিভিন্ন ধরণের কন্টেন্টের সংখ্যাও। আর সেইসব ক্ষেত্রে জার্মান ট্রান্সলেটরদের চাহিদা এবং পারিশ্রমিকও বৃদ্ধি পাচ্ছে।

উপরে যেসব ভাষার কথা উল্লেখ করা হলো সবকটিই বর্তমানে অনলাইন Translation জন্য অনেক জনপ্রিয় এবং এগুলোর পারিশ্রমিকও তুলনামূলক বেশি। তবে এগুলো ছাড়াও আপনার ইচ্ছা এবং সুবিধা মতো অন্য কোন ভাষাও শিখতে পারেন।

কাজের প্রকৃতি এবং ধরণ কেমন?

একজন ট্রান্সলেটর বা অনুবাদক কি ধরণের কাজ করে থাকে? এরকম প্রশ্ন হয়তো আপনার মাথায় আসতে পারে।

এটি আপনি নিজে নিজে একটু চিন্তা করলেও বুঝতে পারেন। কারণ যেখানে ভাষার প্রয়োজন আছে সেখানেই Translation প্রয়োজন হতে পারে। আর ভাষা তো সকল কিছুতেই রয়েছে।

সাধারণ চিঠি-পত্র থেকে শুরু করে অফিসিয়াল কোন লেটার অনুবাদ করা, প্রেজেন্টেশন অনুবাদ, থিসিস পেপার অনুবাদ, টেক্সট বুক, নিউজ লেটার, ইমেইল লেটার, ভিডিও গেইমস ট্রান্সলেট, সফটওয়্যার ম্যানুয়াল ট্রান্সলেট, প্রজেক্ট ডিসক্রিপশন ট্রান্সলেট, ব্যবসায়িক চুক্তিনামা অনুবাদ, মুভির সাবটাইটেল অনুবাদ, অডিও ট্রান্সলেট বা সরাসরি মুখের কোন কথার অনুবাদ (ইন্টারপ্রেটার) ইত্যাদি যে কোন কিছুই হতে পারে Translation বিষয়-বস্তু।

যেমন- বিজনেস রিলাটেড Translation কিছু উদাহরণ দেখা যাক। যেমন কোন প্রোডাক্টের ডিসক্রিপশন ট্রান্সলেট করা, প্রোডাক্ট সেলস রিপোর্ট ট্রান্সলেট করা, প্রোডাক্টের বিজ্ঞাপন ট্রান্সলেট করা ইত্যাদি।

এই সব ক্ষেত্রে আবার অনুবাদের কাজগুলোর অনেক ভিন্নতাও রয়েছে। কারণ একটি ভাষার অনেক গুলো বৈশিষ্ট্য এবং রীতি-নীতি থাকতে পারে।

যেমন, কেউ যদি সাহিত্য বিষয়ক কিছু একটা অনুবাদ করতে যায় তবে সংশ্লিষ্ট ভাষার সাহিত্য সম্পর্কে তার ধারণা থাকতে হবে এবং সাহিত্যে ব্যাকরণগত যেসব নিয়ম-কানুন রয়েছে সেগুলোও তাকে জানতে হবে। নতুবা সঠিকভাবে অনুবাদ করা সম্ভব নয়।

এরকমভাবে মেডিকেল সায়েন্সের কোন বিষয় যদি অনুবাদ করার প্রয়োজন হয় তখন মেডিকেল সায়েন্সের ভাষাগত নিয়ম-কানুন এবং অনেক টার্মস সম্পর্কে অনুবাদকের ধারণা থাকতে হবে।

সুতরাং আপনি যখন কোন ভাষা শিখবেন তখন সেই ভাষাটা খুব ভালোভাবে শিখতে হবে। যদি একটু-আধটু শিখেন তাহলে কিন্তু অনুবাদের কাজ করা সম্ভব নয়।

কারণ একজন অনুবাদক শুধুমাত্র আক্ষরিক অর্থে অনুবাদই করেন না, তিনি সংশ্লিষ্ট ভাষায় লেখা থেকে মূল ভাব এবং উদ্দেশ্যও খুঁজে বের করেন।

আর যখন কোন ভাষা পুরোপুরি শিখে ফেলবেন, তখন খুব অল্প পরিশ্রমেই সেই ভাষার বিভিন্ন শাখা-প্রশাখা সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করে নিতে পারবেন।

কাজ করার যোগ্যতা

অনুবাদের কাজ করার জন্য কি ধরণের যোগ্যতা প্রয়োজন? এই প্রশ্নটিও হয়তো আপনার মাথায় আসতে পারে। কারণ আপনি যদি অনুবাদ সম্পর্কে একদমই নতুন হন তবে এই সম্পর্কে ধারণা কম থাকাই স্বাভাবিক।

যাইহোক, অনুবাদের জন্য নিজের মাতৃভাষা ছাড়াও অন্য একটি ভাষা জানা থাকতে হয়, আর সেই ভিন্ন ভাষাটি শিখতে হয়। শেখার জন্য যা কিছু লাগে সেগুলোই হলো যোগ্যতা।

আরেকটা বিষয় হলো, আপনি একটি ভাষা জানেন, সেই ভাষায় অনুবাদও করতে পারেন ভালো। কিন্তু তাই বলে সবাই যে আপনার উপর নির্ভর করবে এবং কাজ দিবে, তা বলাটা মুশকিল। সেই জন্য নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং গুণাগুণের প্রমাণ দিতে হবে।

অনলাইন কিংবা অফলাইন সব ক্ষেত্রেই একজন ট্রান্সলেটরের ভাষা সংক্রান্ত বিভিন্ন যোগ্যতা থাকার পাশাপাশি শিক্ষাগত যোগ্যতা হিসেবে মিনিমাম স্নাতক বা ব্যাচেলর ডিগ্রি থাকাকে প্রাধান্য দেয় বেশি। এটি পৃথিবীর অধিকাংশ দেশের লোকাল মার্কেটে কাজ করার যোগ্যতা হিসেবেও বিবেচনা করা হয়।

কিন্তু কেউ যদি সংশ্লিষ্ট ভাষায় দারুন পারদর্শী হয় অর্থাৎ সেই ভাষা সম্পর্কে তার অগাধ জ্ঞান থাকে তবেও সে কাজ করতে পারে। কিন্তু সেই ক্ষেত্রে ক্লায়েন্টের আস্থা আর বিশ্বাস অর্জন করতে একটু সময় লাগতে পারে।

টেকনিক্যাল দক্ষতা

টেকনিক্যাল দক্ষতা বলতে অনলাইনে কাজ করার মতো টেকনিক্যাল বিষয় গুলো বুঝাচ্ছি। কারণ অনলাইন মার্কেটপ্লেস গুলোতে কাজ করতে গেলে টেকনোলোজি সম্পর্কে অবশ্যই কিছু ধারণা থাকতে হবে আপনার।

আর অনলাইন মানেই হচ্ছে টেকনোলোজি। অর্থাৎ টেকনোলোজি ব্যবহার করেই তো আপনি অনলাইনে এসেছেন এবং অনলাইনে কাজের জন্য তৈরি হয়েছেন।

সুতরাং ভাষা জানার পাশাপাশি কম্পিউটার, ইন্টারনেট, এবং লেখালেখি করার মতো যেসব ওয়ার্ড প্রসেসিং সফটওয়্যার রয়েছে যেমন- মাইক্রোসফট ওয়ার্ড, এক্সেল, পাওয়ার পয়েন্ট, ওয়ার্ডপ্যাড, নোটপ্যাড ইত্যাদি ব্যবহারের যোগ্যতা থাকতে হবে।

তাছাড়া, এমন কিছু Translation কাজ রয়েছে যেগুলো করতে গেলে বাড়তি কিছু দক্ষতার প্রয়োজন হয়। যেমন- কেউ যদি মুভির সাবটাইটেল অনুবাদের কাজ করতে চায়, তার জন্য – কিভাবে মুভিতে সাবটাইটেল যুক্ত করতে হয়, কোন সফটওয়্যার দিয়ে করলে ভালো হয়, এইসব জানা লাগবে।

তবে বাড়তি দক্ষতাগুলো নিয়ে টেনশন করার কোন প্রয়োজন নেই, কারণ ভাষাটা যদি শিখতে পারেন তবে এইগুলো খুব অল্প সময় আর সামান্য পরিশ্রম করেই শিখে নিতে পারবেন।

কত টাকা ইনকাম করতে পারবেন

ট্রান্সলেশন বা অনুবাদ সম্পর্কে অনেক কিছুই জানা হলো, কিন্তু সবচে কৌতূহলী এবং আগ্রহের বিষয়টাই জানা হলো না, কত টাকা ইনকাম করতে পারবো Translation কাজ করে??

টাকা ইনকামের পরিমাণটা আপনার দক্ষতা আর অভিজ্ঞতার উপর সম্পুর্ণ নির্ভরশীল। যত বেশি যোগ্যতার অধিকারী হবেন তত বেশি ইনকাম করার সম্ভাবনা বাড়বে। সুতরাং নির্দিষ্ট করে কিছু বলা মুশকিল।

তবে সাধারণভাবে একজন ট্রান্সলেটর প্রতি ঘণ্টায় ১০-৩১ ডলার পর্যন্ত আয় করতে পারে যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৮৪০-২৬০০ টাকার মতো হয়। ট্রান্সলেশন জবগুলিতে দেশ, ভাষা এবং কাজের ধরণ বিবেচনায় এই রেট কমবেশি হতে পারে।

ইনকামের পরিমাণ সম্পর্কে আরও ধারণা পাওয়ার জন্য বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস গুলোতে গিয়ে দেখতে পারেন, সেখানে কি ধরণের কাজ হয়, কেমন রেটে করা হয় ইত্যাদি অনেক কিছুই জানতে পারবেন।

বর্তমান সময়ে জনপ্রিয় সব মার্কেটপ্লেসগুলোতেই Translation কাজ পাওয়া যায় প্রচুর। এরকম কিছু মার্কেটপ্লেসের উদাহরণ হলো

একজন ভালো ট্রান্সলেটর হওয়ার উপায়

একজন দক্ষ এবং কোয়ালিফাইড ট্রান্সলেটর হওয়ার জন্য আপনাকে সর্বপ্রথম ভাষাটা শিখতে হবে। এরপর সেই ভাষায় খুবই দক্ষ হয়ে উঠতে হবে। লেখালেখি, পড়া, শোনা, বলা সবকিছুতেই সেই ভাষায় পারদর্শিতা অর্জন করতে হবে।

হুজুগের বশে বা টাকা ইনকামের নেশায় পড়ে নতুন কোন ভাষা শিখতে যাবেন না। এতে করে সেই ভাষার উপর অগাধ জ্ঞান অর্জন করতে পারবেন না, বরং আপনার অনেক সময়, শ্রম এবং মানসিক ক্ষতি হয়ে যাবে।

শেখার জন্য এমন একটি ভাষাকে বেছে নিবেন, যে ভাষাটি আপনার কাছে অধিক পছন্দের এবং সেই ভাষাভাষী মানুষ কিংবা দেশ আপনার ভালো লাগার মতো হয়। এতে ভাষা শিখাটা সহজ হবে এবং অল্প সময়েই শিখতে পারবেন।

নতুন কোন ভাষা শিখতে পারা সহজ কোন বিষয় নয়, যদিও ইচ্ছা আর আগ্রহের সামনে কঠিন বলতে কিছু নেই। তথাপি নতুন একটা ভাষা শেখা মানে নতুন একটা জগত তৈরি করা। মনে-প্রাণে, শয়নে-স্বপনে যতক্ষণ না সেই ভাষাটাকে আপন করে নিবেন, ততক্ষণ সেই ভাষার উপর দক্ষতা অর্জন সম্ভব নয়।

ভাষা শিখেই কিন্তু আপনি ট্রান্সলেশনের জবগুলো করে ফেলতে পারবেন না। এই জন্য আপনাকে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হবে। ট্রান্সলেশন বিষয়ক অনেক কিছু জানতে হবে। এই ক্ষেত্রে বিভিন্ন ট্রান্সলেটিং ওয়েবসাইট এবং জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেসগুলো ঘুরে ট্রান্সলেশনের কাজগুলো সম্পন্ন হওয়ার প্রক্রিয়া কিভাবে সম্পন্ন হয় সেসব বিষয়ে ধারণা নিতে হবে।


শেষ কথা

সবটুকু লেখা পড়া হয়ে থাকলে আশা করি- অনলাইনে ট্রান্সলেশনের কাজ করে অর্থ উপার্জন বিষয়ে অনেক কিছুই জানতে পেরেছেন। এই পোষ্টের মূল উদ্দেশ্য হলো, টাকা কিভাবে ইনকাম করতে হয় তা হাতে কলমে দেখিয়ে দেওয়া না। এই লেখাটা যারা ট্রান্সলেশনকে উপার্জনের মাধ্যম হিসেবে গ্রহণ করতে চাইছে তাদের জন্য। নতুনদের উপকারে আসবে বলে মনে করি।

লেখাটি আপনার পছন্দ হলে বা উপকারী মনে হলে অন্যদের সাথেও শেয়ার করতে ভুলবেন না। এবং এই বিষয়ে যদি আপনার কোন মন্তব্য বা উপদেশ থাকে তবে কমেন্ট বক্সে তা জানাবেন যাতে সবাই উপকৃত হতে পারে। লেখায় সর্বপ্রকার ভূলভ্রান্তি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং কোন ভুলত্রুটি পরিলক্ষিত হলে আশা করি তা শোধরানোর সুযোগ দিবেন।

অশেষ ধন্যবাদ ব্লগে এসে লেখাটি ধৈর্য নিয়ে পড়ার জন্য। আপনার জন্য শুভ কামনা।

By ইনকাম নিউজ

আমি একজন ফ্রিল্যান্সার। নিজে আয় করার পাশাপাশি নতুনদের সহযোগীতা করতে ভালবাসি।

Leave a Reply

You missed

এই সাইটের কোন লেখা কপি করা সম্পুর্ন নিষেধ