সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিংয়ের গ্রহণযোগ্যতার দিক থেকে অনেক আগেই যে ব্যবসায়িক প্রচারণার সর্বোচ্চ স্থানটি দখল করে নিয়েছে এতে কোন সন্দেহ নেই। আপনারা কি এর গ্রহণযোগ্যতার প্রমাণ চান? তাহলে নিচের পরিসংখ্যানই এর যুক্তিযুক্ত প্রমাণ দিতে সক্ষম:
- ৮৬% marketer তাদের প্রচারণার কাজে social media marketing-এর ব্যাপারে একমত হয়েছেন।
- social media marketing-এ যতটুকু বিনিয়োগ করা হয় পরবর্তী পাঁচ বছরের মধ্যে তার ডাবল return পাওয়া যায়।
- ৭৪% marketer লিড জেনারেশনের ক্ষেত্রে Facebook-এর গুরুত্বের কথা স্বীকার করেছেন।
- ৯২% ভোক্তা অন্য কোন মার্কেটিং এর তুলনায় social media marketing-এর মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্যের উপর সহজেই বিশ্বাস করেন।
- ৭৪% marketer বলেছেন, social media marketing-এ সাপ্তাহে কেবলমাত্র ৬ ঘন্টা ব্যয় করলেই ওয়েব সাইটের ট্রাফিক বাড়ানো যায়।
- ১০০% ব্যবাসায়ী বর্তমানে ব্যবসায়িক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ব্যাপারে ব্যবসায়িক মিটিং গুলো social media-তেই সেরে ফেলেন।
- ৫৩% লোক Twitter recommend-এর উপর আস্থা আনেন এবং এর মধ্যে ৪৮% লোক Twitter recommend-করা পণ্য কিনতে আগ্রহী হয়।
আশা করি social media marketing এর গুরুত্ব বুঝতে আর কোন বাধা রইলো না। বাকি রইলো জানার কি করে social media marketing-এ সফল হবেন? আর অপেক্ষা নয়, চলুন মূল আলোচনায়:
Facebook –এ আপনার পণ্যকে জনপ্রিয় করে তোলার সবচেয়ে ভাল উপায় হল আকর্ষণীয় ছবি ব্যবহার করা। আর তা হতে পারে সরাসরি আপনার পণ্যের বা সেবার ছবি কিংবা বেনার। তবে আপনাকে অবশ্যই এ ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে তা যেন অবশ্যই প্রাসঙ্গিক গ্রুপ বা পেজে পোষ্ট করা হয়। তা না হলে তা মার্কেটিং এর পরিবর্তে ডি- মার্কেটিং হবে।
1. অতীতকালের ছবি: Facebook-এ অতীতকালের ছবি আলোচনার ঝড় তুলতে সক্ষম। তাই খুঁজে বের করুন আপনার কিংবা আপনার কোম্পানির অতীতকালের বা স্মৃতিময় ছবি যা আপনার Follower-দের মধ্যে আবেগ সৃষ্টি করবে।
2. জনপ্রিয় বিষয়: Facebook-এ খুঁজে বের করুন কোন বিষয় গুলো নিয়ে সবচেয়ে বেশি আলোচনা হচ্ছে। জনপ্রিয় বিষয় গুলোর সাথে সামঞ্জস্য রেখে আপনার লক্ষ্য নির্ধারণ করুন এবং উক্ত বিষয় সম্পর্কিত পোষ্ট বা স্টেটাস দিন।
3. Quotes: Quotes image সবচেয়ে বেশি ভোক্তা আগ্রহ তৈরি করতে পারে। যেমন নিম্নের চিত্রটি লক্ষ করুন,
4. Fill in the blanks: Fill in the blanks-টাইপের স্টেটাস দিন। blanks-এর অংশটি আপনার বন্ধুরা কমেন্টস করে ফিলআপ করবে। এতে আপনি যেমন আপনার বন্ধদের মতামত সম্পর্কে জানতে পারবেন, বন্ধদরাও আপনার ব্যাপারে তাদের ধারণা ও পরমর্শ দিতে পারবেন। এই ব্যাপারে আরো পরিষ্কার ধারণা নেয়ার জন্য নিম্নের চিত্রটি লক্ষ করুন,
5. প্রশ্ন করা: Facebook-এ Followers-দের এনগেজ রাখার অন্যতম একটি উপায় হল question poll। এই পক্রিয়ায় খুব সহজেই আপনার বন্ধু কিংবা Followers-দের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে সহায়তা করে। এছাড়া এটি Facebook-এর অন্যান্য কৌশল এর চেয়ে অনেক বেশি কার্যকরীও বটে। এই পক্রিয়ায় আপনি খুব সহজেই মতামত যাচাই করে আপনার লক্ষ নির্ধারণ করতে পারবেন। নিম্নের চিত্র আরো পরিষ্কার ধারণা দিবে:
18. Event hashtags: আপনার কোন ইভেন্ট থাকলে hashtags করতে পারেন। এটি সোস্যাল মার্কেটিং-এর নতুন একটি কৌশল।
লিঙ্কডইন শিল্প-বাণিজ্যের কন্টেন্ট প্রকাশ করার ক্ষেত্রে আরও সহায়ক একটি প্ল্যাটফর্ম।
19. Detailed content: আপনার পণ্য বা সেবার বিষয়বস্তু নিয়ে আরো গভীর বিশ্লেষণ করে ব্লগ লিখুন এবং সেগুলো লিঙ্কডইন-এ শেয়ার করুন।
20. Ask questions in groups: লিঙ্কডইন হল সম্পূর্ণ প্রফেশনাল সোস্যাল মিডিয়া সাইট। আমি লক্ষ্য করেছি, খুব সাধারণ একটি প্রফেশনাল প্রশ্নও লিঙ্কডইন-এ আলোচনার ঝড় তুলতে সক্ষম ।
21. eBooks: যেহেতু LinkedIn অনেক বেশি প্রফেশনাল সোস্যাল মিডিয়া সাইট সেহেতু এখানে আপনি আপনার eBooks গুলো শেয়ার করতে পারেন।
Instagram হল এমন একটি প্ল্যাটফর্ম যেখানে আপনার কোম্পানি বা ব্রাণ্ডের লাইফ স্টাইল উপস্থাপন করতে পারবেন।
22. Fun employee photos: আপনার কোম্পানির employee ’রা কি খুব fashionable? তারা কি সবসময় দুপুরে খাওয়ার জন্য স্বাস্থসম্মত খাবার নিয়ে আসেন? তাহলে তাদের নিয়ে একটি সিরিয়াল তৈরি করতে পারেন।
23. Behind the scenes: এখানে আপনি আপনার কোম্পানির employee ’দের সাধারণ জীবন –যাপন কিংবা অফিসিয়াল আচরণের বাইরে ভিন্নধর্মী মজার আচরণ গুলো তুলে ধরতে পারেন। এটা আপনার কোম্পানির স্বচ্ছতা প্রকাশ করতে সহায়তা করবে।
24. Products: ঘন ঘন পণ্য বা সেবার ছবি আপলোড করলে একগেয়েমি সৃষ্টি হয়। এর চেয়ে বরং কোথায় এবং কিভাবে এই পণ্য বা সেবা তৈরি করা হয়, এই ধরনের ছবি আপলোড করুন।
25. Video: আপনার পণ্য বা সেবার Video তৈরি করে এখানে আপলোড করতে পারেন যা আপনাকে ভিডিও মার্কেটিং এর সুবিধা দিবে। এছাড়া কর্মীদের কর্মব্যস্ত মুহূর্ত গুলোরও ভিডিও ধারণ করে দিতে পারেন।
26. Your blog content: সবগুলো প্ল্যাটফর্মে আপনার দৃঢ় অবস্থান তৈরি হলে একের পর এক blog content সবকয়টি প্ল্যাটফর্মে শেয়ার দিন। আর এভাবেই আপনি একজন সফল অনলাইন মার্কেটার হতে পারবেন।
Comments (No)