১৪টি লাভজনক মাঝারি ব্যবসার আইডিয়া আপনি কি জানতে চান মাঝারি ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে ? তাহলে এই আর্টিকেলটা আপনার জন্য।বর্তমানে অধিকাংশ মানুষই বড় ধরনের ব্যবসা করতে চায় না। তারা চায় মাঝারি ধরনের ব্যবসা করতে। কারণ এখানে রিক্স কম থাকে লাভ বেশি হয়।আজ আমি এমন কিছু মাঝারি ব্যবসার আইডিয়া দিব পাশাপাশি নানান ধরনের টিপস সম্পর্কে আলোচনা করব।
ফলে আপনি বিজনেস সম্পর্কে ভালো একটি ধারণা পাবেন ও আপনি বুঝতে পারবেন কোনটি ব্যবসাটি আপনার জন্য ? আর এগুলো ফলো করলে অবশ্যই আপনি সফলতার উচ্চ শিখরে পৌঁছে যাবেন ।
- লাভজনক মাঝারি ব্যবসার আইডিয়া – ২০২৩
- ১. খেলাধুলার জিনিসপত্রের ব্যবসা
- ২. মাঝারি ব্যবসার আইডিয়া হল চামড়ার ব্যাগ তৈরির ব্যবসা
- ৩. উৎপাদন ব্যবসার আইডিয়া হলো ফার্নিচারের ব্যবসা
- ৪. সাবান তৈরির ব্যবসা
- ৫. মাঝারি পুঁজির ব্যবসা হলো উপহারের ব্যবসা
- ৬. মাছের খাদ্য তৈরির ব্যবসা
- ৭. কলম তৈরির ব্যবসা
- ৮. ডিজিটাল পণ্যের ব্যবসা
- ৯. সেরামিক টাইলস তৈরির ব্যবসা
- ১০. ইলেকট্রিক পণ্যের ব্যবসা
- ১১. জৈব সার উৎপাদনের ব্যবসা
- ১২. গাড়ি ভাড়া দিয়ে ব্যবসা
- ১৩. মাঝারি ব্যবসার আইডিয়া হলো কাপড় সাপ্লাইয়ের ব্যবসা
- ১৪. বাল্প তৈরির ব্যবসা
লাভজনক মাঝারি ব্যবসার আইডিয়া – ২০২৩
আমি এখানে ১৪টি আইডিয়া দিব যেগুলো প্রত্যেকটি প্রসিদ্ধ এবং নামকরা ব্যবসা। যদি প্রচুর পরিশ্রম করেন ও প্রচুর সময় দেন তাহলে অল্প সময়ের মধ্যে আপনি সফল হতে পারবেন। চলুন আলোচনা শুরু করা যাক ।
১. খেলাধুলার জিনিসপত্রের ব্যবসা
ছোট থেকে শুরু করে বড় সবাই খেলাধুলা পছন্দ করেন এবং তারা খেলাধুলার জিনিসপত্র ক্রয় করে। এই কারণে খেলাধুলার জিনিসপত্রের অনেক চাহিদা রয়েছে। খেলাধুলার জিনিসপত্র বিভিন্ন ধরনের হয় ।
যেমন : জার্সি, বল, ব্যাট, ট্রাউজার ইত্যাদি এরকম জাতীয় খেলাধুলার আসবাবপত্র। আপনি এসব খেলাধুলার জিনিসপত্রের দোকান দিয়ে ব্যবসা করতে পারেন।
এ ব্যবসার জন্য আপনার বেশি পুঁজি লাগবেনা। তবে আপনাকে ন্যায়-নিষ্ঠার সাথে এ ব্যবসায় লেগে থাকতে হবে। দেখবেন দ্রুত সফলতা অর্জন করবেন।
২. মাঝারি ব্যবসার আইডিয়া হল চামড়ার ব্যাগ তৈরির ব্যবসা
বর্তমানে অধিকাংশ মানুষই চামড়ার ব্যাগ ব্যবহার করতে পছন্দ করে। তাই চামড়ার ব্যাগের অনেক চাহিদা রয়েছে। আপনি এই চামড়ার ব্যাগের ব্যবসা শুরু করে দিতে পারেন। চামড়ার ব্যাগের ব্যবসা অনেক লাভ হয়।
কারণ বর্তমানে চামড়ার দাম অনেক সস্তা। কিন্তু চামড়া দিয়ে তৈরি ব্যাগ, জুতা এগুলোর দাম আগের মতোই অনেক বেশি। এ ব্যবসা শুরু করতে গেলে অবশ্যই আপনাকে অভিজ্ঞ হতে হবে।
অথবা অভিজ্ঞ সম্পন্ন কোন লোক রাখতে হবে। যারা এ ব্যাপারে পারদর্শী। তাহলে আপনি দ্রুত সফলতা অর্জন করতে পারবেন।
৩. উৎপাদন ব্যবসার আইডিয়া হলো ফার্নিচারের ব্যবসা
প্রতিটা বাড়িতেই ফার্নিচার রয়েছে বিশেষ করে কাঠের। কাঠের ফার্নিচার সবাই পছন্দ করে। যেমন : টেবিল, চেয়ার, খাট, ওয়ারড্রব, সুপারসেট ইত্যাদি এরকম নানান জাতীয় জিনিস তৈরি করে বিক্রি করতে পারেন।
এসব জিনিসের প্রতি মানুষের চাহিদা অনেক বেশি এবং লাভ অনেক বেশি। তাই আপনিও এ ব্যবসা শুরু করে দিতে পারেন।
৪. সাবান তৈরির ব্যবসা
মাঝারি ব্যবসার আইডিয়া হল সাবান তৈরির ব্যবসা । অর্থাৎ : প্রতিটা মানুষেরই সাবান লাগে। তাই এই সাবানের প্রতি মানুষের চাহিদা অনেক বেশি। আপনি যদি এ ব্যবসা ভালোভাবে করতে পারেন তাহলে কোন রিক্স থাকবেনা। সফলতা অর্জন করবেন।
এর জন্য অবশ্যই আপনাকে সাবান তৈরির ব্যাপারে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হবে। যারা অভিজ্ঞ তাদেরকে রাখতে পারেন।
অথবা আপনি নিজে শিখে তৈরির কাজটা করতে পারেন। শিখার জন্য সবচেয়ে ভালো হয় কোন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে প্রশিক্ষণ নেওয়া।
হয়তোবা তিন থেকে চার মাস সময় লাগতে পারে। তারপর আপনি ব্যাবসা শুরু করে দিতে পারেন।
৫. মাঝারি পুঁজির ব্যবসা হলো উপহারের ব্যবসা
অধিকাংশ লোক উপহার কিনে থাকে কাউকে গিফট করার জন্য অথবা অন্য কোনো কারণে। তাই উপহারের প্রতি মানুষের চাহিদা রয়েছে।
আপনি যদি ভাল মানের এবং আনকমন উপহার দোকানে রাখতে পারেন তাহলে অবশ্যই বিক্রি হবে।
অল্প কয়েকদিনেই সফলতা লাভ করবেন। অতএব আপনি এই ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন। এই মাঝারি ব্যবসার আইডিয়া অনেক চমৎকার।
সফলতা আপনার পিছন পিছন আসবেই । আপনার সফলতার পেছনে ঘুরতে হবে না।
৬. মাছের খাদ্য তৈরির ব্যবসা
দিন দিন মাছ চাষের চাহিদা বাড়ছে। কেননা এ ব্যবসায় লাভ বেশি । তাই বর্তমান সময়ে মাছ চাষ করছে । আর মাছের জন্য যেহেতু খাদ্য প্রয়োজন । তাই মাছের খাদ্যের চাহিদা বাড়ছে।
অতএব আপনি মাছের খাদ্য তৈরি করে তা বিক্রি করতে পারেন। এ ব্যবসা শুরু করার পূর্বে অবশ্যই আপনাকে এ ব্যবসা সম্পর্কে ভালো ধারনা নিতে হবে এবং অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হবে। তাহলে খুব দ্রুত সফলতা অর্জন করতে পারবেন।
৭. কলম তৈরির ব্যবসা
কলমের অনেক চাহিদা অনেক। কেননা ছোট থেকে বড় প্রতিটি মানুষের জন্য কলম প্রয়োজন হয় । চাই সেটা লেখা পড়ার জন্য হোক অথবা ব্যবসার জন্য হোক ।
মোট কথা কলম প্রয়োজনীয় জিনিষ । এই ব্যবসা অনেক লাভজনক। খুব কম পুঁজি দিয়ে কলমের ব্যবসা শুরু করতে পারেন। আপনি এ ব্যবসা ৩৫০০০ টাকা দিয়ে খুব সহজেই শুরু করতে পারেন ।
৮. ডিজিটাল পণ্যের ব্যবসা
বর্তমানে ডিজিটাল পণ্যের প্রতি চাহিদা অনেক। ডিজিটাল পণ্য হল : মোবাইল ফোন, হেডফোন ,ল্যাপটপ, কিবোর্ড মাউস ইত্যাদি এরকম পণ্যকে ডিজিটাল পণ্য বলা হয়।
এই ডিজিটাল পণ্যের চাহিদা ধীরে ধীরে বেড়েই চলছে। অতএব আপনি এই ডিজিটাল পণ্যের ব্যবসা শুরু করে দিতে পারেন। অবশ্যই অল্প সময়ে সফলতা লাভ করবেন যদি ভালোভাবে ব্যবসা করে থাকেন।
৯. সেরামিক টাইলস তৈরির ব্যবসা
টাইলস তৈরি করে বিক্রি করতে পারেন। টাইলস এর চাহিদা অনেক বেশি । কেননা বর্তমানে প্রতিটা ঘরে টাইলস করা হয়। অতএব
এই ব্যবসার জন্য অবশ্যই আপনাকে অভিজ্ঞতা সম্পন্ন হতে হবে। তাহলে খুব অল্প সময়েই সফলতা লাভ করবেন।
১০. ইলেকট্রিক পণ্যের ব্যবসা
ইলেকট্রিক পণ্য হল এমন জিনিস যেটা প্রতিটা বাড়িতেই লাগে। এ পণ্যের প্রতি মানুষের চাহিদা অনেক বেশি। তাই আপনি ইলেকট্রিক পণ্যের দোকান দিয়ে ব্যবসা করতে পারেন।
আরো পড়ুন :-
- গার্মেন্টস ব্যবসা করার নিয়ম
- ফেসবুকে ব্যবসা করার নিয়ম
১১. জৈব সার উৎপাদনের ব্যবসা
এই সারের অনেক চাহিদা রয়েছে। জৈব সার উৎপাদন করা অনেক সহজ। গরুর গোবরের মাধ্যমেই জৈব সার উৎপাদন করা সম্ভব।
অতএব আপনি অল্প টাকা খরচ করে অনেক লাভবান হতে পারবেন। এ ব্যবসায় লাভ অনেক বেশি।
১২. গাড়ি ভাড়া দিয়ে ব্যবসা
আপনি কয়েকটি গাড়ি কিনে তা ভাড়া দিতে পারেন। এ ব্যবসায় প্রচুর লাভ রয়েছে।
আরেকটি বিষয় বর্তমানে কিছু রাইড শেয়ারিং সার্ভিস রয়েছে যেমন পাঠাও, উবার ইত্যাদি এসব সার্ভিসে গাড়ি যুক্ত করতে পারেন।
তারপর এখান থেকে প্রচুর পরিমানের টাকা ইনকাম করতে পারবেন। অতএব আপনি এই ব্যবসাটি আজি শুরু করে দিতে পারেন।
১৩. মাঝারি ব্যবসার আইডিয়া হলো কাপড় সাপ্লাইয়ের ব্যবসা
কাপড়ের চাহিদা প্রচুর রয়েছে। এই কাপড়ের চাহিদা কখনো কমবেনা। তাই আপনি বিভিন্ন গার্মেন্টস থেকে কাপড় ক্রয় করে বিভিন্ন এলাকায় সাপ্লাই দিতে পারেন
অথবা বিভিন্ন পাইকারদের কাছে সাপ্লাই দিতে পারেন।
এ ব্যবসা যদি ভালোভাবে করতে পারেন তাহলে সফলতা দ্রুত আসবে।
এই জন্য একটু পরিশ্রম করতে হবে। পাশাপাশি আপনার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। তাহলে এ ব্যবসায় টিকে থাকতে পারবেন।
১৪. বাল্প তৈরির ব্যবসা
মাঝারি ব্যবসার আইডিয়া হিসেবে বাল্প তৈরী করে বিক্রি করতে পারেন । বাল্প এর অনেক চাহিদা রয়েছে। এ ব্যবসায় লাভ অনেক বেশি। লস খাওয়ার চান্স নাই। এ ব্যবসা আপনি অল্প টাকায় শুরু করতে পারেন।
যেমন : মধ্যম ধরনের একটি লাইট বানাতে খরচ হয় 30 থেকে 35 টাকা ।
আর আপনি ঐ লাইটটি বিক্রি করতে পারবেন পাইকারি হিসেবে 50 থেকে 60 টাকা। এই লাইটটিই খুচরা বিক্রয় করা হবে 100 টাকা।
আর যদি হাই কোয়ালিটি লাইট বানানো তাহলে আপনার খরচ পড়বে ৪৫ থেকে 60 টাকা। আর এই লাইট খুচরা হিসাবে বিক্রি করা হয় 200 থেকে 300 টাকা। অতএব আপনি এই ব্যবসা আজ শুরু করে দিতে পারেন।
পরিশেষে বলব : উপরে মাঝারি ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে আলোচনা করা হলো । যদি ভালো লাগে তাহলে কমেন্ট করে জানাবেন। পাশাপাশি শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ।
Comments (No)