সেরা ১৫টি অনলাইনে ইনকাম করার উপায়। Top 15 way Earn Money অনলাইনে ইনকাম করার উপায়। সেরা ৩০টি অনলাইনে ইনকাম করার উপায় বলেছি। যার ভিতর ১৫টি বর্ণনা করেছি। ইনকাম করার জন্য দশ মিনিট পড়ুন। অনলাইনে ইনকাম করার উপায় নিয়ে আলোচনা করা হবে। আপনার জীবনের মূল্যবান ১০ মিনিট সময় দিন; নয়লে পড়েও কোনো কাজে আসবে না।
অনেকের মাথায় একটা চিন্তা থাকে অনলাইনে কি টাকা ইনকাম করা যায়। আমি বলব হ্যা, তবে আপনি আমার কথায় বিশ্বাস করবেন কেন?
আপনি আশেপাশে খোজ নিয়ে দেখতে পারেন; যেমন:- ফাইভার, আপওয়ার্ক, ফ্রিল্যান্সার ইত্যাদি এসব সাইটে ঢুকে দেখুন আসলেই অনলাইনে ইনকাম করা যায়।
ধরলাম বিশ্বাস করছেন অনলাইন ইনকাম করা যায় এবং আপনিও মনে প্রাণে অনলাইনে টাকা ইনকাম করতে চান। কিন্তু অনলাইনে ইনকাম করার উপায় জানেন না।
চিন্তার কারণ নেই, আপনি একদম ঠিক জায়গায় এসেছেন। আমি এখানে সেরা ১৫টি অনলাইনে ইনকাম করার উপায় বলে দেব। যেটা আপনার পছন্দ হয় সেটার উপর দক্ষতা অর্জন করে সহজে ইনকাম করতে পারবেন।
সূচীপত্র: অনলাইনে ইনকাম করার উপায়
অনলাইনে ইনকাম করার ১৫টি উপায়
১. ফরম পোস্টিং
২. কন্টেন্ট রাইটার
৩. নিজের ব্লগিং সাইট করে
৪. ইউটিউব চ্যানেল খুলে
৫. ভার্চ্যুয়াল সহকারী
৬. ভিডিও এডিটিং
৭. ই-মেইল মার্কেটিং
০৮. এস ই ও স্পেশালিস্ট
০৯. ডিজিটাল মার্কেটিং
১০. ওয়েব ডিজাইন
১১. এপস ডেভলপার
১২. গ্রাফিক্স ডিজাইনার
১৩. অনুবাদক
১৪. গেম ডেভলপার
১৫. হ্যাকার / সিকিউরিটি এক্সপার্ট
অনলাইনে ইনকাম করার আরো উপায়
কিভাবে অনলাইন কাজগুলো শিখবো
সারাংশ / আউটলাইন
অনলাইনে ইনকাম করার উপায়
অনলাইনে অনেকভাবে আয় করা গেলেও আমরা দুটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করি। ১. অনলাইন ব্যবসা ২. ফ্রিল্যান্সিং
অনলইনে ব্যবসা বলতে আপনি একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলে কাজ করলেন। এখনে যেহেতু আপনি অন্যের কোনো কাজ করে দিচ্ছেন না; তাই ফ্রিল্যান্সিংয়ের ভিতর পড়ে না। তাহলে ইউটিউব, ব্লগিং এগুলো অনলাইন ব্যবসা।
কিন্ত আপনি যদি অন্যের ইউটিউব চ্যানেল, ব্লগ ইত্যাদিতে কাজ করে টাকা নেনে; তখন সেটা ফ্রিল্যান্সিং হবে।
যেহেতু ফ্রিল্যান্সিং ও ব্যবসা দুভাবেই টাকা আয় করা যায়; তাই দুটো ক্যাটাগরি থেকে কাজগুলো তুলে ধরা হল।
১. ফরম পোস্টিং
অনলাইন ইনকাম জগতের সবচেয়ে সহজ কাজ। আপনাকে ফরম পোস্টিং করার জন্য খুব বেশি কিছু জানতে হবে না; শুধুমাত্র ইচ্ছামতো প্রশ্ন করা জানলেই হবে।
অনলাইনে কোরা, রেডডিট, স্টাকওভার ফ্লো ইত্যাদি সহ অনেক ফর্ম আছে। যারা তাদের ফর্ম প্রশ্ন করার জন্য আপনাকে হায়ার করে।
কেন প্রশ্ন করার জন্য হায়ার করে? তাদের ফর্মকে ব্যাস্ত ও গ্রাহক বাড়ানোর জন্য। যাতে এডসেন্স থেকে অধিক ইনকাম করতে পারে।
কেথায় এই কাজ পাওয়া যায়? গুড প্রশ্ন, এসকল কাজ ফ্রিল্যান্সার মার্কেটপ্লেসে পাওয়া যায়।
মার্কেটপ্লেসে যাবেন, ফর্মপোস্টিং লিখে সার্চ দেবেন। কাজে বিট করবেন, হয়তো আপনার একটা ইন্টারভিউ নিবে; এবং আপনি কাজটা পেয়ে যেতে পারেন। সাধারণত প্রশ্নসংখ্যার উপর ভিত্তি করে টাকা দিয়ে থাকে। প্রশ্নপ্রতি $০.৪৫- $০.৭৫ ডলার দিয়ে থাকে।
অনলাইনে ইনকাম করার উপায়
২. কন্টেন্ট রাইটার
আপনি যাদি কোনো টপিকের উপর ভালো আর্টিকেল লিখতে পারেন তবে তা দিয়ে অনেক আয় করতে পারবেন।
অধিকাংশ সময় দেখা যায় কোনো ওয়েবসাইটের মালিক ব্লগটাকে আরো আকর্ষনীয় ও অধিক ভিজিটর পেতে চায়। কিন্তু সময় সল্পতাসহ বিভিন্ন কারণে সে কন্টেন্ট লিখতে পারছে না তখন কাউকে হায়ার বা ভাড়া করে, কন্টেন্ট লেখার জন্য।
এটা আপনার কাছে একটা বড় সুযোগ। তবে এই কাজ করার জন্য আপনাকে কিছু কাজ করতে হবে।
প্রথমে সুন্দর করে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটে সুন্দর ও আকর্ষনীয় ভাবে নিজেকে ও কাজকে প্রফাইলের মাধ্যমে উপস্থাপন করতে হবে।
রাইটিং রিলেডেট জব খুজে বের করে তাতে বিড বা এপ্লায় করতে হবে।
ওয়েবসাইটের মালিকের সাথে আপনার রাইটিং জব ও কিছু স্যাম্পল দিয়ে, কাজটা আপনাকে দেয়ার জন্য রাজি করাতে হবে।
একাজে কত টাকা পর্যন্ত আয় করতে যায়?
কতটাকা ইনকাম করা যাবে সেটা আপনার দক্ষতা ও কাজের উপর নির্ভর করে। তবে প্রতিটি কন্টেন্ট এর জন্য $৫ -$১০০+ ডলার আয় হয় লেখার দৈর্ঘ্য অর্থাৎ শব্দসংখ্যার উপর ভিত্তি করে।
যদি নতুন রাইটারও হয়ে থাকেন তবুও প্রতি ১০০ শব্দে ১ ডলার করে আয় করতে পারবেন।
জানুন কিভাবে SEO Frendly আর্টিকেল লিখতে হয়
৩. নিজের ব্লগিং সাইট করে
অনলাইনে ইনকাম করার উপায়গুলোর মধ্যে ব্লগিং সেরা। তবে বর্তমানে ব্লগের চেয়ে ইউটিউব থেকে বেশি আয় করা যাচ্ছে। কারণ মানুষ পড়ার চেয়ে ভিডিও দেখা বেশি পছন্দ করে।
ব্লগিং একটা প্যশান। ব্লগিং করে টাকা আয় করতে হলে আপনাকে অনেক ধৈয্য ধারণ করতে হবে। ব্লগিং করার জন্য রাইটিং স্কিল থাকলে ভালো হয়।
ব্লগিং ফ্রি ও টাকা ইনভেস্ট করে এ দুভাবে করা যায়। ফ্রিতে বিভিন্ন সাইট আছে, যেখানে সাবডোমেইন এর আওতায় ও ফি্রতে সাইট খুলে লেখা-লেখি করতে পারেন।
তবে ফ্রিতে অনেক সময় ঝামেলা হয় এবং এতে আপনার অনেক সময় ব্যয় হবে।
আমি রিকমেন্ড করি টাকা দিয়ে ডোমেইন ও হেস্টিং কিনে শুরু করুন। একাজে আপনার ১০০০-৩০০০ টাকার মতো খরচ হবে। এতে সুবিধা আছে যেমন- নিজস্ব ডোমেইন হোস্টিং থাকছে এবং পরবর্তীতে কোনো ঝামেলা পোহাতে হবে না।
ব্লগিং এ লেখালেখি করে যত ভিজিটর আনতে পারবেন তত ইনকাম হবে। ব্লগিং এর মূল উদ্দেশ্য ভিজিটর আকর্ষণ করা এবং সাইট বেশি বেশি ভিজিট করানো।
এবার আসি টাকা ইনকাম করার বিষয়ে, সাইটে গুগল এডসেন্স যোগ করে এড দেখানো মাধ্যমে প্রতিমাসে $১০০-$১০০০+ ডলার ইনকাম করা যায়।
কত টাকা আয় করতে পারবেন ভিজিটর ও ভিজিটের লোকেশন এর উপর নির্ভর করে।
কিভাবে ফ্রি ওয়েবাসাইট তৈরি করবেন- ফ্রি ডোমেইন হোস্টিংসহ।
ব্লগিং করে আয় করার উপায়-2022।
তারপর অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করেও প্রচুর ইনকাম করা যায়। আবার প্রিমিয়াম সাবস্কিপশনের মাধ্যমেও ভালো অংকের টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
এজন্য আপনাকে সামান্য ধৈয্য ও কাজ করার মানষিকতা রাখতে হবে। শুধু একটা কথা মনে রাখবেন ধৈয্য ছাড়া অনলাইনে আয়ের বিকল্প নেই।
৪. ইউটিউব চ্যানেল খুলে
যাদের লেখালিখি ভালো লাগে না তারা ভিডিওর মাধ্যমে আয় করতে পারেন, ইউটিউবের মাধ্যমে।
বর্তমানে কারো অজানা থাকার কথা নয় যে ইউটিউবে ইনকাম করা যায়। শুধু আপনার ভিতর কাজ করার স্পৃহা থাকতে হবে।
ইউটিউবে কাজ করার জন্য আপনার মোবাইল বা কম্পিউটারই যথেষ্ট। কোনো খরচ বা ইনভেস্ট করা লাগবে না।
শুধু একটি চ্যনেল খুলবেন, পছন্দের ভিডিও আপলোড দিবেন, ব্যাস। যদি ভিডিওতে ভালো ভিউজ হয় তবে গুগল এডসেন্সে এপ্লায় করুন। গুগল এডসেন্স এপ্রুভ (approve) হলে এড দেখানো শুরু হবে সাথে টাকা ইনকামও।
ইউটিউবে কাজ করার জন্য কিছু বিষয় খেয়াল বাখুন-
মোটামটি ভিডিও এডিটিং জানতে হবে।
ভালো মানের সম্পাদনা জানতে হবে।
ভুলেও কারো কন্টেন্ট কপি করবেন না। কপি কিরছেন তো ইউটিউব চ্যানেল শেষ।
কোনো একটি পছন্দের টপিক নিয়ে কাজ করুন, দ্রুত সফল হবেন। আমি আবারও বলছি অনলাইনে ইনকাম করার উপায় গুলোর মধ্যে ইউটিউব সেরা প্লাটফর্ম।
ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম (Professionally).
ইউটিউব থেকে টাকা উপার্জন: ৬টি উপায়
অনলাইনে ইনকাম করার উপায় । way to earn money online in bengali
৫. ভার্চ্যুয়াল সহকারী
বর্তমান যুগ ইন্টরনেটের যুগ। মানুষ ইন্টরনেট ব্যবহার করে কাজ করতে সাচ্ছন্দবোধ করে। মানুষ অনলাইনে কাজের সাহায্যের জন্য লোক নিয়োগ দেয়।
বিভিন্ন কাজের জন্য বিভিন্ন মানুষ বা কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান এদের নিয়োগ দিয়ে থাকে; এদের ইনকাম ভালো। আপওর্য়াকে সহ বিভিন্ন মার্কেটে খোজ নিয়ে দেখতে পারেন।
এদের কাজের ভিতর ডাটা-এন্ট্রি, লেখালিখি, ডিজাইনসহ বিভিন্ন কাজ রয়েছে। এদের কাজের ক্ষেত্র এত বড় যে এখানো আলোচনা করে শেষ করা যাবে না।
ভার্চ্যুয়াল সহকারীরা ঘন্টায় $৫-$২০০+ ডলার চার্জ করে থাকে। এটা ব্যক্তি অভিজ্ঞতা ও কাজের দক্ষতার উপর নির্ভর করে।
যেকোনো অনলাইন রিলেটেড কাজের উপর দক্ষতা অর্জন করে ভার্চ্যুয়াল সহকারী হিসেবে কাজ করতে পারেন।
এজন্য কাজ শেখার পর মার্কেটে নিজের প্রফাইল খুলবেন এবং আপনার কাজ রিলেটেড কাজে আবেদন করবেন।
অনলাইনে আয়ের যতগুলো উপায় আছে; অনলাইনে আয়ের সবচেয়ে সহজ উপায় ডাটা এন্ট্রি।
৬. ভিডিও এডিটিং
ভাব প্রকাশের সবচেয়ে শক্তিশালী মাধ্যম হল ভিডিও। ভালো মানের ভিডিও সম্পাদন করার জন্য ভালো মানের ভিডিও এডিটিং এর দরকার হয়।
বর্তমানে ডিজিটাল কনটেন্ট এর মধ্যে ভিডিওর জনপ্রিয়তা সর্বাধিক তা ইউটিউব দেখলে সহজে অনুমান করা যায়। ইউটিউবের এত জনপ্রিতার মূল করণ ভিডিও।
আমরা ইন্টারনেটসহ যত ভিডিও দেখি তার ৯৯.৯৯% এডিট করা। এডিট না করলে ভিডিওর মান খারাপ হয়। নয়েজের কারণে শব্দ শোনা যায় না তাছাড়া সম্পুর্ণ ভিডিওটি একেবারে করা যায় না।
বিভিন্ন খন্ড অংশের জোড়া দিয়ে একটি ভিডিও, নাটক বা চলচিত্র নির্মাণ করা হয়। এতসব করার জন্য একজন দক্ষ ভিডিও এডিটরের দরকার হয়।
বর্তমানে যেহেতু ভিডিও কনটেন্ট এর চাহিদা বেশি তাই একজন ভিডিও এডিটরের অনেক চাহিদা। ভালো মানের ভিডিও এডিটিং শিখে এই সুযোগটাকে সহজে কাজে লাগাতে পারবেন।
কাজকরে কত আয় করতে পারবো? ভালো প্রশ্ন! মাসে কত আয় করবেন তা আপনার অভিজ্ঞতার উপর নির্ভর করে। তবে একটা আনুমানিক হিসাব দিয়ে বাখি, প্রজেক্ট প্রতি $৫-$১০০০+ ইনকাম করতে পারবেন অতি সহজে।
ভালো কাজ জানলে যেকোনো প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানে কাজ পেয়ে যেতে পারেন। তাছাড়া ইন্টারনেটের মাধ্যমে অনেক টাকা আয় করতে পারেন।
অনলাইনে ইনকাম করার উপায় – earn mone online / online income korar upay
৭. ই-মেইল মার্কেটিং
বর্তমানে মোবাইল বা কম্পিউটার আছে অথচ ই-মেইল নেই এমন ব্যাক্তি খুজে পাওয়া কষ্ট। গুগলের আশির্বাদে সবারই জিমেইল খোলা বাধ্যতামূলক হয়েছে।
ই-মেইল মার্কেটিং অনেক বিস্তৃত একটি বিষয়। এখানে সামান্য কিছু বলব।
কোনো পণ্য প্রচার বা বিক্রি করার জন্য অনলাইনে টার্গেটেড অডিয়েন্সকে খুজে তাদের ইমেইল সংগ্রহ করা হয়। ই-মেইলটাকে আকর্ষণীয় টেমপ্লেট আকারে বানানো হয়। এবার ই-মেইল গ্রহকের নিকট পাঠানো হয়।
এটার দ্বারা পণ্যের প্রচার ও প্রসার করা খুব সহজ হয়। বিভিন্ন কোম্পানি তাদের প্রচারের জন্য আপনাকে হায়ার করবে।
আবার এফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য ই-মেইল মার্কেটিং করা হয়। এটা কিভাবে? ধরুন আপনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য লিংক সংগ্রহ করলেন। এবার এই লিংক সুন্দর টেমপ্লেটে ডিজাইন করে ইমেইলের মাধ্যমে প্রচার করলেন। যদি কেউ এই অ্যাফিলিয়েট লিংক থেকে পণ্য কেনে আপনার কমেশন অসবে।
ফাইভারে গিগ করে কাজ পেতে পারেন। দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার আলোকে ই-মেইল সংখ্যার উপর ভিত্তি করে টাকা নিবেন। ইমেইল সংগ্রহ করে বর্তমান সময়ে ইন্টারনেটের মাধ্যমে অনেক টাকা আয় করা যায়।
০৮. এস ই ও স্পেশালিস্ট
ইন্টারনেট জগতে সার্চ র্যাংক যত ভালো তার ভিজিটর তত বেশি। ওয়েবসাইটে ভিজিটর বেশি হলে আয় বেশি।
গুগলে ভালো র্যাংক পাওয়ার জন্য সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (এস ই ও) এর বিকল্প নেই। বর্তমানে এ কাজের চাহিদা আকাশচুম্বি। এসইও না করালে সাইটের ভিজিটর হবে না।
এসইও যেহেতু টেকনিক্যাল বিষয় তাই শিখতে একটু সময় লাগবে কিন্তু শিখার পর কাজের অভাব হবে না। এটি শিখে আপনি সহজেই মাসে $৫০০-$৫০০০+ ডলার আয় করতে পারবেন।
যদি ভালো পারফমেন্স দেখাতে পারেন তবে ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানি থেকে জব অফার পেতে পারেন। শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে ভাবার দরকার নেই। বর্তমানে গুগল, ফেসবুকের মতো বড় বড় কোম্পানিতে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নেই এমন অনেকেই কাজ করছে।
০৯. ডিজিটাল মার্কেটিং
অনলাইনে ইনকাম করার উপায়গুলোর ভিতর ডিজিটাল মার্কেটিং অন্যতম।
ডিজিটাল মার্কেটিং করে অনলাইনে ইনকাম করার উপায়
digital Marketing
ডিজিটাল কনটেন্ট ও প্রডাক্টের জগতে ডিজিটাল মার্কেটিং অনেক গুরুত্বপূর্ণ। প্রাডাক্ট বিক্রির বড় একটা অংশ নির্ভর করে মার্কেটিং এর উপর।
মার্কেটিং কি? কোনো পণ্যকে গ্রাহক বা ভোক্তার কাছে উপস্থাপন বা প্রচার করার একটা পদ্ধতি। যেটা দেখে গ্রাহকের মনে পণ্যটা কেনার আগ্রহ জাগে। আদিম মার্কেটিং হল ব্যানার বা মাইকিং করে পণ্য প্রচার।
তাহলে ডিজিটাল মার্কেটিং হল ইন্টারনেট ব্যবহার করে পণ্যের প্রচার করা।ডিজিটাল মারে্কটিং বিশাল বিস্তৃত বিষয়। ই-মেইল মার্কেটিং ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটি ছোট্ট অংশমাত্র। এছাড়া আরো রয়েছে সোস্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, কনটেন্ট মার্কেটিং ইত্যাদি মিলিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং।
বর্তমানে ডিজিটাল মার্কেটারের চাহিদা প্রচুর। এটি শিখার জন্য ইন্টারনেটে প্রচুর রিসের্স আছে। চাইলে বিনা খরচে খুব সহজেই শিখতে পারেন।
একজন ডিজিটাল মার্কেটার পণ্য প্রচার করে দুভাবে আয় করে থাকে। পণ্যপ্রতি কমিশন নিয়ে অথবা প্রজেক্ট প্রতি দর হিসেব করে।
একজন মার্কেটার মাসে অনেক টাকা আয় করে থাকে।
পড়ুন: ডিজিটাল মার্কেটিং করার সকল উপায়।
১০. ওয়েব ডিজাইন
অনলাইনে ইনকাম করার উপায় : Webdesign
web design করে আয়
বর্তমানে কয়েক বিলিয়ন ওয়েবসাইট একটিভ(active) রয়েছে। এগুলো ডিজাইন ওয়েব ডিজাইনাররা করে থাকে।
প্রতিটি জিনিস ডিজিটালাইজ হওয়ার কারণে নতুন নতুন ওয়েবসাইট তৈরী হচ্ছে। তাছাড়া প্রতিটি কোম্পানি তাদের নিজেদের জন্য ওয়েবসাইট বানাচ্ছে। একবার ভেবে দেখুন এই কাজের জন্য কত চাহিদা বাড়েছে ওয়েবডিজাইনারদের।
ওয়েবডিজাইনারের কাজ কি? এদের কাজ কোনো সাইটের ফন্টসাইট অর্থাৎ সাইটের যে অংশ আমরা দেখতে পাই সেই অংশের ডিজাইন করা।
কাজ কোথায় পাব? যেকোনো মার্কেটপ্লেসে নিজর কাজের পোর্টফোলিও সহ প্রোফাইল তৈরি করে কাজে বিট করুন। বায়ার আপনাকে কাজটা দিলে করে দিবেন।
একজন ডিজাইনারের বেতন কত? প্রতিটি ওয়েবসাইটের জন্য $৫০-$৫০০+ ডলার চার্জ করতে পারবেন। অনেকসাময় ঘন্টাচুক্তি কাজ হয়,যেমন ঘন্টাপ্রতি $৫০ ডলারে। তবে এই কাজ শেখার জন্য ধৈয্য দরকার হয়।
ওয়েব ডিজাইনার হওয়ার উপায়।
১১. এপস ডেভলপার
স্মার্টফোন ছাড়া তো ডিজিটাল পৃথিবী চিন্তা করা যায় না। প্রতিটি মানুষের হাতে অ্যান্ড্রয়েড বা আইওএস ফোন। এই ফোনগুলো এপস ছাড়া অচল।
এটুকু পড়েই বুঝতে পারছেন এখানে কত বড় একটা মার্কেট তৈরি হয়েছে। এটা আপনার ক্যারিয়ারের জন্য বিশাল সুযোগ। এটাকে সহজেই কাজে লাগাতে পারেন। অ্যাপস ডেভলপমেন্ট করে অনলাইন থেকে প্রচুর আয় করার সুযোগ আছে।
এপস ডেভলপারদের মার্কেট দুটো। অ্যন্ড্রয়েড এর জন্য প্লেস্টোর আর অ্যাপল এর জন্য রয়েছে এপস স্টোর। আপনি যেকোনো একটা শিখতে পারেন। তবে যেটা শিখবেন ভালো করে কারণ ফ্রিল্যাসিং জগতে অদক্ষের ভাত নেই।
আপওয়ার্ক ডট কমে যেয়ে দেখতে পারেন প্রতিটি এপস বানাতে কত বাজেট থাকে। একটি এপস ডেভেলপ করে $১০০০-$৫০০০+ আয় করতে পারেন।
এন্ড্রয়েড এপস ডেভলপার হওয়ার উপায়
১২. গ্রাফিক্স ডিজাইনার
ভিজ্যুয়াল কনটেন্ট, হিউম্যান হিসেবে আমাদের সবার প্রিয়। আমাদের আশেপাশে বই কভার থেকে বিস্কুটের প্যাকেট পযর্ন্ত যত ডিজাইন সবই গ্রাফিক্স ডিজাইনারের কাজ।
ইন্টরনেট জগতের কথা চিন্তা করলে একটি ওয়েবসাইটের লোগো থেকে অ্যাডের ব্যনার একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার করে থাকে। এটুকু থেকে বুঝে যাওয়ার কথা জগতে গ্রাফিক্স ডিজাইনারের চাহিদা কতটুকু।
গ্রাফিক্স ডিজাইনারের চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে। একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনারের চাহিদা বেশি হওয়ায় আপনাকে কাজ পেতে খুব একটা কষ্ট করতে হবে না।
অনলাইনে আয় করার জন্য গ্রাফিক্সডিজাইন শেখা যুগউপযোগী সিদ্ধান্ত।
একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনারের মাসিক আয় কমপক্ষে $৩০০০-$১০,০০০+ হয়ে থাকে। আপনি কাজে যত দক্ষ ও ভালো মানের কাজ ডেলিভারি দিতে পারবেন তত ডিমান্ড ও ইনকাম বাডতে থাকবে।
গ্রাফিক্স ডিজাইনারের কাজের সেক্টর ভাগ করলে অনেকগুলো সাবসেক্টর হয়। যেমন:- লোগো ডিজাইন, বিজনেস কার্ড ডিজাইন, ব্যানার ডিজাইন ইত্যাদিসহ আরো অনেককিছু যা এখানে আলোচনা করা যুক্তিযুক্ত নয় তাই বিষয়টা গুগল করে দেখে নিবেন। এর যেকোনো দু-একটি শিখেই আয় করা যায়।
সবজান্তা কিছুই ভালো করে জানে না। এজন্য সবগুলো শেখার চেষ্টা না করাই ভালো বলে আমি মনে করি। যেকোনো একটা বিষয়ে দক্ষ হতে হবে এখানে দক্ষতা মূল হাতিয়ার।
১৩. অনুবাদক
গ্লোবাল বিশ্বায়নের যুগে মানুষ সবধরণের জ্ঞান অর্জন করার সুযোগ হয়েছে। তাছাড়া একটি ভাষার জিনিস অন্য ভাষায় অনুবাদের দরকার হয়। বিভিন্ন বই, ব্লগ, গবেষণাপত্র এক ভাষা থেকে অনুবাদের দরকার পড়েছে।
একজন অনুবাদক হতে হলে আপনার যেকোনো দুটি ভাষার দক্ষতার দরকার হয়। বিভিন্ন কোম্পানি তাদের পণ্য অন্যদেশে বিক্রি করার জন্য সে দেশের ভাষায় নিজের পণ্য প্রচার করে। এজন্যও একজন অনুবাদকের দরকার।
অনেকে আছে বলবেন গুগল ট্রান্সলেটর থাকতে মানুষকে দিয়ে করাবে কেন? আসলে গুগল ট্রান্সলেটর এখনো এত বুদ্ধিমান হয়নি যে একটা ভাষা সম্পূর্ণ অনুবাদ করবে। আপনি চেষ্টা করে দেখতে পারেন, ট্রান্সলেটর সববাক্যের সঠিক অনুবাদ পারে না।
এই ধরণের অনুবাদের কাজ অনলাইনে সহজে পেয়ে যাবেন। যদি কোনো স্পেসিফিক ভাষা যেমন: চাইনিজ, ফ্রেন্স ইত্যাদি তবে কাজ পেতে সুবিধা হয়।
১৪. গেম ডেভলপার
স্মার্টফোন ব্যবহার করে অথচ অনলাইন গেম খেলে না এমন মানুষ খুজে পাওয়া কষ্টকর। প্রতিদিন নতুন নতুন অনেক গেম তৈরি হচ্ছে।
একটা গেম তৈরিতে কত বাজেট থাকে তা জানলে চোখ কপালে উঠে যাবে। পাবজি গেমটি তৈরিতে $100k মতো বাজেট ছিলো। তাহলে বুঝতে পারছেন এখানে কত বড় একটা মার্কেট রয়েছে।
যেহেতু গেম সাধারণত বড় প্রজেক্ট তাই এখানে টিমওয়ার্ক বা দলগত কাজ করতে হয়। এজন্য ভালো ইংরেজি জানতে হবে।
কাজটি মোটামুটি কঠিন হওয়ায় ২ থেকে ৩ বছর লাগতে পারে শিখতে। ধৈয্য ধরে শিখুন কাজ পেতে সমস্যা হবে না ইনশাআল্লাহ।
১৫. হ্যাকার / সিকিউরিটি এক্সপার্ট
অনলাইনে ইনকাম করার উপায় এর মধ্যে সবচেয়ে অন্যতম হ্যাকার হয়ে আয় করা।
অনলাইনে ইনকাম করার উপায়
হ্যাকার হয়ে ইনকাম
যেহেতু সাইবার সিকউরিটি এক্সপার্ট হতে গেলে অনেক কিছু জানতে হয়। তাই অন্যান্য সেক্টরগুলোর তুলনায় এখানে প্রতিযোগীতা অনেক কম।
হ্যাকার হওয়ার উপায়গুলো একটু কঠিন। কারণ সবচেয়ে পরিবর্তনশীল সেক্টর, তাই নিত্যনতুন নতুন নতুন বিষয় নিয়ে কাজ করতে হবে।
কেন হ্যাকারদের হায়ার করা হয়? সাধারণত বিভিন্ন কোম্পানী তাদের নেটওয়ার্ক অধিক পরিমাণ সুরক্ষিত রাখতে সাইবার সিকিউরিটি হায়ার করে।
আপনি ফাইভার / আপওয়ার্কের মতো ওয়েবসাইটে সাইবার সিকিউরিটি এক্সপার্টদের প্রফাইল ও এই সম্পর্কিত কাজের প্রজেক্ট দেখলে বুঝতে পারবেন হ্যাকার হয়ে অনলাইনে ইনকাম করা যায়।
আরো কিছু অনলাইনে ইনকাম করার উপায়
অনলাইনে ইনকাম করার ১৫টি উপায় আলোচনা করলেও এর বাইরে অনেক উপায় আছে; যেটা আসলে বলে শেষ করা যাবে না।
তাই বর্ণিত কাজ ছাড়াও কিছু কাজের লিস্ট দেয়া হল।
১৫. ডাটা এন্ট্রি অপারেটর
১৬. অটোক্যাড ডিজাইন
১৭. ড্রপশিপিং ব্যবসা
১৮. সফটওয়্যার টেস্টিং
১৯. গেম টেস্টার
২০. স্টক ফটোগ্রাফি
২১. অনলাইন টিউশন
২২. লোগো ডিজাইন
২৩. টি-শার্ট ডিজাইন
২৫. সোস্যাল মিডিয়া মার্কেটিং
২৬. ফেসবুক মার্কেটিং
২৭. পডকাস্ট / Voice Over
২৮. ওয়ার্ডপ্রেস
২৯. সোস্যাল মিডিয়া ম্যানেজার
৩০. নেটওয়ার্ক ডিজাইন
অনলাইনে ইনকাম করার জন্য প্রচুর ধৈর্য্য দরকার।
কিভাবে কাজগুলো শিখবো
অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো এই আর্টিকেলটি পড়লে বিস্তারিত বুঝতে পারবেন। তাবে আমি কিছু ধারণা এখানে দিচ্ছি:-
যেকোনো অনলাইন ভিত্তিক কাজ দুইভাবে শিখতে পারেন। ১. টাকা দিয়ে ২. ফ্রিতে
টাকা দিয়ে কিভাবে কাজ শিখতে হয় সেটা নিশ্চয় আমার এখানে বলার প্রয়োজন নেই। তবে যারা ফ্রিতে শিখতে চান: তাদের কিছু পরামর্শ।
আপনার জন্য পৃথিবীর সবচেয়ে বৃহৎ তথ্যভান্ডার গুগল ও ইউটিউব আছে। আপনি সেখান থেকে যেকেোন কাজ ফ্রিতে শিখতে পারেন। আমি সবসময় মানুষকে ফ্রিতে শেখার পরামর্শ দিই।
ফ্রিতে শেখার কিছু টিপস নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। জানতে উপরের পোস্টটি পড়ুন।
অনলাইনে যদি ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা আয় করতে চান; কাজ শেখার পাশাপশি পোর্টফেলিও বানান। একটু ইংরেজি চর্চা করুন।
শেষকথা একটাই এটা অনলাইন জগত, এখানে আপনার রেপুটেশনের উপর আয় নির্ভর করে। তাই ধৈয্য ধরে কাজ শিখে কাজে নামুন। যেকোনো একটি বিষয়ের উপর চরম দক্ষতা অর্জন করুন।
অনেককে দেখেছি একটা কাজ শিখতে শুরু করে সেটা পুরোপুরি না শিখে আরেকটা শিখতে শুরু করে। আবার অনেকে কাজ পুরোপুরি না শিখে মার্কেটে আসে এবং কাজ না পেয়ে হতাশ হয়।
আশাকরি আপনি বিষয়গুলো মাথায় রেখে কাজ শিখা শুরু করবেন। লাফালাফি না করে একটা স্পেসিফিক কাজ শিখবেন এবং সাইবার জগতে দেশের নাম উজ্বল করবেন। শুভকামনা।
সামারি:-
এমন একটি বিষয় আলোচনা করেছি যেটি সংক্ষেপে উপস্থাপন করা খুর কষ্ট। তবে আপনাদের সুবিধার্থে লিষ্টগুলো আবার দিলাম। জাস্ট আপনার মনে রাখার জন্য।
০১. ফর্ম পোস্টিং:
০২. কন্টেন্ট রাইটার
০৩. নিজের ব্লগিং সাইট করে
০৪. ইউটিউব চ্যানেল খুলে
০৫. ভার্চ্যুয়াল সহকারী
০৬. ভিডিও এডিটিং
০৭. ই-মেইল মার্কেটিং
০৮. এস ই ও স্পেশালিস্ট
০৯. ডিজিটাল মার্কেটিং
১০. ওয়েব ডিজাইন
১১. এপস ডেভলপার
১২. গ্রাফিক্স ডিজাইনার
১৩. অনুবাদক
১৪. গেম ডেভলপার
১৫. ডাটা এন্ট্রি অপারেটর
১৬. অটোক্যাড ডিজাইন
১৭. ড্রপশিপিং ব্যবসা
১৮. সফটওয়্যার টেস্টিং
১৯. গেম টেস্টার
২০. স্টক ফটোগ্রাফি
২১. অনলাইন টিউশন
২২. লোগো ডিজাইন
২৩. টি-শার্ট ডিজাইন
২৫. সোস্যাল মিডিয়া মার্কেটিং
২৬. ফেসবুক মার্কেটিং
২৭. পডকাস্ট / Voice Over
২৮. ওয়ার্ডপ্রেস
২৯. সোস্যাল মিডিয়া ম্যানেজার
৩০. নেটওয়ার্ক ডিজাইন
অনলাইনে ইনকাম করার উপায় গুলো আলোচনা করেছি। এছাড়া অনলাইনে আয় করার অনেক সহজ ও কঠিন উপায় আছে। অনলাইনে আয় করার জন্য সবগুলো শিখতে হবে এমন নয়।
ইন্টারনেটের মাধ্যমে ঘরে বসে আয় করার জন্য যেকোনো একটি দক্ষতা যথেষ্ট। অনলাইনে আয় করতে চাইলে সিদ্ধান্ত নিন ও দ্রুত কাজ শুরু করুন।
অনেক বড় পোস্টটি ধৈয্য ধরে পড়ার জন্য ধন্যবাদ। এতখন ধৈয্য ধরে যেহেতু পড়তে পেরেছেন। আমার বিশ্বাস আপনি অনলাইনে আয় করতে পারবেন।
শুধু বলব চোখ কান খোলা রেখে চলুন ও নিজের প্যশানের উপর কাজ শিখুন। আপনার জন্য শুভকামনা।
Comments (No)