শেয়ার বাজারে নতুনদের লাভ করার উপায়

শেয়ার বাজারে লাভ করার উপায় সবাই খুঁজে এবং অনেকে এটাও বুঝে থাকে যে শেয়ার বাজার থেকে তারা খুব দ্রুত অর্থ উপার্জন করতে পারবে। অনেক অর্থে এটি সত্যি কিন্তু তারজন্য আপনাকে আগে শেয়ারে বিনিয়োগের সঠিক পদ্দতি জানতে হবে। সত্যি বলতে অনেক বিশেষজ্ঞও শেয়ার বাজারের সঠিক অনুমান করতে অক্ষম তাই তারা মাসিক একটি নির্দিষ্ট আয়ের কথাও ভাবেন।

শেয়ার বাজারে নতুনদের লাভ করার উপায় 1

শেয়ার বাজারে প্রতিদিন ট্রেডের জন্য ভালো সুযোগ পাওয়া যায় না এবং আপনি যদি শেয়ারবাজার থেকে প্রতিদিন ট্রেড করে উপার্জন করতে চান তবে এই ক্ষেত্রে আপনার প্রচুর ক্ষতিও হতে পারে।

বিনিয়োগের কোনও নির্ধারিত সীমা নেই। আপনি ১,০০০ টাকা দিয়েও শুরু করতে পারেন বা ১,০০,০০০ টাকা দিয়েও শুরু করতে পারেন। যেহেতু শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের কোনও প্রতিবন্ধকতা নেই, তাই লাভেরও কোন সীমা নেই অর্থাৎ আপনি এখানে আপনি অনেক লাভ করতে পারবেন।

১. আপনি কোন ধরণের ট্রেডার সেটা জানুন

মূলত শেয়ার বাজারে দুই ধরণের ট্রেডার রয়েছে; এক ধরণের মধ্যে যারা মৌলিক বিনিয়োগ অনুসরণ করে এবং দ্বিতীয় ধরণের হলো অনুমানকারী। এই দুই ধরণের মধ্যে প্রধান পার্থক্য তাদের শেয়ার কেনার উপর নির্ণয় করা যায়।

যে বিনিয়োগকারীরা মৌলিক বিনিয়োগ অনুসরণ করেন তারা অনুমানকারীদের তুলনায় স্টকের দামের উপর কম গুরুত্ব দেন।

এই ধরণের ট্রেডাররা যে কোনও সংস্থার মৌলিক শক্তির বেশি বিস্বাস করেন। শেয়ার বাজারে লাভ করার জন্য বিনিয়োগের মৌলিক পদ্ধতি আপনাকে অনুশীলন করতে হবে।

শেয়ার বাজারে নতুনদের লাভ করার উপায় 2

২. একঘেয়ামি মানসিকতা এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করুন

নতুন ব্যাবসায়ীদের ক্ষেত্রে, স্টক কেনা বা বিক্রয় করার সিদ্ধান্তটি তাদের পরিচিতদের দ্বারা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে প্রভাবিত হয়। সুতরাং, আশেপাশের প্রত্যেকে যদি কোনও নির্দিষ্ট স্টকে বিনিয়োগ করে তবে সেই ব্যবসায়ীও একই শেয়ারে বিনিয়োগ করতে ইচ্ছুক থাকেন। এই ধরনের কৌশলগুলি এড়িয়ে চলুন কারণ এই ধরনের কৌশলগুলি দীর্ঘমেয়াদে ভাল কাজ করে না।

৩. শেয়ার বাজারকে কখনই সময় দেওয়ার চেষ্টা করবেন না

আপনি যদি ডেলিভারি স্টকে বিনিয়োগ করতে চান তাহলে বেশি দেরি করবেন না কারণ অনেক বিশেষজ্ঞের অনুসারে কখনো বলা সম্ভব নয় যে বাজার কখন উর্ধে থাকবে বা কখন নিম্নে। আপনি যদি ডেলিভারি বিনিয়োগের জন্য এই পরিকল্পনা করে থাকেন তবে এ জাতীয় কৌশল অনুসরণ করা থেকে নিজেকে দূরে রাখার চেষ্টা করবেন।

৪. সুশৃঙ্খলের সাথে বিনিয়োগ করুন

স্টক মার্কেটের ইতিহাস অধ্যয়ন করুন এবং এটা নিশ্চই লক্ষ্য করবেন যে অন্যরা যে শেয়ারে বিনিয়োগ করেছে আপনি সেই শেয়ারে বিনিয়োগ আগে ভালো করে অধ্যয়ন করুন।

শেয়ার বাজারে অস্থিরতা লেগেই থাকে, তাই আপনি সবার দেখে নিজে উৎসাহিত না হয়ে মাথা ঠান্ডা করে বিনিয়োগ করুন। দেখবেন আপনার এই সুশৃঙ্খলের সাথে করা বিনিয়োগ যদিও আপনাকে তাৎক্ষণিক ভাবে লাভ দিতে পারবে না কিন্তু সময়ের সাথে আপনি এর ফল নিশ্চই পাবেন। যদি আপনি দীর্ঘমেয়াদী লাভের জন্য শেয়ার বাজারে  বিনিয়োগ করেন তবে একটি নিয়মিত পদ্ধতি গ্রহণ করুন।

৫. আপনার আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করুন

অনেক বিনিয়োগকারীরা তাদের আবেগের উপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে সক্ষম না হওয়ায় শেয়ার বাজারে তাদের অর্থ হারাতে থাকেন। শেয়ার বাজারে ব্যবসা করার সময়, ব্যবসায়ীদের আরও বেশি লাভের উপর লোভ থাকে এবং এভাবে তারা ভুল শেয়ারে বিনিয়োগ করে। ভয় এবং লোভ শেয়ারে লেনদেন করার সময় নিয়ন্ত্রনে রাখার চেষ্টা করুন।

৬. সর্বদা একটি বাস্তবিক লক্ষ্য রাখুন

বিনিয়োগকারীরা ভাবেন যে তারা যে স্টক কিনেছেন সেটা তাদের ভালো রিটার্ন দিতে সক্ষম কিন্তু যদি তারা তাদের আর্থিক লক্ষ্য স্থির না করে এরকম ভেবে থাকেন তাহলে বিপদের সম্মুখীনও হতে পারেন। শেয়ার বাজার কোনো জাদু নয় যে আপনাকে তাড়াতাড়ি ভালো রিটার্ন দিয়ে দিবে।

৭. সর্বদা আপনার উদ্বৃত্ত তহবিল বিনিয়োগ করুন

আপনি হয়তো নিশ্চই শুনেছেন যে অনেকে শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের জন্য ধারও নিয়ে থাকেন কিন্তু আপনি যদি এই বাবসাতে নতুন হন তাহলে এরকম বেপার থেকে নিজেকে দূরে রাখার চেষ্টা করুন। আপনি যখন কিছু হলেও লাভ করতে সক্ষম হবেন, সেই অর্থ আবার বিনিয়োগে লাগান এটাই একটি ভালো পদ্দতি।

উপরে উল্লিখিত কয়েকটি সাধারণ টিপস যা স্টক ট্রেডিংয়ে কোনও শিক্ষানবিশকে সহায়তা করতে পারে।

ট্রেডিং শুরু করার জন্য আপনাকে প্রথমে একটি ডিমেট একাউন্ট খুলতে হবে এবং তারপর তাতে রেজিস্টার করতে হবে।

Comments (No)

Leave a Reply

এই সাইটের কোন লেখা কপি করা সম্পুর্ন নিষেধ