শুধু মাত্র তাদের জন্য যারা নিজেকে বদলাতে চান

সফলতা শুধু আপনার জন্যই যদি আপনি নিজেকে বদলাতে চান – যদি পারেন ৫মিনিট সময় নষ্ট করে পড়ে নিবেন। আমি মনে করি আপনার জীবন পাল্টে দিতে, এই একটা লেখাই যথেষ্ট।

পোস্ট টি শুরু করার আগে একটা বিষয় জানিয়ে রাখি, যদি অনলাইনে সবচেয়ে সহজ কোন আয়ের সুযোগ থাকে সেটা কিন্তু সহজ এফিলিয়েটস

আপনি যখন জিতে যাবেন তখন আপনার চারপাশে সবাই জিতে যাবে। সেই মুখগুলো আপনাকে নিয়ে খুব গর্ব করবে একদিন যে মুখগুলো আপনাকে দেখলে কালো হয়ে যেতো। অনেক অপরিচিত মুখও আপনার কাছে পরিচিত হয়ে যাবে।এমন অনেক জায়গা থেকে আপনার নাম্বারে ফোন আসবে যাদের নামও আপনি শুনেন নাই। আপনি হবেন সবার মধ্যমণি।কিন্তু যদি আপনি হেরে যান, তাহলে শুধু আপনি একাই হারলেন। কেউ আপনার সঙ্গী হবে না। একমাত্র মা ব্যতিত। যে গার্লফ্রেন্ডের/বয়ফ্রেণ্ডের সাথে দিনের পর দিন, রাতের পর রাত কথা বলে কাটিয়েছেন, যার জন্য মানি ব্যাগের চেইন পর্যন্ত ছিড়ে গেছে সেও দেখবেন আপনাকে ভুলে গেছে।

শুধু মাত্র তাদের জন্য যারা নিজেকে বদলাতে চান

হয়তো বা কোন ম্যাজিস্ট্রেট কিংবা কোন এএসপিকে বিয়ে করে সুখের বাসর সাজাচ্ছে। যে আত্মীয় স্বজন এক সময় আপনাকে নিয়ে গর্ব করতো তারা আপনাকে নিয়ে টিজ করবে, তাদের কাছে হবেন আপনি তামাশার পাত্র। এই ভাবে বলবে “কিরে বাপের টাকা আর কতদিন নিবি, অনার্স মাস্টার্স করে জীবনে কি করলি … চাকরি বাকরি কোন কিছু কররে বাপু….. এইরকমও আরো কত কিছু আপনাকে শুনতে হবে তার কোন হিসাব নাই। এটাই অমানুষদের স্বভাব।

আর জেনে রাখবেন অনেক সময় অমানুষ গুলোর ছেহেড়া দেখতে অবিকল মানুষের মতোই মনে হয়।আপনি যখন দু:সময়ে থাকবেন তখন আপনার জবান কে বন্ধ রাখুন। হতাশ হবেন না, ভেঙ্গে পড়বেন না। নীরব নিস্তব্ধভাবে প্রস্তুতি নিন উপযুক্ত জবাব দেয়ার জন্য। আর সেই জবাব টা কি জানেন??? শুধু মাত্র একটা সফলতা। আপনার একটা সফলতা আপনার সমস্ত সমালোচকদের মুখ বন্ধ করে দেবে। তাদের জন্য উপযুক্ত জবাব হয়ে যাবে।

তাদের মুখে সুপার গ্লুর মতো আটা লাগিয়ে দিবে। এবং এটা আপনার দ্বারা খুবই সম্ভব। কিন্তু আমাদের সমস্যা হচ্ছে আমরা সবাই জান্নাতে যেতে চাই কিন্তু কেউ মরতে চাই না। কিন্তু সেটাতো অসম্ভব। আর এই অসম্ভব কাজটাকে সম্ভব করার জন্য আপনার জীবন থেকে চারটা “P’ কে বাদ দিন আর ছয়টা টা “P” কে জীবনের সাথে যোগ করুন। রব্বে কারীমের কসম করে বলছি, যদি এই গুলো করতে পারেন তাহলে দুনিয়া আখেরাতের সফলতার যত দড়জা আছে সব আপনার জন্য খোলে যাবে।

যে চারটা P কে জীবন থেকে বাদ দিবেন:—–প্রথম P : Procrastination মানে হলো কাল ক্ষেপণ, আজ নয় কাল, কাল নয় পড়শু এভাবে শুধু নিজেকে পিছিয়ে। আপনাকে ডুবিয়ে দেয়ার জন্য শয়তান আর প্রবৃত্তির সবচেয়ে বড় হাতিয়ার এই একটা P ই যথেষ্ট। আপনি ভাবছেন বিকাল থেকে পড়া শুরু করবেন, কিংবা আগামীকাল থেকে পড়া শুরু করবেন।

মনে রাখবেন সেই বিকাল কিংবা আগামীকাল আপনার জীবনে আর কখনো আসবে না। সেটা শুধু “আগামী” বলেই থেকে যাবে। খুব ভালো করে মনে রাখুন যে সময়টা আপনি অনর্থক ফেইছবুক চালাচ্ছেন, কম্পিউটারে গেইম খেলতেছেন, অনর্থকভাবে বন্ধুদের সাথে ঘন্টার ঘন্টা টি স্টলে বইসা আড্ডা দিতেছেন, রাতের পর রাত গার্লফ্রেন্ড কিংবা বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে কথা বলে কাটাচ্ছেন ঠিক সেই সময়টাতে আপনার অন্য একজন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রাতের পর রাত, ঘন্টার পর ঘন্টা তার পড়ার পিছনে ব্যয় করতেছে। তাহলে কিভাবে আশা করেন যে আপনার আর তার ফলাফল এক হবে???

তাই এখনো সময় আছে জীবন টাকে রুটিনে নিয়ে আসেন। বাসার মধ্যে সময়টাকে পরিপূর্ণভাবে কাজে লাগান। অবসর সময় গুলোকেও কাজে লাগান প্যাডের মাধ্যমে । ছোট ছোট প্যাড কিনুন। কোনটাতে সাধারণ জ্ঞান লিখুন, কোনটাতে ভোকাবুলারি, কোনটাতে বাংলা সাহিত্য… এভাবে লিখে আস্তে করে নিজের প্যান্টের পকেটে ডুকিয়ে দেন। টিউশনিতে গেলে, কিংবা কর্মক্ষেত্রে গেলে ডেস্কের উপরে কিংবা আপনার চোখের সামনে এটা কে রাখুন। স্টূডেন্ট পড়ানোর পাশাপাশি কিংবা অফিসের কাজের ফাকে ফাকে যখনেই সুযোগ পান একবার এটার দিকেন থাকান।

রাস্তাঘাটে, কিংবা রিক্সায় বাসে চড়ার সময় রাস্তায় সুন্দরী ছেলে মেয়েদের দিকে না থাকিয়ে আপনার প্যাডের দিকে থাকান। দেখবেন, দেখতে দেখতেই আপনার সাধারণ জ্ঞান, ভোকাবুলারি, ইডিয়মস এন্ড ফ্রেইজ কিংবা বাংলা সাহিত্য মুখস্থ হয়ে যাচ্ছে। ভোকাবুলারি শেখার এর চেয়ে সহজ পন্থা আর পাবেন না। জীবন টাকে এভাবেই মানিয়ে নিন।

Comments (No)

Leave a Reply

এই সাইটের কোন লেখা কপি করা সম্পুর্ন নিষেধ