যে ব্যবসা গুলো করলে আপনি নিশ্চিত লাভবান হবেন ব্যবসা করার ক্ষেত্রে আমাদের এখানে একটা কথা প্রচলিত আছে ,”যে লাভ – লস মিলিয়ে ব্যবসা।” কিন্তু দুনিয়াতে এমন কিছু ব্যবসা রয়েছে যে ব্যবসা গুলো করলাম আপনার লস হবার সম্ভাবনা খুবই কম। এখানে খুবই কম বলতে বোঝানো হয়েছে নাই বললেই চলে।আসেন আমরা এরকম কিছু ব্যবসার সঙ্গে পরিচিত হই।
প্রয়োজনীয় খাবার বিতরণ
আপনি হয়তো ভাবছেন এ ব্যবসা কিভাবে নিশ্চিত লাভের মুখ দেখাবে। আবার এটাও ভাবছেন যে কিভাবে এটি একটা ব্যবসা হতে পারে।
আসুন দেখি কিভাবে এটি একটি নিশ্চিত লাভজনক ব্যবসা। ব্যবসাটি সাধারণত আপনি ভিআইপি যে অঞ্চল গুলো রয়েছে সে অঞ্চলে বেশি জনপ্রিয়ভাবে করতে পারবেন।
ভিআইপি অঞ্চলে যারা থাকেন তারা কর্ম ব্যস্ত থাকার কারণে তাদের যে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রগুলো রয়েছে সেগুলো কেনার জন্য মার্কেটে যাওয়ার সময় পায়না। এইসব অঞ্চল আপনি চাইলে ব্যবসাটি আরামসে করতে পারেন। কারণ এখানে আপনার সেভাবে কোন মূলধন বিনিয়োগ করতে হচ্ছে না।
ব্যবসাটি শুরু করার জন্য প্রথমে আপনার যে যে বিষয়গুলা করতে হবে। প্রথমে যে ভিআইপি অঞ্চলে আপনি ব্যবসাটি করবেন সে অঞ্চলে যারা থাকেন তাদের ফোন নম্বর সংগ্রহ করা । সারাদিনে তাদের কি কি বাজার লাগবে সে সম্বন্ধে জেনে নেওয়া তারপর বাজার অনুযায়ী তাদের কাছ থেকে অর্ডার নেওয়া।
পাইকারি বাজারে গিয়ে তাদের জন্য যেই বাজার অর্ডার নিয়েছেন সেগুলো কিনে ফেলবেন এরপর বিভিন্ন ফ্ল্যাটের বাজারের অর্ডার গুলো প্যাকেট করে ফ্ল্যাটে ফ্ল্যাটে গিয়ে সরবরাহ করবেন ।
আপনি যদি আপনার এই ব্যবসাটা আরও বেশি বড় করতে চান তাহলে বিভিন্ন বিল্ডিং এ গিয়ে ভিজিটিং কার্ড বিলি করা এবং এর সঙ্গে বিভিন্ন বিল্ডিং এর দেয়ালে পোস্টার টাঙিয়ে রাখা।
ড্রাই ফুড এর ব্যবসা
বর্তমান অধিকাংশ মানুষই কর্মব্যস্ত। এবং সারাদিন একটানা কাজ করার সময় সময় মানুষকে দুর্বলতা অনুভব করে তখন হালকা খাবার হিসেবে এই ড্রাই ফুড জাতীয় খাবার গ্রহণ করতে চায় কারণ এই খাবারগুলি তার দুর্বলতা থেকে কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করে।
খাবার খেলে আপনি অনেকদিন পর্যন্ত সংরক্ষণ করতে পারেন। ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকার মধ্যে এই ব্যবসাটি আপনি করতে পারেন।আপনার ব্যবসা সুবিধার্থে ভাবনা ব্যবসা কে বড় করার জন্য আপনি মার্কেটিং সুবিধার ব্যবস্থা রাখতে পারেন।
ফটোগ্রাফি করে
ছবি তুলতে পছন্দ করেনা অথবা বিভিন্ন সুন্দর সুন্দর দৃশ্যের ছবি পছন্দ করে না এরকম মানুষ খুবই কম।একটা সময় ফটোগ্রাফিকে শখ হিসেবে কল্পনা করলেও বর্তমানে ফটোগ্রাফি করে আপনি বিভিন্ন উপায়ে ইনকাম করতে পারেন ।
এখন আসি আপনি ফটোগ্রাফি করে কত উপায় ব্যবসা করতে পারেন। বিভিন্ন অনুষ্ঠানের ফটোগ্রাফি করে সেটা হতে পারে বিবাহ বার্ষিকী ,বিবাহের অনুষ্ঠান, জন্মদিনের অনুষ্ঠান ইত্যাদি ।আবার বর্তমান বিভিন্ন অনলাইন প্লাটফর্ম রয়েছে যেখানে বিভিন্ন ক্রেতারা তাদের পছন্দ অনুযায়ী ছবি কিনতে আসে। আপনি সেই ধরনের প্লাটফর্মে ছবি বিক্রি করতে পারেন।
ফটো এডিট করে আপনি ব্যবসা করতে পারেন। আবার অনেকে আছে তার ফটোগ্রাফির ব্যবসা কে বড় করার জন্য ফেসবুক পেজে তার একটিভিটিস গুলো তুলে ধরে।
আপনার তোলা সুন্দর ছবিগুলো কিভাবে ফটোসুট করেছেন আপনি সেই সম্পর্কে বিবরণ দিয়ে বিভিন্ন ইউটিউব চ্যানেল খুলতে পারেন? কারণ অনেক মানুষ আছে যারা ছবিগুলোর বিবরণ জানতে চায় যে ছবিগুলো কিভাবে ফটোশুট করা হয়েছে।
ইসলামিক জিনিসপত্র বিক্রি
আমরা যেই দেশে বাস করি সে দেশের ৯২% মানুষের ধর্ম হচ্ছে ইসলাম। এজন্যই সবাই ইসলামের জিনিসপত্র গুলো বেশি পছন্দ করবে এটাই স্বাভাবিক। ইসলামের যেসব জিনিসপত্র রয়েছে সেগুলো হল আতর, যায়নামাজ, টুপি ,বিভিন্ন ইসলামিক বই ইত্যাদি । মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ট দেশ হওয়ার জন্য এই ইসলামি জিনিস গুলো মানুষ কিনবেই। এর জন্য এটি একটি নিশ্চিত লভাজনক ব্যবসায় পরিনত হয়েছে।
রেল স্টেশন, বাস স্টেশন, বিভিন্ন বাজার মসজিদ, স্কুল কলেজের পাশে আপনি ব্যবসাটা শুরু করতে পারেন ।আপনি এর সঙ্গে মধু, কালোজিরা, কিসমিস, খেজুর এগুলোর ব্যবসা করবেন।
আপনার ব্যবসাকে বড় করার জন্য আপনি প্রচার প্রসারের সুবিধা ও রাখতে পারেন। যেমন ব্যানার ফেস্টুন তৈরি করা ,পোস্টার তৈরি করে বিভিন্ন এলাকার দেয়ালে সেগুলো টাঙিয়ে রাখা। ব্যবসাটি শুরু করতে আপনার প্রথম ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা খরচ হতে পারে।
পোশাক ভাড়া দেওয়া
বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে বিবাহ মানে সাজগোজ ,বিবাহ মানে বিশেষ দিন। বিশেষ দিনে মানুষ সাধারণত বিশেষ কিছু করবে এটাই স্বাভাবিক । বাংলা সংস্কৃতিতে বিশেষ দিনে বিশেষ ড্রেস পড়া রীতি রয়েছে। বিবাহের দিনের জন্য যে ড্রেসগুলো রয়েছে এগুলো সাধারণত বিবাহের দিনের জন্যই উপযুক্ত আর এরই জন্য বর্তমানে অনেকেই এক দিনের জন্য ড্রেসগুলো কিনে অপচয় করার পরিবর্তে ভাড়া নিতে চায়।
আপনার ব্যবসার সুবিধার্থে আপনি বিবাহের ড্রেসের পাশাপাশি এর সঙ্গে জন্মদিন জন্মদিন এর পোশাক, বিভিন্ন ডান্স গ্রুপের পোশাক, বিভিন্ন সার্কাস গ্রুপের পোশাক ও ভাড়া দিতে পারবেন।
আপনি ৩০ থেকে ৫০ হাজার টাকা হলেই ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন।
ইলেকট্রিক মালামালের
এটি এমন একটি ব্যবসা যেখানে আপনি ১০০% এর অধিক বেশি লাভ করতে পারবেন। আর এই লাভের কথাটা আমার যতো পরিচিত দোকান রয়েছে তাদের কাছ থেকেই জেনেছি। এই ব্যবসা সম্বন্ধে বেশি কিছু বলার নেই আপনি যখন শুরু করবেন তখনই বুঝতে পারবেন।
আপনি ৩০ থেকে ৫০ হাজার টাকার মধ্যে ব্যবসাটা শুরুকরতে পারেন।
সেলাই বা টেইলারিং ব্যবসা
আপনি ৮-১০ হাজার টাকা খরচ করে সেলাই মেশিন এবং সেলাই সরঞ্জাম কিনে শুরু করতে পারেন। যদি আপনার ঘরে সেলাই মেশিন রাখার জন্য যথেষ্ট স্থান থাকে, তাহলে আপনি এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
এছাড়াও, বিভিন্ন উপলক্ষে বা ধর্মীয় উৎসবে (যেমন: ঈদ, পূজা) আপনার বিক্রি আরও বেড়ে যাবে।
সেলাই ব্যবসার শুরুতে নিম্নলিখিত জিনিসগুলি প্রয়োজন:
২০-৩০ হাজার টাকার মূলধন,সেলাই করার দক্ষতা, সেলাই সরঞ্জাম।
অনলাইনে মগ প্রিন্ট ব্যবসা
অনলাইনে মগ প্রিন্ট এর জন্য একটি স্পেশাল প্রিন্টিং মেশিন দরকার পড়ে। এই মেশিনের মাধ্যমে মগে বিভিন্ন ডিজাইন বা প্রিয় মানষেু র ছবি প্রিন্ট করা হয়। আপনাকে নিজেই এই মেশিনটি কিনতে হবে না। বর instead আপনি সহজেই অনলাইনে অর্ডার সংগ্রহ করতে পারেন এবং অর্ডার গ্রহণ করার জন্য মগ প্রিন্টিং প্রতিষ্ঠানগুলির সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।
বিভিন্ন দিনে বা ইভেন্টে বিভিন্ন কর্পোরেট কোম্পানিদের মগ প্রিন্টিংর প্রয়োজন হয়। আপনি তাদের সাথে যোগাযোগ করে অর্ডার সংগ্রহ করতে পারেন।
মগ প্রিন্টিং ব্যবসার জন্য প্রাথমিকভাবে আপনার যা যা প্রয়োজন:
২০-৩০ হাজার টাকা মূলধন। কিছুমগ প্রিন্টিং প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তি বা সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা এবং মূল্য তালিকা নেওয়া। প্রিন্টিং মেশিন নিজে করতে চান কিনা, এটা ভিন্নভাবে পরিচালিত হবে কিনা। সুন্দর ডেকোরেশন করতে পারা সম্ভবতা, যদি নিজে করতে চান।
অনলাইনে ৯৯ টাকায় পণ্য বিক্রি
যদিও আপনি ৯৯ টাকার দোকান দিয়ে কাজটি শুরু করতে পারবেন তবে, পার্ট-টাইম ব্যবসা করতে চাচ্ছেন সেক্ষেত্রে অনলাইনে বিক্রি করা উত্তম। এখানে আপনি চক বাজার থেকে প্রয়োজনীয় পণ্যগুলি পাইকারি দামে কিনতে পারবেন।
প্রাথমিকভাবে আপনার প্রয়োজন হবে:
৩০,০০০ টাকা মূলধন। পণ্য ক্রয়ের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থানুবাদক। একটি নাম নির্ধারণ করুন। নিজের একটি ফেসবুক পেজ এবং গ্রুপ তৈরি করুন এবং কিছুBuy-Sell গ্রুপে যোগ দিন। ফেসবুক পোস্টগুলি বুস্ট করুন।
পড়ালেখা বা অফিস-চাকুরি করার পাশাপাশি আরও একটি ব্যবসা করা যেতে পারে, তা হল পার্ট-টাইম ব্যবসা।পার্ট-টাইম ব্যবসা করা আপনাকে বেশি লাভ দিতে পারে। আজকে আমি আপনাদের সাথে ৮টি পার্ট-টাইম ব্যবসা আইডিয়া নিয়ে কথা বলবো যা আপনারা বিশেষত অবকাশ সময়ে করে লাভজনক হতে পারেন।
কর্মজীবনর্ম শুরু করার এবং লাভজনক হওয়ার জন্য পার্ট-টাইম ব্যবসা একটি আদর্শ প্লাটফর্ম হিসাবে দাঁড়িয়ে থাকে। অল্প সময় এবং কম পুজিঁ দিয়ে পার্ট-টাইম ব্যবসা খুব সহজেই পরিচালিত করা যায় এবং এটি লাভজনক।
অনেকে ঘরে বসে স্বপ্নপূর্ণভাবে এই পার্ট-টাইম ব্যবসা করে নিজেকে সাবলম্বী হিসাবে উন্নত করে যাচ্ছেন।
Comments (No)